সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেকআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জেএসডি সাতক্ষীরার শ্রদ্ধাসাতক্ষীরা পৌর তাঁতীদলের আয়োজনে ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনসাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করল মানসিক ভারসাম্যহীনসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে দিগন্ত পরিবহনের ধাক্কা: আহত ১৩সাতক্ষীরায় দৈনিক যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উদযাপনদেবহাটায় আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভসাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় শুভেচ্ছা মিছিলতাঁতীদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরের র‌্যালি এবং বেগম জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়াসাতক্ষীরায় ৩৯০ কেজি চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট: ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হয়েছে। জেলা কৃষক দলের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের নিউমার্কেট মোড়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে নিউমার্কেট মোড় থেকে বার্ণঢ্য র‍্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা রোড মোড় গিয়ে শেষ হয়।

আলোচনা সভায় জেলা কৃষক দলের আহবায়ক সালাউদ্দিন লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব তাসকিন আহমেদ চিশতি।

জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবি’র সঞ্চালনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ বন বিষয়ক এ্যাড,মাহবুল আলম শাহিন,,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলী হোসেন,কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ,যুগ্ম আহবায়ক কাজী আহসান হাবিব, যুগ্ম আহবায়ক আনারুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। দিবসটি উপলক্ষে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শুভসূচা করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত সরকার দেখতে পারেনি। বিনা ভোটে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগ সরকার রাজত্ব করেছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা সব সেক্টরে লুটপাট করেছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাজ করে যাচ্ছেন। বক্তারা আরো বলেন, এদেশে কৃষি বিপ্লব ঘটানোর জন্য তিনি খালকাটা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এই খালকাটা কর্মসূচি পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার খাল কেটে কুমির আনা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে অন্যান্য সেক্টরের মতো কৃষি সেক্টরকে ধ্বংস করার মাধ্যমে কৃষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।আগামী‌তে বিএন‌পি ক্ষমতায় আস‌লে তা‌রেক রহমা‌নের নেতৃ‌ত্বে এক‌টি কৃ‌ষিবান্ধব স্ব‌নির্ভর বাংলা‌দেশ গড়ার প্রত‌্যয়ে কাজ ক‌রে যা‌বো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় শহিদ জিয়া স্মৃতি ১৬ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় শহিদ জিয়া স্মৃতি ১৬ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। সুলতানপুর ফুটবল মাঠে বুধবার সকালে সুলতানপুর সোনালী সংঘের আয়োজনে ১৬ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন।

এ-সময় উপস্থিতি ছিলেন, ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু রায়হান,সাধারণ সম্পাদক গাজী শফিউল আলম শফি,চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রমজান আলী,চন্দনপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক মিঠু
সহ আরো অনেকে।

শহিদ জিয়া স্মৃতি ১৬ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় অংশ গ্রহণ করেন কলারোয়া ছাত্রদল ক্রিকেট একাদশ বনাম মহিষা ইয়াং স্টার ক্রিকেট একাদশ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গত ১৭ বছরে আমরা এমন জিয়ার নামে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজনও করতে পারিনি অংশগ্রহণ করে কথাও বলতে পারিনি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার সাতক্ষীরা সহ দেশের খেলাধুলাকে চরণভূমিতে পরিণত করেছে। সেগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গত ১৭ বছরে দেশের তরুণ সমাজের হাতে বল ও ব্যাট না দিয়ে তাদের হাতে মাদক তুলে দিয়েছেন। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। যুবসমাজকে তারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছে। ১৭ বছরের জঞ্জাল সরিয়ে দিতে হবে। ছাত্র ও যুব সমাজকে খেলাধুলার দিকে ধাবিত করে সুন্দর খেলা উপহার দিয়ে মাদকমুক্ত সাতক্ষীরা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ বিনির্মানে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ বিনির্মানে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উন্নয়ন সংস্থা সিডো ও এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু।

সিডোর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ^াসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়াইব আহমাদ, সাতক্ষীরার টিটিসি’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেএম মিজানুর রহমান, ডা: আবুল কালাম বাবলা, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক চক্রবর্তী, সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, হেনরি সরদার, ফাদার নরেন্দ্র জে বৈদ্য, এ্যাকশন এইডের ডেপুটি ম্যানেজার আরিফ সিদ্দিকী।

বক্তারা বলেন, শুধু মানুষ হলেই হবে না। ভালো মানুষ হতে হবে। তরুনদের লেখাপড়ার পাশাপাশি দক্ষ হতে হবে। দক্ষতা ছাড়া কোন ভাবেই নিজের এবং দেশের উন্নতি করা সম্ভব না। শুধু মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে কোন জাতিই উন্নতি করতে পারে না। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলেই অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়া সম্ভব। আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশের বিনির্মানে যুবদের দক্ষ হওয়ার আহŸান জানান বক্তারা। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক সংলাপ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নেটজ্ বাংলাদেশ ও বিএমজেড এর সহযোগীতায় রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর আয়োজনে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন রিইব হোপ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ কুমার দাশ। প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ।
প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলায় বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

এরিয়া সমন্বয়কারী রেহেনা পারভীন এর সঞ্চালনায় উপজেলা কমিটির অগ্রাধিকারভিত্তিতে চিহ্নিত সামাজিক সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করেন সদস্য সচিব আনজুমানারা ও মাহফুজা পারভীন লিপি। সমস্যা ও ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতাসমুহ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আল মাহমুদ পলাশ, গৌর দাস, স্বপ্না পারভিন, লাভলু, পলাশ মন্ডল, চায়না মন্ডল প্রমূখ। আলোচনার ভিত্তিতে উপজেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের সামাজিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে গণতান্ত্রিক সংলাপে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মানবধিকার সুরক্ষা কমিটির যৌথ পরিকল্পনা গৃহীত হয়।

বিশেষ করে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রতিরোধ, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসূচীতে অনগ্রসর জনগোষ্টীর প্রবেশদম্যতা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেনতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা নিরসনপুর্বক চলতি মৌসুমে ধানচাষ নিশ্চিত করা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে স্কুল ক্যাম্পেইন, কায়পুত্র কম্যুনিটির পুন:বাসন প্রভৃতি বিষয়ে যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম।## প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ইউএনওর অভিযানে পুশকৃত ৩মন চিংড়িসহ ২জন আটক

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটায় ইউএনওর ভ্রাম্যমান আদালতে ৩মন পুশকৃত চিংড়িসহ ২জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর দুপুরে পারুলিয়া মৎস্য সেডের আড়ত থেকে চিংড়িতে পুশ করার সময় পুশ করার যন্ত্রপাতিসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, আমাদের দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস চিংড়ি। সাদা সোনাখ্যাত এই চিংড়ি রপ্তানি করে আমরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। সেই সুনাম নষ্ট করতে একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন চিংড়িতে সাবু ও জেলিসহ নানারকম অপদ্রব্য পুশ করে আসছে। প্রশাসন এবিষয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে৷ কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম কমানো যাচ্ছেনা।

মঙ্গলবার ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ২টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ হযরত আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ছিলেন। অভিযানে পুশকৃত ৩ মন উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের প্রশান্ত ঘোষের ছেলে উত্তম ঘোষকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটককৃত চিংড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং আটককৃত ২জন অসাধু ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ ১০ লাখ টাকার ভারতীয় পন্য জব্দ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় দশ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে ৩৩ বিজিবির সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভোমরা, কালিয়ানী, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, হিজলদী ও চান্দুরিয়া বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর সদস্যরা এসব ভারতীয় মালামাল আটক করে।

সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৩/১-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন লক্ষীদাড়ী নামক স্থান হতে ১১ বোতল ভারতীয় মদ ও মেইন পিলার ৩ হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সদর থানাধীন ফলমোড় নামক স্থান হতে ২৭ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী আটক করে।

কালিয়ানী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৯/৩-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খৈতলা নামক স্থান হতে ৪৭০ পিস ভারতীয় ইয়াবা আটক করে। তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১৩ হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তলুইগাছা মাঠ হতে ০৬ বোতল ভারতীয় মদ ও মেইন পিলার ১৩ এবং তলুইগাছা মাঠ এবং চৌরঙ্গী মোড় হতে ১ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ এবং ভারতীয় শাড়ী আটক করে।

কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক তিনটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস হতে আনুমানিক ৩০০- ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন রাজ্জাকের মোড় নামক স্থান হতে ১০ বোতল ভারতীয় মদ এবং গেড়াখালী মোড় নামক স্থান হতে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ এবং ভারতীয় শাড়ী আটক করে।

হিজলদী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৫-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন হিজলদী নামক স্থান হতে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।

এছাড়া, চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৭/৬-এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন আমবাগানের ভিতর হতে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। সর্বমোট ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের বিভন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।

বিজিবি অধিনায়ক জানান, চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ আভিযানিক দল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা ও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির চাপড়ায় মূল নদীর উপর দিয়ে নদী খননের দাবীতে মানববন্ধন

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার মধ্য চাপড়ায় মূল নদী বাদ দিয়ে ডিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় জমির উপর নিয়ে নদী খননের কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙ্গন কবলিত সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নদী ভাঙ্গন কবলিতদের মধ্যে আয়ুব আলী সরদার, রফিকুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, মমতাজ বেগম ও হেলেনা খাতুন। বক্তাগণ বলেন, আরএস নকশায় প্রবাহমান নদী বিদ্যমান ও সরকারী খাস জমি থাকার পরও অজ্ঞাত কারনে আমাদের ডিএস খতিয়ান, এসএ ও আরএস খতিয়ানের রেকর্ডীয় সমতল জমির মাঝখান বরাবর বর্তমান নদী খনন নকশা চূড়ান্ত করায় নদীর দুই তীরে আমাদের রেকর্ডীয় জমি বাদ পড়ায় আমরা শত শত পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হবো। ইতিপূর্বে আমাদের বাপ-দাদার আমলে জমি ও ভিটেবাড়ী বাংতে ভাংতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বহু পরিবার বসতবাড়ি, জমি হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে ১৫০-২০০ পরিবার তাদের শেষ সম্বল রেকর্ডীয় জমিতে বসবাস করছে এবং ছোট ছোট মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ করে কোন রকমে সংসার নির্বাহ করছে।

খেটে খাওয়া দীনমজুর শ্রেণির অসহায় পরিবারের সদস্যরা সেখানে বসবাস করছে। অথচ নদী খনন নীতিমালা বর্হিভূত প্রবাহমান নদী স্রোত অনুসরন কিম্বা মূল নদীর নকশা মোতাবেক সীমানা চিহ্নত না করে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। মূল নদীর স্থান দিয়ে খনন না করে নদী খননের দূরত্ব কমাতে সাধারণ জনগনের ডিএস, এসএ ও আরএস খতিয়ানের দাগের উপর নদী খননের লক্ষ্যে রেকর্ডীয় জমির উপরে লাল পতাকা টানানোয় রেকর্ডীয় মালিকেদের মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। নিয়ম বহির্ভুত খনন কাজ করা হলে কবর স্থান, ঘর বাড়ী, মৎস্য ঘের সহ জনসাধারনের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

ডিএস রেকর্ডে ৮০০ থেকে ১১০০ ফুট পর্যন্ত নদী ছিল। সেখানে খনন না করে আমাদের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে নদী খননের পায়তারা করা হচ্ছে। বক্তাগণ বলেন, এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থণা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তারা নদী খনন নীতিমালা অনুসরণ করে ডিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় মালিকের রেকর্ডীয় জমি এবং ঘরবাড়িসহ সকল সম্পদ রক্ষায় ন্যায়সঙ্গত আইনানুগ নদী খননের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও আভ্যন্তরীন অভিবাসন শীর্ষক মিডিয়া এ্যাডভোকেসী সভা

আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভ্যন্তরীণ অভিবাসন/বাস্তুচ্যুতি শীর্ষক এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘কারিতাস বাংলাদেশ’ খুলনা অঞ্চলের ডিআরআর এন্ড সিসিএ প্রজেক্টের আওতায় আয়োজিত এ্যাডভোকেসী সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়।

সভায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল আলোচনা উপস্থাপন ও অংশ গ্রহনকারীদের মতামত গ্রহন করেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট এর সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন। সভায় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম, পিআইও আমিরুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যান ব্যানার্জী, আশাশুনি প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারী এসকে হাসান, সাবেক সেক্রেটারী সমীর রায়, রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন আসলাম, সদস্য এস এম শরিফুল ইসলাম শরীফ ও আবু সালেহ, মাসুম বিল্রাহসহ সাতক্ষীরা, কয়রা উপজেলার কামাল হোসেন সহ সাংবাদিকবৃন্দ এবং প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী, প্রকল্প সমন্বয়কারী পবিত্র কুমার মন্ডল,

মিল কো-অর্ডিনেটর মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, চাকলার ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্য মোসলেমা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় নদী ভাঙ্গন, প্রচুর লবণাক্ততা, টেকসই বেড়ীবাঁধের অভাব, বনায়ন ধ্বংস, কাজের অভাব, প্রয়োজনের তুলনায়ন অধিক সম্পদ ক্রয়, সংস্কার বিহীন প্লাবিত রাস্তা, মৌসুমী আয়ের উপর অত্যাধিক আস্থা, দীর্ঘ মেয়াদী সুপরিকল্পনার অভাব, অপরিকল্পিত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় স্লুইস গেটের অভাব, দুর্বল সরকারি পরিকল্পনা, অনুন্নত শিক্ষা, সাগরমুখী ও ইটের ভাটার আয়ের উপর নির্ভরতা ও যুগোপযোগি প্রশিক্ষণের অভাব এলাকার মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসাবে উপস্থিত সকলের কথোপকথনের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest