সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলখাজরায় হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার বিএনপি নেতার পক্ষে মানববন্ধনভারতে মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননার প্রতিবাদে শ্যামনগরে র‍্যালিকলারোয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুঅধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এড. আব্দুর রহমান কলেজের কমিটি গঠনের অভিযোগকালিগঞ্জে সাপের কামড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যুসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক সংলাপে ১০ প্রস্তাবসাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী, ট্রাক্টর ও কাভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভাশ্যামনগরে কপোতাক্ষ নদে নিখোঁজের একদিন পর ডুবুরির মরদেহ উদ্ধারশিক্ষা জাতীয়করণসহ চার দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শিক্ষকদের মানববন্ধন

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের প্রভাস মন্ডলের স্ত্রী হিরা রানী মন্ডল উপজেলা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে অপহৃত শিশু কন্যা ৭ম শ্রেণি পড়–য়া বৈশাখী রানী মন্ডলকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। গতকাল বিকাল ৪টার সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিরা রানী বলেন, তার একমাত্র শিশু কন্যা বৈশাখী রানী মন্ডল (১৩) প্রতি দিনের ন্যায় পাতড়াখোলা আরশাদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে গত ৮ জানুয়ারি সকাল ৯ টায় ধুমঘাট রায়পাড়া গ্রামের সুবির রায়ের পুত্র প্রদীপ রায় সঙ্গী ৫/৬ জনকে সঙ্গে নিয়ে তার কন্যাকে জোর পূর্বক মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজা খুজির পর জানতে পারে তার কন্যাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপহরণ কারী প্রদীপ রায়ের বড়ভাই জয়দেব রায় ভারত থেকে হিরা রানীকে মোবাইলে ফোন করে তার কন্যা বৈশাখী তাদের কবজায় আছে এ কথা জানায়। এমতাবস্থায় হীরা রানী বাদী হয়ে গত ২০ জানুয়ারি প্রদীপ রায়কে ১ নং আসামি সহ ৬ জনকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত) ০৩ এর ৭/৩০ ও জোরপূর্বক অপহরণ এর মামলা দায়ের করা হয় যার নং-২৬। মামলার ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের গ্রেফতার ও শিশু কন্যাকে উদ্ধারের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xe703tm243qn67dead-body
শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের তেঘুরিয়া গ্রামের সামছুর সরদারের পুকুর থেকে মনিরুজ্জামান (২৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবার সুত্রে জানা যায়, মনিরুজ্জামান ২২ পারা কোরআনের হাফেজ, সে বেশ কিছুদিন যাবত মানসিক ভারসাম্য হীনতায় ভুগছিল। মনিরুজ্জামান কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের শেখ আব্দুর রশিদের পুত্র। মনিরুজ্জমানের ভগ্নিপতি তেঘুরিয়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম জানান, মনিরুজ্জামান কয়েক মাস ভারতের তামিলনাড়–তে অবস্থান করার পর গত কয়েক দিন পূর্বে দেশে ফিরে তার বাড়ীতে বেড়াতে আসে। এমতাবস্থায় গত ৫দিন পূর্বে সে নিখোঁজ হয়। গতকাল সকাল ৮ ঘটিকায় ভগ্নিপতির বাড়ীর পাশে সামছুর সরদারের পুকুর থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। ৫ দিন পানিতে ডুবে থাকার কারনে লাশের বিকৃত রুপ হয়েছে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ময়না তদন্তের জন্য মনিরের মরাদেহটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ  সাতক্ষীরার সংরক্ষিত আসন  ৩১২ এর সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিনের ছেলে বহুল আলোচিত রাশেদ সরোয়ার রুমনের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকার চাঁদাবাজির   মামলা হয়েছে।  শুক্রবার সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এই মামলাটি করেন । মামলা নম্বর ৫১ , তারিখ ২৭ .০১.১৭। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে পুলিশি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মামলার বাদি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার তাকে রুমনসহ চারজন ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী মাকছুদুর রহমানের অফিসে জোর করে ধরে নিয়ে যান। সেখানে  তারা তাকে ও তার চাচাতো ভাই ফিরোজ হোসেনকে অস্ত্র দেখিয়ে মারপিট করে ও  গলা টিপে  শ্বাসরোধ করে নগদ ২৫  হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। একই সময়ে তারা তাকে ও ফিরোজকে খুন করার হুমকি দিয়ে জানায় রুমনকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এর অন্যথা হলে ভোমরা বন্দরে তাদের আসা ও ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।মামলার অন্যান্য আসামিরা হচ্ছে ইমরান হোসেন টনি, ফরহাদ হোসেন ও তুহিন হোসেন। ওসি আরও জানান মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রুমনের বিরুদ্ধে এর আগেও যুবলীগ নেতাকে মারপিট, গরু ব্যবসায়ীকে মারপিট করে টাকা আদায়, সোনার দোকানি মিলন পালের বাড়ি দখল করে গরু  ও নগদ টাকা লুটের এবং শ্যামনগর থানায় তার মায়ের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও কয়েকজন নারীসহ ধরা পড়ার ঘটনায় মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় ছাত্রলীগের উদ্যেগে ৪দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোপাখালি মাঠে দেবহাটা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আয়োজনে উক্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনীয় খেলায় উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুজ্জামান সাদ্দাম, সদর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দীন, বেল্লাল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যয়ের নের্তৃবৃন্দরা। উদ্বোধনীয় খেলায় সুঁশিলগাথী ও চররহিমপুর ইয়াং স্টার ক্লাব অংশ নেয়। 27

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় আশাশুনি উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে তার প্রতিপক্ষরা মারপিট, খুন ও জখম করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা ও প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন জানিয়েছেন আশাশুনি উপজেলার কেয়াগাতি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সানার ছেলে এসএম আছাফুদ্দৌলা। তিনি তার লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন, একই গ্রামের আব্দুল মজিদ সানার ছেলে আহসান হাবীব একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। তিনি চুরি, ডাকাতিসহ সকল প্রকার অসামাজিক কাজে লিপ্ত। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তিনি যাবতীয় অসামাজিক রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে এলাকার কোন লোক মুখ খুলতে সাহস পায়না। তিনি তার লিখিত আবেদনে আরো উল্লেখ করেছেন, আহসান হাবীবের বাবা আব্দুল মজিদ সানা একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রস্তুতকালে সে একই বাবার নাম ব্যবহার করে নিজের নামে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ তৈরী করে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করিয়া আসিতেছেন। সম্প্রতি অত্র এলাকার কিছু সংখ্যক লোক তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য সেখান থেকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের এ সমস্ত যাবতীয় অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় তাদের সাথে আমার দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের গত ২৫ জানুয়ারি আশাশুনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে আমাকে একা পেয়ে সন্ত্রাসী আহসানহাবীব আমাকে চড়, কিল, ঘুষি ও তলপেটে লাথি মেরে মারাতœকভাবে আহতসহ জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সানার ছেলে আছাফুদ্দৌলা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও  আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

received_735986516558032
শ্যামনগর,প্রতিনিধি: সদ্য সমাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্য ডালিম কুমার ঘরামীকে শুক্রবার দুপুর ১২টায় বুড়িগোয়ালিনী পরিষদের পক্ষ থেকে উক্ত ইউনিয়নের হল রুমে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ এর সদস্য ডালিম কুমার ঘরামীকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বর ও মহিলা মেম্বর,গ্রাম পুলিশ, নৈশ প্রহরীবৃন্দ। জি এম আব্দুর রউফ এর সঞ্চলনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ১০ নং ওয়ার্ড জেলা পরিষদ নির্বাচনে থেকে নির্বাচিত সদস্য ডালিম কুমার ঘরামীর সহ ধর্মীনি সুজমিতা রানী ঘরামী, মুক্তিযোদ্ধা ডা. নিরাপদ বাইন,সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেন,গাজী আবিদ হাসান,গোলাম মোস্তফা,আব্দুল রশিদ, জি এম আব্দুল রউফ,স্বপন কুমার মন্ডল, কৃষ্ণ পদ মন্ডল,কামরুল হাসান,আব্দুল গণি,মোছাঃ খাদিজা বেগম,মলিনা রানী রপ্তান,লহ্মী রানী শীল সহ সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরের আটুলিয়া মৌজায় সরকারের খাস জমিতে মাটি ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্র্মানে মৎস্য ঘেরে ক্ষতির প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদন দুটি দায়ের করেন বড়কুপট(নওয়াবেঁকী) গ্রামের মৃত অনন্ত জোয়াদ্দারের পুত্র দুলাল জোয়াদ্দার ও শিবপদ জোয়াদ্দারের পুত্র সমরেশ জোয়াদ্দার সহ এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, আটুলিয়া মৌজার ১ নং এস এ খাস খতিয়ানের ৫২৩৭ দাগে ২৯ শতক জমি বড়কুপট গ্রামের অশ্বিন রপ্তানের পুত্র মনোরঞ্জন রপ্তান ও স্ত্রী অনিমা রানী রপ্তান ব্-েআইনি ভাবে জবর দখল করে নিজ বাড়িতে বসত ঘর থাকা সত্তেও খাস জমিতে ঘর বাড়ি নির্মাণ, মাটি কর্তণ ও মাটি ভরাট করছে। ভূমিহীন না হওয়ার সত্তেও মনোরঞ্জন রপ্তান তার স্ত্রী অনিমা রানী রপ্তান কৌশলে ঐ জমি বন্দোবস্ত নিয়ে সমরেশ জোয়াদ্দারের কাছে সাব-লিজ দিয়েছিল। সে সুবাদে সমরেশ মৎস্য ঘের করে। মনোরঞ্জন রপ্তান মৎস্য ঘেরের মধ্য দিয়ে রাস্তা সৃষ্টি করে অন্যের মৎস্য ঘের দ্বি-খন্ডিত করে পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করছে। তাছাড়া খাস জমিতে বে-আইনিভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করছে। শ্রেণি পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ঘর বাড়ি নির্মাণ করছে। ঘের মধ্যস্থ খাস খালটি সরকারের বে দখলে যাচ্ছে। যা সরকারের নিয়মের পরিপন্থি। অবৈধ স্থাপনা নির্মানের ছবি উঠাতে সংবাদ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছালে মনোরঞ্জন এর পুত্র বিল্পব ছবি উঠাতে বাঁধা দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ আটুলিয়ার নায়েব কে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আটুলিয়ার নায়েব মহসীন আলী জানান, সরেজমিনে গিয়ে অবৈধ কর্মকান্ডের সত্যতা পেয়েছি,সে মতে প্রতিবেদন পাঠাবো। মনোরঞ্জন রপ্তান জানান,বন্দোবস্তকৃত জায়গায় ঘর বাধিতেছি। ভুক্তভোগীরা জানান, আটুলিয়ার নায়েব মহসীন আলী আর্থিক ফায়দায় মনোরঞ্জন রপ্তানের পক্ষে রায় দিতে তৎপর রয়েছে, কেননা সঠিক প্রতিবেদন প্রেরন করতে গড়ি মশি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মোস্তফা কামাল: প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর দুরন্ত স্বভাবের চৌদ্দ বছরের শিলা পারভীন ছিল ছয় বোনের মধ্যে সবচেয়ে চঞ্চল, হাস্যেজ্জ্বল, কর্মঠ আর মেধাবী। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে প্রাণের স্পন্দন হারিয়ে সেই উচ্ছ্বল ও প্রাণবন্ত শিলা এখন কেবলই অসাড় এক মানুষ্য দেহ। দুরন্তপনায় বাড়ির আঙিনা পেরিয়ে পাড়া মহল্লায় ছুটে বেড়ানো কিশোরী শিলা এখন চব্বিশ ঘন্টার জন্য তিন হাত লম্বা বিছানার ফ্রেমবন্দী। নিষ্ঠুর নিয়তি তার দুরন্তপনাকে হরণ করে উপহার দিয়েছে বিভিষীকাময় এক অভিশপ্ত জীবন। মাত্র দু’বছর আগের দুরন্ত শিলার দু’টি চোখই এখন শুধু যেন কথা বলে। দৃষ্টি সীমায়  হাজির হওয়া মানুষের মুখ পানে শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে এমন অসহায়ত্ব থেকে সে যেন মুক্তির দাবি তোলে। অথচ শিলার এমন করুন পরিণতির জন্য দায়ী চক্রটি অদ্যাবধি রয়েছে দিব্যি ধরাছোয়ার বাইরে। ঘটনাটি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা গ্রামের। ঘটনার শিকার শিলার জীবনে এখন শুধুই কবরস্থানের নীরবতা। অপেক্ষা কেবলই গন্তব্য দুর পরপারে পাড়ি জমানোর। অপরাধী চক্রটি আইনের আওতায় এলেই কেবল শিলার কষ্ট কমবে বলে দাবি পরিবারের। শিলার পরিবার সুত্রে জানা গেছে মাত্র দু’বছর আগে আদম ব্যবসায়ী ও পাচারকারী এক চক্রের জালে আটকা পড়ে শিলা। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে কৌশলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে নেয় চক্রটি। পরবর্তীতে নানা হাত ঘুরিয়ে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। অভিশপ্ত সেই জীবন থেকে পালিয়ে আসার পর পুনরায় ঐ চক্রের হাতে আটকে যাওয়া শিলা এখন পিতার গৃহে অপেক্ষমান মৃত্যু পথযাত্রী। শিলার পিতা কাশিমাড়ীর ঘোলা গ্রামের গোলাম হোসেন সরদার জানান, গাজী আব্দুল হামিদ মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত শিলা। ২০১৪ সালের অক্টোবরে শিলা আকস্মিক বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে তারা জানতে পারেন প্রতিবেশী আব্দুর রউফ সরদারের বাড়িতে বেড়াতে আসা তারই স্ত্রী’র নিকটাত্বীয় খুলনার দৌলতপুর এলাকার জনৈক বুলবুল হোসেন ও  তার চার সহযোগী তার মেয়েকে ফুসলিয়ে  নিয়ে গেছে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে মেয়ে ঘর ছেড়েছে ভেবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত তারা রাগে ক্ষোভে শিলার কোন খোঁজ খবর নেয়নি বলে জানান তিনি। প্রায় ৯/১০ মাস পরে সিঙ্গাপুর থেকে মেয়ের একটি ফোন পেয়ে শিলা সংঘবদ্ধ প্রতারক ও পাচার চক্রের ফাঁদে পড়েছে নিশ্চিত হন উল্লেখ করে গোলাম হোসেন জানান, এসময় প্রতিবেশী আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রী’র উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু নানা প্রকার টালবাহানার এক পর্যায়ে তারা জানায় শিলা তাদেরই নিকটাত্বীয় বুলবুল হোসেনের সাথে বিয়ে করে ঘর সংসার করছে। এসময় মেয়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রী ধর্য্য ধরার পরামর্শ দেয় বলেও গোলাম হোসেন ও জাহিদুর জানায়। গোলাম হোসেন আরও জানান, সিঙ্গাপুরে মেয়েকে জীবনে মেরে ফেলার আতংকে তিনি ও তার পরিবার সেখান থেকে মেয়ের ফোন আসার বিষয়টি আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রী ইসমত জাহানের কাছে গোপন করেন। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় বার শিলার ফোন পেয়ে তাকে সেখান থেকে যে কোন  উপায়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসার পরামর্শ দেয়া হয়। তাদের পরামর্শ মোতাবেক শিলা সিঙ্গাপুরে পাচার হওয়া নাসিমা (ছদ্মনাম) খাতুনের সাথে মিলে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। শিলার ভাই জাহিদুর রহমান জানান, তার বোনকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার পরপরই দালাল চক্রের মাধ্যমে বুলবুল হোসেন সিঙ্গাপুরে পাঠায়। মিথ্যা বিয়ের নাটক সাঁজিয়ে ভিসা জটিলতার কারনে পরে সে নিজে যাবে জানিয়ে প্রথমে শিলাকে সিঙ্গাপুর যেতে বাধ্য করে বলেও জাহিদুরের দাবি। শিলার ভাই অভিযোগ করে বলেন, সিঙ্গাপুরের হোটেলে তাকে ‘নাচনেওয়ালী’ হিসেবে তাকে কাজ করতে বাধ্য হয়। এক পর্র্যায়ে বুলবুলসহ প্রতারক চক্রের মুখোশ উম্মোচিত হলে শিলা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে এবং পালিয়ে দেশে ফিরে আসে। জাহিদুর আরও জানায় শিলা সিঙ্গাপুর থেকে পালিয়ে আসলেও ভয়ে পরিবারের কাছে ফিরতে সাহস পাচ্ছিল না। এসময় তার সাথে পালিয়ে আসা টাঙ্গাইলের অপর একটি মেয়ে নাসিমার বাড়িতে ওঠে শিলা। কিন্তু বুলবুলসহ প্রতারক চক্রটি নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এসমসয় শিলাকে বিবাহিত স্ত্রী দাবি করে নাসিমার পরিবারের কাছে লিখিত প্রতিশ্রুতিতে তারা শিলাকে নিয়ে যায়।জাহিদুর রহমান ও তার পিতা গোলাম হোসেন আরও জানায় মেয়েকে টাঙ্গাইল থেকে নিয়ে যাওয়ার অল্প দিনের মধ্যে বুলবুল হোসেন শিলার সাথে বিয়ে পরবর্তী সংসার করছে জানিয়ে অটোরিক্সা ক্রয়ের কথা বলে শিলার পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে। এদিকে একের পর এক মেয়ের ভুল সিদ্ধান্তের কারনে পরিবারের সদস্যরা তার উপর রুষ্ট হলেও মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তারা বুলবুলকে দুই লাখ বিশ হাজার টাক্ াদেন। গোলাম হোসেন জানান, দেশে ফেরার পরও যে তার মেয়েকে সংঘবদ্ধ চক্রটি আটকে রেখেছে বিষয়টি তখন পর্যন্ত তারা বুঝতে পারেন নি। এক পর্যায়ে গত ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বুলবুল হোসেন তাদের ফোন দিয়ে শিলা আত্মহত্যার চেষ্টায় আহত হয়ে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আইসিইউ-তে রয়েছে বলে তার পরিবারের কাছে বার্তা পাঠায় বলেও গোলাম হোসেন জানান। শিলার ভাই জাহিদুর জানান, তারা হাসপাতালে যেয়ে শিলাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় দেখতে পেয়ে নিশ্চিত হন যে শিলাকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নেয়ার পর বিয়ের নাটক সাঁজিয়ে তাকে সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয়। এক পর্যায়ে সে পালিয়ে দেশে ফিরলে তাকে দ্বিতীয়বার আটকে দিতেই আগের বিয়ে নাটককে সত্যি পরিনতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয়বার আটকে দেয়া হয়। এসময় পরিবারের সাথে দুরত্বের সুযোগে কৌশলে তারা শিলার পরিবারের নিকট থেকে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে পালানোর কারনে তাদের ঘটে যাওয়া আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয় চক্রটি। জাহিদুর আরও জানান, তার বোন এখন কঙ্কালসার হয়ে বিছানায় পড়ে আছে গত দুই/তিন মাস ধরে। তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রউফ সরদারের স্ত্রী ইসমত জাহান ও প্রতিবেশী জামালউদ্দীন সরদারের মেয়ে মাসুকা পারভীন ঐ প্রতারক চক্রের সাথে মিলে তার বোনকে পাচারে সহায়তা করেছিল বলেও অভিযোগ করেন জাহিদুর ও তার বৃদ্ধ পিতা। বুলবুলসহ সংঘবদ্ধ চক্রটির সাথে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে দাবি করে জাহিদুর রহমান বলেন, বারংবার ইসমত জাহানের কাছে বুলবুল ও তার পরিবারের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলেও তারা সেসব কথায় কর্ণপাত পর্যন্ত করছে না। তার বোনের জীবন ধ্বংস করে ইসমত জাহান ও বুলবুলসহ সংশ্লিষ্টরা বহাল তবিয়তে থাকলেও দু’বছর আগের শিলা মৃত্যুর প্রহর গুনছে উল্লেখ করে জাহিদুর অপরাধীদের আইনের আনার দাবি জানিয়েছে। এদিকে শিলার সাথে সিঙ্গাপুর থেকে পালিয়ে আসা নাসিমা (ছদ্মনাম) জানান, সিঙ্গাপুর পরিচয়ের সময় শিলা তাকে বলেছিল যে বিয়ের প্রতিশ্র“তিতে বুলবুল হোসেন তাকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তাকে কৌশলে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে ‘ড্যান্সারে’র কাজ করতে বাধ্য করে বলেও শিলা তার কাছে অভিযোগ করে পালিয়ে যেতে সাহায্য চেয়েছিল। শিলা দেশে ফিরলে টাঙ্গাইল থেকে তাকে নিয়ে যাওয়ার পর কখনও তাদের সাথে শিলাকে কথা বলতে দেয়া হয়নি উল্লেখ করে নাসিমা বলেন, আসল পরিচয় ফাঁস হওয়ার ভয়ে তাদেরকে শিলার সাথে যোগাযোগ করতে দিত না বুলবুল। যোগাযোগ করা হলে আব্দুর রউফ সরদারের স্ত্রী ইসমত জাহান বলেন, তার ভাইয়ের বন্ধু হিসেবে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল বুলবুলের। প্রেম করে পালিয়ে যেয়ে বিয়ে করার পর শিলার সম্মতিতে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় বলে দাবি করেন তিনি। বিয়ে করা হলে শিলার এমন অবস্থায় বুলবুল পলাতক কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন “একটা অসুস্থ মেয়েকে কতদিন দেখতে হবে”। কথা বলার জন্য বুলবুল হোসেনের ০১৬৩০৮৩০৭০০ নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest