সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সদর বিআরডিবি ইউসিসিএর বার্ষিক সাধারণ সভাসঙ্গীতা মোড়ে নিউ ভ্যারাইটি স্টোরের উদ্বোধনশেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় খালাস সাবেক সাংসদ হাবিব : সাতক্ষীরায় আনন্দ মিছিলকালিগঞ্জে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহারে স্থানীয় কৃষকদের সাথে এডভোকেসি সভাবাঁচতে চায় আশাশুনির অসহায় কৃষক জাহাঙ্গীরসাতক্ষীরায় মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধে এবি পার্টির পথসভাতৃতীয় স্বাধীনতার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি-আশাশুনিতে জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমানদেবহাটায় জাতীয় সেনা দিবস পালনআশাশুনিতে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিতজামায়াত রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সব দল ও ধর্মের লোক নিরাপদ থাকবে: মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ

গুনাকরকটিতে কৃষকলীগ নেতা তারিকুল ও জুয়েল বাহিনীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কুল্যায় চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ সাধারণ মানুষকে নির্যাতনকারী কৃষকলীগ নেতা তারিকুল এবং তার ভাই জুয়েলের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকালে কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সেনা সদস্য মহিউদ্দীন।
বক্তব্য রাখেন, হাবিবুল্লাহ, নির্যাতনের শিকার মতলেব সরদার, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রনি, নজু মেম্বর, রায়হানসহ এলাকার ভুক্তভোগীরা।

বক্তারা বলেন, কৃষকলীগ নেতা তারিকুল ও তার ভাই জুয়েলসহ তাদের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বামী পরিত্যাক্তা নারীদের জিম্মি করে দিনের পর দিন ধর্ষন ও নির্যাতন করে আসলেও তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না ভুক্তভোগিরা। সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি এবং মারপিটসহ নানানভাবে অত্যাচার করে। এমনকি এলাকার কোন মানুষ যদি গরু বিক্রয় করেছে রাতেই সেই বাড়িতে চাঁদা দাবি করে তারিকুল ও জুয়েল বাহিনী। ইচ্ছামত অন্যের ঘেরের মাছ লুটপাট করে এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরও তারা থেমে নেই। তাদের অপকর্ম অব্যাহত রয়েছে। প্রকাশ্যে হুমকি তারিকুল এবং জুয়েল বাহিনী হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।

অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক ওই চাঁদাবাজ, ধর্ষক এবং ভ‚মিদস্যু তরিকুল ও জুয়েলসহ তাদের বাহিনীকে গ্রেফতার পূর্বক কঠিন শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এড. জুলফিকার আলমকে ল স্টুডেন্স ফোরাম সাতক্ষীরার শুভেচ্ছা

ল স্টুডেন্স ফোরাম সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এড. জুলফিকার আলম কে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের কফিভিলা রেস্টুরেন্টে তাকে শুভেচ্ছা জানান ল স্টুডেন্স ফোরামের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এড. সরদার সাইফ,

এড. বায়েজিদ রনি, এড. মোখলেছুর রহমান, ল স্টুডেন্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি ব্যাংকার নাজমুল হক, প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক কাজী সাহাবুদ্দিন সাজু, সাবেক সভাপতি এস এম বিপ্লব হোসেন, বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলী(ভারপ্রাপ্ত), বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সানজিদা ওয়াহিদ, সহ-সভাপতি স্বপ্না পারভীন, সদস্য রায়হান, আবুল হোসেন, আজমাইন সবুজসহ অন্যরা।

ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তব্যে বলেন, পড়াশোনার বিকল্প নেই। লক্ষ স্থির করতে হবে এবং লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে। প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে রাজধানী শহরে গিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে। আমি চাই সাতক্ষীরার আইনের ছাত্ররা এগিয়ে যাক। তাদের যে কোন সহযোগিতায় আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির চাপড়ায় চেয়ারম্যান ডাবলু সহ সন্ত্রসীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনির উত্তর চাপড়ার ত্রাস সম্প্রতি জাকারিয়া হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামী ভুমিদস্যু ইউপি চেয়ার‌্ম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের গ্রেপ্তার পূর্বক ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।

বুধবার বেলা ১১টায় মহেশ্বরকাটি মৎস্যসেটে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়ায় হত্যার শিকার জাকারিয়া সরদারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক ফাঁসির দাবীতে তার বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর দীর্ঘ সময় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেম্বর হাফেজ রবিউল ইসলাম। মানববন্ধনে কান্না জড়িত কন্ঠে বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাইপো, আব্দুল্লাহ আল বাইজিদ সোহাগ, নিহত পুত্র মোস্তাহিদ হোসেন, বোন রেবেকা খাতুন, জহির উদ্দীন, ইউনিয়ন জামায়েতের আমির মাও: আব্দুস ওয়াদুদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তাগন বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল হক ডাবলুর হুকুমে তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা গত ৮ সেপ্টম্বর জাকারিয়া সরদার ও তার পরিবারের লোকজনদের চানিজ কুড়াল, রড ও লাঠি শোটা নিয়ে মারপিট ও নৃসংশভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এসময় অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছে। নিহতের বোন বলেন থানা থেকে অভিযোগ দিতে গেলে আমরাদের মামলা নিবে না পুলিশ কারণ চেয়ারম্যান এর পক্ষীয় লোকজন বলাবলি করে বেড়াচ্ছে। বক্তাগন হুকুমদাতা চেয়ারম্যান ডাবলুসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে পুলিশ প্রশাসনে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু জানান এটি মুলত: উত্তর চাপড়া মসজিদ কেন্দ্রীক দুপক্ষের মধ্যের ঘটনা। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমি ও আমার পরিবার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। আমি চাই এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের যেন শাস্তি হয়। এ ঘটনায় আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের মারামারিতে অনেকেই আহত হয়। এঘটনায় ইউনুছ সরদার বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেক করে একটি এজাহার দায়ের করেন। উক্ত ১৮ জনের নামীয় এজাহারটি আশাশুনি থানার মামলা নং-০৭ রুজু করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকারিয়া মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করি। আসামীদের ধরার জন্য আমরা অভিযান অবাহত রেখেছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে কমিউনিটি থেকে অপুষ্টি দুর করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রাইটু টু গ্রো প্রজেক্টের সহযোগীতায় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অপুষ্টি দুর করণে মূল আলোচনা রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এসএম সাখাওয়াত হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে আলোচনা রাখেন দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, কুলিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান প্রভাষ মন্ডল, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আর.কে.বাপ্পা, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম রেজাউল করিম, প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জয়দেব কুমার পাল, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সেলিম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইদ্রিস আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ গাজী, দেবহাটা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক আশরাফুজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ভিশনের রাইট টু গ্রো প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তানজিমা আক্তারসহ কমিটির বিভিন্ন সদস্যরা। সভায় সকলের পুষ্টি নিশ্চিতকরনে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়।

এসময় সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাইজিন কর্ণার স্থাপন। এছাড়া শিশুদের মায়েদের সচেতন করার পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার প্রদান করার পরামর্শ প্রদান করেন বক্তরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় ৩৩ বিঘা জলমহাল বেদখল, ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

তালা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর মৌজার ৩৩ বিঘা জলমহাল প্রায় সাত বছর ধরে বেদখল হয়ে আছে। এই সময়ে এই জলমহাল থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার । দয়ানি-সরিগাতি খাল জলমহাল যার দাগ নং-৯৪৪৮ ও ৯৪৮১ এবং জমির পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৩ একর ৯৪ শতাংশ ও ৭ একর ২ শতাংশ।

জানা গেছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দীর্ঘকাল যাবত জলমহালটি খাস খাল হিসাবে ভাল মূল্যে স্থানীয় মৎস্য চাষীদের কাছে ইজারা দিয়ে আসছে। কিন্তু ২০১৭ সালে রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে কতিপয় প্রভাবশালী লোক জাল দলিল ও কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণকে বোকা বানিয়ে বৈধ ইজারাদের হটিয়ে তারা উক্ত জলমহাল দখল করে নেয়। পরে এই প্রভাবশালী চক্র ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জলমহালটি খÐ খÐ করে লিজ (হারি) দিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আদায় করে।
বিষয়টি নিয়ে খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মোঃ মতলেব সরদার জানান, সরকার সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করে, যার নং-৬৯/২০১৭। দীর্ঘ শুনানি ও যাচাই-বাছাইয়ের পর কোট দলিলটি জাল হিসাবে ঘোষণা করে এবং সেটি জব্দ করে। একই সাথে আদালত জলমহালটি খাস খতিয়ান ভুক্ত করারসহ এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) নির্দেশ দেয়। কিন্তু জাল দলিলকারী চক্র বিষয়টি সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে আপীল করে। তবে উক্ত আদালতও নিন্ম আদালতের রায় বহাল রাখে।

দখলকারীরা সময় ক্ষেপণের অংশ হিসাবে হাইকোর্টে লিভ টু আপীল করে যার নং-২১০৯/২২ এবং কয়েকবার শুনানির তারিখ পেছানোর আবেদন করে। তবে এক পর্যায় উক্ত আপীলের শুনানি হলে, তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় অনুসরণের নির্দেশ দেয় (অর্ডার নং-৫৫১ অফ ২০২২)।
এসব কিছুর পরও রবিউল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে এখনও এই জলমহাল দখল অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বহিরাগতদের ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের খালটি দীর্ঘদিন দখলে থাকার কারণে স্থানীয় কৃষকরা ফুঁসে উঠেছে।
জানা গেছে, এই জাল দলিলের মালিক রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং নিজকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে পরিচয় দিতেন।

কৃষক আব্দুল ছালাম বলেন, পূর্বে কৃষি জমির পানি নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধা দেওয়ার শর্তে সরকার মৎস্য চাষিদের ইজারা দিত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে এই দখলকারীরা তাদের নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে এই খাল ব্যবহার করতে কৃষকদের বাঁধা দিয়ে আসছে। ফলে আশপাশের কয়েক শত বিঘা জমি অকেজো হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বহিরাগতদের আনাগোনার কারণে স্থানীয় কৃষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য তারা স্থানীয় প্রশাসন ও সবমহলের সহযোগিতা কামনা করেছে।

রবিউল ইসলাম, জিয়াউরসহ অনেকে জানান, খাল বা নদী কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না এবং আমরা ছোট বেলা থেকে এই জলমহাল খাস হিসাবে জেনে এসেছি । হঠাৎ দলিল আর কাগজপত্র বের হয়েছে, বিষয়টি জেনে আমরা অবাক হয়েছি। নদী-খালখোর হাত থেকে জলমহলটি উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান তারা। তারা আরও জানান, সরকার শুধু রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে তাই নয়, দখলবাজরা যাচ্ছেতাই ভাবে জলমহালটি ব্যবহার করছে, বিশেষ করে ঘনঘন বাঁধ দেওয়ার কারণে স্থানীয় পরিবেশ ও কৃষক সমাজ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

এদিকে জলমহাল ভোগ দখলকারী রবিউল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমি নিয়ে আমার সরকারের সাথে ঝামেলা থাকতে পারে, স্থানীয়দের সাথে নয়। স্থানীয় কোন ব্যক্তির কোন বক্তব্য থাকলে তারা জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এছাড়া মামলা বিচারাধীন আছে। আমি যদি রায় না পায় তাহলে কোনদিন জলমহাল যাব না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে সাংবাদিক শেখ আব্দুল হামিদ আর নেই

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ’ পত্রিকার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুল হামিদ (৫৮) আর নেই।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি পিতা, মাতা, স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শেখ আব্দুল হামিদ উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শেখ আব্দুর রশিদ ও মোছা: আছিয়া বেগমের ছেলে।

সিনিয়র সাংবাদিক শেখ আব্দুল হামিদ এর মৃত্যুতে রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন, শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০১৩ সালে ঝাউডাঙায় শিবির কর্মী হাফিজুরকে হত্যা : সাবেক এমপি মঞ্জুরুল কবিরসহ ৪৩ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপডজেলার ঝাউডাঙা বাজারে আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অবরোধ ও হরতাল কর্মসুচি চলাকালে হাফিজুর রহমান নামের এক ছাত্র শিবির কর্মী ও ভ্যানচালককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের সলেমান সরদার বাদি হয়ে তুজুলপুরের বহুল আলোচিত ইয়ারব হোসেন ছাড়াও ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে মঙ্গলবার এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক, তদন্ত ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিি অ্যাড. ওকালত হোসেন, গোবিন্দকাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক, ঝাউডাঙা কলেজের প্রভাষক রানা।

মামলার বিবরনে জানা যায়, সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের লোকদান দফাদারের ছেলে হাফিজুর রহমান (২২) একজন শিবির কর্মী ও ভ্যানচালক। একই গ্রামের বরকতুল্লাহ এর ছেলে মামলার বাদি সলেমান সরদার নিহত হাফিজুরের ভগ্নিপতি। ২০১৩ সালে বিএনপি ও জামায়াত আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপি অবরোধ ও হরতাল কর্মসুচি আহবান করে। এতে আওয়ামী লীগের গাত্রদাহ শুরু হয়।

একপর্যায়ে ২২ ডিসেম্বর বিকেল ৬টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম শওকত হোসেন, জজ কোর্টের পিপি কামারবায়সা গ্রামের অ্যাড. আব্দুল লতিফ ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ওকালত আলীর নেতৃত্বে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনসহ ২ থেকে ৪৩ নং আসামী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালিন সভাপতি এসএম শওকত হোসেনের বাড়িতে গোপনে বৈঠক করে। বৈঠকে পুলিশসহ সকল আসামীরা হরতল ও অবরোধ সফল না হওয়ার পক্ষে যত রকম তৎপরতা প্রয়োজন তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক সিদ্ধান্তটি চুড়ান্ত করে। ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাতটা থেকে সাতক্ষীরা- নাভারন সড়কের ঝাউডাঙা বাজারে জামায়াত বিএনপি’র নেতা কর্মীরা পিকেটিং করার সময় দুই দিক থেকে ২ থেকে ৪৩ নং আসামীরা সেখানে পৌঁছায়। সকাল ৯টার দিকে তারা পিকেটারদের লক্ষ্য করে লেড বল, টিয়ারসেল, রাবার বুলেট ও সাউÐ গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনসহ ১৪ থেকে ৪৩ নং আসামীরা পিকেটারদের মারপিট করে। ইয়ারব হোসেনসহ পাঁচজন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও সদর সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানকে মোবাইলে খবর দিয়ে বাদির শ্যালক হাফিজুরকে মারিপট করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ভিকটিম হাফিজুরকে ঝাউডাঙা বাজারের হারানের দোকানের পাশে এনে তার নাকের মধ্যে গুলি করে। গুলি মাথার খুলি ভেঙে বেরিয়ে যায়। পরে পুলিশের পিকআপে করে হাফিজুরের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে হাফিজুরের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় মসজিদের সামনে নামাজে জানাযা শেষে হাফিজের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে থানায় গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি অনুকুল হওয়ায় এ মামলা দায়ের করা হলো।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. অমিত কুমার রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদ ও ঋণের চেক বিতরণ

আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের ৪০ জন প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষন উপকরণ, সনদপত্র ও ঋণের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সনদপত্র ও ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাশ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অপু পরিচালক সঞ্জিত কুমার দাশ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী সুবীর হাসান, কম্পিউটার অপারেটর মোঃ শওকত আলী, ক্যাশিয়ার মিল্টন দাশ, অফিস সহায়ক রকছেন আলীসহ প্রশিক্ষনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest