সর্বশেষ সংবাদ-
তরুণদল সাতক্ষীরা সদর থানা শাখার কমিটি অনুমোদনদ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ-রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের র‍্যালিসাতক্ষীরায় মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রির উদ্বোধনবন্ধন টেলিমিডিয়া ও শিল্পী সংসদের আয়োজনে স্মৃতি চারন ও দোয়ারমজানের পবিত্রতা রক্ষায় নগ্নতা বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে সাতক্ষীরায় মিছিলআহলে হাদীছ যুব সংঘ সাতক্ষীরার মাহে রামাযানের পবিত্রতা রক্ষায় র‌্যালিসাতক্ষীরা সদর বিআরডিবি ইউসিসিএর বার্ষিক সাধারণ সভাসঙ্গীতা মোড়ে নিউ ভ্যারাইটি স্টোরের উদ্বোধনশেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় খালাস সাবেক সাংসদ হাবিব : সাতক্ষীরায় আনন্দ মিছিলকালিগঞ্জে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহারে স্থানীয় কৃষকদের সাথে এডভোকেসি সভা

সাতক্ষীরা জেলা  ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাতক্ষীরা জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এর দেয়া এক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ২০২১ সালের ২৫ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত একপত্রে এসএম আশিকুর রহমান আশিককে সভাপতি ও মোঃ সুমন হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত সেই কমিটির অন্যরা ছিলেন, সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বি শাওন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন ও হাসানুজ্জামান শাওন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আফিস শাহাবাজ খান। এদিকে, নতুন কমিটি প্রদানে পদ প্রত্যাশীদের আগামী ১ জুল্ইা থেকে থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দফতর সেলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সড়কের দুই ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় সড়কের দুই ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে অভিযান শুরু হয়। স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে স্থানীয়রা জানিয়েছেন বড়লোকদের অবৈধ স্থাপনা রেখে গরীবের অবৈধ স্থাপনা অপসারন করা হচ্ছে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
এদিকে ইটাগাছা এলাকার খোকন বিশ^াস সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, পূর্বে কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। রাস্তার পাশে থাকা একটি স্কাভেটর মেশিনও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মেশিনটি হস্তান্তরযোগ্য হলেও কোন সুযোগ না দিয়ে ভেঙে দেওয়ার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি। এছাড়া রাস্তার ধারে বসবাসকারী গরিব মানুষ গুলো দুর্ভোগে পড়েছেন। এমনকি ঘরে থাকা খাবারগুলোও সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, এধরনের কাজ করতে নানা ধরনের অভিযোগ থাকবে। কিন্তু থেমে থাকবে না। সাতক্ষীরা শহর থেকে ভেটখালী পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার সড়কের ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এর আগে বার বার মাইকিং করে এবং নোটিশের মাধ্যমে দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা সরিয়ে না নেওয়ায় আমরা উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছি। তিনি আরো বলেন ইতোমধ্যে শহর থেকে ভেটখালী পর্যন্ত ৪ লেন সড়কের টেন্ডারও সম্পন্ন হয়েছে। সড়কের জায়গা উদ্ধারের পর বাকী কার্যক্রম শুরু হবে। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলাকে ভ‚মিহীন মুক্ত জেলা ঘোষনার প্রতিবাদে মানববন্ধন : প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরা জেলায় শত শত ভ‚মিহীন থাকারপরও জেলা প্রশাসক কর্তৃক ইচ্ছামত ভ‚মিহীন মুক্ত জেলা ঘোষনার প্রতিবাদে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা ভ‚মিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী।

বক্তব্য রাখেন, নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন, জেলা ভ‚মিহীণ সমিতির সহ-সভাপতি শেখ শওকত আলী, জি এম রেজাউল করিম, শেখ হাফিজুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম গাজী, আব্দুল কাদের পাড়, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, শামছুদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক সেলিম হোসেন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ভ‚মিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, সাতক্ষীরা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত ভ‚মিহীন অসহায় পরিবার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত উপলক্ষে আপনি সারা দেশের ভ‚মিহীন গৃহহীনদের গৃহ নির্মানের যে মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেটি বাঙালি জাতি হাজার বছর ধরে স্মরন করবে। সাতক্ষীরাতেও ইতোমধ্যে অনেক পরিবার মুজিববর্ষের গৃহ পেয়ে উপকৃত হয়েছে। তবে যাছাই-বাছাই নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। জেলার ভ‚মিহীন অফিস গুলোর কর্মকর্তা(নায়েব)দের টাকা না দিলে ঘর পায়নি এমন প্রমান রয়েছে শতটি। এসব বিষয় নিয়ে আমরা একাধিকবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ দিলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। এমনকি ভ‚মিহীনদের বাছাইয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দকে রাখার দাবি জানানো হয়েছে। যাতে করে প্রকৃত অসহায় ভ‚মিহীনরা মুজিববর্ষের ঘর পেতে পারে। কিন্তু জেলা প্রশাসক এবং ইউনওরা সেটি না করে ইচ্ছামত কাজ করেছে। এতে টাকা আদায়ে সুবিধা হয়েছে ভ‚মি অফিসের দুর্নীতিবাজ নায়েবদের তারা ঘর প্রতি ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। এমন প্রমান রয়েছে একাধিক। সাতক্ষীরা সদরের রইচপুরে ৬শ বিঘা, বাকালে ১ হাজার বিঘা, বিনেরপোতা বসুন্ধারা, দেবহাটার খলিষাখালী, নোড়ারচক, চিংড়ীখালী বৈরাগীর চক, কালিগঞ্জের বাবুরাবাদে হাজার হাজার বিঘা খাস সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার কুখরালী এলাকায় ১২ বিঘা খাস জমি রয়েছে। যে গুলো জেলার প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছে। দু:খের বিষয়গুলো এসব খাস জমিগুলো অজানা কারনে জেলা প্রশাসনের নজরে আসে না। না কি আসলেও গোপনে পকেট ভরার কারনে সেগুলো উদ্ধারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় না। এসব সম্পত্তিগুলো নামমাত্র টাকায় ইজারা দেওয়া হয় প্রভাবশালী ওইসব ভূমিদস্যুদের কাছে। আর গোপনে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে পকেট ভারী করেন সরকারি কর্মকর্তারা। অথচ আমরা অসহায় ভ‚মিহীণ পরিবারগুলো রাস্তার ধারে, নদীর ধারে এবং বস্তিতে অতিকষ্টে জীবন যাপন করে আসছি। ওই জমি ভুমিহীনরা ইজারা নিতে গেলেও তাদের দেওয়া হয় না।
তারা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ১৯৯৮ সালে সাতক্ষীরার মাটিতে ভ‚মিহীনদের নিয়ে যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। তা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পর্যন্ত প্রকৃত ভ‚মিহীনরা বঞ্চিতই থেকে যাবে। সে কারনে সাতক্ষীরার অসহায় ভ‚মিহীনদের ভাগ্য উন্নয়নে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় ইন্টারফেইস মিটিং অনুষ্ঠিত

তালা প্রতিনিধি:
রবিবার (৩০ জুন) বিকালে তালা শিল্পকলা একাডেমীতে ইন্টারফেইস মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ইয়ুথ এ্যামপাওয়ার্ড প্রকল্পের আয়োজনে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উত্তরণের সহযোগিতায়, গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন। প্রজেক্ট অফিসার আবু ইমরানের সঞ্চাালনায় মিটিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, ইসলামকাটী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু, মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এডভোকেসি,

বিসিসি এন্ড চাইল্ড প্রটেকশন কো-অর্ডিনেটর আবেদা সুলতানা, উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী আফরোজা আক্তার বানু প্রমুখ। এ সময় উত্তরণের টেকনিক্যাল অফিসার নাজমিন নাহার, মনিটরিং এ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আইরিন ষ্টিভেন্স, একাউন্টস কাম এডমিন অফিসার গোলাম কিবরিয়াসহ মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ রিয়াজ উদ্দীন, মোঃ আজহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা: দেবহাটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিম্নমানের খাবার প্রসূতি মায়ের বিভিন্ন টেস্ট, উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আবারও মাদক কারবারি ও চোরাচালানিদের দৌরাত্ম বৃদ্ধির ঘটনায় উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ব্যপক তোলপাড় হয়েছে। (৩০ জুন) রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, উপজেলার বিস্তৃর্ণ সীমান্ত এলাকা জুড়ে আবারও মাদক কারবারি ও চোরাচালানীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রোমাল ঝড়ের দিনে রাত্রে দেবহাটা সীমান্ত হতে মাদকের বড় চালান শহরে ঢুকেছে অপরদিকে গত শুক্রবার গভীর রাত্রে আলোচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বাড়িতে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা অস্ত্রের মুখে ডাকাতি। ওই বাড়িতে একবার নয় ১৯ ৯৮ সাল থেকে এমন ঘটনায় কয়েক বার ঘটে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালান ও মাদক পাচার সহ সীমান্তের যাবতীয় অপরাধ কর্মকান্ড যারা নিয়ন্ত্রণ করে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে অনেকটাই নিরব ভূমিকায় থেকে যাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।

এতে করে ক্রমশ সীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ছুটির সময়ে বখাটেদের উৎপাত বৃদ্ধি, এসকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় নেয়ার ব্যপারেও গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়।

আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ মহিলা ভাইস জিএম স্পর্শ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি আইন-শৃঙ্খলা সবার সদস্য সচিব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদ হোসেন উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা,

সমাজ সেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন কুলিয়া ইউ,পি চেয়ারম্যান আসাদুল হক পারুলিয়া ইউ,পি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু সখিপুর ইউ,পি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম নোয়াপাড়া ইউ,পি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী হাজী কামউদ্দিন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম দেবহাটা সরকারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদনমোহন পালসহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা সহ বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় জেলা পরিষদের পুকুরে মাছ চাষ: সুপেয় পানির অভাবে ৫ গ্রামের মানুষ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : “পানির অপর নাম জীবন” অথচ সেই পানি পান করাটাই এখন বিপদজনক হয়ে উঠেছে দেবহাটা উপজেলার টাউনশ্রীপুর, দাদপুর, ঘলঘলিয়া, চরশ্রীপুরসহ ৫টি গ্রামের মানুষের। টাউনশ্রীপুরে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের আওতায় পানি বিশুদ্ধকরন পুকুরে মাছ চাষ করা হচ্ছে। সম্প্রতি গত কয়েকদিন উক্ত পুকুরের মাছ মারা যাওয়ার কারনে পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আশেপাশের ৫টি গ্রামের মানুষ সুপেয় পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। আবার অনেকে না জেনে উক্ত পানি পান করার কারনে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, টাউনশ্রীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের একটি পুকুর আছে।

উক্ত এলাকাসহ আশেপাশের ৫/৬টি গ্রামে গভীর নলকূপ বসানোর কোন পানির স্তর না পাওয়া যাওয়ার কারনে ঐ পুকুর থেকে উক্ত গ্রামের মানুষেরা পানি পান করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। যেহেতু উক্ত পুকুরের পানিটা খুব ভাল তাই মানুষেরা উপায় না পেয়ে এই পুকুরটির পানিই পান করে।

পুকুরটি জেলা পরিষদের হওয়ায় সুপেয় পানির জন্য কোন ইজারা দেয়া হয়না। কিন্তু সম্প্রতি গত কয়েক বছর পুকুরটি দেখাশুনা করার জন্য পার্শ্ববর্তী টাউনশ্রীপুর উত্তরপাড়া জামে মসজিদ কমিটি দায়িত্ব নেই। কিন্তু তারা দায়িত্ব নিয়ে একজন ইজারাদারের মাধ্যমে উক্ত পুকুরে মাছ চাষ করা শুরু করে। যার কারনে পানিতে বিভিন্ন সার, মাছের খাদ্যসহ নানানরকম জিনিষ ব্যবহারের কারনে পানির বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা একাধিকবার বললেও কেউ কোন গুরুত্ব দেইনা। মানুষ উপায় না পেয়ে ঐ পানিই পান করে আসছে। গত ২দিন আগে উক্ত পুকুরে মাছ মরে যায় কিন্তু মানুষজন জানতে না পেরে সেই পানিই পান করছে।

এব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বা জনপ্রতিনিধিদের জনস্বার্থে উচিত ছিল মাইকিং বা বিভিন্নভাবে পানি নষ্ট হওয়ার বিষয়টি প্রচার করা।

জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলামকে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুকুরটি জনস্বার্থে মসজিদ কমিটিকে ইজারা ছাড়াই দেখাশুনা করার দায়িত্ব দেয়া রয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে তিনি জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুবর রহমান বাবলু বলেন, তিনি জানতে পেরে মসজিদ কমিটিকে বলে মরা মাছগুলো পুকুর থেকে উঠানো হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যে পুকুরটির পানি পান করে জীবন বাঁচাচ্ছে ৫/৬টি গ্রামের মানুষ, সেই পুকুরটি নিয়ে বানিজ্য কেন? সাধারন মানুষ, শিক্ষার্থীসহ অনেকে এবিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই সভ্যতার যুগে ও সরকারের স্মার্ট উন্নয়নে এতো অবহেলা কেন। তারা এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কেশবপুরে ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় দোকানঘর ভাংচুর

কেশবপুর প্রতিনিধি :

যশোরের কেশবপুরে এক পল্লী চিকিৎসকের ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় দোকানঘর ভাংচুর ও ভূক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত কয়েকজন দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামে। ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে বহিরাগত উপজেলার ব্রহ্মকাটি গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩০) একই গ্রামের আবু সাঈদ (২৪) ও তরিকুল ইসলামের (২৬) নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামের কাসেম আলী গাজীর ছেলে আব্দুল আজিজ ২০০২ সালে একই গ্রামের মৃত দাউদ আলী সরদারের কাছ থেকে লক্ষীনাথকাটি ৬৪ নং মৌজার সাবেক ৫৬২ দাগ ও হাল ১০২৩ দাগের ৭ শতক জমির মধ্যে ১.৫০ শতক জমি পাশ উল্লেখ করে ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর থেকে সে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছে। জমির উপরে ব্যবসার জন্য চারপাশে সিমেন্টের পিলার, বাঁশ ও কাঠ দ্বারা বেষ্ঠিত একটি দোকানঘর নির্মাণ করেন। সেই ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে গত শুক্রবার সকালে ব্রহ্মকাটি গ্রামের হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আবু সাঈদ, তরিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন বহিরাগত লোকজন রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আজিজের দোকানঘরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন দোকানঘরের সমস্ত মালামাল ভাংচুর করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। ওইসময় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করলে অস্ত্রধারীরা তাদের উপর চড়াও হন এবং আজিজের নাম ধরে অশ্লীল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আজিজ ওইদিন রাতেই বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক তাপস কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ বলেন, আমি ক্রয় সূত্রে দেড় শতক জমির মালিক। জমি ক্রয়ের পর থেকেই আমার দখলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে বহিরাগত হাফিজুর রহমান জমিটি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদান করে আসছে। তারই জের ধরে গতকাল সকালে আমি বাড়িতে না থাকার সুবাদে হাফিজুর রহমানের নেতৃত্ব বহিরাগত আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার জমি দখল নেওয়ার জন্য দোকানঘরটি ভাংচুর করে। বহিরাগত দূধর্ষদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

প্রত্যক্ষ সাক্ষী গৌরিপুর গ্রামের রেজাউল শেখ বলেন, বৃষ্টির মধ্যে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ লোক হাতে দা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে দোকানঘর ভাংচুর করে। আমি বাঁধা দিলে আমার দিকে চাপাতি নিয়ে তারা তেড়ে আসে।

এ বিষয়ে ভাংচুরকারীর প্রধান হাফিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর কাছে স্বামীর মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে তিনি জানেনা বলে সাংবাদিকের জানান। যার জন্য হাফিজুরের বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন, দোকানঘর ভাংচুর করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুভাষ ঘোষের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় নিন্দা প্রতিবাদ

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির জেলা নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দেবহাটা- উপজেলার শাখার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির তীব্র ক্ষোভ নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে বিবৃতি প্রদান করেছেন,

ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি ঘোষ সনৎ কুমার, সাধারণ সম্পাদক বিশ^নাথ ঘোষ, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এড. সোমনাথ ব্যনার্জি, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, সিদ্ধেশ^র চক্রবতী, সুধাংশু শেখর সরকার, গৌর চন্দ্র দত্ত, এড. তারক মিত্র, পৌল সাহা, এড. অনিত মুখার্জী, নয়ন কুমার সানা, এড. কুন্ডু তপন, অধ্যক্ষ শিব পদ গাইন, প্রভাষক বাসুদেব সিংহ, অসীম কুমার দাশ সোনা, বিকাশ চন্দ্র দাশ, রায় দুলাল চন্দ্র, বলাই চন্দ্র দে, প্রবীর পোদ্দার, থিউফিল গাজী, অমিত কুমার ঘোষ বাপ্পা, সুজন বিশ^াস প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest