সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

satkhira-2নিজস্ব প্রতিবেদক: দীপালোক একাডেমীর চড়–ইভাতির উল্লাসে কেঁটে গেলো দিনটি। তুফান কনভেনশন সেন্টারে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া চড়–ইভাতি অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাতক্ষীরার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। দীপালোক একাডেমীর শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও লটারির আয়োজন করা হয়। সংগীতের মাঝে ক্ষণে ক্ষণে আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য মুগ্ধ করেছে সকলকে। কেউবা খেলায় ব্যস্ত আবার কেউবা গানের তালে মগ্ন। এভাবেই কেঁটে গেছে সকাল থেকে সন্ধ্যা।
বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন। অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে অংশগ্রহণ করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এএনএম মঈনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন, দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক জি এম নূর ইসলাম, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা রিপোর্টাস ইউনিটির আহবায়ক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, ভয়েসঅফসাতক্ষীরার সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুম, এনএসআই এর সহকারী পরিচালক আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাবলা, সাংবাদিক জামাউদ্দীন মামুন, লোকনাথ নার্সিং হোমের পরিচালক পুলক পাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কেশব সাধু, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাতক্ষীরা জেলা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি শেখ শরিফুল ইসলাম, বিজয় টিভি’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকরামুল ইসলাম  প্রমুখ।
চড়–ইভাতির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন দীপালোক একাডেমীর পরিচালক, দৈনিক সাতক্ষীরার সম্পাদক বরুণ ব্যানার্জী ও শিল্পী ইন্দ্রজিত সাধু।
সংগীত পরিবেশন করে সংগীত শিক্ষক কুমার ইন্দ্রজিত সাধু, তানিয়া আক্তার, সুমি, পলাশ মজুমদার, তুহিন, অধিস দাস, ডেভিডসহ একামেডীর শিক্ষার্থীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo3নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে চাষিরা। খরচ কম ও দাম বেশি পাওয়ায় সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে এখন লাউ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাছের খামারের পাশে বা পতিত জমিতে লাউ চাষ করে বাড়তি আয় করতে পেরে খুব খুশি লাউ চাষিরা। কিটনাশকমুক্ত এই সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হলো লাউ। এটি খুবই সহজলভ্য এবং দামেও সস্তা। লাউয়ের পানি ও আঁশ আমাদের পরিপাক ক্রিয়াকে পরিষ্কার করে। এ কারণে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এ সবজিটি খুবই উপকারী। লাউয়ে গ্লুকোজ ও চিনি নেই বললেই চলে। ফলে ডায়বেটিসের রোগিরা লাউ খেলে উপকার পাবেন। সহজে হজম হয় এবং শরীর ঠা-া রাখে বলে ডায়রিয়ার সময় এক গ্লাস লাউয়ের রসে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি ও সোডিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। এছাড়া লাউ মূত্রনালীর বিভিন্ন রোগ ও জ্বালাপোড়া রোধে খুবই উপকারী। লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস রোগ রোধেও খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে লাউ খাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কাজেই লাউ লিভারের সংক্রমণে ভালো পথ্য হিসেবে কাজ করে।
লাউয়ে পর্যাপ্ত আয়রন, থায়ামিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকারি। লাউয়ের রস এপিলেপ্সি, পাকস্থলীর এসিডিটি, আলসার এবং অন্যান্য স্নায়ুরোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। সহজে হজম করা যায় বলে জ্বরসহ অন্যান্য অসুস্থতায় লাউ পথ্য হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কামারালী গ্রামের লাউ চাষী আইয়ুব আলী সানা জানান, শীতকালিন সবজি হলেও সারা বছর লাউ ধরে তার বাগানে। পোকামাকড় মুক্ত থাকায় কিটনাশক লাগে না লাউ চাষে। অধিক ফলন ও বাজার মুল্য বেশী পাওয়ায় লাউ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে মৎস ঘেরের পাশের পতিত জমিতে। অনেকে পুকুর ধার বা বাড়ির চালে সহজে এই লাউ চাষ করছে। তিনি আরো জানান, প্রতিটি লাউ ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরে তিনি খুব খুশি। এক বিঘা জমিতে তার লাউ চাষ করতে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এর থেকে তিনি লাউ বিক্রি করবেন এক লাখের অধিক টাকা বলে তিনি জানান।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, সাতক্ষীরায় চলতি মৌসুমে ৬ ’শ ৫০ হেক্টর মাছের খামারের পতিত জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে লাউ চাষ করা হয়েছে প্রায় ৩ ’শ হেক্টর জমিতে। আগমীতে এই লাউ চাষ আরও প্রসারিত হবে। তিনি আরো জানান, জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় হচ্ছে সাতক্ষীরর উৎপাদিত এই লাউ। তাই সবজি উৎপাদনে সাতক্ষীরার লাউ একটি অর্থকারি ফসল হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

neelavneel23-1459679205-89df9b9_xlargeনিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেও বহাল তহিবয়তে সাতক্ষীরা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা আক্তারুজ্জামান মহব্বত। আর এ অভিযোগ ঢাকতে আওয়ামীলীগের একাংশের ছত্রছায়ায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।
মটর শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্র জানায়, বিগত বিএনপির-জোট সরকারের সময়ে বিএনপি ক্যাডার হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তৎকালীন বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আব্দুর রউফের ডান হাত হিসাবে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিত মহব্বত। সে সময় তার বিরুদ্ধে কথা বলার মত ক্ষমতা ইউনিয়নের কোন শ্রমিক ছিলো না। অথচ আজ জেলা আওয়ামীলীগের একজন শীর্ষ নেতার ছাত্রছায়ায় সাতক্ষীরা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ওই আক্তারুজ্জামান মহব্বত। সাতক্ষীরা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা জানান, মহব্বত একজন সুবিধাবাদী নেতা। তার নিজস্ব কোন দল নেই। যখন যেদলই ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের ক্যাডার হিসাবে সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচার নির্যাতন করে থাকে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিগত ২০০৬ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইউনিয়নে কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়। এখবর পেয়ে আক্তারুজ্জামান মহব্বত এসে ভাতের হাড়িতে লাথি মেরে ফেলে দেন এবং চুলায় পানি ঢেলে পুরো অনুষ্ঠান প- করে দেন। এছাড়া সে হুমকি দিয়ে বলে শেখ মুজিবের জন্য কোন আয়োজন এখানে হবে না। এঘটনায় জাতির জনকের আর্দশের সৈনিকরা আক্তারুজ্জামান মহব্বত ও তার সহযোগিদের ইউনিয়ন থেকে বিতাড়িত করেন। অপরদিকে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আয়োজনে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এক কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে বিএনপির একাংশের হামলায় নিহত হন জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান। এহত্যার ঘটনায় আক্তারুজ্জামান মহব্বত এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত আসামি।
এদিকে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোমরা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথি করা হয় নব-নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে। ওই অনুষ্ঠানের বিশেষ বক্তা করা হয় বঙ্গবন্ধুর অবমাননাকারী মহব্বতকে। এঘটনায় আওয়ামীলীগের সমর্থকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ৪ তারিখের ওই অনুষ্ঠানে স্থগিত করে ১০ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেখানে অবশ্য আক্তারুজ্জামান মহব্বতকে অতিথিদের তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খিচুড়ির ডেকে লাথি মেরে কীভাবে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের জেলা কমিটির নেতা হলেন ওই মহব্বত তা নিয়ে জেলাব্যাপী চলছে নানাগুঞ্জন। কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগের ওই শীর্ষ নেতার কারণে এখনও বহাল তবিয়তে আক্তারুজ্জামান মহব্বত। মহব্বতের মত পাল্টি খাওয়া নেতারা আওয়ামীলীগের মধ্যে প্রবেশ করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছেন বলে শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৬ সালের ১৫ অগাস্ট বিএনপি ক্যাডার আক্তারুজ্জামান মহব্বত খিচুড়ির ডেকে লাথি মেরে অনুষ্ঠান প- করে দেয়। এঘটনায় আমরা স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় বিবৃতিও প্রদান করেছিলাম।
এক ধরনের সুবিধাবাদীদের সহযোগিতায় মহ্ববতের মত ব্যক্তিরা দলে ঢুকে আওয়ামীলীগের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাস-মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান মনি বলেন, মহব্বত বিএনপি থেকে পাল্টি খেয়ে আওয়ামীলীগের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে ইউনিয়নের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছেন। আমরা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের পদ থেকে তার বহিস্কার ও বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার অভিযোগে কঠোর শাস্তি দাবি করছি। সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনও একই সুরে মহব্বতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে আক্তারুজ্জামান মহব্বত বলেন, ২০০৬ সালের আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি তখন শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি ছিলাম। আমার বিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালিয়েছে। আমান হত্যার আসামি হলেন কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিও ষড়যন্ত্র, আমি মনে মনে সমর্থন করতাম তবে কখনো বিএনপি করতাম না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

image-2125নিজস্ব প্রতিবেদক :  ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাসিবুল হাসান ইমন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ইখতেয়ার হোসেন বিপ্লব, রিয়াজুল ইসলাম রনি মোল্ল্যা ও মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’ দিন করে রিমা- মঞ্জুর করেছে আদালত। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আলমগীর কবীরের বিপ্লবকে ১০ দিনের, রনি ও মুরাদকে সাত দিন করে  রিমা- আবেদন শুনানী শেষে বিচারক সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ রনি মোল্ল্যাকে পুলিশ হেফাজতে দু’ দিনের, বিপ্লব ও  মুরাদকে কারাফটকে দু’ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। এদিকে হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটনে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করা হলেও ঘটনার পরবর্তী ২৩ দিনে পুলিশ এ হত্যাকা- নিয়ে কোন বিশেষ ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। এ ছাড়া মৃত্যুর আগে খোয়া যাওয়া একটি মোবাইল ও তাতে থাকা দু’টি সিম উদ্ধার করতে না পারা ও ইমনের স্বজনরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তাতে পুলিশের তদন্ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার সহকারি পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা মেরিনা আক্তারসহ পুলিশের একটি টিম নিহত ইমন ও আসামিদের বাড়িতে যেয়ে খোঁজ খবর নেন। এদিকে একজন জ্যেষ্ট অপরাধ বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিহত ইমনের খোয়া যাওয়া মোবাইলের সিমগুলো উদ্ধার করে কললিস্ট (সিডিআর) যাচাই না করতে পারলে প্রকৃত হত্যাকারীদের সনাক্ত করা কঠিন হবে। সেক্ষেত্রে একই ব্যক্তিকে বারবার রিমা-ে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে ইমন হত্যার সঙ্গে কয়েকদিন আগে স.ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি সাইফুল ইসলামের নিখোঁজ হওয়ার কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
জানতে চাইলে ইমন হত্যা মামলার তদন্তটিমের সদস্য (ওসি তদন্ত) আলমগীর কবীর জানান, ইখতিয়ার হোসেন বিপ্লব ও মুরাদকে কারাফটকে ও রনি মোল্লাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’ দিন করে রিমা- মঞ্জুর করে আদালত। সে অনুযায়ি রনিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এ হত্যা সম্পর্কে তারা এ পর্যন্ত কোন নতুন ক্লু উদ্ধার করতে পারেননি। প্রসঙ্গত, ১৭ জানুয়ারি রাতের কোন এক সময়ে ইমনকে হত্যা করে লাশ ধুলিহর ইউনিয়নের কামারডাঙা স্লুইজ গেটের সন্নিকটে আমতলা বিলের ইকবাল বিশ্বসের মাছের ঘেরে ফেলে রাখা হয়। নিহতের ভাই রিমন বিপ্লবকে মেডিকেল কলেজে কর্মরত অবস্থায় ডেকে এনে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পরদিন সকালে। সেখানে আলমগীর হাসান আলমের ইশারায় পুলিশ বিপ্লবকে আটক করে। একই দিনে মুরাদকে বাড়ির পাশের আমবাগান থেকে ও রনি মোল্লাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। যদিও আদালতে পাঠানোর সময় বিপ্লবকে মুন্সিপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে উল্লেখ করে পুলিশ। ২২ জানুয়ারি বিপ্লব ও মুরাদের দু’ দিনের রিমা- মঞ্জুর হয়। রনিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। ৩০ জানুয়ারি বিপ্লবকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দু’দিন রিমা- মঞ্জুর করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3333333333333ধুলিহর প্রতিনিধি : সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলে বৃহস্পতিবার দিনভর পিস কনসোটিয়াম প্রকল্পের সামাজিক সংহতি, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় প্রচারাভিযান উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্রীড়া, সাধারণ জ্ঞান ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন দশম শ্রেণির ছাত্র মোঃ মোনায়েম হোসেন ও গীতা পাঠ করেন দশম শ্রেণির ছাত্র তমাল কৃষ্ণ অধিকারী। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ নূর হোসেন (সজল)। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, অগ্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সবুর বিশ্বাস ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শেখ আব্দুল আহাদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিডিএফ প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী, সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, শিক্ষক প্রফুল্ল চন্দ্র বিশ্বাস, মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, অভিভাবক সদস্য তপন কুমার ঘোষ, পারভীন আক্তার, অগ্রগতি সংস্থার পিস কনসোর্টিয়াম’র প্রকল্প সমন্বয়কারী মৃনাল কুমার সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সবশেষে অতিথিবৃন্দ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুকুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kkkkkkkkkkkkকলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কলারোয়ায় ‘উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী প্রার্থী আরাফাত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের কাছে বেলা ১২ টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক এবং কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সফল সভাপতি আরাফাত হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, ইউপি চেয়ারম্যানগণ মাস্টার নুরুল ইসলাম, সামছুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, মাহাবুবুর রহমান মফে, রবিউল হাসান, আফজাল হোসেন হাবিল, এসএম মনিরুল ইসলাম, আবুল কালাম, মনিরুল ইসলাম মনি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আশিকুর রহমান মুন্না, পৌর যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক শামিমুল ইসলাম মিলন, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুজ্জামান সাইদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক শেখ মারুফ আহম্মেদ জনি প্রমুখ। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, এ উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তাই আরাফাত হোসেন তার নিজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

10-1আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আর নয় শিশুশ্রম, এবার চাই শিক্ষা স্লোগান নিয়ে পায়ে হেঁটে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন দিনাজপুর কেবিএম কলেজের শিক্ষার্থী নাসিম তালুকদার। সারাদেশ পায়ে হেঁটে ঘুরতে নাসিমের সময় লেগেছে মাত্র ১০৮ দিন।

দিনাজপুর কেবিএম কলেজ থেকে সদ্য এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থী মো. নাসিম তালুকদার এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বড়। তার মা নাসিমা খানম বাক প্রতিবন্ধী। বাবা হারুনুর রশিদ বাচ্চু পেশায় কৃষক। ছোটবেলা থেকে নাসিমকে লালন-পালন করেছেন তার নানি দিনাজপুর উপশহর ৫ নং ব্লকের বাসিন্দা রহমত আরা।

৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১টায় দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে এসে যাত্রা শেষ করেন নাসিম। স্কাউট ও বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে দিনাজপুরের প্রবেশমুখে দশ মাইল মোড়ে দিনাজপুর রোভার স্কাউটের সম্পাদক জহুরুল হকের নেতৃত্বে শতাধিক রোভার তাকে সংবর্ধনা জানায়।

এরপর জেলার জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে নাসিম তালুকদারকে দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল কাদির জুয়েলসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

দিনাজপুর জিরো পয়েন্ট থেকে রোভার স্কাউট নাসিম তালুকদার গত ২২ অক্টোবর পায়ে হেঁটে দেশভ্রমণে বের হন। যাত্রা শেষ করে কেমন লাগল জানতে চাইলে তিনি উল্লেখ করেন, এটাই তার জীবনে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সাফল্য। চলার পথে সবার সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছে যে পরিমাণ সহযোগিতা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশি সহযোগিতা পেয়েছি। এজন্য সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

নাসিম তালুকদার জানান, ২০০৬ সালের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, দেশে শ্রমবাজারের বিভিন্ন কর্মস্থলে প্রায় ৭৪ লাখ শিশু নিয়োজিত। তাদের মধ্যে ১৩ লাখ শিশু অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে বলে জানা গেছে।

তবে বেসরকারি পরিসংখ্যানের হিসাবে দেখা গেছে, দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৭০ লাখ। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে ১৫ লাখ শিশু। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ১৪ বছরের নিচের শিশুরা কেউ কোনো ধরনের কাজে যুক্ত হতে পারবে না। অথচ এটি বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে কোনও পদক্ষেপই দেখা যায় না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1-1সাতটি সরকারি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অন্তর্ভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, দেশের সব কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করার মৌখিক পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টিকে নানা পর্যবেক্ষণের পর প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি সরকারি কলেজ ঢাবির অধীনস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাকি সরকারি কলেজ পর্যায়ক্রমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে কলেজগুলোর নিকটবর্তী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যাবে। গত ২৯ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি নীতিগত সিদ্ধান্ত দেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) চৌধুরী আব্দুল আল হাসান বলেন, প্রথম পর্যায়ে সরকারি সাতটি কলেজ ঢাবির অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বর্তমানে এটি বাস্তবায়নে কাজ চলছে।

সাতটি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। কলেজগুলোতে বর্তমানে অধ্যয়নরত আড়াই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২৮১টি সরকারি কলেজকে বিভাগীয় পর্যায়ে পুরনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করার নির্দেশনা দেন। পরে এ বিষয়ে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ইউজিসি কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক মো. মোহাব্বত খানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দফায় দফায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করে। গত ৬ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest