সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে কৃষকদের মাঝে কৃষি সামগ্রী বিতরণআশাশুনিতে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময়দেবহাটায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের রাইট টু গ্রো প্রকল্পের নীতি সংলাপআশাশুনিতে ঝুঁকিহ্রাস কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদনকরণ কর্মশালাজলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যুব উদ্যোক্তা তৈরিতে সাতক্ষীরায় অবহিতকরণ সভাসাতক্ষীরায় জেন্ডার বৈষম্যহীন ও অধিকারভিত্তিক য²া পরিসেবা প্রদানে সামাজিক অর্ন্তভূক্তির জন্য সেমিনারএ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভচিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনআমীরে জামায়াতের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভাচিন্ময়ের জামিন বাতিল : মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

5f298c5e81e31c4ebeed32e2baac8bae-5812587a60ef8অনলাইন ডেস্ক: মাদক ব্যবসায়ে জড়িত দিনাজপুরের পার্বতীপুরে শিশুধর্ষণে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম। এলাকায় পরিচিত ছিল কালা সাইফুল নামে। চলতি বছর নারী নির্যাতন মামলায় জেল খেটেছে এক মাসেরও অধিক সময়।

এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। সে ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিল। ২০ বছর আগে সে একই গ্রামের সহির উদ্দিন মেয়ে নার্গিসকে বিয়ে করে। বিবাহিত জীবনে তার ৩ মেয়ে ও এক ছেলে জন্ম নেয়। বিয়ের আগে ও পরে সে কাঠ ব্যবসাসহ ফড়িয়া (দালালি) ব্যবসা করে সংসার চালতো। কয়েক বছর থেকে সাইফুলের ‘অচেনা-অজানা’ লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে সে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকে বলে স্থানীয়রা জানান।

কারণে-অকারণে লোকজনের ওপর হাত তোলা এবং  ভয়-ভীতি প্রদর্শন করায় লোকজন ক্রমশ তাকে ভয় পেতে শুরু করে। প্রায়ই সে তার তার স্ত্রী নার্গিসকে শারীরিক ও মানসিকভাবে করতো। এরই মধ্যে তার পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে বড় মেয়ের শাশুড়ির সঙ্গে, এমন অভিযোগও রয়েছে। এসব কারণে গত বছর স্ত্রীর সঙ্গে তার ডির্ভোস হয়ে যায়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন মামলায় ১ মাস ৯ দিন হাজতে ছিল সে। হাজত থেকে বেরিয়ে সে আরও খারাপ আচরণ করতে শুরু করে- এমনটাই জানা যায়। প্রায় প্রকাশ্যেই জড়িয়ে পড়ে ফেন্সিডিল ও  গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সঙ্গে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে সাইফুল তার বড় মেয়ের শাশুড়িকে বিয়ে করে।
এলাকাবাসীর অনেকে জানান, পড়াশোনায় ৫ম শ্রেণিও পেরুতে পারেনি সাইফুল ইসলাম। বিয়ের সময় তার শ্বশুর ২৭ শতক জমি দিয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে সে জমিটুকুও খুইয়েছে সে। কিছুদিন আগে সে জাহাঙ্গীর নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দেয়নি।
সাইফুল ইসলামের ভাই সাইদুল ইসলাম ও সফিউল ইসলাম জানান, প্রায় এক বছর ধরে সাইফুলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই তাদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো।
তারা জানান, সাইফুল ইসলামের সঙ্গে অচেনা কিছু লোকজনের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। প্রায়ই তারা সাইফুলের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। এই কারণে সাইফুল ক্রমে বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে।
ধর্ষক সাইফুলের সাবেক শ্বশুর ও আপন চাচা সহির উদ্দিন জানান, বিকৃত মন-মানসিকতার মানুষ সাইফুল। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক সে। বিয়ে দেওয়ার পরও নিজের বড় মেয়ে রেশমাকে (১৮) মারধোর করতো সাইফুল। বড় মেয়ের শাশুড়ির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তার মেয়ে নার্গিস সাইফুলকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় মেয়ে সুজাতা (১৩) ও তৃতীয় মেয়ে সালমাকে (১১) নিয়ে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের একমাত্র ছেলে নাজমুলকে (৫) অন্যের বাড়িতে রাখা হয়েছে।

পূজার মাসি (খালা) বুলবুলী রানী জানায়, শিশুটি নিখোঁজের পর সবাই খোঁজাখুজি শুরু করলে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাড়িতে এসে তাকে দেবী বা জ্বীনে লুকিয়ে রেখেছে বলে অপপ্রচার শুরু করে। পরে সে কবিরাজ নিয়ে আসে ও কবিরাজ বলে পরের দিন সকালে ওই শিশুকে পাওয়া যাবে। তিনি অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও কবিরাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পূজার কাকা মদন দাস জানান, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাইফুল ইসলাম মোবাইলে ওই শিশুটির বাবাকে বলে ‘বেশি বাড়াবাড়ি করিস না, আপোসে আয়। তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে’ এই বলে মোবাইলে হুমকি দেয়। এলাকাবাসীর অনেকে জানান, শিশু পূজা নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে শুরু করলে সাইফুল ইসলাম ওই শিশুর মাকে বলেন, বাচ্চাটিকে হয়তো দেবী বা জ্বিনে ধরেছে। কবিরাজ নিয়ে এসে ঝাড়ফুঁক করলে পাওয়া যাবে। পরে আফজাল হোসেন নামে একজন কবিরাজকে নিয়ে আসলে কবিরাজ বলেন পরের দিন সকালে বাচ্চাটিকে পাওয়া যাবে। তার কথামতো পরদিন সকালে বাড়ির পাশের হলদি ক্ষেত থেকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকার লোকজন আরও জানায়, আফজাল হোসেন ওই এলাকার একজন সুপরিচিত কবিরাজ। তাকে লোকে বিশ্বাস করতো।
তাদের দাবি, এই ‘ভণ্ড কবিরাজকে’ গ্রেফতার করা হলে আরও অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।
পূজার দাদা অনিল চন্দ্র দাস জানান, সাইফুল নিজের অপরাধ আড়াল করতে একই গ্রামের ভণ্ড কবিরাজ আফজাল হোসেনের কাছে তার ছেলে সুবল দাসকে নিয়ে যান। সাইফুলের শিখিয়ে দেওয়া কথা মতে কবিরাজ বলেছিল আপনার মেয়েকে খোঁজার দরকার নেই। সকাল বেলা শিশুটিকে পাওয়া যাবে। পরদিন শিশুটিকে পাওয়া যায় ঠিকেই তবে তা সংজ্ঞাহীন ধর্ষিত অবস্থায়। তার পরেও সাইফুল শিশুটিকে হাসপাতালে নিতে বাধা দিয়ে বলে, কবিরাজ ঝাড়ফুঁক দিলেই ঠিক হয়ে যাবে শিশুটি। হাসপাতালে শিশুটির জ্ঞান ফিরলে ধর্ষক হিসেবে সাইফুলকে সনাক্ত করা হয়।
কবিরাজের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, তার স্বামীর সঙ্গে জিন আছে। সে এলাকায় কবিরাজি করে। এলাকার মানুষদের তেল পড়া ও পানি পড়াসহ ঝাড়ফুঁকের কাজ করে। সাইফুল শিশুটির বাবাকে নিয়ে তার কাছে এসেছিল। তার স্বামীকে ৫০১ টাকা দিলেও সেখান থেকে গোপনে সাইফুল ৩০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার স্বামীর ধর্ষণ কাজে জড়িত ছিল না। কবিরাজি করতে গিয়ে ফেঁসে গেছে। গ্রেফতার আতঙ্কে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর দুপুরে খেলতে বাইরে গেলে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় ৫ বছর বয়সী শিশু পূজা। অনেক খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন পূজার বাবা (সুবল চন্দ্র দাস)। পরের দিন সকালে পূজাকে বাড়ির পাশের হলদি ক্ষেত থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে জ্ঞান ফিরতে শিশুটি ধর্ষক সাইফুল ইসলামের কথা বলে। ওই ধর্ষক শিশুটির গোপনাঙ্গ কেটে ধর্ষণ করে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পূজার বাবা পার্বতীপুর থানায় একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৭ দিন পর গত মঙ্গলবার পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুলকে দিনাজপুরের ঈদগাহ বস্তি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালত অভিযুক্ত সাইফুলকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। শিশুটি বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

365d4071201382193155860081527eb7-5812e20d739cdস্পোর্টস ডেস্ক: মধ্যাহ্ন ভোজের আগে ভালো একটি সেশন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ এক উইকেটে ১১৮ রান।

যদিও দিনের শুরুতে ফিরে গেছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস (১)। তৃতীয় ওভারে ওকসের বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ডাকেটের হাতে তালুবন্দী হন বাঁহাতি এই ওপেনার। আর এরপরেই জুটি গড়ে স্থিতি আনেন তামিম ও মুমিনুল। অর্ধশত পূরণ করেছেন তামিম।  ব্যাট করছেন ৬৮ রানে।  মুমিনুল ব্যাট করছেন ৪৪ রানে। এই জুটিতেই এসেছে ১১৭ রান।

তবে ২৫.১ ওভারে আবারও ঘটেছে রিভিউ নেওয়ার ঘটনা। তামিমের ব্যাটে বল লেগেছে ভেবে আবেদন করে বসে ইংল্যান্ড। জবাবে ধর্মসেনা আঙুল তুলে দেন। পাল্টা তামিম রিভিউ নিলে দেখা যায় বল ব্যাটেই লাগেনি।  একই ওভারে আরও একটি ঘটনা ঘটে।  ২৫.৩ ওভারে স্টোকসের লাফিয়ে ওঠা বল ঠিকমতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি তামিম।  টিভি স্ক্রিনে দেখা যায় বলটি সজোরে আঘাত করে তামিমের বুকে।  তবে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে কোনও ঝামেলা ছাড়াই খেলা শুরু করেন তামিম।
এর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।  এই টেস্ট সিরিজে প্রথমবার টস জিতলেন মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশ থেকে একটিমাত্র পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশ দলে। পেসার শফিউল ইসলামের বদলে সুযোগ পেয়েছেন অফস্পিনার শুভাগত হোম। বাংলাদেশ শুভাগতসহ চারজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামছে।

ইতোমধ্যে প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড।  শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ম্যাচটি তাই দুই দলের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে ইংলিশ দল দুটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্টে খেলা স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটির স্থানে দলে এসেছেন নবীন বাঁহাতি স্পিনার জাফর আনসারি ও পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গায় দলে ঢুকেছেন স্টিভেন ফিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2079263209_1477562163বিশেষ ডেস্ক: ডেস্ক: ‘জীবন ফুলশয্যা নয়’ মনিষীদের বলা এই প্রবাদটি সবারই জানা। কারণ সফলতা কখনো নিজ থেকে এসে ধরা দেয় না। এর জন্য প্রয়োজন কঠিন অধ্যাবসায় এবং পরিশ্রম। শৈশবের তীব্র দারিদ্রকে জয় করে নিজেদের মেধা ও বিশ্বাসের জোরে বিশ্ব জয় করেছেন। আর পরিচিতি পেয়েছেন তারকা হিসাবে। জেনে নিন সেসব তারকাদের ইতিহাস যারা কঠিন পরিশ্রম করে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন।

কার্লোস অ্যাকোস্টা :
বিখ্যাত এই ব্যালে নৃত্য শিল্পী খুবই দরিদ্র একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। শৈশবে তিনি জুতার অভাবে খালি পায়ে চলাফেরা করতেন। ১৯৭৩ সালে কিউবার হাভানায় জন্মগ্রহণকারী কার্লোস অ্যাকোস্টা ছিলেন এক দরিদ্র ট্রাক ড্রাইভারের ১১তম সন্তান। তার মা ছিলেন অসুস্থ একজন নারী। কৈশোরে তাকে কিউবান ন্যাশনাল ব্যালে স্কুলে পাঠানো হয় শুধু দিনে একবেলা খাবার জোগাড়ের জন্য।

১৯৯১ সালে তিনি গ্রাজুয়েট ডিগ্রী লাভ করেন। চুড়ান্ত পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করায় তাকে গোল্ড ম্যাডেলে ভূষিত করা হয়। বিশ্বের সেরা সেরা ব্যালে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নেচেছেন অ্যাকোস্টা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোম্পানিটি হলো, লন্ডনের রয়্যাল ব্যালে। তিনি বিশ্বের সেরা ব্যালে নাচিয়েদের একজন হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।

অশ্বিন উইলেমসে :
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশের ক্যালেডনে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন অশ্বিন উইলেমসে। দু’বার পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন তিনি। এক সময় তার সব বন্ধুদের কেউ জেলে বন্দি হয়েছেন আর নয়তো মারা গেছেন। এরপর তিনি রাগবি খেলার প্রতি আত্মনিবেশ করেন এবং জীবনটাকে পুরোপুরি বদলে ফেলেন। স্থানীয় রাগবি টিম সোয়ার্টবার্গে খেলা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরুর করে বিশ্ব রাগবির খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান অশ্বিন উইলেমসে।

মালালা ইউসুফজাই :
মাত্র ১৭ বছর বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নোবেল বিজয়ীর খেতাব অর্জন করেন মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে জন্ম মালালা ইউসুফজাইয়ের। শৈশব ও কৈশোরে তিনি এমন একটি অঞ্চলে বেড়ে উঠেছেন যা ছিল ইসলামি চরমপন্থী তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে। যেখানে মেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।

১১ বছর বয়সে বিবিসি উর্দু বিভাগে ছদ্মনামে ব্লগিং শুরু করেন মালালা। সেখানে তিনি তালেবানদের অধীনে মেয়েদের জীবনের দুঃখ-দুর্দশাগুলো নিয়ে লেখালেখি করেন। নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার হয়ে খ্যাতি অর্জনের ফলে তালেবানরা তাকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে তালেবানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। মালালাকে হত্যা চেষ্টার দায় স্বীকার করার পর পাকিস্তানের ৫০ জন বিখ্যাত ইসলামি ধর্মতাত্বিক তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন।
তবে সে থেমে থাকেননি ভয়ভীতিহীনভাবে লেখা চালিয়ে গেছেন। নারীদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরুপ মালালাকে শাখারভ পুরস্কার, ন্যাশনাল ইয়ুথ পিস প্রাইজ অফ পাকিস্তান এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

চার্লি চ্যাপলিন :
চার্লি চ্যাপলিনের শৈশবের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে কারখানা ও কাঙ্গাল বিদ্যালয়ে। আর তার মায়ের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময় পরপর কিছুদিনের জন্য তিনি পাগলা গারদে গিয়েও থেকেছেন। নির্বাক সিনেমায় ভবঘুরের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই তিনি বিশ্বের সেরা তারকাদের একজন হয়ে ওঠেন।

জার্মানির স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারকে ব্যাঙ্গ করে নির্মিত সিনেমা “দ্য গ্রেট ডিক্টেটর” ছাড়াও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বেশ কয়েকটি সিনেমায় চিত্রনাট্য লেখা, পরিচালনা এবং অভিনয় করেছেন। তিন তিনবার সিনেমার সর্বোচ্চ পুরস্কার অস্কার, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা লিজিয়ন দ্য অনার এবং ব্রিটিশ নাইটহুড খেতাবপ্রাপ্ত চ্যাপলিনকে এখনো সিনেমা শিল্পর শীর্ষ মেধাবীদের একজন হিসেবেই বিবেচিত হন।

অপরাহ উইনফ্রে :
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি প্রদেশের দরিদ্র গ্রামাঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেন অপরাহ উইনফ্রে। শৈশবে নিজ পরিবারের একাধিক সদস্যের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন অপরাহ। নির্যাতন সইতে না পেরে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর ন্যাশভিলে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন তিনি। সেখানে স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই একটি রেডিওতে চাকরি নেন।

টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর স্থানীয় সান্ধ্য সংবাদ অনুষ্ঠানের সহকারি অ্যাংকর হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে তিনি শিকাগোর একটি টক শোতে স্থানান্তরিত হন। শিকাগোতে তিনি নিজের প্রোডাকশন কম্পানি “দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো” গড়ে তোলেন। তার এই শো যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যাট শোর জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই তার অনন্য পাপ স্বীকার এবং আবেগি স্টাইলের চ্যাট শো একটি অনন্য ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে।
সমকামিদের অধিকার সহ অনেক সামাজিক ট্যাবুর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন উইনফ্রে।

ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই সমাজের সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের অগ্র সৈনিক এবং একজন বিশ্বপ্রেমিক হয়ে ওঠেন তিনি। ৩.১ বিলিয়র ডলার মূল্যমানের সম্পদের মালিক অপরাহ উইনফ্রে আমেরিকার শীর্ষ আফ্রিকান-আমেরিকান ধনী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1189868291_1477590390ডেস্ক রিপোর্ট: সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে মামলার পর এবার তাকে ওএসডি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ প্রজ্ঞাপনে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সুশান্ত পালকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে সুশান্তকে মানসিক চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কটূক্তির করার কারণে একজন ছাত্র শাহবাগ থানায় সুশান্তের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন। মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

শুল্ক, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেসবুকে তার স্ট্যাটাসে বলেন, সুশান্তকে ওএসডি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হতে পারে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরব। তার মন্তব্য এই প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করেছে। এনবিআর সুশাসনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। বর্তমানে সুশান্তকে রংপুরে সংযুক্ত করা হয়েছে। আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মইনুল খান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এনবিআরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের মন্তব্য করা যায় না। আশা করি, সুশান্তের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থায় ছাত্রদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবার কাছে অত্যন্ত আবেগ ও সম্মানের জায়গা।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছখোলা এলাকার আব্দুর রশিদ হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী জাকির হোসেন কে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাটিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করে সুপারিঘাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। সে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আব্দুর রশিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সে। দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো। এদিকে পিতা হত্যা মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় তার বড় ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছিলো বলে জানাগেছে। সুপারিঘাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ সৈয়দ আলী জাকির কে আটকে কথা নিশ্চিত করে বলেন, তারে বিরুদ্ধে হত্যাসহ প্রায় ৫টি মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো:শ্যামনগরে থানা পুলিশ পৃথক অভিযানে গতকাল বৃহম্পতিবার এক ইয়াবা ব্যবসায়ী সহ তিন গাজা সেবীকে আটক করেছে। সে শ্যামনগর সদর ইউনিয়নে বাদঘাটা গ্রামের গফ্ফার মোল্লার ছেলে আলমগীর (২৩)। ইয়াবা বিক্রয়ের সময় শ্যামনগর থানা পুলিশ শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটের সামনে থেকে ৮ পিচ ইয়াবা সহ তাকে আটক করে। অপর এক অভিযানে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের জয়াখালী স্কুলের পাশ থেকে ৩ গাজা সেবীকে আটক করে। আটককৃতরা হলো সাতক্ষীরা সদরে ইটাগাছা গ্রামের গোলাম গফ্ফার মিয়ার ছেলে গোলাম জাকারীয়া, শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামের মজিদ গাজীর ছেলে আব্দুর রহিম ও একই এলাকার শহিদ গাজীর ছেলে ফরহাদ গাজী। শ্যামনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার  করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরের আটুলিয়ার ছোট কুপট ক্লাব হাট মোড় বাজার সংলগ্ন নতুন নতুন দোকান তৈরি করায় ব্যবসা জমে উঠেছে। মাত্র কয়েক মাসে মোল্লাপাড়া, বাদুড়িয়া, ছোটকুপট, চরের বিলসহ কয়েকটি গ্রামের শতশত লোক এ বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী প্রত্যহ ক্রয় বিক্রয় করছে। ছোট কুপট গ্রামের আঃ মান্নান গাজীর পুত্র আবু ইসহাক জানান, রেকর্ডীয় জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে তিনিও একাধিক দোকান ঘর তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন। এ বাজারে দোকান পাট বেশী হলে, লোক জনের সরগরম হবে। অথচ বাজারটি দ্রুত উন্নতির দিকে উঠতে থাকলে একশ্রেণির লোক এর তীব্র বিরোধীতা করছে। রেকর্ডীয় জমিতে দোকান পাট স্থাপন করতে থাকলেও খাস জমি/খালের সরকারি জমি বলে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বাজারটি লোকালয়ে হওয়ার কারনে পরিবহন খরচ ছাড়াই ক্রেতা বিক্রেতা দ্রব্যাদী সহজেই কিনতে বেঁচতে পারছে। ফলে সময় ও অর্থ অপচয় রোধ হচ্ছে। রেকর্ডীয় জমির মালিক হাজী আঃ সামাদ গাজী, ইব্রাহিম গাজীর পুত্র সাহবাজ গাজী, আঃ মান্নান গাজী ও আঃ ওয়াহেদ এর ওয়ারেশগণ আটুলিয়া মৌজার জমিতে বৈধভাবে দোকান পার্ট স্থাপন করলে হাটবাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। কেননা হাটবাহার সংলগ্ন তাদের জমি থাকায় এলাকাবাসী এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু জানান, প্রায় এই হাট দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যাই, অতি তাড়াতাড়ি বাজারটি যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে, বাজারের উন্নতিতে প্রতিবন্ধকতা ব্যক্তিদেরকে চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবু জানান, এ হাট বাজার এলাকার মানুষের চাহিদার প্রতিফলন হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5
কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় জেএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান গাজীর সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের হল রুমে এ বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানে জেএসসি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র নাথ দাস, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুর রব, শ্রী নিত্য কুমার কর্মকার, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসাইন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ফজলে করিম, সহিদুল ইসলাম, শাহ জামাল, শিরিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক আব্দুল বারী, মোসলেম আলী, দিলিপ কুমার ঘোষ, গোলাম রসুল, মতিয়ার রহমান, বিপুল কুমার দাস, তাসলিমা খাতুন, শিউলি খাতুন, রওশন আরা খাতুনসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। এ সময় বক্তারা বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের বলেন, একাডেমিক পরীক্ষার প্রথম ধাপের এই পরীক্ষা ভালো ভাবে পড়াশুনা করে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য আহবান জানান। তারা আরো বলেন, দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখার জন্য তাদেরকে মনোযোগ সহকারে পরীক্ষা দেয়ার জন্য বিশেষ ভাবে বলেন। আলোচনা শেষে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest