সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

photo-1481718170দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেড়েই চলেছে যুদ্ধবিগ্রহ ও সহিংসতা। যুদ্ধের বাজারে নিজেদের ভার বজিয়ে রাখতে পাল্লা দিয়ে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। প্রতিরক্ষা খাতে খরচে কোন কোন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে আইএইচএস জেন প্রকাশ করেছে বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেটের এক প্রতিবেদন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর সারা বিশ্বে প্রতিরক্ষা খরচ বেড়েছে। ২০১৬ সালে প্রতিরক্ষা কাজে খরচ হয়েছে ১ দশমিক ৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এই খরচের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৫ ট্রিলিয়ন ডলার। একনজরে দেখে নেওয়া যাক মহাদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা খরচের পরিমাণ।

এশিয়া

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষা খরচে এগিয়ে রয়েছে চীন। ২০১০ সালে চীনের প্রতিরক্ষা খরচ ছিল ১২৩ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা খরচের চারগুণ। এমনকি পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মোট প্রতিরক্ষা খরচের থেকেও বেশি। বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২০ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩৩ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা ব্যয় সৌদি আরব ও রাশিয়াকে পেছনে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। জরিপ অনুযায়ী ২০১৮ সাল নাগাদ ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যয় যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ইউরোপ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যয় এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৯ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্রেক্সিট ও বিভিন্ন চলমান আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা আলোচনায় আনলে এই সামরিক ব্যয় ভবিষ্যতে কতটুকু বাড়বে তা নিতে শঙ্কিত বিশ্লেষকরা। এদিকে সামরিক ব্যয় কমিয়ে এনেছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। এ বছর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ১৯৯০ সালের পর থেকেই প্রতিরক্ষা খাতে এত কম বাজেট আনল রাশিয়া।

আমেরিকা

বরাবরের মতো সারা বিশ্বের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর তাদের মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৬২২ বিলিয়ন ডলার, যা কিনা পুরো বিশ্বের মোট প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ৪০ শতাংশ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন চেয়েছিল এই খরচ ১ দশমিক ১ শতাংশ কমিয়ে আনতে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর এই খরচ আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1481733531‘ওরা আমাদের ধর্ষণ করত। যতক্ষণ না আমরা অজ্ঞান না হয়ে পড়তাম, ততক্ষণ পর্যন্ত চলত এসব কাজ।’ ইরাকের উত্তরাঞ্চলের দুই নারী লামিয়া আজি বাশার ও নাদিয়া মুরাদ এভাবেই নিজেদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানান।

২০১৪ সালের আগস্টে লামিয়া ও নাদিয়াকে ইরাকের সিনজার এলাকা থেকে অপহরণ করে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যরা। এর পর থেকে উভয়ে ছিল আইএসের যৌনদাসী। অপহরণের তিন মাস পর নাদিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। অন্যদিকে চারবার চেষ্টার পর গত মার্চে আইএসের কবল থেকে পালাতে সক্ষম হয় লামিয়া।

লামিয়া ও নাদিয়াকে সম্মানে ভূষিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সংস্থার পক্ষ থেকে স্ট্রাসবুর্গে মানবাধিকার পুরস্কার ‘শাখারভ’ তুলে দেওয়া হয়। মেইল অনলাইন জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন লামিয়া ও নাদিয়া। লামিয়ার বয়স এখন ১৮ ও নাদিয়ার বয়স ২৩।

মেইল অনলাইনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছে আইএস। এর মধ্যে ওই দুজন প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছেন।

লামিয়া মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। আইএসের যোদ্ধারা জোর করে তাঁকে মাইন বিস্ফোরণের কাজে পাঠায়। আহত হওয়ার পর থেকে লামিয়া এক চোখে দেখতে পান না। লামিয়ার সঙ্গে ছিল আট বছর বয়সী আলমাস ও ২০ বছর বয়সী ক্যাথেরিন। উভয়ই মাইন বিস্ফোরণে মারা যায়।

লামিয়া বলেন, ‘আমি চলে আসতে পেরেছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ। আমার দুই চোখ চলে গেলেও সমস্যা নেই। কারণ আমি ওদের থেকে পালিয়ে আসতে পেরেছি।’

নাদিয়া জানান, দিনের বিভিন্ন সময়ে অগণিত পুরুষ তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ নারী ও মেয়েদের ধ্বংস করে দেয়। একই সঙ্গে নিশ্চিত করে দেয়, ওই মেয়ে আর কখনোই স্বাভাবিক হতে পারবে না। আইএস ইয়াজিদি নারীদের কেবল পাচার করার মাংসে পরিণত করেছে।’

নাদিয়া ও লামিয়া বিষয়টিকে যুদ্ধাপরাধ বলে এর বিচার চেয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photos-1নিজস্ব প্রতিবেদক: টাকার অভাবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ মেয়েদের ফুটবলে ওয়াকওভার দিয়ে ফিরে এসেছেন সাতক্ষীরা দল। আর এ জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান ও টিম লিডার আকবর আলী। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সাতক্ষীরা দলের। কিন্তু তার আগেই সেমিফাইনালে ওয়াকওভার দিয়ে ফিরে আসার বিষয়টি সাতক্ষীরার ক্রীড়ামোদীদের রীতিমত হতাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ঠরা।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যসোসিয়েশন (ডিএফএ)’র সভাপতির নির্দেশে অনূর্ধ্ব-১৪ মেয়েদের ফুটবলে সেমিফাইনালে যাতে না খেলতে হয় সে জন্য দলটি ইচ্ছে করেই গ্রুপ পর্বে হেরে গিয়েছিল খাগড়াছড়ি দলের কাছে। তারপরও তারা সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু খরচের টাকা না থাকার অজুহাতে সাতক্ষীরায় ফিরে আসে।
আর এ ফিরে আসা নিয়ে কোচ ও ডিএফএ কর্মকর্তা সম্পূর্ণ ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। ডিএফএ কর্মকর্তারা বলছেন, কোচ আকবর আলী কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের জিম্মি করে বিভিন্ন সময় নানা অনিয়ম করে আসছেন। তারা উল্টো অভিযোগ করে বলছেন, আকবর আলী অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিয়ে খাগড়াছড়ির নিকট সাতক্ষীরাকে পরাজিত করিয়েছেন। সাতক্ষীরা জেলা মেয়েদের অনূর্ধ-১৪ ফুটবল দলের কোচ হয়েও তিনি গত ২৭ নভেম্বর সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্বের খেলায় পটুয়াখালী জেলার নামে নিজের একাডেমির(সাতক্ষীরার) মেয়েদের সাতক্ষীরার বিপক্ষে মাঠে নামান এবং পটুয়াখালীর পক্ষের অংশগ্রহণ ফি বাবদ বাবদ ১০,০০০টাকা গ্রহণ করেন। প্রকৃতপক্ষে ওইদিন পটুয়াখালী দল সাতক্ষীরাতেই আসেনি! এছাড়াও সাতক্ষীরা জেলা দলের টিম ম্যানেজার পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী হলেও ঢাকায় যাওয়ার সময় তিনি নিজের স্ত্রীকে টিমের সাথে ম্যানেজার সাজিয়ে নিয়ে যান। এছাড়াও তিনি নিয়মিত শিয়াল-কুমিরের গল্পের মত তার তত্বাবধানে থাকা কিশোরীদের বিভিন্ন জেলায় ইচ্ছে খুশি ক্ষ্যাপ খেলতে পাঠান। এমনকি কোন খেলায় কেউ ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হিসেবে যে প্রাইজমানি পায় তাও তিনি নিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের কোন শেষ নেই।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের কোচ আকবর আলী জানান, তার প্রতিষ্ঠিত শহরের চালতে বাজার সংলগ্ন জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৩ জন নারী ফুটবলার বর্তমানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ সহ বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি তাদের ভরণপোষণসহ তার বাড়িতে থাকার খাওয়ার ব্যবস্থা করে তাদের রেখে দিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠান থেকে সাবিনা, সুরাইয়া, রওশন ও মাছুরা জাতীয় ফুটবলে, পাখি ও দোলা জাতীয় কাবাডিতে, রিক্তা, মুক্তা, আরিফা ও সালমা খোখো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। শুধু তাই নয় ১০০ মিটার স্প্রিট এ বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী খেতাব প্রাপ্ত শিরিন আকতারও তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আবার তার প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে অনেক নারী বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিও করছেন।
তিনি আরো দাবি করেন, জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্টের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিল সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ)। এর মধ্যে ২৫ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি বাবদ দিয়েছিল ফুটবল ফেডারেশন (ঢাকা) থেকে। বাকি ১৫ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ৫ হাজার টাকা দেন সাতক্ষীরা জেলা ডিএফএর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খাঁন। পরে বাকি টাকা চাইলে তিনি টাকা ম্যানেজ করা যাচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এবং তাদের খারাপ খেলে হেরে বাড়ি ফিরে আসার পরামর্শ দেন। এতে মনের কষ্টে কাঁদতে কাঁদতে ১০ ডিসেম্বর ফিরে আসেন কোচ আকবর আলীসহ তার নারী ফুটবলাররা। আর এ কারণে ১২ তারিখের খেলায় সাতক্ষীরার বিপক্ষে ওয়াকওভার পায় ময়মনসিংহ।
সামান্য ১০ হাজার টাকার জন্যই যদি জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ মেয়েদের ফুটবলে সাতক্ষীরা দল অংশগ্রহণ করতে না পেরে থাকে তবে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরার ক্রীড়ামোদীরা।
নারী ফুটবলার ফারজানা সুলতানা, সারাবান জহুরা, তামান্না সুলতানা ও পারভিন সুলতানা জানান, আমরা এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হবো এই মনোবল নিয়েই আমরা খেলা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের স্যার (কোচার আকবর আলী) আমাদের জানান, আমার কাছে আর কোন খরচের টাকা নাই তাই বাধ্য হয়ে আমাদের সেমিফাইনালে অংশগ্রহণ না করেই চলে যেতে হবে। শুধু মাত্র খরচের টাকার অভাবে আমাদের বাধ্য হয়ে মনের কষ্টে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসতে হয়েছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আরিফ হাসান প্রিন্স জানান, সামান্য টাকার জন্য আমাদের নারী ফুটবলাররা সেমিফাইনালে না খেলে চলে আসবেন এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরা জেলা ডিএফএর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খাঁন তার চেয়ার ঠিক রাখার জন্য একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি করেই চলেছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা ডিএফএর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খাঁন তার বিরদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, টিম লিডার আকবর আলী আমাদেরকে জিম্মি করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি অতিরিক্ত টাকা দাবি করায় আমরা তা দিতে না পারায় তিনি টিম নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরে এসেছেন।
তবে প্রশ্ন উঠেছে কোচ ইচ্ছে করেও যদি জেলার ক্রীড়াঙ্গনের এই ক্ষতি করেই থাকেন তবুও অভিভাবক হিসেবে ডিএফএ কেন জানল না যে জেলা টিম সেমিফাইনাল না খেলেই ফেরত এসেছে। খেলোয়াড় বা টিমের সাথে ডিএফর এই দূরত্ব তৈরি হলো কেন?
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মহিউদ্দীন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। টাকার অভাবে এভাবে ঢাকা থেকে না খেলে ফিরে আসার আগে আমাকে জানানো উচিত ছিল। এটি খতিয়ে দেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ মনে করেন, মহিলা ফুটবলের এই বিষয়টি অনেক কিছুকে সামনে নিয়ে এসেছে। যদি জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন টাকার প্রশ্নে পিছিয়ে না এসে থাকে তাহলে আকবর আলীর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ। অন্যদিকে যদি ডিএফএ টাকা দিতে অস্বীকার করায় সাতক্ষীরা জেলা দলকে ফেরত আসতে হয়ে থাকে তাহলে ডিএফএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। আর যদি কোচ এবং কর্মকর্তা উভয় পক্ষই দোষী হয়Ñ তাহলে উভয়েরই সাজা হওয়া উচিৎ। একটি শক্তিশালী তদন্ত টিম গঠন করা তাই আবশ্যক। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসকের কাছে এমনিটই প্রত্যাশা করেন সাতক্ষীরাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-photto-14নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আনোয়ারা খাতুন একজন দিনমজুর। গত শুক্রবার তিনি পার্শ্ববর্তী এক ভূমি মালিকের জমিতে উচ্ছে তুলে দুপুর একটার দিকে বাড়িতে আসেন। বসতঘরের দরজা খুলে মেয়ে আফরোজাকে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলতে দেখেন। পরে আফরোজা মারা গেছে মর্মে নিশ্চিত হন আনোয়ারা। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে সারা সোনাবাড়িয়াতে ঘুরপাক খাচ্ছে। আত্মহত্যা করলে স্বাভাবিক নিয়মে ঘরের ভিতরের দিক থেকে দরজা লাগানোর কথা। সেক্ষেত্রে ফেসবুকের ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ি সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম ও গ্রাম পুলিশ ইসমাইলসহ কয়েকজন মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের নামে ফেঁসে যেতে পারেন। সেকারণে চেয়ারম্যানের পেটুয়া বাহিনীর লোকজন আফরোজাকে কৌশলে হত্যার পর আত্মহত্যার প্রচার দিতে লাশের গলায় ওড়না বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়াটা অসম্ভব নয়। আফরোজা মারা যাওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে আনোয়ারা খাতুনের বক্তব্য ও মৃতের ভাই ইব্রাহীম খলিলের এজাহারে উল্লেখ করা ‘মা কাজ থেকে ফিরে ঘরের দরজার ছিকল খুলে আফরোজাকে আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান’ এমন কথাগুলো এ মৃত্যুরধরণ নিয়ে সংশয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরার সোনাবাড়িয়া গ্রামে গেলে মুদি ব্যবসায়ি সালাম, চা বিক্রেতা আব্দুস সোবহান, তরিকুল ইসলাম আনোয়ারুল ইসলাম ছাড়াও মানবাধিকার কর্মী সামছুর রহমান, আবু জাহিদসহ অনেকেই এ ধরণের মন্তব্য করেন। তারা জানান, যিনি গত ইউপি নির্বাচনে নিজের জয় নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তার পৃষ্টপোষকদের এলাকাছাড়া করেছিলেন, যিনি বিরোধীপক্ষের ইউপি সদস্য হিসেবে এ ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ারুল ইসলামকে তোয়াক্কাই করেন না সেই চেয়ারম্যান মনিরুলের পক্ষে তার বাহিনী দিয়ে একটি হত্যাকা- সংগঠিত করা, তার পর দরিদ্র নির্মাণ শ্রমিক বাদিকে লোক দিয়ে তুলে নিয়ে এফিডেফিডে সাক্ষর করিয়ে নিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় তুলে জামিন পাওয়ার পথ সুগম করার চেষ্টা অসম্ভব কি? গত রোববার সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলামের পক্ষে নোটারী পাবলিক এটিএম আলী আকবরের কাছে করা এফিডেফিড সম্পর্কে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, এফিডেফিডে চেয়ারম্যান শালিস করেছেন এটা বলা হয়েছে। আবার এজাহারে পুলিশ জোর করে বা না পড়ে সাক্ষর করিয়ে নিয়েছে এমনটিও উল্লেখ নেই। অথচ চেয়ারম্যান নির্দোষ বলা হয়েছে। অর্থাৎ চেয়ারম্যানকে জামিনের সুবিধার পাশাপাশি তার হাত থেকে ও পুলিশের হাত থেকে বাদি ইব্রাহীম খলিলকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার বাদি ইব্রাহীম খলিল কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান মনিরুল নির্দোষ হলে তাকে অব্যহতি দেওয়া সম্পর্কিত যে আবেদন করেছেন তা জামিন শুনানিকালে আফরোজার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে চেয়ারম্যানের ভূমিকাকে। সেক্ষেত্রে জামিনের আগে আফরোজার মৃত্যুর মূল রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জানার সুযোগ পেতে পারে। এদিকে সাতক্ষীরার  কলারোয়ার সোনাবাড়িয়ার কিশোরী আফরোজা খাতুনের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক ঐক্য কমিটি।
বিপুল সংখ্যক নারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুলকে রক্ষার চেষ্টারও প্রতিবাদ জানান। বুধবার সকালে সোনাবাড়িয়া এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নারী কলারোয়া উপজেলা চত্বরে এসে সমবেত হন। তারা স্লোগান তোলেন ‘আফরোজা মরলো কেনো, চেয়ারম্যান জবাব চাই’।
আফরোজাকে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার ভুয়া প্রচার দিয়ে দড়ি দিয়ে গ্রাম ও বাজার ঘোরানোর পর সালিশের নামে গালিগালাজ করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তৃতা করেন জেলা মহিলা পরিষদ সভানেত্রী আনজু আরা বেগম, লিগ্যাল এইডের তৈয়বা আকতার, পাপিয়া সুলতানা, দিলরুবা খাতুন, ইসমত আরা, সুরাইয়া বেগম, নুপুর আক্তার, নারগিস আকতার প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ-শ্যামনগর আংশিক আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের সাথে কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ মতবিনিময় ও ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করেছেন। বুধবার বিকেলে এমপি’র শ্যামনগরের নিজস্ব বাসভবনে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা জানান, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, যুগ্ন সম্পাদক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, কোষাধ্যক্ষ কাজী মুজাহিদুল ইসলাম তরুন, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, নির্বাহী সদস্য শেখ আবু হাবিব, সাংবাদিক রবিউল ইসলাম, শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, শেখ আব্দুল করিম মামুন হাসান প্রমুখ। এসময় জগলুল হায়দার (এমপি) কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সদস্যবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রেসক্লাবের ভবনসহ সার্বিক উন্নয়নে  আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kaligonj-pictur-14-decএস,এম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু: কালিগঞ্জে পবিত্র মিলাদুন্নাবী (সঃ) জশনে জুলশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের স্বতঃফূর্ত অংশ গ্রহনে পবিত্র মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অতন্দ্র প্রহরীরা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার নাজিমগঞ্জ বাজারে সমাবেত হয়। বণার্ঢ্য মুরারক র‌্যালিতে অংশ গ্রহনের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন সর্বস্তরের জনতা। এসময় ধীরে ধীরে ছাত্র-শিক্ষক, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধাসহ নানা পেশার নানা বয়সের মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে উপজেলা সদরের রাস্থাঘাট। আকাশে বাতাসে প্রতিধবনিত হয় সালাত ও নাতে রাসুল পরিবেশনার সুর লহরি। এসময় নবী করীম (সাঃ) এর শানে আশেকে রাসুলদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় সালাম সালাম নবী সালাম,বালঅগাল উলা-বি কামালিহি, আসসালাতু আসসামু আলাইকা ইয়া রসুলউল্লাহ, আসসালাতু আলান নাবী…এ রকম অগণিত নাত। এতে সৃষ্ঠি হয় অন্য রকম একটা আমেজ। কলেমা খচিত ও রাসুল (সঃ) এর শানে রচিত নানা কালজয়ী কবিতার শ্লোগানে অঙ্কিত দৃষ্টিনন্দন ফেস্টুন ও সুদৃশ্য প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বণার্ঢ্য মুবারক র‌্যালিটি সু-শৃঙ্খলভাবে উপজেলা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদের মাঠে জশনে জলুশের আহবায়ক উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি ও সাবেক মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক আয়ুব আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, থানা মসজিদের পেশ ইমাম মাওঃ আশরাফুল ইসলাম আজিজি, মাও রমিজ উদ্দিন, মাওঃ নাসিরুল্লাহ, মাওঃ কুতুব উদ্দিন, ওলামায়ে কেরাম এবং নামিগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি ফিরোজ কবির কাজল, সাধারণ সম্পাদক শেখ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী ও সৃষ্টি জগতের জন্য রহমতরূপে দুনিয়ায় আগমন করেছিলেন। পাপ পঙ্কিলতায় ঘেরা বিশ্বে তার আগমন ছিল সকল মানুষের জন্য মহা আনন্দের। তিনি সামাজিত, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক  অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। মারামারি, হানাহানিতে লিপ্ত মানব জাতিকে সোনার মানুষে পরিণত করেছিলেন। শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহাদ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন গোটা মাবন সমাজকে। জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। তার জীবনের প্রতিটি দিকই সকলের অনুস্বরনীয়। ব্যাক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য শ্রেষ্ঠতম আদর্শ। আজ তাঁর আদর্শ এ সমাজে বড়ই প্রয়োজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

nazrul-islam1আশাশুনি ব্যুরো: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের পক্ষে আশাশুনিতে মতবিনিময় সভা। মঙ্গলবার  সকালে প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম তার ভাষণে বলেন, অবহেলিত জেলার বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। জেলা পরিষদকে যে কোন কাজে ঘুষের লেনদেন মুক্ত রাখতে চাই। জাতির জতক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আগামী নির্বাচনে সকলের সমর্থন কামনা করে তিনি বলেন, সব-সময় মানুষের কাছে থেকে এসেছি, আগামীতে মানুষের চাহিদা পুরণে সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি। চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি সদর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সেক্রেটারি শাহজাহান আলি, ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুর রহমান, আশাশুনি সদর চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, যুবলীগ সভাপতি আঃ মান্নান, পৌর যুবলীগ আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভির হোসাইন সুজন, সেক্রেটারী এহছান হাবিব অয়ন, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী মহিতুর রহমান এবং আশাশুনি আ’লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_783391962_1481514809সোহরাব হোসেন: জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ সাতক্ষীরা জেলাকে ১৫ ওয়ার্ডে বিভক্ত করে ১৩নং বুধহাটা-কুল্যা-কাদাকাটি-বড়দল-দরগাহপুর-খেশরা ইউনিয়নকে নিয়ে ১৩নং ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ১৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ১২ডিসেম্বর তারিখে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পরে ১৩নং ওয়ার্ডে দিনরাত ভোটদের কাছে ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরে আশাশুনির বুধহাটা, কুল্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর, বড়দল ও তালার খেশরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৩ নং ওয়ার্ডে বইতে শুরু করছে নিবার্চনী হাওয়া।
১৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য প্রার্থীর সংখ্যা ৫জন। তারা ভোর থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিসহ নানা আশ্বাস দিয়ে চলেছেন।
অন্যদিকে, সাধারণ মানুষেরও আগ্রহের কমতি নেই। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা, কুল্যা, কাদাকাটি, বড়দল, দরগাহপুর তালা উপজেলার খেশরা নিয়ে গঠিত হয়ছে ১৩ নং ওয়ার্ড। এতে ১জন পুরুষ সদস্যকে নির্বাচন করবেন ৮০ জন ভোটার ভোট দিয়ে।
তবে এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরা সবাই আ’লীগ সমার্থিত। যারা প্রার্থী আছেন তারা ভোটাদের কাছে মোবাইল ফোনে ও সারাসরি গিয়ে ভোট চাওয়াসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- বুধহাটা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি এটিএম আক্তারুজ্জামান, তার প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট। কুল্যা ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা এস এম দেলোয়ার হুসাইন তার প্রতীক টিউবওয়েল। সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের প্রতীক তালা। আ’লীগ নেতা ওমর সাকি ফেরদৌস (পলাশ) এর প্রতীক হাতি ও আ’লীগ নেতা মাহফুজুর রহমানের প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের কথা থাকলেও শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচনের গুরুত্ব কম থাকলেও সুশীল সমাজ মনে করে জেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। সবাই আ.লীগের প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা সকলকে বলছেন আপনাকে ছাড়া আর কাকে ভোট দিবো!
প্রার্থীরা প্রতিদিন ভোটারদের বাড়ি অথবা মোবাইল ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন ভোটার দৈনিক আজকের সাতক্ষীরাকে জানান, সময় অসময় প্রার্থীরা আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে ভোট চ্ওায়া থেকে আরম্ভ করে ভালমন্দ জিজ্ঞাসাসহ বিভিন্ন আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু দিপঙ্কার সরকার জানান, যোগ্য যে তাকে আমরা ভোট দেবো। কারণ জেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান, সেখানে একটি সদস্যদের অনেক মূল্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest