সর্বশেষ সংবাদ-
চলমান সহিংসতা অবসানের দাবিতে সাতক্ষীরায় সমাবেশমানব রচিত মতবাদ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে না ঃ মজিবুর রহমানসাংবাদিক রাহাত রাজার সুস্থতা কামনায় দোয়া১৬ বছর পর সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন সম্মেলনকলারোয়ায় একই দিনে ভেঙ্গে পড়লো বেত্রবতী নদীর ৩ সেতুজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিব

01-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী সাতক্ষীরা জেলা শাখার একাদশ জেলা কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বিশ্বনাথ কয়ালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এড. ফাহিমুল হক কিসলু। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি মুনতাহা বিনতে নূর। বক্তব্য রাখেন যুব মৈত্রীর সভাপতি স্বপন কুমার শীল, সাধারণ  সম্পাদক মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অর্নব দেবনাথ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি কলেজ ছাত্রমৈত্রীর যুগ্ম আহবায়ক প্রনয় সরকার, জেলা  সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক পলাশ দাশ, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক অম্বিক মন্ডল, সাবেক ছাত্রনেতা শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন। জেলা  ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ মন্ডলের পরিচালনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন কৃষক নেতা আব্দুল জলিল মোড়ল, জেলা যুব মৈত্রীর সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, যুবনেতা সুব্রত সরকার, দিপংকর মন্ডল, নয়ন মন্ডল, কৃষক নেতা হিরন্ময় মন্ডল, নারী মুক্তি সংসদের নেত্রী আমিনা বিলকিস ময়না প্রমুখ। সম্মেলনে প্রনয় সরকারকে সভাপতি, অদিতি আদৃতা সৃষ্টিকে সাধারণ সম্পাদক ও দেবাশীষ সরকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, ছাত্রমৈত্রীর ইতিহাস বিপ্লবের ইতিহাস, রক্তের ইতিহাস। ছাত্রমৈত্রী বাংলাদেশে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠনের অন্যতম পথিকৃত। সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান শহীদ রিমুর রক্তেস্নাত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী আগামী দিনে সাতক্ষীরাতে প্রথা ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc00277-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মি শাক ব্রেইনের জন্য উপকারী। তেলাকচু ডায়াবেটিসের মহৌষধ আর কচুর পাতা চোখের জন্য ভাল। এছাড়া রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ থানকুনি, কলমি, দস্তা কচু, হেলাঞ্চ, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, শাপলা, ঘ্যাটকল, পেপুলসহ নানা প্রজাতির অচাষকৃত শাক লতা-পাতা। আর এসব শাক লতা-পাতার ওষুধি ও খাদ্যগুণ মুগ্ধ হয়ে শুনছিল শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল এ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বারসিক ইনস্টিটিউট অব এ্যাপ্লাইড স্ট্যাডিজ আয়োজিত ‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শাক লতা-পাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরে পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত যুব উদ্যোক্তা রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী।এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে কুড়িয়ে পাওয়া শাক সংরক্ষণ ও পুষ্টি নিশ্চিতের আহবান জানান। এর আগে সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক জাহিদ হোসেন, মনোতোষ কুমার দা, জালাল উদ্দিন, অনিমা দাশ, সুজাতা রনী রায়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের আহবায়ক আসাদুল ইসলাম, সদস্য সাইদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-presscon-photo-26-10-16-2
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসে জমি বিক্রির ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের তিন ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে রমজাননগর গ্রামের মৃত সুধীর চন্দ্র বৈদ্যের ছেলে বিনয় চন্দ্র বৈদ্য, অনীল চন্দ্র বৈদ্য ও শ্রীবাস চন্দ্র বৈদ্য এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে অনিল চন্দ্র বৈদ্য বলেন, তারা পাঁচ ভাই। এর মধ্যে অভিনাস চন্দ্র বৈদ্য ও রমেশ চন্দ্র বৈদ্য তাদের নামে থাকা জমি-জায়গা বিনয় কৃষ্ণ বৈদ্য, অনীল কৃষ্ণ বৈদ্য ও শ্রীবাস বৈদ্যের নামে লিখে দেবে বলে সমুদয় টাকা পয়সা নিয়ে ২০ বছর আগে ভারতে চলে যায় এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। পরে ওই সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিলে তারা সম্পত্তি লিখে দিতে দেশে এসে রমজাননগরের কিছু দুস্কৃতিকারী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জমি লিখে না দিয়ে উল্টো আরও দ্বিগুণ অর্থ দাবি করছে। একই সাথে তারা কৃষ্ণ বৈদ্য, অনীল কৃষ্ণ বৈদ্য ও শ্রীবাস বৈদ্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, গুম, হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, অভিনাস চন্দ্র বৈদ্য ও রমেশ চন্দ্র বৈদ্য বর্তমানে ভিটা বাড়ি বিক্রির চেষ্টা করছে। যা না থাকলে তাদের পথে নামতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ভারত থেকে অবৈধভাবে দেশে এসে তারা যেন জমি বিক্রি করতে না পারে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় পাওনা টাকা চাইতে যেয়ে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছে মাছ ব্যবসায়ী। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দেবহাটা গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র দেবহাটা বাজার কমিটির সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম সফি (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে দেবহাটা বাজারে মাছের ব্যবসা করে সংসার পরিচালনা করে থাকে। গত ৪-৫ মাস পূর্বে একই গ্রামের মৃত খঞ্জরের পুত্র বোমা ফারুক উক্ত মাছ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৮ হাজার ৬০০ টাকার মাছ ক্রয় করে। পরবর্তীতে সফি ফারুকের কাছে বিভিন্ন সময় পাওনা টাকার কথা বললে ফারুক টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাল বাহানা করতে থাকে। এভাবেই দিনের পর দিন চলতে থাকে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দেবহাটা বাজারে তাদের দু’জনের মুখোমুখি দেখা হয়। সফি ফারুকের কাছে টাকা চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে টাকা না দিয়ে সফিকে মারতে থাকে। ঘটনা স্থলে স্থানীয়রা উপস্থিত হলে ফারুক দৌড়ে বাড়িতে যেয়ে বল্লম নিয়ে সফিকে মারতে যায়। এসময় দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন অর রশিদ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে ফারুক বল্লম নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওসি এসআই মাসুদকে সন্ত্রাসী ফারুকের দেখা হলে গুলি করার নির্দেশ দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেবহাটা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নলতা প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফ একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ। হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহঃ) এর পবিত্র মাজার নলতা শরীফে। স্থানীয় নলতা বাজারে প্রায় ৮০০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ক্লিনিক, হাসপাতাল, এনজিওসহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এখানে। এখানে প্যারা মেডিকেল ও নার্সিং ইন্সটিটিউট নির্মাণ হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ১২টি। নলতার চারপাশে প্রায় ১৬ কিঃমিটারের মধ্যে কালিগঞ্জ, নাজিমগঞ্জ, ভাড়াশিমলা, খানজিয়া, নাংলা, দেবহাটা, সখিপুর, পারুলিয়া, কুলিয়া, তারালী, উজিরপুরসহ প্রায় ১৫ টি বাজার আছে। কিন্তু এখানকার ব্যবসায়ীদের ব্যাংক না থাকায় এনজিও বা মহাজনদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। পন্য আমদানি-রপ্তানির নিকটতম উল্লেখযোগ্য স্থলবন্দর ভোমরা। ব্যবসায়ীদর এলসি করার জন্য ছুটতে হয় দুরবর্তি শহর সাতক্ষীরাতে। সাতক্ষীরার দক্ষিণ অঞ্চল অর্থাৎ দেবহাটা, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর জুড়ে মৎস্য চাষ বেশ জনপ্রিয়। অত্র অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ মৎস্য কাজে নিয়জিত। কিন্তু এসব বড় বড় ব্যবসার জন্য আধুনিক কোন ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। রূপালী ব্যাংকের একটি মাত্র শাখা বিধায় তারা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনমত বিনিয়োগ দিতে পারছে না। তাই ঐতিহ্যবাহী এই জনপদের উন্নয়নে এবং ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারে আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য উর্দ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকার ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পরিষদের ৫দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পরিষদ সাতক্ষীরা শাখা। সংগঠনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, পবিত্র মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন প্রমুখ। বক্তারা এ সময়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের সরকারি চাকুরীসহ সকল ক্ষেত্রে সুযোগ প্রদান, ফার্মেসী ও নাসিং কাউন্সিল হতে পেশাগত সনদ পত্র প্রদান, ডেন্টাল টেকনোলজিষ্টদের ম্যাটস এর ন্যায় উপ-সহকারী ডেন্টাল অফিসাররের পদমর্যাদাসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। তারা দ্রুত তাদের এই ৫দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান। মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোঃ মহিউদ্দীনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।  আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১২ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১১ জন, তালা থানা ০২ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৩ জন, শ্যামনগর থানা ০৩ জন, আশাশুনি থানা ০৩ জন, দেবহাটা থানা ০২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০৩ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

298dea4e4313a4d0ae6aa7b1b115e94d-575cebb21f58eডেস্ক রিপোর্ট: সম্মেলনের দিন রবিবার ও এরপর মঙ্গলবার মিলে দুই দফায় আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে ৪৩ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও ৩৮ সদস্যের নাম। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর তিন জন, দু’জন উপ-সম্পাদকসহ সাত জন সম্পাদক এবং ২৮ জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। বাকি থাকা এই ৩৮ পদে সুযোগ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের পদপ্রত্যাশীরা। আগামী শনিবার বা রবিবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা গত কয়েক মাস ধরেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এই পদপ্রত্যাশীরা দলের প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষাসহ সম্মেলন কেন্দ্রীয় সব কর্মসূচিতে তাদের সরব উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় কমিটির অর্ধেকের বেশি পদে নির্বাচন হয়ে যাওয়ায় পদ-প্রত্যাশীদের জায়গা খানিকটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে বাকি পদগুলোতে নির্বাচিত হতে তারা শুরু করেছেন শেষ সময়ের প্রচেষ্টা। সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর বেশিরভাগ পদ পূরণ হয়ে যাওয়ায় শেষমেষ তারা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মনোনয়ন পেতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এ জন্য সদ্যঘোষিত দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পদ পাওয়া প্রভাবশালী নেতাসহ দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিয়মিত যাতায়াত করছেন আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তার কর্মসূচিসহ দলের সব ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন এই পদ-প্রত্যাশীরা।
সম্মেলনের পরদিন সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিক সম্মেলনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সম্পাদকমণ্ডলীর ২২ পদের নাম ঘোষণা হয়। এদিকে মঙ্গলবারও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের নাম ঘোষণাকালে আগের অবস্থানের কথা পুর্নব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি আগেই বলেছি, এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে। আমরা সেটাই করতে চাই।’
এদিকে কার্যনির্বাহী কমিটির ২৮ জন সদস্য মনোনীত করতে আগামী শুক্রবার সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর বাকি সদস্যসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হবে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনয়ন দেন।
এর বাইরে উপদেষ্টা পরিষদ, জাতীয় কমিটি ও সহসম্পাদক পদও রয়েছে। দলের গঠনতন্ত্রে এসব কমিটি নির্বাচনে দলীয় সভাপতিকে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৪ জন সম্পাদকমণ্ডলীর পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭টি পদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি সাতটি পদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কৃষি ও সমবায়, পরিবেশ ও বন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া, উপদফতর, উপপ্রচার ও প্রকাশনা পদে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ ছাড়া রয়েছে ২৮টি সদস্য পদ।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সম্পাদকমণ্ডলীর মতো কেন্দ্রীয় সদস্য পদেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। এ পদে বেশিরভাগই আবারও স্বপদে বহাল হতে পারেন। তবে কেন্দ্রীয় সদস্যের দুই পদ ‍বৃদ্ধি ও আগের কমিটির ৫ জন সম্পাদকমণ্ডলীতে পদোন্নতি পাওয়ায় কিছু পদ খালি হয়েছে। এসব পদে নতুনদের পাশাপাশি সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদপড়া দুই জনও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে জানা গেছে।
দলের নেতারা জানান, পদ পাওয়ার জন্য যে কারোরই প্রত্যাশা বা প্রচেষ্টা থাকতে পারে। তবে, বাকি পদগুলোতে কে বা কারা আসবেন, সেটা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাই ঠিক করবেন। কারণ কাউন্সিলররা তাকে এই ক্ষমতা দিয়ে গেছেন। আর শেখ হাসিনা যোগ্য ও ত্যাগীদেরই পদে বসাবেন।
এদিকে মঙ্গলবার কমিটি ঘোষণাকালে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলে অনেক পরিবর্তন আসছে। যারা জনগণের সঙ্গে আচরণ খারাপ করবেন, যাদের অপকর্মের কারণে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন থাকবে।’ এক প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘কমিটিতে আরও নতুন মুখ আসবে। নতুন রক্ত সঞ্চালনও এখানে থাকবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। এ দলের অনেক যোগ্য নেতা রয়েছেন। তাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার প্রত্যাশা থাকাটা স্বাভাবিক। এটাকে চেষ্টা তদ্বির বলার কোনও সুযোগ নেই।’
দলের এই নেতা বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে দলীয় সভাপতি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনয়ন দেন। এজন্য আগামী শুক্রবার সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে এটা চূড়ান্ত করে শনিবারের মধ্যেই আমরা কমিটিট দিতে পারব বলে আশা করছি।’ এর আগে সভাপতিমণ্ডলীর বাকি ৩টি ও সম্পাদকমণ্ডলীর ৭টি পদও চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দু’দিনব্যাপী ২০তম জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১জনের নাম ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা টানা অষ্টমবারের মতো পুনর্নির্বাচিত হন। প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। ওই দিন সভাপতিমণ্ডলীর ১৪ জন্য সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে ৭ জন বিদায়ী কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তারা হলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে নতুন যুক্ত হয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, আবদুল মান্নান খান, রমেশ চন্দ্র সেন ও পীযূষ ভট্টাচার্য। তাদের মধ্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান ও আবদুল মান্নান খান বিদায়ী বিদায়ী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীতে ছিলেন।
প্রথম দিনে চারটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের নাম ঘোষণা করা হয়। তিনটিতে পুরনোরাই বহাল আছেন। তারা হলেন- মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। নতুন করে যুক্ত হন বিদায়ী কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ পদে আগের এইচএন আশিকুর রহমানই বহাল রয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার সম্পাদকমণ্ডলীর ২২ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন স্বপদে বহাল আছেন। তারা হলেন আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মুহম্মদ আবদুল্লাহ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সাত্তার, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ। এছাড়া আগের কমিটিতে প্রথমে কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পেলেও পরে দফতরের দায়িত্ব পাওয়া আবদুস সোবহান গোলাপ এবারও দফতর সম্পাদক হয়েছেন। আগের কমিটির উপদফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল হয়েছেন সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক। আগের কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য থেকে এবার পদোন্নতি পেয়ে সম্পাদকমণ্ডলীতে এসেছেন ৪ জন। তারা হলেন অর্থ ও পরিকল্পনা-বিষয়ক সম্পাদক টিপু মুন্সী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আগের কমিটির ৬জনই আগের পদে বহাল আছেন। তারা হলেন আহমেদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বিএম মোজাম্মেল, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এনামুল হক শামীম ছাড়াও এপদে নতুন যুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী। এছাড়া শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে শামসুন নাহার চাঁপা এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক পদে নতুন মুখ হিসেবে এসেছেন রোকেয়া সুলতানা।
আংশিক ঘোষিত কমিটির অনুযায়ী সম্পাদকমণ্ডলী থেকে আগের কমিটির ৫ জন সিটকে পড়েছেন। তারা হলেন অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক আ হ ম মোস্তফা কামাল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জান নূর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভুইয়া ডব্লিউ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর উয়েশিং।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি আগে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট হলেও এবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ৮টি পদ বাড়িয়ে ৮১ করা হয়েছে। বৃদ্ধি পাওয়া পদগুলোর মধ্যে হচ্ছে সভাপতিমণ্ডলীর ৪টি, সম্পাদকমণ্ডলী ২টি (১টি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১টি সাংগঠনিক সম্পাদক) এবং ২টি সদস্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest