eadcd9de68bddfea8b78972be133cd47-58b138c115e7fওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়যাত্রা থেমেছিল ক্রাইস্টচার্চে। ১২ ম্যাচ পর একদিনের ক্রিকেটে তারা ভুলে যাওয়া হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে ওই পরাজয়ের পাল্টা শোধ ভালোভাবে নিল প্রোটিয়ারা। তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৫৯ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১১২ রানে নিউজিল্যান্ডকে গুটিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। আর এটিই দ্বিপাক্ষিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।

ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। শুরুটা হোঁচট দিয়ে হয়। দলীয় ৪১ রানে ওপেনার হাশিম আমলাকে (৭) হারায় তারা। এর পর ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে কুইন্টন ডি কক গড়েন ৭৩ রানের জুটি।

তবে দলের ২৩তম ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কলিন ডি গ্রান্ডহোমের এক ওভারেই ডু প্লেসিস ও ডি কক সাজঘরে ফেরেন। ৭০ বলে থামে ডি ককের ৬৮ রানের ইনিংস। ৩৬ রানে আউট ডু প্লেসিস।

ক্রিজে নেমেই দ্রুততম ৯ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানো ডি ভিলিয়ার্স উপযুক্ত সঙ্গ পাননি ডেভিড মিলার ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের কাছে থেকে। তবে নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ওয়েন পারনেলের সঙ্গে ৮৪ রানের শক্ত জুটি ছিল তার। ৮০ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে সর্বাধিক ৮৫ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন ডি ভিলিয়ার্স। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২৭১ রান।

লক্ষ্যটা খুব কঠিন নয়। কিন্তু ধীরগতির পিচ ও আউটফিল্ডে প্রোটিয়া পেসারদের সামলাতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। কাগিসো রাবাদা, ওয়েন পারনেল, আনদিল ফেলুকবায়ো ও প্রিটোরিয়াসের বলে ব্যাটিং ধস নামে। চার পেসারের মধ্যে প্রিটোরিয়াস সবচেয়ে এগিয়ে, তার বোলিং ফিগার ৫.২-১-৫-৩। বাকিরা নেন ২টি করে উইকেট। পেসারদের উদযাপনের দিন খালি হাতে ফেরেননি ইমরান তাহির, একটি উইকেট নেন এ স্পিনার।

নিউজিল্যান্ড ১১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কেন উইলিয়ামসন (২৩) ও রস টেলর (১৮)। তাদের ৩৭ রানের জুটিই ব্ল্যাক ক্যাপদের একমাত্র প্রতিরোধ।

আর পেরে ওঠেনি স্বাগতিকরা। ১০০ না পেরোতেই ৯ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, আর গুটিয়ে যায় ১১২ রানে। গ্রান্ডহোম সর্বোচ্চ ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সূত্র- ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা- ২৭১/৮ (ডি ভিলিয়ার্স ৮৫, ডি কক ৬৮; গ্রান্ডহোম ২/৪০)

নিউজিল্যান্ড- ৩২.২ ওভারে ১১২ (গ্রান্ডহোম ৩৪, উইলিয়ামসন ২৩; প্রিটোরিয়াস ৩/৫)

ফল- দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ রানে জয়ী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

39de7581cf9df7b31f621a09ec8af853-58b0739d6d537আজ পিলখানা ট্র্যাজেডির আট বছর। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর-এর (বর্তমানে বিজিবি-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিপথগামী সদস্যরা কতিপয় দাবি-দাওয়ার নামে পিলখানায় নারকীয় তাণ্ডব চালায়। এসময় তারা অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়।  ওই দু’দিনে তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের হাতে বাহিনীর তখনকার  মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও নিহত হন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বাহিনীর আইনে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ছাড়াও আরও ৪২৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। বিভাগীয় মামলায় চাকরিচ্যুতসহ সাজা দেওয়া হয় আরও অনেককে। ২০০৯ সালের নির্মম এ হত্যাযজ্ঞের পর পুরো বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে বাহিনীর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কলঙ্কিত সেই ইতিহাস ও ক্ষত ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এখনও।

কর্মসূচি: পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ ব্যক্তিবর্গের স্মরণে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে বিজিবি। দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে, পিলখানাসহ বিজিবি’র সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় বাদ ফজর খতমে কোরআনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবির সব মসজিদ ও বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার বাদ আসর পিলখানার বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদ ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্য পদবির সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা অংশ নেবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

channel_i_okeefe-1ম্যাচের গতিপথ নির্ধারিত হয়ে গেছে দ্বিতীয় দিনেই। ভারত যখন একশর পর গুটিয়ে গেছে। পরে অস্ট্রেলিয়া লিডটা সাড়ে চারশর কাছে টেনে নিলে দেখার ছিল কতটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন বিরাট কোহলিরা। তাতে আরেকটি গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জাই মিলেছে। অজি স্পিন-তোপের সামনে প্রথম ইনিংসের থেকে অবশ্য ২ রান বেশি করেছে স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে সান্ত্বনা এই দুটি রানে বেশি করতে পারাই! জয়ে সিরিজ শুরু করা সফরকারীদের সাফল্যটি ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানের। ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের দিক থেকে দ্বিতীয়।

ম্যাচ জিততে ৪৪১ রানের পাহাড়সম বোঝার পেছনে ছুঁটতে হতো। গড়তে হতো রেকর্ড। ভারতের মাটিতে তো নয়ই, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ৪১৮ রানের। চারশর ওপরে আর মাত্র চারটি রান তাড়ার ইতিহাস আছে। সেখানে পুনের খানাখন্দ পিচ। ভারতের ইনিংসটাও তাই অসহায় আত্মসমর্পণের বিষাদমাখা গল্পই হয়ে থাকল।

মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে অজিরা যখন বিজয় উল্লাসে মত্ত, তখনও প্রায় একটা সেশন বাকি। ভারতের ব্যাটসম্যানরা এলেন আর গেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৭! তাতে মুল ভূমিকা থাকল সেই স্টিভ ও’কিফেরই। এবারও ৩৫ রানে ৬ উইকেট। বল করেছেন ১৫ ওভার। প্রথম ইনিংসে ভারতকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ১৩.১ ওভারে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।

সব মিলিয়ে ম্যাচে ১২ উইকেট ও’কিফের, ৭০ রানে। ভারতের মাটিতে যেটা দ্বিতীয় সেরার বোলিংয়ের রেকর্ড। ১৯৮০ সালে মুম্বাই টেস্টের দুই ইনিংসে ১০৬ রানে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম।

ও’কিফের সঙ্গে জ্বলে উঠেছিলেন নাথান লায়নও। ৫৩ রানে ৪ উইকেট তার। দুই স্পিনারে সামনে ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেরেছেন কেবল চারজন। সর্বোচ্চটি পূজারার ৩১! বাকিদের মধ্যে লোকেশ রাহুল ১০, আজিঙ্কা রাহানে ১৮ ও অধিনায়ক কোহলি ১৩ রান করেছেন। প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা কোহলির ম্যাচে রান এই ১৩-ই। ঘরের মাঠে দুই ইনিংসে ব্যাট করা টেস্টে তার ব্যক্তিগত সর্বনিম্ন অবদান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Australia's captain Steve Smith celebrates after scoring a century (100 runs)on the third day of the first cricket Test match between India and Australia at The Maharashtra Cricket Association Stadium in Pune on February 25, 2017.  ----IMAGE RESTRICTED TO EDITORIAL USE - STRICTLY NO COMMERCIAL USE----- / GETTYOUT / AFP PHOTO / INDRANIL MUKHERJEE / ----IMAGE RESTRICTED TO EDITORIAL USE - STRICTLY NO COMMERCIAL USE----- / GETTYOUT

প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে একটু বেশিই পছন্দ স্টিভেন স্মিথের। টানা পাঁচ টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে। তাতে কোহলিদের বিপদ বাড়ল কয়েকগুণ। অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যাওয়ার পথে ম্যাচ জিততে ৪৪১ রানের পাহাড়সম বোঝা ছুঁড়ে দিয়েছে ভারতের সামনে।

যেটা টপকাতে রেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিকদের। ভারতের মাটিতে তো নয়ই, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই চতুর্থ ইনিংসে এত বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই কোনো দলের।

টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ার রেকর্ডটি ওয়েন্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে রেকর্ড জয়ের কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবীয়রা। পরের রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৮ সালে পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ৪১৪ রান করে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। এছাড়া ৪০০-এর ওপর রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে আর মাত্র দুটি। যার একটি ভারতের। সেটি অবশ্য ১৯৭৬ সালের ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪০৬ রান করে জিতেছিল ভারত।

মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে এসেছিলেন স্মিথ। অধিনায়ক ফিরেছেন ১০৯ রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ১৮তম শতক। আরেক অপরাজিত মিচেল মার্শ ৩১ রানে সাজঘরে হাঁটা দেন।

সঙ্গে ম্যাথু ওয়েড ২০ ও প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা মিচেল স্টার্কের ৩০ রানে লিডটা সাড়ে চারশর কাছে টেনে নেয় অজিরা। সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ২৮৫ রানে।

অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস থেকে অশ্বিনের ঝুলিতে গেছে চারটি উইকেট। জাদেজার ৩টি, উমেশ যাদবের ২টি ও জয়ন্ত যাদবের দখলে ১টি করে উইকেট।

এর আগে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ২৬০ রানে গুটিয়ে যায়। পরে স্টিভ ও’কিফের তোপের মুখে পরে ভারত। নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪০.১ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ও’কিফ ১৩.১ ওভারে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংস থেকেই ১৫৫ রানের লিড পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষপর্যন্ত যেটি বোঝায় পরিণত হয়েছে। হাতে আড়াই দিন। সামনে ভাঙা পিচে অজিদের স্পিন-বিষ। কোহলি-রাহানেদের সামনে এখন তাই স্পিন-সম চ্যালেঞ্জ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dc-pictureনিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ও উদ্ভাবন উৎসবে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে সম্মাননা পেলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে ‘উদ্ভাবন উৎসব ও বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০১৭’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের হাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বর্ণ পদক ও ক্রেস্ট তুলে দেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এবং খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান প্রমুখ। সম্মাননা প্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘খুলনা বিভাগের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া ও চর্চায় অনেক এগিয়ে আছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে এ জেলার সকল নাগরিকের সহযোগিতায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এলিট পার্সন ও সাংবাদিকরা এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে। যার ফলে, ২০১৭ তে শ্রেষ্ঠ জেলা টিম, শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক, শ্রেষ্ঠ অতিঃ জেলা প্রশাসক, শ্রেষ্ঠ ইউএনও, শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড, শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান, শ্রেষ্ঠ বেসরকারি উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ ইউডিসি উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন ওয়েব পোর্টাল, শ্রেষ্ঠ সিটিজেন জার্নালিস্ট সহ মোট ১০ টি ক্যাটাগরিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অর্জিত এ সাফল্যের জন্য তিনি সাতক্ষীরাবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং অভিনন্দন জানান। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা খুলনা বিভাগীয় উদ্ভাবন সংকলন ২০১৭ ‘উদ্ভাবন নক্ষত্র’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা। এ জেলার পর্যটন শিল্পসহ নানা বৈচিত্র্যতায় মুখরিত। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের একটি বড় অংশও রয়েছে এ জেলায়। এছাড়াও নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন শিল্পের প্রসারে এ জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারসহ নানাবিধ ইনোভেশন উদ্যোগ। ইতিহাস ঐতিহ্যের এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস কৃষিকাজ ও মৎস্য চাষ। আম ও চিংড়ী রপ্তানির ক্ষেত্রেও এ জেলা ইতিমধ্যে অনন্য স্বীকৃতি লাভ করেছে। ক্রীড়া ও সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায়ও রয়েছে সাফল্য। আগামী দিনে সাতক্ষীরা জেলাকে উন্নয়নমূলক ও ডিজিটাল সাতক্ষীরা হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সারাদেশের মতো সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলার মোট ৮টি থানা এবং ৭৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে সাধারণ নাগরিকরা ই-সেবা পাচ্ছেন। বেকার যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। এসব তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলো নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ওয়েব সাইটে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে ভূমি অফিসসহ অন্যান্য অফিসিয়াল কার্যক্রমেও। ওয়েব সাইট থেকেই জনগণ জেলার প্রয়োজনীয় সব তথ্য জানতে পারছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সবার সহযোগিতা পাচ্ছেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
বাল্য বিবাহ রোধে’র ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এ প্রতিনিধিকে বলেন, সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সামাজিক সমস্যার নাম বাল্য বিয়ে। বাল্য বিবাহ বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোথাও বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। এ সমস্যা পুরোপুরি দূর করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার সার্বিক শিক্ষার হার বেড়েছে। গ্রাম ও দুর্গম চরে স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের স্কুলমুখী করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে নারী শিক্ষার হারও। এছাড়া সাতক্ষীরা কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
খেলাধুলা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, খেলাধুলায় সাতক্ষীরা জেলার রয়েছে অনন্য অবদান। সম্প্রতি বিশ্ব ক্রিকেটে মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকারের অসাধারণ নৈপুণ্য সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিম-লে সুপরিচিত করেছে। ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল রেফারী হিসেবে তৈয়ব হাসান বাবু এবং প্রমীলা ফুটবলে সাবিনার রয়েছে অনন্য সাফল্য। ক্রীড়ার অন্যান্য ক্ষেত্রেও সাতক্ষীরার অবস্থান চোখের পড়ার মতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

SAMSUNG CAMERA PICTURES

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ৭০০ পিছ ইয়াবা সহ এক বৃদ্ধকে আটক করেছে কাটিয়া ফাঁড়ি পুলিশ। বৃদ্ধের নাম মমিনুল ইসলাম মনা(৫৬)। সে পাটকেলঘাটা থানাধীন বায়গুনী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত শরফরাজ মোড়লের ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাটিয়া ফাঁড়ির টি এস আই আবুল কালাম আজাদ, এ টি এস আই এনামুল হক, এ এস আই মুকাদ্দেস ও কনেস্টেবল আনিসুর রহমান শহরের কাটিয়া আমতলা মোড়স্থ সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সামনের পাকা  রাস্তা হতে আজ শুক্রবার সন্ধা ৭ টার দিকে ৭০০ পিছ ইয়াবাসহ মমিনুলকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে। এ দিকে বৃদ্ধ মমিনুল জানান, মাগুরার খলিলুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন আমতলার মোড় হতে পাটকেল ঘাটার পারকুমিরা গ্রামের মৃত ভূদেব নদীর ছেলে সঞ্জয় এর কাছে পৌছে দেবার জন্য প্যাকেট দুটো তাকে দিয়েছিল। বৃদ্ধ মমিনুল আরো জানান, এই মালের মালিক সে না, সে বাহক মাত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

333প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কবি সিকান্দার আবু জাফরের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও সিকান্দার মেলা উপলক্ষ্যে একটি স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উক্ত স্মরণিকায় গল্প, কবিতা, ছড়া ও প্রবন্ধ প্রকাশ করা হবে। আগ্রহীদের লেখা (সফট কপিসহ) আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ এর মধ্যে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাতক্ষীরা বরাবর প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

sikandar_1856আবু সাঈদ
নেজারত ডেপুটি কালেক্টর
সাতক্ষীরা

সদস্য-সচিব
প্রকাশনা উপ-কমিটি
ফোন: ০১৭৩৩০৭৩৬০৪
ই-মেইল: ndcsatkhira87@gmail.com

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_94828342_hefajotislambangladesh5সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণের দাবি হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার সমর্থক শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে।

ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণের বাইরে জুমার নামাজের পর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

হেফাজত নেতারা সমাবেশে হুমকি দিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা না হলে ‘শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারে।

উল্লেখ্য এই কট্টর ইসলামপন্থী দলটি ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকার শাপলা চত্বরে কয়েক লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে সেখানে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছিল। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী সেই সমাবেশে অভিযান চালিয়ে হেফাজত সমর্থকদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। হেফাজতে ইসলামের সেবারের বিক্ষোভটি ছিল বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন করার দাবিতে।

সেই অভিযানে বেশ কিছু মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।

সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা এই ভাস্কর্য নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই হেফাজতে ইসলাম-সহ কয়েকটি দল আপত্তি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এই প্রথম ঢাকায় এরকম বড় কোন সমাবেশ থেকে দলটি গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের জন্য সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হলো।

শুক্রবার জুমার নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করেন। এদের বেশিরভাগই ছিলেন ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র।

জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। সেখানে সংগঠনের নেতা নুর হোসেন কাশেমি সহ অনেকে বক্তৃতা দেন।

সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সবার প্রতিষ্ঠান। কাজেই সেখানে এরকম মূর্তি স্থাপন করা যাবে না।

হেফাজত নেতারা বলেছেন, মূর্তি অপসারণের দাবিতে তাদের কর্মসূচি শুরু হলো মাত্র। সরকার যদি তাদের দাবি না মানে তাহলে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে হুমকি দেন সংগঠনের নীচের স্তরের কয়েক জন নেতা।

সমাবেশ শেষে কড়া পুলিশ পাহারায় হেফাজতে ইসলামের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest