সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে কৃষকদের মাঝে কৃষি সামগ্রী বিতরণআশাশুনিতে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময়দেবহাটায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের রাইট টু গ্রো প্রকল্পের নীতি সংলাপআশাশুনিতে ঝুঁকিহ্রাস কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদনকরণ কর্মশালাজলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যুব উদ্যোক্তা তৈরিতে সাতক্ষীরায় অবহিতকরণ সভাসাতক্ষীরায় জেন্ডার বৈষম্যহীন ও অধিকারভিত্তিক য²া পরিসেবা প্রদানে সামাজিক অর্ন্তভূক্তির জন্য সেমিনারএ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভচিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনআমীরে জামায়াতের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভাচিন্ময়ের জামিন বাতিল : মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

04-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, কৃষি, বিদ্যুৎসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে মন্তব্য করে ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি আরো বলেন, বর্তমান সরকার নৌ-বাহিনীর সক্ষমতাবৃদ্ধি করায় দেশে এখন যুদ্ধজাহাজ তৈরী হচ্ছে। নৌ-বাহিনীর তৈরী করা জাহাজ এখন বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। সাবেক মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এমপি রোববার দুপুরে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর তত্বাবধায়নে নির্মিত সাতক্ষীরার আশাশুনির মরিচ্চাপন নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের সংস্কার কাজ শেষে উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। ব্রিজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সেখানে নদী তিরবর্তী সড়কের উপর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নৌবাহিনীর চট্রগ্রাম ইউনিটের কমোডর নাজমুল করিম কিছলু, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন আব্দুল লতিফ, আকতার হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোখলেছুর রহমান প্রমুখ। বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী চিটাগাং ডাইড ইন্ডাট্রিজ এর ব্যবস্থাপনায় প্রায় তিন কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যায়ে আশাশুনি উপজেলার মরিচ্চাপপ নদীর উপর বেইলী স্ট্রিলের ব্রিজটি সংস্কার করা হয়। এর ফলে প্রায় দীর্ঘ ৬ মাসপর আবারও নতুন করে ব্রিজের উপর দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলাচল  করতে পারবে এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার ৫টি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১৬টি বন্ধ ঘোষিত ভোটকেন্দ্রে পুন: ভোট গ্রহণ ও উপনির্বাচন সোমবার অনুুষ্ঠিত হবে। শান্তিপুর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। বিগত ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও ভোটে কারচুপির কারনে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। তবে এরমধ্যে দু’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, বিগত ইউপি নির্বাচনে জাল ভোট প্রদান,সহিংসতা,ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে জেলার  ১৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। স্থগিত কেন্দ্র গুলো হল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, মাহমুদপুর সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, গাংনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও ভাড়–খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ভাগবহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, অভয়তলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের কলাটুপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও শাকদহা দাখিল মাদ্রাসা এবং কেরালকাতা ইউনিনের বালিয়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। শ্যামনগর উপজেলার কখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৈখালী মহাজেরিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও শৈলখালী এম ইউ দাখিল মাদ্রাসা। এছাড়া সম-সংখ্যাক ভোট পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কুশখালী ৪নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি ক্লিনিক ভোট কেন্দ্রে এবং দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড সদস্যের মৃত্যুজনিত কারনে কুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, নির্বাচনকে সুষ্টু ও শান্তিপুর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রিয়াল দায়িত্ব পালনের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছেন জেলা প্রশাসান। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একজন এসআই’র নেতৃত্বে ৭জন পুলিশ সদস্য, ২জন অস্ত্রধারী আনসার সদস্য ও ১৬ জন লাঠি আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জেলা নির্বাচন অফিসার এএইচএম কামরুল হাসান জানান, যে কোন মুল্যে এবারের নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য ঃ এর আগে গত ২২ মার্চ ১ম ধাপে সাতক্ষীরার ৭৮ টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

03
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় আধুনিক কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ক এক কৃষি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ মেলার আয়োজন করে কেয়ার বাংলাদেশ,পাথওয়েজ প্রকল্প। দিনব্যাপি এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজি আব্দুল মান্নান। ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ট্রেনিং অফিসার জি,এম আব্দুল গফুর, বাংলাভিশন টিভি চ্যানেল ও দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান, কেয়ার বাংলাদেশের পাথওয়েজ প্রকল্পের কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ। উদ্বোধন শেষে অতিথিরা মেলার ষ্টল গুলো পরিদর্শন করেন। এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ মেলার মূল উদ্দেশ্য কৃষকদেরকে আধুনিক প্রযুক্তি, কলা কৌশল ও তথ্য জানানো এবং কৃষি ক্ষেত্রে  নতুন মাত্রা যোগ করে কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ ও অভিযোজিত কলা কৌশল প্রয়োগ করতে সক্ষম করা। এবারের এ মেলায় ২০ টি ষ্টল স্থান পেয়েছে। মেলায় স্টল দিয়ে অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো হল, গবেষনা প্রতিষ্ঠান ব্রি, কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, সিনজেনটা, এসিআই কোং, পাথওয়েজ প্রকল্পের কৃষক মাঠ স্কুল, ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র, সীড কোংসহ অন্যান্যরা। মেলায় কৃষকদের জন্য তাদের প্রযুক্তি তথ্য উপস্থাপন সহ পণ্য প্রদর্শন করা হয় এবং বিক্রয় করা হয়। উক্ত মেলায় কমপক্ষে দুই শতাধিক কৃষকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার ১৯৩ সদস্যের সাধারণ অধিবেশনের ভোটাভুটিতে রাশিয়াকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।শুক্রবার ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার কাউন্সিলে ১৪ দেশকে নির্বাচিত করা হয়। ১১২ ভোট পেয়ে হাঙ্গেরি ও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যায় রাশিয়া।সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাঁড়াশি অভিযানে সমর্থন দেয়ায় রাশিয়াকে যুদ্ধাপরাধে দায়ী করা হতে পারে। শুক্রবারের ভোটে ৮৭টি মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার পরিষদে রাশিয়ার সদস্যপদের বিরোধিতা করে।বিষয়টি জানান যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাতিসংঘে নিযুক্ত উপ-পরিচালক অক্ষয়া কুমার। তিনি বলেন, ‘আলেপ্পোতে যে নৃশংসতা চলছে, তা আজ (শুক্রবার) ভোট দেওয়া লোকজনের মনে ছিল না, এমনটা কল্পনা করা কঠিন। এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক।’যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি অকার্যকর হওয়ার পর থেকে সিরিয়ার আলেপ্পোর পরিস্থিতি অবনতির দিকে যায়। প্রদেশটিতে রাশিয়া-সমর্থিত বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী বিদ্রোহীদের দমনে অভিযান চালাচ্ছে। এ লড়াইয়ে আটকা পড়েছে সেখানকার দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

image-5410 ডেস্ক রিপোর্ট:  টাইগারদের ছুঁড়ে দেওয়া ২৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায়। সাকিব-মিরাজ-তামিমদের জয়টা ১০৮ রানের। ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজটি ১-১ এ সমতায় থাকে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো ইংলিশদের হারালো টাইগাররা।

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার আগে সংগ্রহ করে ২৯৬ রান, তাতে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ২৭২ রান। ২-০ তে সিরিজ জিততে হলে ইংল্যান্ডকে ঢাকা টেস্ট জিততে হতো রেকর্ড গড়ে। এর আগে ২০১০ সালে ইংলিশরা সবশেষ ২০৯ রান চেজ করে জয় পেয়েছিল, সেটিও আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকার মাটিতে। এর বেশি রান চেজ করে কখনোই জিততে পারেনি ইংলিশরা। এবার টাইগাররা ছুঁড়ে দেয় ২৭৩ রান। তাতে, ১০০ রানের ওপেনিং জুটি গড়লেও ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে তোলা ২২০ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সফরকারী ইংল্যান্ড ২৪৪ রান তুলে অলআউট হয়। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সফরকারীদের থেকে ২৪ রানে পিছিয়ে থেকে টাইগারদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করেন গত ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকরা ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫২ রান।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে তামিমের বিদায়ে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ৪৭ বলে ৪০ রান করতে তামিম সাতটি বাউন্ডারি হাঁকান। জাফর আনসারির বলে ইংলিশ দলপতি অ্যালিস্টার কুকের হাতে ধরা পড়েন তামিম। এটি ছিল আনসারির অভিষেক উইকেট। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ৭৭ বলে ৬৫ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস।

পরের ওভারে বিদায় নেন মুমিনুল হক। বেন স্টোকসের লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে দাঁড়ানো কুকের তালুবন্দি হন ১ রান করা মুমিনুল। দলীয় ৬৬ রানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এরপর জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং ইমরুল। দিন শেষে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক হাঁকিয়ে ইমরুল কায়েস ৫৯ রানে (৮১ বল) অপরাজিত ছিলেন। আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম অর্ধশতক তুলতে গিয়ে কিছুটা বোকামির পরিচয় দেন। দিনের একেবারে শেষ বলে জাফর আনসারিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড হন। ৪৭ রানে বিদায় নিতে হয় রিয়াদকে। তার ৫৭ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চারের মার। রিয়াদ-ইমরুল মিলে স্কোরবোর্ডে ৮৬ রান যোগ করেন।

তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে আগের দিন ৫৯ রানে অপরাজিত থাকা ইমরুল কায়েসের ব্যাটে টাইগারদের লিড বেড়েই চলছিল। তবে, ইনিংসের ৪৬তম ওভারে মঈন আলীর বল সুইপ করতে গিয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন টাইগার ওপেনার। বিদায় নেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান। ১২০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ইমরুল তার ইনিংসটি সাজান। দলীয় ২০০ রানের মাথায় বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায়। সাজঘরে ফেরার আগে সাকিবকে সঙ্গী করে স্কোরবোর্ডে আরও ৪৮ রান যোগ করেন ইমরুল।

এরপর জুটি গড়েন সাকিব-মুশফিক। তৃতীয় দিন ব্যক্তিগত ২৩ রানে বেন ডাকেট ক্যাচ মিস করলে জীবন পান সাকিব। ডিপ মিডউইকেটে বেন ডাকেটের ব্যর্থতার মাঝে ৬ রানে থাকা মুশফিকের কঠিন একটি ক্যাচ ছেড়ে দেন স্টিভেন ফিন। তবে, ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হন সাকিব। ইনিংসের ৫৫তম ওভারে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন ৮১ বলে ছয়টি চারে ইনিংস সাজানো সাকিব। বিদায়ের আগে মুশফিকের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে আরও ৩৮ রান যোগ করেন তিনি। স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না হতেই সাকিবের পথ ধরেন ৯ রান করা মুশফিক। বেন স্টোকসের করা বলে অ্যালিস্টার কুকের তালুবন্দি হন টাইগার দলপতি।

বাংলাদেশের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন সাব্বির রহমান। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটে ছিলেন সাব্বির রহমান-শুভাগত হোম। ২৭ বলে ৩০ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৭ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ১৫ রান করা সাব্বির ইনিংসের ৬১তম ওভারে লাঞ্চের ঠিক আগে আদিল রশিদের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন। দলীয় ২৬৮ রানের মাথায় স্বাগতিকদের সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে।

তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে (লাঞ্চ বিরতি) বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২৬৮/৭। দিনের প্রথম সেশনে ২৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ ১১৬ রান তোলে। তাতে বিদায় নিতে হয় ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানকে।

লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই বিদায় নেন ৫ রান করা তাইজুল ইসলাম। বেন স্টোকসের করা বলে উইকেটের পেছনে বেয়ারস্টোর গ্লাভসবন্দি হন তিনি। দলীয় ২৭৩ রানের মাথায় বাংলাদেশ অষ্টম উইকেট হারায়। ব্যক্তিগত ২ রান করে ফেরেন মিরাজ। আগের তিন ইনিংসে এই অলরাউন্ডারের রান ছিল প্রতিটিতে ১ করে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন ৭ রান করা রাব্বি। আদিল রশিদকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে রাব্বির বিদায়ে ২৯৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। আর ২৮ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন শুভাগত হোম।

ইংলিশদের হয়ে চারটি উইকেট নেন আদিল রশিদ। বেন স্টোকস তিনটি উইকেট নেন, দুটি উইকেট নেন জাফর আনসারি। বাকি একটি উইকেট পান মঈন আলী।

২৭৩ রানের টার্গেটে নামে ইংল্যান্ড। চা-বিরতির পর তৃতীয় সেশনের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। উইকেটে থিতু হওয়া ওপেনার বেন ডাকেটকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান ডানহাতি স্পিনার মিরাজ। ৬৪ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৬ রান করেন ডাকেট। পরের ওভারেই জো রুটকে (১) এলবির ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ১০০ রানে প্রথম উইকেটের পতন হওয়ার পর দলীয় ১০৫ রানের মাথায় ইংলিশদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে।

দলীয় ১২৪ রানের মাথায় মেহেদির দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে বোকাবনে যান গ্যারি ব্যালেন্স। তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। একই ওভারে মিরাজ ফিরিয়ে দেন নতুন ব্যাটসম্যান মঈন আলীকে। এলবির ফাঁদে পড়ার আগে মঈনের ব্যাট থেকে কোনো রান আসেনি। দলীয় ১২৪ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের। পরের ওভারে শুভাগত হোমের বলে এলবির ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা ছিল কুকের। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাতে পরিবর্তন হয়নি।

মিরাজের চতুর্থ শিকারে ফেরেন অ্যালিস্টার কুক। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে মিরাজের বলে শর্টে দাঁড়ানো মুমিনুলের তালুবন্দি হন ইংলিশ দলপতি। বিদায়ের আগে ১১৭ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫৯ রান করেন কুক। দলীয় ১২৭ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

এরপর নিজের পঞ্চম আর দলের হয়ে ষষ্ঠ উইকেটটিও তুলে নেন মিরাজ। ইনিংসের ৩৮তম ওভারে বেয়ারস্টোকে (৩) শুভাগত হোমের হাতে ধরা দিতে বাধ্য করেন টাইগার এই স্পিনার। দলীয় ১৩৯ রানের মাথায় ইংলিশদের ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। এরপর ৪৩তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসে সাকিব ফিরিয়ে দেন বেন স্টোকসকে। সাকিবের বলে সরাসরি বোল্ড হন ২৫ রান করা স্টোকস। একই ওভারে সাকিব ফিরিয়ে দেন আদিল রশিদকে। এলবির ফাঁদে পড়ে রশিদ ফেরেন শূন্য রানে। তাতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগে সাকিবের। এক বল পরেই সাকিব ফেরান জাফর আনসারিকে। এক ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ওভার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাকিব।

দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় ইংলিশদের শেষ ব্যাটসম্যান স্টিভেন ফিনকে ফেরান মিরাজ। টাইগারদের হয়ে মিরাজ ৬টি, সাকিব ৪টি উইকেট দখল করেন।

এর আগে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের প্রথম সেশনে একক আধিপত্য দেখায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ক্রমেই যেন উইকেটের আচরণ বদলায়! দলীয় ১ রানে ইমরুল কায়েসকে (১) হারালেও মুমিনুল হককে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে শক্ত ভিত গড়ে দেন সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল।

প্রথম ইনিংসে তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২২০ রানে। শুরুটা বাঘের মতো হলেও মিডঅর্ডারের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি। চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট যেন ফিরে আসে মিরপুরে। বল মন্থর হয়ে ব্যাটে আসার সঙ্গে টার্নও বাড়তে থাকে। এর পুরো সুবিধাই কাজে লাগায় বোলাররা। শেষ ৪৯ রানে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ ৩০ রানে আট উইকেট। ভাবা যায়! রীতিমতো ধসই নামের টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপে। ব্যাটিংয়ে হতাশার দিনে উজ্জ্বল ছিলেন তামিম ও মুমিনুল। অন্যদিকে, ইংলিশদের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট দখল করেন অফস্পিন অলরাউন্ডার মঈন আলী।

ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম (১০৪)। ৪২তম ওভারে মঈনের বলে এলবিডব্লুর শিকার হন দেশসেরা এ ওপেনার। মঈনের বলেই বোল্ড হয়ে ৬৬ রান করে আউট হন মুমিনুল। আর কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। বাজে শট খেলে একে একে সাজঘরে ফেরেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩, সাকিব অাল হাসান ১০, অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৪, সাব্বির রহমান ০, শুভাগত হোম ৬, কামরুল ইসলাম রাব্বি ০ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়ে ইংলিশরা। দলীয় ১৪৪ রানেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। সেখান থেকে আদিল রশিদ এবং ক্রিস ওকস দলকে টেনে তোলার পথে নবম উইকেট জুটিতে ৯৯ রানের পার্টনারশিপ করেন। ক্রিস ওকস ৪৬ রানে বিদায় নিলেও আদিল রশিদ ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। কুক ১৪, ডাকেট ৭, জো রুট ৫৬, ব্যালান্স ৯, মঈন আলী ১০, বেন স্টোকস ০, বেয়ারস্টো ২৪, জাফর আনসারি ১৩ রান করেন।

অভিষেক টেস্টের মতোই বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মিরাজ। ২৮ ওভারে ৮২ রান খরচায় তুলে নেন ৬টি উইকেট। তিনটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। আর একটি উইকেট দখল করেন সাকিব আল হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04065-copy-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় উপজেলা পর্যায়ে দলিত, হরিজন ও হিজড়া ব্যক্তিদের ভাতার বই ও উপ-বৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে সদর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে চেক বিতরণ করেন সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন,‘ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কোন অপশক্তি এ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা বাঁধাগ্রস্থ করতে পারবেনা। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ব আজ হতবাক হচ্ছে কিভাবে একটি গরীব দেশ এত দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে এটা তারই একটি অংশ’। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ। সদর উপজেলার দলিত, হরিজন ও বেদে জনগোষ্ঠীর জন্য ৪০০ টাকা হারে ৩৫ জনকে বিশেষ ভাতা, দলিত, হরিজন ও বেদে জনগোষ্ঠীর জন্য ৪টি স্থরে ৬১ জন শিক্ষার্থীকে উপ-বৃত্তি, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ভাতা দেওয়া হয় ১৩ জনকে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাথমিক স্থরে উপবৃত্তি দেওয়া হয় ১ জনকে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

akm-anisur-rahmanনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন ২০১৬ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ প্রথম সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২২টি পদে এবং ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদ একটি সহ-সভাপতিসহ ৫টি পদে জয় লাভ করেছে।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে ভোট গ্রহণ শেষে রাত ৯টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সহ-সভাপতি পদে সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু (৬২), মজিবর রহমান (৬০) ও কবিরউদ্দীন আহমেদ (৫১) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অপর সহ-সভাপতি পদে ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খান (৫৪) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্রার্থী একেএম আনিছুর রহমান ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দিন পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের মাহমুদ হাসান মুক্তি ৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু পেয়েছেন ৪৭ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক পদে ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের তৈয়ব হাসান বাবু (৫৩) ও সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদের আব্দুল কাদের (৫২) বিজয়ী হয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদের শাহ আলম হাসান সানু ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী শফিউল আযম পেয়েছেন ৪৯ ভোট।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদের আ ম আখতারুজ্জামান মুকুল (৬৪), ইকবাল কবির খান বাপ্পী (৫৯), ইদ্রিস আলী (৫৭), কবিরুজ্জামান রুবেল (৫৩), কাজী কামরুজ্জামান (৫২), মীর তাজুল ইসলাম রিপন (৫৫), মীর্জা মনিরুজ্জামান কাকন (৬১), আব্দুল মান্নান (৫৯), রফিকুর রহমান লাল্টু (৫২), রুহুল আমিন (৫৪), হাফিজুর রহমান খান রিটু (৫৪), সৈয়দ হায়দার আলী তোতা (৫৪), সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি (৫২), স ম সেলিম রেজা (৫৭), ফারহা দিবা খান সাথী (৬৫) ও কাজী সেতারা জামান (৫৪) এবং ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স (৫৩) ও আলতাফ হোসেন (৫৫) বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে ১০৩জন ভোটারের মধ্যে ১০১জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যেখানে ২৭টি পদের বিপরীতে দু’টি প্যানেলের ৫৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা প্রশাসক পদাধিকারবলে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2035435206_1477739923স্পোর্টস ডেস্ক: দিনের শেষ বলটিতে মাহমুদুল্লাহ আউট না হলে দিনটা বাংলাদেশের হয়েই থাকতো। শেষ বলে মাহমুদুল্লার আউটের মধ্য দিয়ে ১২৮ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তুলেছে টাইগাররা।

ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসের পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল।

তবে দূর্দান্ত সূচনার পর অভিষিক্ত ইংলিশ বোলার জাফর আনসারির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তামিমকে(৪০)। এরপর দলের রানের সঙ্গে মাত্র ১ রান যুক্ত হওয়ার পর প্যাভলিয়নের পথ ধরেন গত ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং উপহার দেওয়ার মুমিনুল হক(১)।

দলীয় ৬৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে শেষ বিকেলের আলোতে দলকে সেই চাপ থেকে মুক্ত করেন আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। দারুণ বোঝাপড়ায় তারা দলকে নির্ভরযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

তবে দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে বাংলাদেশকে আবারও হতাশায় ডুবালেন মাহমুদউল্লাহ। জাফর আনসারীর ওভারের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ বোল্ড হওয়ায় ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর ৮৬ রানের জুটিতে ছেদ পড়ে। সেই সঙ্গে শেষ হয় দিনের খেলাও।

ইমরুল কায়েস ৫৯ রান নিয়ে রোববার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৪৪ রানে অলআউট হয় সফরকারী ইংল্যান্ড। এতে ২৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ।

১৪৪ রানে ইংলিশদের ৮ উইকেট তুলে নেয়ার পর বাংলাদেশের লিড নেয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল।

কিন্তু সে সম্ভাবনায় ঘি ঢেলে দেন লেজের সারির ব্যাটসম্যান ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। নবম উইকেটে তারা ৯৯ রান তুলে ইংল্যান্ডকে দারুণভাবে খেলায় ফেরান।

এ জুটি ভাঙার এক রান বাদেই সফরকারীরা ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায়। বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সফল মেহেদী হাসান মিরাজ।

চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও তিনি ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন ৮২ রান খরচায়। এছাড়া তাইজুল ইসলাম ৩টি ও সাকিব আল হাসান নিয়েছেন একটি উইকেট।

তামিম ইকবালের শতক এবং মুমিনুলের অর্ধশতকের পরেও শুক্রবার প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ২২০ রানে গুটিয়ে তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে।

অবশ্য শেষ বিকালে ইংল্যান্ড ইনিংসে ধ্বংসলীলার আভাস দিয়ে রাখেন টাইগার বোলাররা।

শনিবার শুরুতেই তা বাস্তবায়ন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। মিরপুরে ঢাকা টেস্টের সকালটা নিজেদের করে নেন দু’জন।

৩ উইকেটে দলের ৫০ রান নিয়ে শুরু করেন জো রুট ও মঈন আলী। দলীয় ৬৪ রানে মঈন আলীকে (১০) ক্লিন বোল্ড করে ফেরান মিরাজ। এরপর দলীয় ৬৯ রানে বেন স্টোকসকে (০) মুমিনুলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাইজুল।

সেখান থেকে জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো দলের হাল ধরেন। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, এই জুটি উইকেটে থিঁতু হতে চলেছে। কিন্তু ৪৫ রানের এই জুটি আবারও ভাঙেন মিরাজ তার ঘূর্ণিতে।

দলীয় ১১৪ রানে বেয়ারস্টোকে এলবিডব্লিউ করে নিজের চতুর্থ শিকার তুলে নেন তিনি। আর দলীয় ১৪০ রানে অভিষিক্ত জাফর আনসারিকে (১৩) দ্বিতীয় স্লিপে শুভাগত হোমের তালুবন্দি করে মিরাজ পঞ্চম শিকার পূর্ণ করেন।

আর প্রান্ত আগলে খেলা জো রুটকে দলীয় ১৪৪ রানে সাজঘরে পাঠান তাইজুল ইসলাম। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তিনি করেন ৫৬ রান।

এরপর লেজের সারির ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ রীতিমত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৯৯ রানের এ জুটির কাছে টাইগার বোলারদের খুবই অসহায় মনে হয়েছে।

কিন্তু নতুন বল নিয়ে সেই মিরাজই নিজের ষষ্ঠ শিকার তুলে প্রতিরোধ গুড়িয়ে দেন। তার বলে লেগ স্লিপে শুভাগত হোমের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ওকস করেন ৪৬ রান। এক রান বাদেই তাইজুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টিফেন ফিন। ২৪ রানের লিড পেয়ে ইংল্যান্ড থামে ২৪৪-এ। অপরপান্তে আদিল রশিদ ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

২৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস ঝড়ো শুরু করেন। তামিম ৪৭ বলে ৪০ রান করে আনসারীর বলে আউট হন। ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান তোলেন তারা। তামিমের পর দ্রুতই আউট হন মুমিনুল হক। তিনি মাত্র ১ রান করে বেন স্টোকসের বলে আউট হন।

তবে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দিনের শেষ ওভারে এসে জাফর আনসারীর শিকার হন রিয়াদ। তিনি ৪৭ রান করেন।

শুক্রবার সিরিজের শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ভালো শুরু করেও ২২০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৪৯ রানে শেষ ৯ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest