সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসাতক্ষীরায় মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালাপুশব্যাক নয়, অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে–বিজিবির ভাসমান বিওপি উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালাসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক-অপসাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কথিত দখলদার কমিটির অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদসমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে কদমতলায় পথ সভাস্বপ্নসিঁড়ির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর কমিটির গঠনদেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করার মামলায় আটকশ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল শাখার অফিস উদ্বোধন

2017-03-26-12-54-59কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘পিতা দিয়েছে স্বাধীনতা, কন্য দিয়েছে দেশ, শেখ হাসিনার হাতে যদি থাকে দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ’। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষে বীর মুুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্র্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টার দিকে পবিত্র কুরআন তেলয়াতের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নিবার্হী অফিসার উত্তম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুখী, সমৃৃদ্ধি বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার ও মুুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ইতিহাস এবং মুুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আতœত্যাগের কথা স্মরণ করে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এড মোস্তফা লুতফুল্লাহ এমপি। এ সময় তিনি বলেন, এ দেশের মাটিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোন ঠাঁই হবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতাকে আমরা কোন অপশক্তির কাছে নত হতে দেব না। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন (ভারপ্রাপ্ত)  উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়না, নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন, যুুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন, আব্দুল গফ্ফার, মুুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, ডেপুটি কমান্ডার আবুল হোসেন গাজী, সাংগঠনিক কমান্ডার সৈয়দ আলি গাজী, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রউফ, এড আলি আহম্মদ, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান,থানার এস আই রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্র্মকর্তা ডাক্তার এএসএম আতিকুজ্জামান, কৃষি কর্র্মকর্র্তা মহাসীন আলি, বিআরডিবি কর্মকর্তা আব্দুল গফুর, আরডিও কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার মন্ডল, মৎস্য কর্মকর্তা নিপেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা তাহের মাহমুদ সোহাগ, ডাক্তার মেহের উল্লাহসহ সকল দফতরের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা এবং তার পরিবারের সদস্যবৃৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার সামগ্রী ও বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_1717555914_1490511852-jpg-pagespeed-ic-oldpit1cqiডেস্ক: বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ফল পাওয়া যায় গ্রীষ্মকালে। আর গরমের ফল মানেই রসালো ফল। আম, জাম, কাঁঠাল, তরমুজ, লিচু সবই রসালো ফল।

কিন্তু তরমুজ কেনার সময় আমরা প্রায়ই বোকা বনে যাই। বাইরে থেকে দেখতে সুন্দর হলেও ভিতরটা ফ্যাকাশে, রসহীন।

চলুন রসালো তরমুজ চেনার পাঁচটি উপায় জেনে নেই।

১। হাতে নিয়ে দেখুন। যদি দেখেন ভারী তাহলে বুঝবেন পাকা ও রসালো। পাকা তরমুজে রস থাকে।

২। তরমুজের গায়ে চাঁটি মেরে দেখুন। যদি দেখেন গভীর, ভারী শব্দ হচ্ছে তাহলে বুঝবেন পাকা তরমুজ। যদি ফাঁপা শব্দ হয় তাহলে এখনও পাকেনি।

৩। দেখুন তরমুজের গায়ে হলুদ ঘোলাটে দাগ তৈরি হয়েছে কিনা। সূর্যের আলোয় তরমুজের গায়ে এমন দাগ তৈরি হয়। যদি দেখেন দাগ হালকা তার মানে কাঁচা থাকতেই তরমুজ তুলে ফেলা হয়েছে।

৪। পাকা তরমুজের রং গাঢ় সবুজ ও কালচে হবে। যদি হালকা সবুজ, চকচকে রঙের হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনও পাকেনি।

৫। পাকা তরমুজের গা সমান ও সব দিক থেকে একই রকম দেখতে হবে। কোনও দাগ থাকবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_1676984915_হলিআর্টিজানে বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পর এবার সিলেট বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটল। জঙ্গিদের তৎপরতা কমে গেছে বলে প্রশাসন বক্তব্য দিলেও সিলেটের শিববাড়ির ঘটনার পর যেন আবার নড়েচড়ে বসছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জঙ্গিদের অপতৎপরতা রুখে দিতে দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক বার্তা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশের বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নেওয়া হয়েছে সর্বাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শকসহেলী ফেরদৌস এ বিষয়ে বলেন, শনিবার রাতে পুলিশ সদর দফতর হতে এ সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। চেকপোস্টগুলোতে সন্দেহভাজনদের চালানো হচ্ছে তল্লাশি। অ্যালার্ম প্যারেডের মাধ্যমে থানায় পুলিশ সদস্যদের সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতেও বলা হয়েছে।

তিনি জানান, বারবার জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলছে অভিযান। আর এই অভিযানকে ব্যর্থ করে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পাল্টা হামলাকে কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতেই এখন মরিয়া।

তিনি আরও জানান, সব জেলার এসপিদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ বার্তা। সবাই যেন সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-26-mar20170326-1034151আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে রোববার ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সুচনা হয়। এরপর সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোঃ মহিউদ্দীন ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে পুলিশ, বিএনসিসি ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সমম্বয়ে দৃষ্টি নন্দন মার্চপাস্ট,শরীরচর্চা প্রদর্শনী ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে সালাম গ্রহণ করেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা সদর (২) আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তালা-কলারোয়া (১) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এরপর সেখানে রক্তদান কর্মসূচি ছাড়াও শহিদ আঃ রাজ্জাকের মাজার জিয়ারতসহ অন্যান্য শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাজার জিয়ারত, পৌরসভা দিঘীতে হাঁসধরা ও সাতার প্রতিযোগিতা, উপজেলা অডিটরিয়ামে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বের হয়ে শহরের প্রদান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, স্বাধীনতা দিবস টেনিস টুর্নামেন্ট, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedহাসান হাদী : জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরে এক বিশাল আলোর মিছিল করেছে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র-শিক্ষক-জনতা এ মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
শহিদ নাজমুল সরণিস্থ দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা অফিসের সামনে থেকে শুরু হয়ে আলোর মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজের সভাপতিত্বে স্বপন কুমার শীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির  যুগ্ম আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু।
আলোর মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোস্তফা নুরুল আলম, মিজানুর রহমান, বদরুল ইসলাম খান, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, সাতক্ষীরা পৌর আ.লীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা আ.লীগ নেতা সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সদস্য নাসরীন খান লিপি, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ,  আবু আফফান রোজ বাবু, শামীমা পারভীন রতœা, সদর উপজেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক হাসান হাদী, উদীচি সাতক্ষীরার সভাপতি শেখ সিদ্দীকুর রহমান, পৌর আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, দেবহাটা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয়, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম, লাবসা ইউুনয়ন পরিষদের প্যানে চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, ঋওনক বাশার, শ্রমিক নেতা গাউস, প্রথম আলো বন্ধুসভা, লিনেট ফাইন আর্টস, বর্ণমালা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bd20170325230718৩২৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ার পরই বোঝা গিয়েছিল এই ম্যাচে জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দায়িত্বটা ছিল শুধু বোলারদের। সেই কাজটা খুব সুন্দরভাবেই পালন করলেন বোলাররা। মাশরাফির নেতৃত্বে মোস্তাফিজ, মেহেদী মিরাজ, সাকিব আল হাসানরা নিজেদের উজাড় করে দিলেন ডাম্বুলার রণগিরি স্টেডিয়ামে। যার ফলে ৪৫.১ ওভারে ২৩৪ রানেই অলআউট স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।

লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের অধিকাংশই সাজঘরে ফিরে গেছেন আগেই। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিলেন সচিথ পাথিরানা। উইকেটে থিতু হতে চেয়েছিলেন; কিন্তু পাথিরানাকে সে কাজটা করতে দিলেন না মাশরাফি। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে পাথিরানাকে ধরাশায়ী করলেন টাইগার অধিনায়ক। ৩১ রান করে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন লঙ্কান এই ক্রিকেটার।

পাথিরানা আউট হওয়ার পর বাকি যারা রয়েছেন এরা সবাই বোলার। এক প্রান্তে থিসারা পেরেরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর; কিন্তু অপরপ্রান্তে যে উইকেটে থিতু হতে পারছেন না কেউ! কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের আঘাতে উইকেট হারাতে বাধ্য হলেন সুরাঙ্গা লাকমাল। ৯ বলে ৮ রান করে মোস্তাফিজের করা ইনিংসের ৪১তম ওভারে মিড অনে ক্যাচ দেন লাকমাল। ক্যাচ ধরেন সাব্বির রহমান।

৩২৪ রানের বিশাল স্কোরের নিচে চাপা দিয়ে শুরুতেই শ্রীলঙ্কার ওপর আঘাত হানলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকাকে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আর তাতে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের খাতা খুলে গেল শ্রীলঙ্কার।

অধিনায়কের সঙ্গে ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজ। এক প্রান্তে মাশরাফি বোলিং ওপেন করেছিলেন। অন্যপ্রান্তে ওপেন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মিরাজের প্রথম সাফল্যটা এলো তার নিজের তৃতীয় এবং ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের একেবারে শেষ বলে। তার লফটেড বল সজোরে হাঁকাতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ তুলে দেন কুশল মেন্ডিস। পরিবর্তিত ফিল্ডার শুভাগত হোম দৌড়ে এসে ক্যাচটা লুফে নিলেন। ১৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসল শ্রীলঙ্কা।

১১তম ওভারে তাসকিনকে আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বোলিংয়ে এসেই অধিনায়কের আস্থার দারুণ প্রতিদান দিলেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের ষষ্ঠ বলেই সাজঘরে ফেরালেন লঙ্কান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গাকে। বাংলাদেশের জন্য যখন ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন উপুল থারাঙ্গা, তখনই ব্রেক থ্রু এনে দিলেন তাসকিন। তার বলে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দিলে সেটি দারুণ দক্ষতায় লুফে নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২৯ বলে ১৯ রান করে ফিরে যান থারাঙ্গা।

দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ দলীয় ৩১ রানের মাথায় তাদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। এরপর চতুর্থ উইকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল স্বাগতিকরা। এই উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন আসেলা গুনারত্নে ও দিনেশ চান্দিমাল।

ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার সাজঘরে ফেরান গুনারত্নেকে। দুর্দান্ত এক ডেলিভালিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের তালুবন্দি করান তিনি। বিদায়ের আগে ৪০ বলে দুটি চারের সাহায্যে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন গুনারত্নে।

শ্রীলঙ্কার উইকেটে পতন ঘটছিল একের পর এক। তখনও অবিচল দিনেশ চান্দিমাল। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট চালিয়ে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২১তম হাফ সেঞ্চুরিটাও। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে চান্দিমালের দৌড় থেমেছে ৫৯ রানে। ২৯তম ওভারের পঞ্চম বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন চান্দিমাল। সৌম্য সরকার লুফে নেন সেই ক্যাচটি।

৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোস্তাফিজকে ছক্কা হাঁকালেন মিলিন্দা সিরিবর্ধনে। গ্যালারিতে যেন উৎসব লেগে যায়। কে জানত, পরের বলেই থেমে যাবে সেই উৎসব। হ্যাঁ, মোস্তাফিজ থামিয়ে দিলেন। তৃতীয় বলে ডিপ মিডউইকেটে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সিরিবর্ধনে ধরা পড়লেন পরিবর্তিত ফিল্ডার শুভাগত হোমের হাতে। ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রান করেছেন লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের অনবদ্য ১২৭, সাকিব আল হাসানের ৭২ এবং সাব্বির রহমানের ৫৪ রানের ওপর ভর করে ৩২৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের স্কোর এটা। এই রানের নিচে চাপা পড়ে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত চাপে পড়ল স্বাগতিক লঙ্কানরা। চাপ অব্যাহত রাখলেন মেহেদী হাসান মিরাজও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_765115961_1490453465-jpg-pagespeed-ic-ipvhkzhcoiসিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে অভিযান চলাকালে সন্ধ্যা ও রাতে দুই দফা বোমা বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আজ শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সিলেট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আকতারুজ্জামান বসুনিয়া এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এর মধ্যে দুজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আরেকজন বেসামরিক নাগরিক।

নিহতরা হলেন- পুলিশ সদস্য আবু কয়সর, মতিন মিয়া (৩০) ও স্থানীয় লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ওয়াহিদুল ইসলাম অপু (২২)।

সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এবং পুলিশ ও সোয়াটের সহায়তায় চলা ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নিয়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্রিফিং করা হয়। ব্রিফিং শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট পর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ব্রিফিংস্থলের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সাংবাদিকসহ ৩০ জনের বেশি আহত হন।

এরপর রাত আটটার দিকে আগের ঘটনাস্থলের কাছে পূর্ব পাঠানতলা মসজিদ এলাকায় আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।

রাত পৌনে নয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশসহ ৩৮ জনকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

432423মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখা, সদর উপজেলা শাখা ও পৌর আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকান্ড ছিল চরম নিষ্ঠুর ও জাতি-বিদ্বেষী গণহত্যা। যে-কোনো সংজ্ঞা বিচারে ২৫ মার্চ হত্যাকান্ড ছিল জাতি-বিদ্বেষী নিষ্ঠুর গণহত্যা। অপারেশন সার্চলাইট নামে ২৫ মার্চ রাত থেকে শুরু হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বাঙালি নিধন। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে তাদের হাতে ৩০ লক্ষ বাঙালি প্রাণ হারান, প্রায় ৩ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ঘটে, লক্ষ লক্ষ ঘর-বাড়িতে আগুন দিয়ে তা ভস্মীভূত করা হয়, ১ কোটি মানুষ জীবনের শঙ্কা নিয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়। পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকা- ছিল নির্বিচার, জাতি ও ধর্ম বিদ্বেষী।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র ম-ল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি এ্যাড. আল মাহমুদ পলাশ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবীব অয়ন, পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, যুগ্ম আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মো. কামরুল ইসলাম, রাফিনুর ইসলাম, লিটন মির্জা, আনোয়ারুল ইসলাম রনি, সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বাবু, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম রবি, হারুন, সবুর খান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest