সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

কালিগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

01আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের কতিপয় পরিচালক, অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলা চৌরাস্তার মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বাসস্ট্যান্ড এলকায় অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জিএম মাহতাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হাকিম, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মূখার্জী, মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমিন, উপজেলা মহিলা যুবলীগের আহবায়ক ফতেমা ইসলাম রিক্তা, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাওন আহমেদ সাবপন প্রমুখ। বক্তারা এ সময় ঘন ঘন লোড শেডিং বন্ধসহ বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের কতিপয় পরিচালক, অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ দেয়ার নাম করে যারা লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করছেন তাদের দৃষাটান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

DSC04217 copy
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : দেশ-ব্যাপি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে সৌর-বিদ্যুৎ প্যানেল বিতরণ কর্মসুচির আওতায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে সৌর-বিদ্যুৎ প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে ৩টি মসজিদ ও ১টি মন্দিরে এ সৌর-বিদ্যুৎ প্যানেল বিতরণ করেন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌল্লা সাগর। ৯নং ওয়ার্ডের আতিয়া জামে মসজিদ, মধুমল্লারডাঙ্গী জামে মসজিদ, উত্তর মেহেদীবাগ জামে মসজিদ ও পলাশপোল সার্বজনীন পুজা মন্দিরের কর্মকর্তাদের মাঝে ১টি করে সৌর-বিদ্যুৎ প্যানেল বিতরণ করা হয়। সৌর-বিদ্যুৎ প্যানেল বিতরণকালে মসজিদ ও মন্দিরের কর্মকর্তারা- সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌল্লা সাগরকে এ সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল গুলি মসজিদ ও মন্দিরের জন্য বরাদ্ধ দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান এবং সকলের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে পৌরবাসীর পাশে থাকার আহবান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. শাহ-জালাল, মধুমল্লারডাঙ্গী জামে মসজিদের সভাপতি মহসীন মোল্যা, উত্তর মেহেদীবাগ জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, আতিয়া জামে মসজিদের সহ-সম্পাদক আইয়ুব হোসেন ও পলাশপোল সার্বজনীন পুজা মন্দিরের সমাজকল্যাণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র দাসসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

0ac90832832f6f7ba0fdda200ed63aa5-591760095e0e8বেশ কিছু প্রাইভেটকার রাস্তার পাশে পার্ক করা। প্রতিটিতে চার-পাঁচজন করে এইচএসসি পরীক্ষার্থী মনোযোগ সহকারে কী যেন দেখছেন। দূর থেকে দেখে মনে হতে পারে গ্রুপ স্টাডি করছেন তারা। তবে কাছে গিয়ে দেখা যায়, মোবাইলে এইচএসসি উচ্চতর গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র এসেছে। আর সেগুলোর সমাধানেই ব্যস্ত তারা। শনিবার পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে থেকেই এই চিত্র ছিল রাজধানীর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভেতরের রাস্তাগুলোয়। একই চিত্র ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলের গেস্ট রুম ও ক্যান্টিনে।

উচ্চতর গণিত দ্বিতীয়পত্রের ‘খ’সেটের হুবহু প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে তাদের কাছে। আর সেগুলোর সমাধান করছেন পরীক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে থাকা সলভাররা (সমাধানকারী)। পরবর্তীতে দুপুর ১টার পর পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন মিলিয়ে দেখা যায়, বুয়েটের ক্যাম্পাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে যে প্রশ্নপত্র পাওয়া গিয়েছিল, সেই একই প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর পর যে প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর কথা, সেই একই প্রশ্ন পেয়েছেন অন্তত দুই ঘণ্টা আগে।

বুয়েটের নজরুল হলের ক্যান্টিনে পেছনের কোনায় একটি টেবিলে বসে দুইজন পরীক্ষার্থীকে নিয়ে প্রশ্নের সমাধান করে দিচ্ছিলেন বুয়েটের সিএসসি’র তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব। তাদের জিজ্ঞাসা করলে জানান, তারা শেষ মুহূর্তের কিছু সমাধান করে দিচ্ছেন। কিন্তু পরবর্তীতে বুয়েটের ওই শিক্ষার্থীর মোবাইলে ‘হোয়াটস আপ’অ্যাপসে পাওয়া যায় উচ্চতর গণিত দ্বিতীয় পত্র ‘খ’সেটের প্রশ্ন, যা দেখে তার সঙ্গে থাকা পরীক্ষার্থীকে সমাধান করে দিচ্ছিলেন। সঙ্গে ওই পরীক্ষার্থীর অভিভাবককেও বসে থাকতে দেখা গেছে।

সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কী সমাধান করছেন জানতে চাইলে পরীক্ষার্থী দৌড়ে পালিয়ে যান। শুরুতে কী করা হচ্ছিল তার উত্তর না দিলেও পরবর্তীতে জানান, তারা প্রশ্ন পেয়েছেন এবং সেই প্রশ্নের সমাধান করা হচ্ছিল। ‘হোয়াটস আপ’অ্যাপসে পাওয়া ম্যাসেজে দেখা গেছে, প্রশ্নপত্র তার কাছে এসেছে সকাল ৮টার কিছু সময় পর।

একই অবস্থা ছিল তিতুমীর হলের গেস্টরুমে। সেখানে পাওয়া যায়, ছয়জন পরীক্ষার্থী ও একজন সলভার। তারাও মোবাইলে পাওয়া প্রশ্নের সমাধান করছিলেন। রুমে ঢোকার পর পরীক্ষার্থীরা পালিয়ে যান। কিন্তু তাদের সামনে রাখা খাতায় দেখা গেছে, কিছু প্রশ্নের সমাধান করছিলেন তারা।

সলভার জানান, গাজীপুরের একটি কলেজে পড়েন তিনি। একজন পরীক্ষার্থীর বড় ভাই। তাদের কিছু সমাধান করে দিচ্ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ হলের গেস্ট রুমে পাওয়া যায় আরও একটি পরীক্ষার্থীদের গ্রুপ। তাদের হাতেও পাওয়া যায় ‘খ’সেটের প্রশ্ন। আর এই প্রশ্নে সমাধান করে দিচ্ছিলেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোসান্নেক আলী।

ফাঁস করা  প্রশ্নপত্র সমাধানের সময় কেন বিরক্ত করা হলো, এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হন ওই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা অভিভাবক। তিনি বলেন, এখানে আসছেন কেন? মন্ত্রীকে গিয়ে ধরেন। প্রশ্ন ফাঁস হলে সেটা পাওয়াতো অন্যায় না। এনিয়ে উপস্থিত বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও এই প্রতিবেদকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় ওই অভিভাবকের।

এদিকে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলোকে ক্যামেরা দেখে দ্রুত এলাকা ছাড়তে দেখা যায়। এর মধ্যে একটি গাড়ির ভেতরে বসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. আবিদ হাসান মিজু প্রশ্নের সমাধান করে দিচ্ছেন। তার ফোনেও ‘খ’সেটের প্রশ্ন পাওয়া যায়, যে প্রশ্নে পরবর্তীতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারটি অস্বীকার করেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁস অসম্ভব। এটা হতেই পারে না। এমসিকিউ ফাঁস হয়েছে শুনেছি, তাও কয়েক মিনিট দশেক আগে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

7f9bfffffb121cfeb5cbf9c081757888-5917a47dc9431বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজ  (রবিবার) পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।

মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া। যে মা জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন, তাকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য দিবসটি পালন করা হয়। তবে শুধু একটি বিশেষ দিন নয়, মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রতি দিনের। প্রতি মুহূর্তের। মায়ের জন্য বিশেষ দিন থাকার দরকার আছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু একটি বিশেষ দিনে মাকে না হয় সবাই একটু বেশিই ভালোবাসি। যারা আজও  বলেননি, মা তোমাকে ভালোবাসি, তারা না হয় আজ  মাকে ভালোবাসার কথাটি মুখ ফুটে বলুন।

ভাবছেন মা দিবসে কী দেওয়া যায় মাকে? এদিন মায়ের হাতে তুলে দিতে পারেন তার প্রিয় রঙের শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ। উপহারের তালিকায় থাকতে পারে অর্নামেন্টস, ওয়ালেট, কফি মগ, জুতো কিংবা স্ন্যাকস ট্রে’র মতো সামগ্রী। এছাড়া মাকে চমকে দিয়ে তার প্রিয় খাবারটি নিজের হাতে রান্না করে পরিবেশন করতে পারেন।

আদতে অপরিশোধ্য মাতৃঋণের বদলে মাকে ক্ষণিকের আনন্দ দিয়ে খুশি হয় সন্তানরা। দূরে থাকায় মায়ের স্পর্শ যারা সব সময় পান না, তারা দ্বারস্থ হন সেলফোনের।

বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। শতাব্দীর শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। তার সে ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

posterস্বাস্থ্য ও জীবন : অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে রক্তনালী ব্লক হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এবং শুধুমাত্র এই কারণে হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেককে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হন অনেক রোগীই। কিন্তু রক্তনালী ব্লক হওয়ার এই সমস্যা থেকে খুবই সহজে মুক্ত থাকা যায় চিরকাল। আপনাকে এর জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হবে না একেবারেই। খুবই সহজলভ্য কয়েকটি খাবার আপনার রক্তনালীর সুস্থতা নিশ্চিত করবে ।

১) আপেল
আপেলে রয়েছে পেকটিন নামক কার্যকরী উপাদান যা দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তনালীতে প্লাক জমার প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন মাত্র ১ টি আপেল রক্তনালীর শক্ত হওয়া এবং ব্লক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।

২) ব্রকলি
ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে যা দেহের ক্যালসিয়ামকে হাড়ের উন্নতিতে কাজে লাগায় এবং ক্যালসিয়ামকে রক্তনালী নষ্ট করার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। ব্রকলির ফাইবার উপাদান দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

৩) দারুচিনি
দারুচিনির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেমের সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন মাত্র ১ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তনালীতে প্লাক জমে ব্লক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

৪) তৈলাক্ত মাছ
তৈলাক্ত মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে চিরকাল সুস্থ ও নীরোগ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫) তিসীবীজ
তিসীবীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীর প্রদাহকে দূর করতে সহায়তা করে এবং সেই সাথে রক্তনালীর সুস্থতা নিশ্চিত করে।

৬) গ্রিন টি
গ্রিন টি অর্থাৎ সবুজ চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাচেটিন যা দেহে কোলেস্টেরল শোষণ কমায় এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। প্রতিদিনের চা কফির পরিবর্তে গ্রিন টি পান করলে দেহের সুস্থতা নিশ্চিত হয়।

৭) কমলার রস
গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন ২ কাপ পরিমাণে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ কমলার রস পান করলে রক্ত চাপ স্বাভাবিক থাকে। এবং কমলার রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে ফলে রক্তনালী ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hb1স্বাস্থ্য ও জীবন : আমলকী ফল হিসেবে একটি অনন্য ফল। এছাড়া এটি ভেষজ চিকিৎসায় একটি বিখ্যাত উদ্ভিদ। আমাদের দেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৫০০০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং দেহের পুনর্যৌবন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলদে সবুজ রঙের এই ফলটির রয়েছে আশ্চর্য ক্ষমতা।

সারা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ঋতুতে, বিভিন্ন আবহাওয়ায় মানুষ এই ফলটি খেয়ে থাকেন এবং ব্যবহার করে বিশেষ করেন এর টক, ঝাল, মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদের জন্য। জেনে অবাক হবেন যে একটি আমলকীতে প্রায় ২০টি কমলার সমান ভিটামিন সি থাকে। ১০০ গ্রাম তাজা আমলকীতে থাকে প্রায় ৪৭০-৬৮০ মিলিগ্রাম খাঁটি ভিটামিন সি। বিজ্ঞানে এই ফলকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে।

আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন সি কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি দেহকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে, হাড়কে মজবুত করে, প্রতিরোধক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং leukocytes বা শ্বেত কনিকা উৎপাদন করে। আমলকীতে শুধু যে ভিটামিন সি-ই থাকে তা নয়। এতে আরো থাকে ফ্লেভোনয়েড, ট্যানিন এবং খনিজ পদার্থ। আমলকী খেলে সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিসের মত শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগগুলো থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

আমলকীর কিছু উপকারিতা এখানে উল্লেখ করা হলো-

যকৃতের বিষাক্ততা দূর করে
গবেষণায় দেখা যায় যে আমলকী যকৃতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিশেষ করে যক্ষ্মা রোগের ঔষধের নেতিবাচক প্রভাব পরার ফলে যেসব বিষাক্ততার সৃষ্টি হয় তা দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে
যখন দেহ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখন দেহের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক সময় ক্যান্সার প্রতিরোধও করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের প্রদাহ এবং নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
যকৃতের এবং অগ্নাশয়ের প্রদাহ, ফোলা, ব্যাথা দূর করতে এবং সঠিকভাবে অগ্নাশয়ের কাজে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকী খেলে তা ইন্সুলিনের নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। গবেষণায় দেখা যায় যে মাত্র ৩ গ্রাম আমলকীর গুঁড়ো অন্য যেকোনো ডায়াবেটিসের ঔষধের চেয়ে বেশি কার্যকরী।

পেটের ব্যাথা দূর করতে
পেটের ব্যাথা, ডায়রিয়া, বমি, পেট মোচড়ানো, প্রদাহ সহ বিভিন্ন ধরনের হজমজনিত পেটের সমস্যা আমলকীর দ্বারা দূর করা সম্ভব।

সুন্দর ত্বক, চুল এবং নখের জন্য
আমলকী দেহ কোষের পুনর্গঠনে যার ফলে দেহে পুনর্যৌবন লাভ করে। নিয়মিত আমলকী খেলে এবং ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়, বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং চুলের খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় হচ্ছে এই আমলকী। শ্যাম্পু, ফেসিয়াল ক্রিম, চুলের মাস্ক এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছুতেই আমলকী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ত্বকের সমস্যা দূর করতে
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমলকীর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ, ফুসকুড়ি, রুক্ষ ত্বক, ইত্যাদি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ ত্বকের অনেক ধরনের প্রদাহ দূর করতে পারে এই আমলকী।
চুলের সুরক্ষায়

শুকনো আমলকীর গুঁড়ো সামান্য কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর সেই মিশ্রণটি পুরো চুলে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে আধা থেকে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হবে, আর্দ্রতা বজায় থাকবে, চুল হবে মসৃন এবং উজ্জ্বল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

heartস্বাস্থ্য ও জীবন : গরমের সময় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের জলীয় অংশের পরিমাণ কমতে থাকে বলে অনেক বেশি তরল গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখা এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য হৃদপিণ্ড অনেক দ্রুত রক্ত পাম্প করতে থাকে। বেশিরভাগ মানুষই এই পরিবর্তনকে মানিয়ে নেয় কোন সমস্যা ছাড়াই।

কিন্তু যাদের হৃদপিণ্ড দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্থ তাদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যাগুলো হতে পারে, যা কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনে। তাই গরমের সময়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য যা করা প্রয়োজন সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের ৫টি পরামর্শ প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল প্রিয়ডটকম। চলুন জেনে নিই।

১। হাইড্রেটেড থাকুন
ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতার ফলে আরট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন বা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যেহেতু গরমের সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পানি, ডাবের পানি, স্যুপ ও ফলের জুস পান করা উচিৎ। ৫০ এর বেশি বয়সের মানুষেরা বুঝতেই পারেন না যে তাদের তৃষ্ণা পেয়েছে এবং তারা প্রায়ই ডিহাইড্রেশন বা হিট স্ট্রোকের শিকার হন। তাই তৃষ্ণা না পেলেও পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

২। বুদ্ধিমত্তার সাথে ঔষধ গ্রহণ করুন
হৃদরোগ এবং হাইপারটেনশনের রোগীদের ডাইইউরেটিক বা মূত্রবর্ধক ঔষধ গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়। গরমের সময় এধরণের ঔষধ সেবনের ফলে পানিশূন্যতার অবস্থাকে আরো খারাপ করে দেয় প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। এমনকি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করলে ঘাম কমে যেতে পারে বলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। যদি আপনার মাথা ঝিমঝিম করে বা মাথা ঘুরায় তাহলে দ্রুত আপনার চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করান গরমের সময়ে ঔষধের মাত্রা কমিয়ে দেয়ার জন্য।

৩। ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় পান করা সীমিত করুন
গরমের সময় ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় পান করার ফলে ডিহাইড্রেশন বৃদ্ধি পায় বলে হৃদপিণ্ডের জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যাদের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছে অথবা যাদের স্টেন্ট (রক্তনালীর বাঁধা দূর করার জন্য রক্তনালীর ভেতরে নালীর মত বস্তু অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়) এবং কৃত্রিম ভালভ লাগানো হয়েছে তাদের অনেকবেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ ডিহাইড্রেশনের ফলে রক্ত ঘন হয়ে যায় এবং স্টেন্টকেও ব্লক করে ফেলতে পারে। একারণেই বেশি বেশি পানি পান করা প্রয়োজন।

৪। বাহিরের কাজ সীমিত করুন
বাহিরে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়া হয় সবসময়। কিন্তু গরমের সময় হৃদপিণ্ডের চাপ কমানো উচিৎ যা গরমের তাপের ফলে তৈরি হয়। একারণেই বাহিরে হাঁটা, দৌড়ানো বা বাগানের কাজ করাকে সীমিত করুন, বিশেষ করে সকালে না করার পরামর্শ দেয়া হয়। সকালে এবং দুপুরের দিকে যখন তাপমাত্রা অনেকবেশি থাকে তখন ঘরের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। যদি ওয়ার্কআউট করার পরিকল্পনা করেন তাহলে হালকা রঙের এবং সুতির কাপড় পরুন।

৫। আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন
করোনারি হার্ট ডিজিজের রোগীদের গরমের সময়ে বারবার এঞ্জিনা (কন্ঠনালী প্রদাহ বা হৃদপিণ্ডে কম রক্ত প্রবাহের কারণে বুকে ব্যথা হয়) হয় হৃদপিণ্ডে চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার এবং অক্সিজেনের অনেকবেশি চাহিদার কারণে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সময়ে হৃদরোগীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। স্ট্রোকের লক্ষণের বিষয়ে সন্দেহ হওয়া মাত্রই আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত যোগাযোগ করুন জটিলতা এড়ানোর জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hb2স্বাস্থ্য ও জীবন : প্রতিটি মানুষের রক্তে নির্দিষ্ট মাত্রায় চর্বি থাকে। কিন্তু এই চর্বির পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখন বেড়ে যায় অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি। রক্তে অতিমাত্রার চর্বি করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হূদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

আসুন প্রথমে জেনে নেয়া যাক রক্তের চর্বির স্বাভাবিক মাত্রা কত। এটা আমরা লিপিড প্রফাইলের মাধ্যমে জানতে পারি। টোটাল কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা ধরা হয় ২২০ মি.গ্রাম/ডিএল পর্যন্ত বা 5.2 mmol/L আর ট্রাইগ্লিসারাইড 50-150 mg /dl পর্যন্ত স্বাভাবিক বা 2.3 mmol/HDL বা হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনকে বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল, এটা বেশি থাকাই কাম্য। HDL 35mg /dl বা 0.9 mmol/L এর কম হলে সেটা ভালো নয়।

এবারে আমরা জেনে নেবো কিভাবে আমরা রক্তে চর্বির পরিমাণ কমাতে পারি বা কম রাখতে পারি। প্রথমেই বলা যাক খাদ্যতালিকায় কী কী সংযোজন বা পরিহার করতে হবে।

গরু ও খাসির গোশত খাওয়া কমিয়ে দিন। আর, হ্যাঁ, সেই সাথে অবশ্যই কলিজা জাতীয় খাবারও আপনাকে কম খেতে বা খাওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রচুর মপরিমাণে মাছ খান। শাকসবজি ও ফল খান। দুধ বা দুধ থেকে উত্পন্ন খাদ্য যেন- ঘি, পনির, মাখন, আইসক্রিম খাবেন না। ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাবেন, তার মানে শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে। নারকেল বা নারকেল দেয়া খাবার পরিত্যাগ করুন।

খাবার তালিকা সংশোধনের সাথে সাথে হূদরোগ-এর ঝুঁকি বাড়ায় এমন কোনো অভ্যাস যেমন ধূমপান পরিহার করতে হবে। তাছাড়া উচ্চরক্তচাপ থাকলে তার জন্য সঠিক চিকিত্সা নেয়া জরুরি।

এরপর আসা যাক অ্যারোবিক এক্সারসাইজের কথায়। ব্যায়াম করার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ব্যায়াম করা স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন।

এবার আসা যাক অ্যান্টি আক্সিডেন্ট ভিটামিনের কথায়। ভিটামিন এ, ই ও সি হচ্ছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন। নানাভাবে এরা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় ও হূদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ভিটামিন এ রয়েছে রঙিন শাক সবজিতে। আর প্রতিদিন অন্তত ১৫ গ্রাম ভিটামিন এ আমাদের জন্য প্রয়োজন। তাই ভিটামিন সমৃদ্ধ প্রচুর পরিমাণ কাঁচা ও রান্নাকরা শাকসবজি, ফল গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

খুব দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, তারপরও রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির পরিমাণ বেশি এ রকম অনেকেই আমাদের কারো না কারো পরিবারে আছেন। আর তাদেরকে তখন নানারকম ওষুধের মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

৫০ বছর এর অধিক বয়সী অনেক মহিলার সার্জারি করে জরায়ু ফেলে দেয়া হয়। আবার সে সময় তারা এমনিতেই মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি কালে চলে যান। এই সময় তারা যদি ইস্ট্রোজেন নেন তাহলে তারা হূদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন।

কারণ ইস্ট্রোজেন বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দেয়া হলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যেসব ওষুধ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় তা চারটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। বাইল এসিড রেজিন, নায়াসিন, স্ট্যাটিন এবং ফিব্রিক এসিড থেকে প্রাপ্ত ওষুধ।

১। বাইল এসিড রেজিনকে প্রথম ধাপের ওষুধ বলা হয়। এই ওষুধ কোলেস্টেরল এবং বাইল এসিডের সাথে সংযুক্ত হয় অন্ত্রে এবং কোলেস্টেরলের শোষণ কমায়। এতে করে লিভার রক্ত থেকে বেশি পরিমাণ এলডিএল বা লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন শুষে নেয়। এতে করে ২৫-৩০ ভাগ এলডিএল কমে যেতে পারে। বাইল এসিড রেজিনের সুবিধা এই যে, এটা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। তবে এটা খেলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান ও আশযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো এবং এতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

২। নায়াসিন বা নিকোটিনিক এসিড বি ভিটামিন। এটি ঠিক কিভাবে রক্তের চর্বির পরিমাণ কমায় তা জানা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, লিভারের এলডিএল কোলেস্টেরল তৈরিতে এটা বাধা দেয়। এটি ১৫-২০ ভাগ এলডিএল কমাতে পারে। এবং ২০-৩৫ ভাগ এইচডিএল-এর পরিমাণ বাড়ায়।

নায়াসিনের কর্মক্ষমতা ভালো কিন্তু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যেমন- মাথা ব্যথা, চুলকানি, মুখ চোখ ঝাঁঝাঁ করা ইত্যাদি। তবে নায়াসিন খাবার আগে ৩২৫ মি.গ্রাম অ্যাসপিরিন খেলে এগুলো কম হবে। নায়াসিন নেয়ার আগে এটাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, লিভার ঠিকমতো কাজ করছে কি না।

৩। স্ট্যাটিন বা এইচএমজি কো-এ রিডাকটেজ ইনহিবিটর-এর মধ্যে রয়েছে লোভাষ্ট্যাটিন, সিমভাস্ট্যান্টিন, প্রাভাস্ট্যাটিন, ফ্লুভাস্ট্যাটিন। নতুন আবিষ্কৃত অ্যাটরভ্যাস্টিন এবং

সারভিস্ট্যাটিন। এগুলো লিভারে কাজ করে, এরা কোলেস্টেরল তৈরিতে বাধা দেয়। এতে করে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। স্ট্যাটিন নেয়ার আগেও লিভারের কার্যক্ষমতা দেখে নিতে হবে।

কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন- মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে মাংসপেশিতে ব্যথা। এই ওষুধ প্রতিদিন দিন সন্ধ্যায় একবার গ্রহণ করলেই হয়।

৪। ফিব্রিক এসিড থেকে উত্পন্ন জেমোফ্রিব্রেজিল সাধারণত ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ব্যবহূত হয়। এটি ৩০-৬০ ভাগ ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। ১০-৩০ ভাগ পর্যন্ত এইচডিএল বাড়ায়। জেমোফ্রিব্রেজিল প্রায় সব রোগীদেরই সহ্য হয় তবে কারো কারো ডায়রিয়া, শরীরে ফুসকুড়ি ওঠা এসব হতে পারে। তা ছাড়া ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। আগে পিত্তথলির অসুখ হয়েছে এমন রোগীর জন্য নয় এটি।

জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হূদরোগের হাত থেকে রেহাই পেতে রক্তে কোলেস্টেরলের মান বা চর্বির মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত রাখা প্রয়োজন। এবং মনে রাখা দরকার যে, সেটি করতে হলে প্রথমেই নজর দিতে হবে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার দিকে। বর্জন করতে হবে অনেক কিছু আবার গ্রহণ করতেও হবে বাড়তি কিছু। আর লিপিড প্রফাইল করে জেনে নিতে হবে সব কোলেস্টেরলের মাত্রা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest