সর্বশেষ সংবাদ-
মানিকহারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অর্ধলক্ষ টাকার গাছপালা কেটে নেওয়ার অভিযোগতালার ইসলামকাটিতে যৌথ পরিকল্পনা উন্নয়ন বিষয়ক সংলাপ সভাবুধহাটায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যুবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মর্নিং সান প্রি- ক্যাডেট স্কুলে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পসাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনী

pic-manob-b
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ট্রলির ধাক্কায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুল ছাত্র মো: আব্দুল গফ্ফারের মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপদ সড়ক ও অবৈধ যান বাহন বন্ধের দাবিতেও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত। শনিবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কাকশিয়লী নদীর ধারে বঙ্গবন্ধু মুর‌্যাল চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সহযোগিতায় কালিগঞ্জ উপজেলার শোকাহত ছাত্রসমাজ এ মানব বন্ধনের আয়োজন করে। ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম জয়বাংলার সভাপতিত্বে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. মোজাহার হোসেন কান্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম সিরাজ, নিহত স্কুল ছাত্র গফফারের পিতা-মাতাসহ স্কুল কলেজের শিক্ষক- শিক্ষিকা ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে একই স্থানে নিহত স্কুল ছাত্র গফফারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিত ও অবৈধ যান বাহনের কারণে জেলার সড়ক গুলো আজ অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এছাড়া দিনের বেলায় অতিরিক্ত মাত্রায় পণ্য পরিবহন চলাচলের সড়ক হয়ে উঠছে অত্যন্ত ব্যস্ত। যে কারণে প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে অকালেই ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। কিন্তু তারপরও ওই সব অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে না। বক্তারা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সকল পণ্য পরিবহন রাতের বেলায় চলাচলের নির্দেশ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

k-lig
নিজস্ব প্রতিবেদক : সদর উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিতসভা ও পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে জেলা কৃষকলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। প্রধানবক্তা ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক ঘোষ প্রদ্যুৎ। সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স.ম তাজমিনুর রহমান টুটুলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, শিবপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ঢালী, আগরদাড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আনছার আলী, ফিংড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মহানন্দ, আহবায়ক সদস্য আতাউর রহমান প্রমুখ। সভায় ২১ ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

tamaস্বাস্থ্য ও জীবন: গ্রামের মেয়েদের দিনের শেষে পানি ভর্তি কলসি নিয়ে ঘরে ফেরার দৃশ্য খুবই পরিচিত। সেই কলসি হয় মাটির তৈরি নয় তামার। নানী-দাদীদের সময় থেকে চলে আসছে এ ঐতিহ্য। বর্তমানে আমরা পানি সংরক্ষণে নানা ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করি।
তবে আধুনিক সমাজে তামার কলসিতে পানি সংরক্ষণ সেকেলে মনে হলেও নতুন করে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মিলেছে। নানা ধরনের রোগ-ব্যাধির মুক্তি দেয় এই পদ্ধতি। এভাবে পানি সংরক্ষণ করলে পানিতে মিশে থাকা বিভিন্ন অণুজীব, শৈবাল, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। যা মানুষকে অনেকটাই সুস্থ রাখে। সকালে ঘুম থেকে উঠে তামার পাত্রে রাখা এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তামার গ্লাসে পানি পান করলে শরীরে ১১ টি উপকার হয় বলে গবেষণায় জানা যায়।
১. হজম শক্তি বাড়ায়।
২. ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩. দ্রুত সুস্থতা লাভে সহায়তা করে।
৪. বয়সের ছাপ কমায়।
৫. হৃৎপিন্ডকে সুস্থ রাখে এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে।
৬. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৭. রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৮. শরীরে থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৯. বাতের ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১০. ত্বকের উজ্বলতা এবং মসৃণতা বৃদ্ধি করে।
১১. রক্তশূণ্যতা কমায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1487303879-indonesia-02আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দেশ হিসেবে পাঠকের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। লন্ডনভিত্তিক ট্রাভেল গাইড বিষয়ক ওয়েবসাইট রাফ গাইডস বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর দেশের এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া তার দ্বীপরাশি ও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা আগ্নেয়গিরির জন্য ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। তাই রাফ গাইডের পাঠকের ভোটে দেশটি এশিয়ার সুন্দরতম ও বিশ্বের ষষ্ঠ সুন্দর দেশের সম্মান লাভ করেছে। রাফ গাইড জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার জাতিগত, সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্যময়photo-1487303886তা রয়েছে। দেশটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক দিয়েও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এ ছাড়া বৈচিত্র্যময়তা দেশটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দেশটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বাস। দেশটির কয়েক হাজার দ্বীপে এদের বাস।
পাঠকের ভোটে ইন্দোনেশিয়া এশিয়ার অপর দুই দেশ ভারত ও ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলেছে। এ দুটি দেশে যথাক্রমে বিশ্বের সুন্দরতম দেশের তালিকায় ১৩তম ও ২০তম স্থানে রয়েছে। স্কটল্যান্ড এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এর পরের স্থানে রয়েছে কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ইতালি ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তালিকাটিতে মোট ২০টি দেশ স্থান পেয়েছে। যার মধ্যে এশিয়ার দেশ হিসেবে রয়েছে কেবল ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও ভিয়েতনামের নাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1471319773_1487337863বিনোদন ডেস্ক: শুধু নাচ-অভিনয় নয়, রূপ দিয়েও সবাইকে মুগ্ধ করেছেন বলিউড নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। কিন্তু বয়স তো আর বসে থাকে না। সময় তার ছাপ রেখে গেছে চেহারায়। মাধুরীর সেই চেহারাটা কেমন তা জানতে বলিউড প্রেমীদের আগ্রহের কমতি ছিল না। মেকআপ ছাড়া তাদের ক্যামেরাবন্দী করাই মুশকিল। ঘর থেকে তারা মেকআপ ছাড়া বেরই হন না।
তবে ব্যতিক্রম ঘটেছে বৃহস্পতিবার। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় স্বামী শ্রীরাম নেনের সঙ্গে মাধুরী গাড়িতে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। নজর পড়তেই ক্যামেরাম্যানরা মেকআপবিহীন মাধুরীকে লেন্সবন্দী করা শুরু করেন। টের পেতেই রুমাল ও হাত দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ততক্ষণে ঢের দেরি হয়ে গেছে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মাধুরীর আসল চেহারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

mastermind-schoolন্যাশনাল ডেস্ক:  বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনে একটি গৌরবোজ্জল অধ্যায়। বাংলা ভাষার প্রতি নি।স্বার্থ ভালোবাসা থেকে বায়ান্নর ভাষা সংগ্রামীরা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বুলেটের সামনে নিজেদের বুক পেতে দিয়েছিলেন। তখনকার সময়ের ছাত্র-শিক্ষক-জনতার বুকের সেই রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রাণের বাংলা ভাষার অধিকার। প্রায় দেড় যুগ আগে থেকে ভাষা শহীদদের বিরল এই আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে সারাবিশ্বের মানুষ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এই ভাষা সংগ্রামীদের সম্পর্কে কতোটুকু জানতে পারছে? বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের অবস্থা একেবারেই নাজুক। দু:খজনক হলেও সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলেক্ষ্যে রাজধানীর একটি ‘স্বনামধন্য’ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একটি ব্যানার আমরা লক্ষ্য করেছি। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ভাষা শহীদদের ছবির বদলে দেওয়া হয়েছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি! এর মানে হচ্ছে, ইংরেজি মাধ্যমের ওই স্কুলের শিক্ষক ও দায়িত্বশীলরা বায়ান্নর ভাষা শহীদ এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠদের কাউকেই চেনেন না! আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে তারা শিক্ষার্থীদের কী শেখাচ্ছেন তা এই ঘটনা থেকে সহজেই বুঝা যায়। তবে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়, বরং এর আগে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মরণে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলের ব্যানারে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বেগম রোকেয়া হলের’ শিক্ষার্থীরা দিয়েছিল আরেক মহীয়সী নারী নুরজাহান বেগমের ছবি! সেখানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও তারা শিক্ষার্থীদের এই ভুলের বিষয়ে কিছু বলেননি। আমরা মনে করি, বিষয়গুলো ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিছক ভুল নয়, বরং জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার সীমাহীন উদাসীনতার বহি:প্রকাশ। পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর পাঠ্যবইয়ে আমাদের জাতিসত্তার ইতিহাস বাদ দিয়ে তাদের নিজস্ব পাঠ্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতার লাগাম শক্ত হাতে টেনে ধরতে হবে বলেও আমরা মনে করি। তাছাড়া আমাদের জাতিসত্তার ইতিহাস বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে ইংরেজিটা ভালোভাবে শিখছে সেটাও কিন্তু আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখছি না। এই বিষয়গুলো খুব গুরুত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেবে দেখা উচিৎ বলে আমরা মনে করি। একইসঙ্গে ভাষার মাসে ওই ভুলের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ওই স্কুলে পড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের জাতিসত্তার গৌরবোজ্জল ইতিহাস সম্পর্কে তাদেরকে জানতে বাধ্য করতে হবে। তারা কোন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই ব্যানার করালেও নিজেরা কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না। এটা কোনভাবেই ব্যানার তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্মীর ভুল বলে গণ্য হতে পারে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

59d0f3024c63506b3414bc8d5297eba4-58a753fa6cb72বিনোদন ডেস্ক : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ডুব’ (নো বেড অব রোজেস) চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ছবিটি কেন নিষিদ্ধ করা হলো এ বিষয়ে ভ্যারাইটিকে বিএফডিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘এটা বিএফডিসির বিষয় নয়। বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড বিষয়টি তত্বাবধান করে।’

এ বিষয়ে ফারুকী ভ্যারাইটিকে বলেন, ‘প্রথম পদক্ষেপেই ছবিটি আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে সেটা করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। আমার ছবির যে কনটেন্ট তাতে কোনও ধরনের সেন্সর রীতি ভঙ্গ করা হয়নি। এটা আসলে বাকস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলেই আমি মনে করছি।’

এ বিষয়ে ছবিটির প্রধান অভিনেতা ও এর সহ-প্রযোজক ইরফান খান পত্রিকাটিকে বলেন, ‘ছবিটি নিষিদ্ধ করায় আমি সত্যি বিস্মিত হয়েছি। এতে প্রধানত একজন নারী ও পুরুষের জটিল সম্পর্ক ও একটি মানবিক বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এতে সমাজের কি ক্ষতি হতে পারে? আমার বোধগম্য নয়।’

প্রসঙ্গত, ফারুকী প্রয়াত খ্যাতিমান কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ‘ডুব’ ছবি নির্মাণ করেছেন বলে প্রথম খবরটি আসে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়ার মাধ্যমে। এতে হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রে  ‘ডুব’ ছবিতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান। প্রথমে ভ্যারাইটি পরে আনন্দবাজারের এমন খবরে বাংলাদেশে ছবিটি ঘিরে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।

এর মধ্যে ছবির অন্যতম অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীও ছবিটি যে বাংলাদেশের কিংবদন্তি সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের একটি অংশ নিয়ে নির্মিত হয়েছে- সে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন দেশীয় মিডিয়ায়। যেখানে ভিন্ন নামে উঠে এসেছে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ এবং তার কন্যার বয়সী মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ে করার বিষয়টি।

১৩ ফেবরুয়ারি সেন্সর বোর্ডে ‘ডুব’ ছবিটির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেন হুমায়ূনপত্নী নির্মাতা-অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

কাকতাল হলেও সত্যি, গেল বছর ভ্যারাইটি পত্রিকার মাধ্যমেই বাংলাদেশের মিডিয়া প্রথম জানতে পারে ফারকী ও ইরফান খানের এই যৌথ চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা।

গত বছর ১৭ মার্চ ‘ডুব’  ছবির শুটিংয়ে অংশ নিতে  ইরফান খান ঢাকায় আসেন। সিনেমাটি বাংলাদেশে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ভারতের এসকে মুভিজ ও ইরফান খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ।

এদিকে, ছবিটি নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার ভাষ্য এমন, ‘এই কয়টা বছর আমরা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় হেডলাইন হয়েছি পজিটিভ কারণে। আর আজকে হেডলাইন হলাম একটা খারাপ কারণে। যে বা যারা সরকারকে বিভ্রান্ত করে এই কাজটা করিয়েছে তারা খুবই বাজে কাজ করলেন ।’

শেষে আবার এটুকুও যোগ করে দেন ফারুকী, ‘বাংলাদেশের আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ea731539170413865e91e87536206521-58a7c10027d4fঅনলাইন ডেস্ক : চলমান সিরীয় গৃহযুদ্ধে মার্কিন বাহিনী ক্ষতিকর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই দুই দফায় ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়াম নামের এইসব অস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে। পেন্টাগন সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইয়ারওয়ারস এবং ফরেন পলিসি জানিয়েছে, আইএসবিরোধী বিমান অভিযানে ওইসব রাসায়নিক ফেলা হয়েছে। ২০০৩ সালের ইরাক আগ্রাসনের সময় ব্যবহৃত এই অস্ত্রগুলো ক্যানসার আর জন্মত্রুটির কারণ হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকাণ্ডে বিষ্ময় প্রকাশ করেছে ইউরেনিয়াম অস্ত্র নিষিদ্ধে গঠিত আন্তর্জাতিক জোট।

ইয়ারওয়ার ইরাক, সিরিয়া আর লিবিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা পর্যবেক্ষণে গঠিত এক অলাভজনক সংগঠন। আর কূটনীতি বিষয়ক বিশ্লেষণাত্মক সংবাদমাধ্যম ফরেন পলিসি। তাদের প্রকাশিত যৌথ উদ্যোগের প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত খবরটি সামনে এসেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের অধীনে থাকা সামরিক অভিযানের পর সেন্ট্রাল কমান্ডের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে, ২০১৫ সালে নভেম্বরের ১৬ এবং ২২ তারিখে দুই দফায় সবমিলে ৫ হাজার রাউন্ডেরও বেশি পরিমাণে ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়াম ব্যবহার করেছে মার্কিন বাহিনী।

ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়াম বলতে কম উন্নত বা ঈষৎ রূপান্তরিত ইউরেনিয়াম বুঝায়। ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়ামের তৈরি অস্ত্র তাৎক্ষণিকভাবে পরমাণু অস্ত্রের মতো ব্যাপক বিধ্বংসী না হলেও তার স্বল্প-মেয়াদী ও দীর্ঘ-মেয়াদী প্রভাব পরমাণু অস্ত্রের মতোই।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের একজন মুখপাত্র মেজর জস জ্যাক। ইয়ারওয়ার আর ফরেন পলিসিকে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ১৬ আর ২২ নভেম্বর দুই দফায় সিরিয়ার মাটিতে ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়াম ব্যবহার করেছে মার্কিন বাহিনী। আইএসবিরোধী দু’টি ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তারা। জ্যাক জানান, দু’দিনেই ৫০০০ রাউন্ডেরও বেশি পরিমাণে ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়াম সমন্বিত সিফেআরক ছুড়েছে বিমান থেকে। আইএসের তেলবাহী ট্যাংকের উপর এটা ছুঁড়েছিল এ-১০ যুদ্ধবিমান। ওই অভিযানে ৩৫০টি ট্রাক বিধ্বস্ত হয়।

একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে পেন্টাগন ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছিল। সিরিয়া এবং ইরাকের জন্য গঠিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের একজন মুখপাত্র ক্যাপটেন জন মুর তখন বলেছিলেন, ‘অতীতেও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। ভবিষ্যতেও ব্যবহার করা হবে না।’ তবে প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা।

ওই বছরের শেষের দিকে এসেই (নভেম্বর, ২০১৫) সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে হামলাকারী মার্কিন জোট। ‘অপারেশন টাইডাল ওয়েব টু’ নামের এক আইএসবিরোধী অভিযানের পরিকল্পকরা সিদ্ধান্ত নেন, আইএসের তেলবাহী ট্রাকগুলোকে ধ্বংস করতে ইউরেনিয়ামই হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র। সেই অনুযায় এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে তারা। সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র মেজর জ্যাক দ্বিধাহীনভাবে জানান, আসলে মার্কিন বাহিনী আইেসর ট্রাকগুলোর সমূলে উৎপাটিত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চেয়েছিল।

এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারে জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে যখন কসোভোতে এই ধরনের অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। তখন প্রভাবিত অঞ্চলগুলো থেকে শিশুদের সরিয়ে নিতে বলেছিল জাতিসংঘ। ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালের ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময়েও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্রর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তারা। যুদ্ধে মার্কিন সেনারা ইরাকি জনগণের ওপর ইউরেনিয়ামযুক্ত অন্তত পাঁচ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। ইরাকিদের টার্গেট করে মার্কিন ‘টেন ফেয়ারচাইল্ড’-এ কামান থেকে ছোঁড়া হয়েছে ত্রিশ মিলিমিটার সাইজের নয় লাখ চল্লিশ হাজার গোলা। এইসব গোলাও ছিল তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ।

যুদ্ধের পর সারা ইরাকের গাছপালা, ফসল, পশু ও মানুষের ওপপর ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তাজনিত প্রভাব পড়তে শুরু করে। ইরাকের সরকারি হিসেবে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ক্যানসার ছিল ৪০ জনের। যুদ্ধের ৪ বছর পর এক লাখে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০০ জনে আর বুশ-ব্লেয়ারের মার্কিন আগ্রাসনের পর ইরাকে প্রতি এক লাখে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬০০ জনে।

ইউরেনিয়ামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে ফালুজাতে। ইরাক যুদ্ধের পর ফালুজা অঞ্চলে বিগত ১১ বছরে যত শিশু জন্ম নিয়েছে, তার ৬০ শতাংশই বিকলাঙ্গ। ২০১১ সালে ডিসেম্বরের ২১ তারিখে এক হাসপাতালকর্মীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিল আলজাজিরা। ১৯৯৭ থেকে ফালুজার হাসপাতালে কাজ করা আলানি নামের এক নারী আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২ বছর ২ মাসে ত্রুটিপূর্ণভাবে জন্ম নেওয়া ৬৭৭টি শিশুকে নথিভূক্ত করেছেন তিনি। ৮ দিন পর ২৯ ডিসেম্বর সেই ফালুজায় গিয়ে আলজাজিরার অনুসন্ধানকারীরা জানতে পারে, সেই সংখ্যাটি ২২ জন বেড়ে ৬৭৭ থেকে ৬৯৯-তে দাঁড়িয়েছে।

ইউরেনিয়াম অস্ত্রের নিষিদ্ধকরণে কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি নাই। এ সংক্রান্তক চুক্তির জন্য গঠিত জোটের আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক ডগ ওয়েরের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ‘ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়াম ব্যবহার করায় আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে।’

২০১৪ সালে ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ সমরাস্ত্র বিষয়ক জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি) বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়ামের অবশেষ মাটি, সবজি, পানি এবং পৃথিবীর উপরিভাগে ছড়িয়ে প্রকৃতিকে দূষিত করলেও স্থানীয় জনগণের উপর খুব বেশি তেজস্ক্রিয় প্রভাব ফেলে না।’ তবে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ভারি মাত্রায় ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়ামের সংস্পর্শে আসলে উল্লেখযোগ্য তেজস্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা যেতে পারে।’

সিরিয়ায় মার্কিন জোটের বিমান থেকে আবারও ক্ষতিকর রাসায়নিক ফেলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র মেজর জ্যাক। ভবিষ্যতে দূষণমুক্ত করার জন্য হামলাস্থলগুলো চিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ওই অঞ্চলগুলো এখনও আইএসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest