সর্বশেষ সংবাদ-
বাংলাভিশনের কান্ট্রি ডেস্ক ইনচার্জ এর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোকসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসাতক্ষীরায় মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালাপুশব্যাক নয়, অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে–বিজিবির ভাসমান বিওপি উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালাসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক-অপসাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কথিত দখলদার কমিটির অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদসমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে কদমতলায় পথ সভাস্বপ্নসিঁড়ির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর কমিটির গঠনদেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করার মামলায় আটক

শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নিজের বিরুদ্ধে মহা ষড়ডন্ত্র চলছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জহুরুল হক আ্প্পু। দলীয় কোন্দলের অংশ হিসেবে তাকে রাজনীতির মাঠ থেকে দুরে সরাতে আ’লীগ দলীয় সাবেক এমপি জগলুল হায়দারের সহযোগী আব্দুর রহমান ও মোকছেদকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রের জাল বুনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। ১৯ (সেপ্টেম্বর)বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক আপ্পু।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন দাবার গুটি হিসেবে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলামকে ব্যবহার করছেন স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ। চক্রান্তের অংশ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের একটি ‘ভুয়া’ অভিযোগের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা। ভাতিজা হাফিজ আল আসাদ কল্লোলকে যুবদলের সাম্বব্য নেতৃতৃ¦ থেকে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রের জালে তাকেও জড়িয়ে দেয়ার চক্রান্ত চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে জহুরুল হক আপ্পু বলেন, সম্প্রতি যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুলের লোকজন এক নারীকে দিয়ে যুবদল নেতা কল্লোসহ তার বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের মিথ্যা অভিযোগের ভিডিও ধারণ করিয়েছেন। এমনকি ভিডিও ধারণের পুর্বমুহুর্তে ক্যামেরার সামনে কি বলতে হবে- সেসব কথাও শিখিয়ে দেন ঐ যুবনেতার সহকারী মিজান। যা পাশের থাকা অপর এক ব্যক্তির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

এসবের ধারাবাহিকতায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবেস আনোয়ারুলের ফুফাত ভাই মোকছেদ সংবাদ সম্মেলন করে গত ৫ আগষ্ট তার(জহুরুল) নেতৃত্বে স্থানীয় কাতখালী ভুমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার ৪০ দিন পর এমন সংবাদ সম্মেলনে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এ বলেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের পায়তারা চলছে। সাবেক আ’লীগ দলীয় এমপি জহুরুল হায়দারের সহযোগী আব্দুর রহমান বাবুর পরামর্শে যুবদল নেতা আনোয়ারুলসহ স্থানীয় বিএনপির কয়েক নেতা এসব ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তার। নিজের বিরুদ্ধে আনীত যাবতীয় অভিযোগের সত্যতা তদন্তে উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ বিএনপি নেতা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ডিএম মফিজ, আশিকুল হাসান, যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক হাফিজ আল আসাদ কল্লোল ও নুরনবী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
আইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ হতে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক ক্যাম্পেইন সাইকেল র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালিটি উদ্বোধন করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: রিয়াজুল ইসলাম।

স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের উপস্থিতে র‌্যালিটি শুরু হয়ে প্রথমে সাতক্ষীরা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে যেয়ে ছাত্রদের মধ্যে শিশুর যৌনশোষণ বিষয়ক আলোচনা ও লিফলেট বিতরন করে পরবর্তীতে প্রধান সড়ক হয়ে সাতক্ষীরা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যেয়ে আলোচনা ও লিফলেট বিতরন শেষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সড়ক প্রদীক্ষণ করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে যেয়ে র‌্যালী শেষ হয়।

উক্ত র‌্যালিতে সাংস্কৃতিক দলের মাধ্যমে শিশু বিষয়ক বিভিন্ন শ্লোগান ও গানে গানে মুখরিত করে। র‌্যালি শেষে সমাপণী অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন শিশু সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক শিক্ষাবিদ আব্দুল হামিদ। উক্ত ক্যাম্পেইন সাইকেল র‌্যালীতে অংশ করেন বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র কর্তৃক গঠিত চেঞ্জ এজেন্ট ও শিশু দলের সদস্যসহ আইন ও সালিশ কেন্দ্র সুফাসেক প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সাতক্ষীরায় “স্টেপ আপ দি ফাইট এগেনষ্ট সেক্সচুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অব চিলড্রেন: এম্পাওয়ারিং চিলড্রেন এন্ড কমিউনিটিস্” প্রকল্পটি টেরে ডেস হোমস (টিডিএইচ), নেদারল্যান্ডস এর অর্থায়নে শিশু যৌন শোষন প্রতিরোধে শিশুদের ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিব

তালা প্রতিনিধি :
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেছেন, যারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না। বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মী সালিশ বিচার করতে পারবে না। জমি দখল, ঘের দখল, সাধারণ মানুষের উপর হয়রানি করা যাবে না। যারা বিগত দিনে আমাদের হয়রানি করেছে তাদেকে চিহ্নিত করে রাখতে হবে তবে তাদের অপদস্থ করা যাবে না।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে তালা সরকারী কলেজের হলরুমে উপজেলা বিএনপি’র উদ্দ্যেগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন তিনি।
তালা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম।

এসময় হাবিব বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ট ও নিরপেক্ষ। বিগত সরকারের মতো কারচুপির নির্বাচন আর হবে না। সে কারণে যারা জনপ্রতিনিধি হতে চান তাদের এলাকায় মানুষের কল্যাণে কাজ করেন।
তিনি বলেন, শারদীয় দূর্গাউৎসবে পূজা অর্চনায় নিয়ে ষড়যন্ত্র হতে পারে। বিএনপি’র নেতৃত্বে প্রতিতি ইউনিয়নে প্রতিটি মন্দির কমিটি করে তাদের ধর্মপালনে সবধরণের সহযোগীতা করতে হবে।

জেলা বিএনপি’র নেতা তারিকুল হাসান, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি গোলাম মোন্তফা, মোঃ জিল্লুর রহমান, মোহাব্বত হোসেন, রাশিদুল হক রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশারাফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান সহ সকল ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদক ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তরুণ সাংবাদিক মো: ইব্রাহিম খলিল।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় ঢাকা পোস্টের প্রধান কার্যালয়ে সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্রটি তুলে দেন। কর্মকালীন সময়ে ইব্রাহিম খলিলকে পত্রিকাটির নিয়ম এবং শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে নিয়োগপত্রে জানানো হয়।

জেলার তরুণ সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সময় অনলাইন নিউজ পোর্টালে যোগদানের মধ্যদিয়ে শুরু করেন সাংবাদিকতা। পরে জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদ, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালেরচিত্র, আজকের সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে সাতক্ষীরার বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় কর্মরত অবস্থায় তিনি পাঠক মহলে ব্যাপক আস্থা ও সুনাম অর্জন করেছেন।

সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল ঢাকা পোস্টের সম্পাদক ও কলাকুশলী সহ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সর্বমহলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের উপর হামলা-মামলা ও নানাবিধ হয়রানির টার্গেটে মাঠে নেমেছে একটি চিহৃিত মহল। তারা পেশাদার সাংবাদিকদের উপর রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে।

আর নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে পিছনে থেকে ইন্ধন দিচ্ছে কিছু ব্যক্তি। সংবাদকর্মীদের উপর হামলা, মামলা ও কুরুচিপূর্ণ বাক্য ব্যবহার করার বিষয়টি স্বাধীন গণমাধ্যমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বিধায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিবৃতিদাতারা হলেন রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, সহসভাপতি আহাদুজ্জামান আহাদ, শেখ সাদেকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক এসএম গোলাম ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক জামাল উদ্দীন, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান সুমন, কার্যকরী সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন,

আরাফাত আলী, সদস্য আফজাল হোসেন, মোখলেছুর রহমান মুকুল, জিএম মামুন, তরিকুল ইসলাম লাভলু, শের আলী, মাসুদ পারভেজ ক্যাপ্টেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, তাজুল হাসান সাদ, শেখ ফারুক হোসেন, মাসুদ খান, বাপ্পী চন্দ্র সরকার, লাভলু আক্তার, আব্দুস সালাম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়

আবু ছালেক : সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ এর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বাছাই প্রতিযোগিতায় আশাশুনি উপজেলার শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে ৩নং বাওচাষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি সুনাম সুখ্যাতি নিয়ে স্বগৌরবে পরিচালিত হয়ে আসছে।

উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বাওচাষ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দাশ। তিনি ২০০৫ সাল থেকে অদ্যাবধি এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে একই প্রতিষ্ঠানে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক হিসাবে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেন। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২১২ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ৯ জন শিক্ষক ও ১জন কর্মচারী নিয়ে সুচারু ভাবে বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি বিধিবিধান যথাযথ ভাবে প্রতিপালন করে মানোন্নয়ন, পরিবেশ বজায় রাখা ও শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা বাস্তবায়ন, পরিচালনা কমিটির সার্বিক সহযোগিতা মাথায় রেখে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে শিক্ষকমন্ডলী সাবলীল ভাবে দায়িত্ব পালনের ফলে বিদ্যালয়ের অভ্যান্তরিন ও মেধা যাচাই পরীক্ষার ফলাফল বরাবরই ভাল হয়ে আসছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয় থেকে ৫১ জন শিক্ষার্থী বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে।

যার মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৭ জন ও সাধারণ গ্রেডে ১৪ জন বৃত্তি পেয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সমাপণী পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সালে কেবলমাত্র একবারই শতভাগের কমে ৯৭% কৃতকার্য হয়েছিল, আর প্রতিবারই ১০০% কৃতকার্য হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৫৭ জন ছাত্রছাত্রী এ+ প্রাপ্তির অধিকারী হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ের নিয়মিত অভ্যান্তরিন পরীক্ষায় বরাবরই ফলাফল ভাল হয়ে আসছে। বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিতে যাওয়া পুরাতন ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই দেশ বিদেশে ভাল পর্যায়ে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে।পুঁথিগত বা সরকারি কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষাদানের পাশাপাশি স্ট্রা কারিকুলাম, সাধারণ জ্ঞান ও শিক্ষার্থীদের মান সম্মত করে গড়ে তুলতে অন্যান্য কার্যক্রমও বিদ্যালয়ে সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এজন্য শিক্ষার্থীরা স্কুলকে আকর্ষণের জায়গা হিসাবে মনে গ্রথিত করে সময়মত প্রতিষ্ঠানে ছুটে আসতে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকে।

বিদ্যালয়ে কাবদল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একটি বলিষ্ট গার্ড অব অনার প্রদর্শন দল আছে, যারা বিভিন্ন জাতীয় দিবসে উপজেলা পর্যায়ে অংশ গ্রহণ করে গার্ড অব অনার প্রদর্শণ করে থাকে। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে রয়েছে সুন্দর ব্যবস্থা। রয়েছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত পরিচর্চা ও পরিবেশনে মান সম্মত ব্যবস্থা। ছায়াশীতল পরিবেশে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে পাঠ গ্রহনে মনোনিবেশ ও টিফিনে সময় কাটানোর সুন্দর মুহুর্ত কাটাতে সুযোগ পায়। বিদ্যালয়টি বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান দ্বারা সুশোভিত করা। যা এলাকাবাসীসহ ভ্রমণ পিপাসুদের মনোরঞ্জন ও আকৃষ্ট করে থাকে। বিদ্যালয়ে দৃষ্টি নন্দন অভিভাবক সেড রয়েছে। যেখানে অভিভাবকরা শান্তিতে ও সুন্দর পরিবেশে সময় কাটিয়ে থাকেন। ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুন্দর ও সুসজ্জিত হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবস্থা ও সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে। ফলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে পানির তৃষ্টা নিবারণ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়না। রয়েছে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় খেলনা সামগ্রী। যার মধ্যে দোলনা, ঢেকিকল, চরকা, স্লিপার ইত্যাদি।

উপযুক্ত ও সংগত কারণে উপজেলা শিক্ষা পদক ২০২৪ বাছাই কমিটি প্রতিযোগিতা শেষে বিদ্যালয়টিকে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে নির্বাচিত করেছেন। শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে গড়ে তোলার পিছনে যারা সুনিপুন ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলেন শিক্ষকমন্ডলী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোশ কুমার দাশের নের্তৃত্বে বিদ্যালয়টি দিনে দিনে আকর্ষণীয় পরিবেশ ও সুশিক্ষা দানের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তবে তিনি আর বেশীদিন থাকবেন না। আগামী নভেম্বর মাসে তার চাকুরি জীবনের পরি সমাপ্তি ঘটবে। চলে যাবেন অবসরে। আমরা তার বাকী জীবনের সফলতা, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

ইতি মধ্যেই সাংবাদিক মো: আবু ছালেক সহ বিভিন্ন সময়ে স্হানিয়,আঞ্চলিক,জাতিয় পত্রিকার সাংবাদিক সহ বিভিন্ন টেলিভিশনের সাংকাদিকরা বাওচাষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করছে।বাউচাষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরাপপুর গ্রামের কৃষ্ন পদ দাশ, ও আয়না দাশের পুত্র সন্তোষ কুমার দাশ সোমবার বিকাল ৫ টার সময় স্হানিয় সাংবাদিকদের জানান বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক,কার্যকরি কমিটির সহযোগিতা নিয়েই আজ এ সফলতা, তবে খোজ নিয়ে জানা গেছে ২ সন্তানের জনক,স্ত্রী, সন্তান,সংসারের পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে সন্তোষ কুমার দাশ সরকারি বরাদ্ধের বাহিরে নিজের ব্যাক্তিগত অর্থ দিয়েও বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে আসছে,২০২৪ সালের শেষ প্রান্তে যখন অবসরে যাবেন প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দাশ তখন ভুলতে পারবে কি এলাকা বাসি,এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের,তবে বাংলাদেশের সকল শিক্ষক সন্তোষ কুমার দাশের মত কাজ করে সফলতা অর্জন করুক এটাই দাবি সর্বস্তর অভিভাবকের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব্যুরো:
গত কয়েকদিনের অতি বর্ষণের ফলে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শত শত বিঘা জমির মৎস্য ঘের, খাল, বিল ও নীচু স্থানের ঘরবাড়ি।

একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলা সদর, বড়দল, স্রীউলা, প্রতাপনগর, খাজরা, আনুলিয়া, শোভনালী, কাদাকাটি, দরগাহপুর, কুল্যা ও বুধহাটা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল বুধহাটা, নওয়াপাড়া, শ্বেতপুর, মহেশ্বরকাটি, কুল্যা ইউনিয়নের কুল্যা, গুনাকরকাটি, বাহাদুরপুর, আইতলা, মাদারবাড়ীয়া, দাদপুর, পুরোহিতপুর, আগরদাড়ী, কচুয়া, হামকুড়া এলাকা ঘুরে জানাগেছে এসব এলাকার বৃষ্টির পানি বেতনা নদীতে নিষ্কাশিক হয়ে থাকে।

গত বছর থেকে বেতনা নদীর খনন কাজ শুরু হলে নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদীর জোয়ার ভাটা বন্ধ করে দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নদীতে নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে সকল এলাকায়। বুধহাটা গ্রামের পূর্ব পাড়ায় অতিবৃষ্টির ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, পুকুর, মৎস্য ঘের ও রাস্তাঘাট। অতি বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সম্ভব না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাটি দিয়ে তৈরী ঘর বাড়ি জলমগ্ন হয়ে ধসে পড়ায় অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। একই অবস্থা কুল্যা ও বুধহাটা ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকার সাধারণ মানুষের। বুধহাটা গ্রামের ইজিবাইক চালক রমজান আলী বলেন, গত বছর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম এর অর্থায়নে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করা হলেও এবছর আর কারও সন্ধান মিলছে না। স্থানীয়রা তাদের ভিটাবাড়ি রক্ষার্থে যেকোনো ভাবেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে চায় তারা। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা মহাশশ্মান সংলগ্ন বেতনা নদীর প্রায় ৩০ ফুট বেঁড়িবাধ ভেঙে নি¤œাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের বিনেপোতা, রাজনগর, শিবনগর, এগারোআনি এবং তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের নিমতলা, রথখোলা, কাপাসডাঙ্গা ও হরিন খোলার নি¤œাঞ্চল। এছাড়া গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরার পৌর এলাকার গদাইবিল, কামালনগর, ইটাগাছা, পলাশপোল, মধুমোল্লারডাঙ্গী, রাজার বাগান, মুন্সীপাড়া, রথখোলা, কাটিয়া, সুলতানপুর, বাঁকাল, খড়িবিলা, বদ্দিপুর কলোনীসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের নি¤œাঞ্চল। বেঁড়িবাধ ভেঙে ও টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমিসহ নি¤œাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকা। বেড়িবাধ ভাঙন কবলিত এলাকায় সড়কের উপর জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে স্থানীয়দের। এদিকে, বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ধানের ক্ষেত। স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হচ্ছেন না। এদিকে, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী।
লাবসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বিশ^নাথ মন্ডল জানান, বেতনা নদীর বঁড়িবাধ ভেঙে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের বিনেপোতা, রাজনগর, শিবনগর, এগারোআনি ও তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের নিমতলা, রথখোলা, কাপাসডাঙ্গা ও হরিন খোলার নি¤œাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার আনিছুর রহমান জানান, অতিবৃষ্টিতে ভেসে গেছে ৫ হাজারের বেশি মৎস্য ঘের ও ৩ হাজারের বেশি পুকুর। ক্ষয় ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আরো জানান।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জুলফিকার আলী রিপন জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরায় গত তিন দিনে ২০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি বছরে এ জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আগামিকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে বলে তিনি আরো জানান।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বেতনা নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেঁড়িবাধের দুটি স্থানে ভেঙে গেছে। যা মেরামতের জন্য বাঁশ ও জিও ব্যাগসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ম্যানেজ করা হয়েছে আবহাওয়া অনুকুলে আসলে খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ শোয়াইব আহম্মেদ জানান, গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে সদর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে পানির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। বেতনা নদীর বেঁড়িবাধ ভেঙে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে দ্রæত সময়ের মধ্যে বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখন বলা যাচ্ছেনা। পরে এটা নিরুপন করা হবে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest