সর্বশেষ সংবাদ-

e7ydnm_6আমে খনিজ লবন এবং ভিটামিন উপাদান (ভিটামিন এ ভিটামিন সি, ভিটামিন -বি৬), পটাসিয়াম, কপার লৌহ এবং এমাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও আমে বায়োলজিক্যাল উপাদান, প্রো ভিটামিন এ বেটা ক্যারোটিন, লুশিয়েন এবং আলফা ক্যারোটিন পলি পিথানল কিউরেচিন কাম্ফারল, জিলাইক এসিড ক্যাফিক এসিড, সহ আরও অনেক উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারী।

আম খাওয়ার ফলে আমাদের জীবনযাপনের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে আম খাওয়ার ফলে স্থুলতা, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া ত্বক ও চুলের রঙের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, দেহের শক্তি বৃদ্ধির জন্য, কোলন ক্যান্সার রোধে, হাড় ও হজম শক্তির উন্নত করার ক্ষেত্রে এই ফলের ভূমিকা রয়েছে। এক কাপ আম আপনার দৈনন্দিনের ভিটামিন এ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে? ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

আমে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে যার ফলে ত্বক সতেজ ও টানটান হয়। আম খেলে সূর্যের আলোতে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের ক্ষতির পরিমান কমে যায়। এছাড়া পাকা আম ত্বকে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করলে লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়। লিভার, ডায়বেটিস, কোলেস্টেরল কামাতে আমের ভূমিকা অতুলনীয়।

গবেষকরা বলেছেন যে, আমে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটা কোলন,স্তন, লিউকেমিয়া এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ত্বক পরিস্কারে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে। পাকা আমের আঁশ, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সহায়তা করে। এতে আছে প্রয়োজনীয় এনজাইম যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সূত্রঃ ফেমিনা!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

nfqcm6_imagesআফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের একটি সেনাঘাঁটিতে তালেবান হামলায় নিহত সেনা সদস্যের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৪০ জন হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। এক আফগান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে। আবার কোনও কোনও কর্মকর্তা মনে করছেন প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি। তবে আফগান সরকারের পক্ষ থেকে এখনও নিহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। এ হামলাকে আফগান সেনাঘাঁটিতে হওয়া এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

আফগান সেনা মুখপাত্র নাসরাতুল্লাহ জামশিদি জানান, বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের সেনা ঘাঁটির একটি মসজিদের কাছে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) এ হামলা হয়।  হামলার সময় সেনা সদস্যরা শুক্রবারের নামাজ পরে বের হচ্ছিলেন। সামরিক পোশাকে এবং দুটি সামরিক যানে করে সেনাঘাঁটির গেটে হাজির হয় ছয় হামলাকারী। নিরাপত্তারক্ষীকে তারা বলে ওই গাড়িগুলোতে করে আহত সেনাদের নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের জরুরি ভিত্তিতে ভেতরে ঢোকা প্রয়োজন। পরে সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গুলি করতে থাকে তারা। প্রাথমিকভাবে আফগান সেনা মুখপাত্র নাসরাতুল্লাহ জামশিদি জানিয়েছিলেন হামলাকারীরা ৮ সেনাকে হত্যা করে এবং ১১ জনকে আহত করে। পাল্টা হামলায় এক হামলাকারী নিহত এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান তিনি।নাম প্রকাশ না করে এক আফগান কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ১৪০ জন নিহত হয়েছে। এর আগে নিহতের সংখ্যা ২০-৫০ জন বলে জানানো হয়েছিল।

এদিকে হামলার দায় স্বীকার করে তালেবান জানিয়েছে, তাদের হামলাকারীরা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রথমেই ঘাঁটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়েছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি।
আফগানিস্তানে মোতায়েনকৃত বিদেশি সেনা সদস্যরা প্রায়ই ঘাঁটিটি ব্যবহার করে থাকে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ ঘাঁটিতে তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে থাকেন। তবে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন জোটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ হামলার ঘটনায় কোনও বিদেশি সেনা মোতায়েন হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

v0tplw_sabnurঢালিউডের নন্দিত অভিনেত্রী শাবনূর অসুস্থ। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই থাইরয়েড রোগে ভুগছিলেন। তবে সম্প্রতি এর প্রকোপ বেড়েছে। থাইরয়েডের কারণে শাবনূরের শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে।

শাবনূরের বাবা শাহজাহান চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাবনূর থাইরয়েড রোগে ভুগছেন। হঠাৎ করেই ওর সারা শরীর কেঁপে ওঠে। পুরোপুরি সুস্থ হতে একবছর তাকে চিকিৎসা নিতে হবে।

২০১১ সালের ডিসেম্বরে যশোরের ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির অবার্ন হাসপাতালে পুত্র আইজানের জন্ম দেন চিত্রনায়িকা শাবনূর। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতেই অবস্থান করছেন শাবনূর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

t615sq_ramvilasvedanti১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য সমবেত করসেবকদের ‘উত্তেজিত’ করতে কোন ‘প্ররোচনামূলক ভাষণ’ই দেননি ‘লৌহমানব’ লালকৃষ্ণ আদভানি, সেই ভাষণ আসলে দিয়েছিলেন তিনি নিজে, আজ একথা স্বীকার করে নিলেন সাবেক বিজেপি সাংসদ রাম বিলাস বেদান্তি।

বেদান্তি জানিয়েছেন, সেদিন তারই কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল, “এক ধাক্কা অউর দো, বাবরি মসজিদ টুট দো” স্লোগান। আর এই স্লোগান শুনেই ‘রামপন্থী’ করসেবকরা একের পর এক আঘাতে ভেঙে ফেলেছিল বাবরি মসজিদ।

‘প্ররোচনামূলক ভাষণ’ দিয়ে ‘ফৌজদারি ষড়যন্ত্রে’র আওতা থেকে আদভানিকে ক্লিনচিট দিয়ে রাম বিলাস বেদান্তি আরও বলেন যে, তিনি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা অশোক সিংহল এবং মহন্ত অভেদ্যনাথ যখন ‘প্ররোচনা’ দিচ্ছিলেন, তখন বরং আদবানী, যোশী এবং বিজয় রাজে সিন্ধিয়ারা করসেবকদের ‘শান্ত করার’ চেষ্টা করছিলেন।

প্রসঙ্গত, যে ১৩ জনের নামে বাবরি কাণ্ডে ‘ফৌজদারি ষড়যন্ত্রে’র তদন্ত করার ছাড়পত্র পেয়েছে সিবিআই, তার মধ্যে অন্যতম হলেন রাম বিলাস বেদান্তি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশিত হওয়ার দুদিন পরে ‘হঠাৎ করে’ কেন ‘সত্য স্বীকারে’র ইচ্ছা হল বেদান্তির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

e74aace693b713ef8dbffcd728abd9ea-58fa3e1e13ebe‘আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না/ ফেরারী পাখিরা কূলায় ফেরে না’— লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোক জানাতে তার এই গানের কথা বেছে নিয়েছেন সংগীতসহ শোবিজের শিল্পীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা শোকময় স্ট্যাটাস দিয়ে কিংবদন্তি এই সংগীত ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

মাইলস ব্যান্ডের তারকা শাফিন আহমেদ লিখেছেন, ‘লাকী ভাই আপনি আমাদের অনেক কালজয়ী গান দিয়েছেন। আপনাকে আমাদের মাঝে রেখে দিতে পারলে বাংলা গানের জন্য মঙ্গল হতো। কিন্তু তা না পারায় আমরা দুঃখিত। আপনার গান আমরা উপভোগ করে যাবো। আপনি শান্তিতে থাকুন।’

বরেণ্য সুরকার আলাউদ্দিন আলী লিখেছেন, ‘গতকাল শুনলাম বাসায় আছো, খুব ভালো আছো। একটু আগে পৌনে আটটায় এক সাংবাদিক জানালো তুমি সন্ধ্যায় চলে গেছো। আল্লাহকে বলি- তোমায় দেখে রেখো, শান্তিতে রেখো।’
কুমার বিশ্বজিৎ লেখেন, ‌‘‘আজও মনে পড়ে ১৯৭৭ সালে যেদিন তিনি আমাকে প্রতম অ্যালবামের জন্য গানটি দিয়েছিলেন। ‘যেখানে সীমান্ত আমার’- যে গানটি আমাকে দিয়েছে নতুন জীবন। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে  লাকী ভাইর অবদান ভুলে যাওয়ার নয়। আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। প্রার্থনা করি, আপনি ওপারে স্বর্গসুখ পাবেন।’’

চিরকুট ব্যান্ডের শারমিন সুলতানা সুমী লিখেছেন, ‘সত্যিকারের এক শিল্পী। সৃষ্টিতে, ব্যক্তিত্বে। কোনওদিন নিজেকে জাহির করতে দেখিনি তাকে। তার জন্য শ্রদ্ধাটা তাই মন থেকেই। ভালো থাকবেন কিংবদন্তি লাকী আখন্দ। আল্লাহ আপনাকে নিশ্চয় শ্রেষ্ঠ জায়গায় রাখবেন!’

প্রবাসে থেকে সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন লিখেছেন, ‘‘এক কিংবদন্তির চির প্রস্থান। লাকী ভাই চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। কী লিখব কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। এই পাহাড় সম ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে দু-এক লাইনে কী বলব? শেষ যেদিন দেখতে গিয়েছিলাম, ফিরে আসার সময় আমার হাত ধরে অনেক অনেক মনের কথা, আদেশ উপদেশ আক্ষেপের কথা বলেছিলেন। হাসিমুখে এও বলেছিলেন, ‘ইমন তুই আমাকে মাটি দিতে নিয়ে যাবি, আমি দেখতে পাব সব।’ আমার চোখ বেয়ে এখন অঝরে পানি পড়ছে। চিৎকার করে কাঁদতেও পারছিনা। লাকী ভাই, আমি আপনার কথা রাখতে পারলাম না। আমি যে অনেক দূরে এখন। ক্ষমা কর দিবেন।’’
গায়ক পারভেজ লিখেছেন, ‘লাকী স্যারও চলে গেলেন! বাংলা সংগীতের আরও একটি স্তম্ভ ভেঙে পড়লো।’ সংগীত পরিচালক রিপন খান ও সুমন কল্যাণ উল্লেখ করেছেন, ‘ফেরারী পাখিরা কুলায় ফেরে না!’ শোক জানিয়েছেন গীতিকার আসিফ ইকবাল, গায়িকা দিনাত জাহান মুন্নী, দিঠি চৌধুরী, সংগীতশিল্পী সুজন আরিফ, শফিক তুহিন, জয় শাহরিয়ার, লুৎফর হাসান, অয়ন চাকলাদারসহ অনেকে।
শুধু গানের শিল্পীরাই নন, শোবিজের অন্য তারকারাও শোক জানিয়েছেন। নাট্যকার মাসুম রেজা উল্লেখ করেছেন ‘এই নীল মনিহার’ গানটির কথা। অভিনেতা হিল্লোল লিখেছেন, ‘তিনি ছিলেন কিংবদন্তি।’ চিত্রনায়ক নিরব ও টিভি অভিনেতা মার্শাল স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘আগে যদি জানতাম, তবে মন ফিরে চাইতাম।’
উপস্থাপিকা মারিয়া নূর, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি ও চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামান লিখেছেন, ‘আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না।’ এছাড়া শোক জানিয়েছেন আরজে সায়েম, অভিনেত্রী আয়শা মনিকাসহ অনেকে।
এদিকে লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবরে তার আরমানিটোলার বাসায় শুক্রবার রাতে ছুটে গিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, ফাহমিদা নবী, গীতিকবি আসিফ ইকবালসহ অনেকেই। শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বল হাতে বিবর্ণ সাকিব

কর্তৃক Daily Satkhira

22801382999d23854650bf0b7ed0dc10-58fa4c7a09fd3ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র এক বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বোলিংয়ে শুরুতে সুযোগ পেলেও ওই ওভারে দিয়েছেন ৯ রান! খরুচে বোলিংয়ের উদাহরণ দিয়েছেন পরের দুই ওভারেও। দ্বিতীয় ওভারে ১৫ ও তৃতীয় ওভারে দেন আরও ১০ রান। মোট ৩১ রান দিলেও ঝুলিতে ছিল না কোনও উইকেট। সাকিবের এমন বিবর্ণ বোলিংয়ের ম্যাচে হারটাও যেন কাম্য ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। গুজরাট লায়ন্সের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে কেকেআর।

৫ ম্যাচ পর একাদশে ঢুকেছিলেন সাকিব আল হাসান। টস হেরে কলকাতা নাইট রাইডার্স ব্যাটিংয়ে নামলে একেবারে শেষ দিকে ব্যাট করার সুযোগ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শেষ বলে খেলতে নেমে এক রান করারই সুযোগ পান কেকেআর তারকা। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে গুজরাটের বিপক্ষে কেকেআর সংগ্রহ করেছে ১৮৭ রান।

স্বাগতিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মাঠে শুরুতেই ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন স্পিনার নারিন। আর নেমেই ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালাতে থাকেন। পাওয়ার প্লের পুরো ফায়দাই তুলে নেন। যেখানে ৩.২ ওভারেই আসে ৪৫ রান। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪২ রানে রায়নার বলে আর স্থির থাকতে পারলেন না নারিন। ফকনারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অবশ্য পরে অধিনায়ক গম্ভীর ও উথাপ্পা হাত চালিয়ে খেলেন। গম্ভীর ৩৩ রান করলেও ৪৮ বলে ৭২ রান করেন উথাপ্পা। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও দুটি ছয়।

এরপর উথাপ্পা ফিরলে একেবারে শেষ ওভারে থাম্পির ওভারে একে একে বিদায় নেন মনিশ পান্ডে ও সূর্য কুমার। শেষ বলে তখনই ব্যাট করতে নামেন সাকিব। এক বলে মাত্র এক রান নিলে ১৮৭ রানই দাঁড়ায় কলকাতার পুঁজি। যা এবারের আসরে দলটির সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

জবাবে খেলতে নেমে আগের ম্যাচেরই যেন প্রতিশোধ নেয় গুজরাট। ম্যাককালাম-ফিঞ্চের জুটিতে ৩.৩ ওভারেই আসে ৪২। ফিঞ্চ ৩১ রানে ফিরলে ৩৩ রানে ফিরে যান ম্যাককালামও। অবশ্য পরের কাজ সহজ করে দেন অধিনায়ক সুরেশ রায়না। ৪৬ বলে ঝড়ো ৮৪ রান করেন তিনি। জয়ের মঞ্চ বানিয়ে বিদায় নিলেও ততক্ষণে জয়ের কাছাকাছি গুজরাট। ষষ্ঠ উইকেটে জাদেজার সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। শেষ দিকে ১৮.২ ওভারে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন রবিন্দ্র জাদেজা (১৯) ও জেমস ফকনার (৪)।

শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে গুজরাট। অথচ এই দলটির বিপক্ষেই এই আসরে শুরুতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতেছিল কেকেআর। কলকাতারই ঘরের মাঠে সেই হারের প্রতিশোধ নিল ফিরতি ম্যাচে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

লাকী আখান্দ আর নেই

কর্তৃক Daily Satkhira

luckhey_akhondo20170421193900বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী লাকী আখান্দ আর নেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে আরমানিটোলার বাসা থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক  লাকী আখান্দকে মৃত ঘোষণা করেন। ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা ও সংগীতশিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

লাকী আখান্দ ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন।  ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে লাকী আখান্দের প্রথম সলো অ্যালবাম প্রকাশ পায়। তিনি ব্যান্ড দল ‘হ্যাপি টাচ’-এর সদস্য। তার বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘আগে যদি জানতাম’।

তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশি জাতীয় রেডিও নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ বেতার এর পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

১৯৬৯ সালে লাকী আখান্দ পাকিস্তানি আর্ট কাউন্সিল হতে বাংলা আধুনিক গান বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে পদক লাভ করেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

integrity-unit-satkhira-pictureনিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি অভূতপূর্ব সাফল্য ধরে রেখেছে। জেএসসি,  পিএসসি ও এস. এস. সি পরীক্ষায় নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৬ সালের জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় জেলার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ বিদ্যালয়ের ফলাফল শ্রেষ্ঠ। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এ বিদ্যালয়ের অবস্থান সাফল্যের শীর্ষে।
জেলার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় সব চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ৮শ’ জন ছাত্রী নিয়ে কাস চলছে এবং ৩৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারী বিদ্যালয়টির উন্নয়নে অকান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দীপা দাস এসএসসি ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে বৃত্তি পেয়ে নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। এছাড়া ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ১২০ শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং ৪জন গোল্ডেল এ প্লাস, ৯জন এ প্লাস এবং ৫২জন এ-সহ শতভাগ পাশ করেছে। পিএসসি পরীক্ষায় ২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করার সাফল্য অর্জন করেছে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আব্দুল মালেক গাজী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরে এসেছে। অভিভাবকদের দাবি, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ ফলাফল অর্জন হয়েছে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ প্রচেষ্টায়। আমরা বিদ্যালয়ের নিজস্ব খরচে প্রতিনিয়ত কাস টেস্ট পরীক্ষা নিয়েছি। আমাদের শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত দুর্বল শিক্ষার্থী জন্য বিশেষ কাস নিয়েছে। প্রতিটি কাস আন্তরিকতার সাথে নেওয়ায় এবং অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও অভিভাবক সমাবেশ করেছি ফলে আমাদের আমাদের এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest