সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় নওয়াপাড়া নাংলা বাজার বিএনপির কর্মীসভাসাতক্ষীরায় আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে পুকুর প্রস্তুতি-জৈব নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালাকালক্ষেপন না করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্বভার দেয়ার আহবানসাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাশ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা-সংঘর্ষ : ১৪৪ ধারা জারিসাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানা

শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির ট্যাংক বিতরণ করলেন এমপি দোলন

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগরে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদের বিশেষ তহবিলের আওতায় ২নং কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ পরিবারের মাঝে পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়েছে। ১৬ই জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১০ টায় গোবিন্দপুর আবু হানিফ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এলজিইডির বাস্তবায়নে পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়।

শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল আল রিফাত এর সভাপতিত্বে পানির ট্যাংক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন এমপি।

বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি উপস্থিত ছিলেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে গোবিন্দপুর আবু হানিফ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশল জাকির হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি এস এম জিয়াউর হক পলাশ, ২নং কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত বিশ্বাস বাবুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুস সবুর মোল্লা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কুমুদ রঞ্জন গায়েন, মৎসজীবী লীগের আহবায়ক মেহেদী হাসান মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

২৫ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে নদী বেষ্টিত উপকূলীয় অঞ্চলের লবণ পানির সংকট কাটাতে, মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করে জীবন ধারনের জন্য ৮০টি পরিবারের মাঝে সুপেয় পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়।

ট্যাংকি পাওয়া এক পরিবারের সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, আমার বাড়ির চারিপাশেই লবণ পানি একপাশে নদী আরেক পাশে ঘের পানি এনে খেতে হয় পাশের ইউনিয়ন শ্যামনগর সদর থেকে আমাদের যে কি উপকার হচ্ছে সেটা আমার ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ও এমপি দোলন সাহেবের জন্য দোয়া করি আমরা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করুক।

বাবু গাজী নামে এক জন ব্যক্তি বলেন আমরা সব সময় শুনি কাশিমাড়ী ইউনিয়নের মানুষ ট্যাংকি পাবেনা, এমপি দোলন সাহেব যে কি উপকার করলেন তা কিভাবে বলবো আমরা নামাজের পার্টিতে বসে তার জন্য দোয়া করব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার বিতরণ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব ব্যবস্থাপনায়, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই ) উপজেলা সম্মেলন কক্ষে, দুপুর ১২টার সময় সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে ৪ জন অসহায় প্রতিবন্ধীকে একটি হুইল চেয়ার ও ৫০ জন মেধাবী ও অসহায় ছেলে মেয়েকে কাগজ কলম, প্রতিবন্ধীদের বিনা সুদে ঋণ বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আল ফেরদাউস আলফা সম্মানিত অতিথি সাতক্ষীরা উ পরিচালক জেলা সমাজসেবা বার্মালা সন্তোষ কুমার নাথ,দেবহাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বার বার নিবাচিত হাবিবুর রহমান সবুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মহিলা ভাইস জি এম স্পর্শ,

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অধীর কুমার গাইনের সঞ্চালনায়, আরো উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ৩নং সখিপুর ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সখিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতন, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের জি,এম জহিরুল ইসলাম, উপজেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রতিবন্ধী ও ছোট ছো’ট সোনামণিদের স্বজনরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার অধিনস্থ ১নং বাঁশদহা ইউনিয়নের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় ছাত্র সমাজ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আশরাফুজ্জামান রকি ও সাধারণ সম্পাদক কায়মুজ্জামান পাভেল স্বাক্ষরিত একপত্রে তারিকুজ্জামান সিজানকে সভাপতি এবং শরিফুজ্জামান শরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যরা হলেন, সদস্য মহিবুল্লাহ হোসেন, ইমন হোসেন, ওবায়দুল্লাহ হোসেন, আকিব হোসেন, লিপটন হোসেন, শাওন হোসেন জয় ও রাকিব হোসেন।

এসময় পূর্বের কমিটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আগুনে পুড়ে ছাই দলিল লেখকের ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় আকস্মিক আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এক দলিল লেখকের ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। মঙ্গলবার ভোর রাতের কোন এক সময় শহরের কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তার নতুন ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার, প্রচুর মুল দলিল, সোনালী ব্যাংকের কয়েকটি চালান ও চেকসহ মূল্যবান জিনিস পত্র। পারিবারিক শত্রতার জেরে তার প্রতিপক্ষরা এঘটনাটি ঘটাতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবু হাসান সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত রহিল উদ্দীনের পুত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত আবু হাসান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি ও তার লোকজন কাজ শেষে দলিল লেখার সেরেস্তাটি বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে থাকার একপর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর রাত তিনটার দিকে তার কাছে একটি ফোন আসে যে তার দলিল লেখক সেরেস্তায় দাউ দাউ করে আগুন জ¦লছে। এ খবর পাওয়ার সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছেন। সেখানে সদর থানার রাতের ডিউটিরত পুলিশের একটি টিমও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার আগেই তার সেরেস্তায় থাকা নতুন ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার,

প্রচুর মুল দলিল, সোনালী ব্যাংকের চেক ও ট্রেজারী চালানসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে তার প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে এমন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো জানান, রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ায় তার কোন শত্রুতা না থাকলেও পারিবারিক শত্রুতার জেরে তার প্রতিপক্ষরা ভোর রাতের কোন এক সময় তার প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগাতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। তবে, এ ব্যাপারে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। তিনি এসময় বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃতঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুরাতন সাতক্ষীরায় জমিজমা বিরোধে ৪জনকে পিটিয়ে আহত

নিজস্ব প্রতিনিধি: জমিজমা বিরোধে একই পরিবারের ৪জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় ২জনের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোর ৬টার দিকে শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা মাদ্রাসাপাড়া এলাকায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা মাদ্রাসাপাড়া এলাকার মৃত. রইচ উদ্দিনের ছেলে মনজুর আলম রিপনের (৪৩) সাথে একই এলাকার নাছির উদ্দিনের জমিজমার বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার ভোর ৬টার দিকে নাছির উদ্দিনের স্ত্রী ইয়সমিন সুলতানা (৩০) পাটকেলঘাটা থানা এলাকার টুটুল (৩৫) ও মোশারফ হোসেন (৫৫) মনজুর আলম রিপনের বাড়িতে এসে গালিগালাজ করতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট ও ইট দিয়ে থেতলে আহত করে। এ সময় রিপনের বোন নাসরিন আক্তারের গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের ও তার মায়ের গলায় থাকা একটি ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

মারপিটে রিপনের মা হাফিজা খাতুন মারাত্বক আহত হয়ে পড়ে থাকলে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় মনজুর আলম রিপন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছে। এদিকে বাদিকে ফাঁসাতে বিবাদীরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির কুল্যা টু দরগাহপুর  সড়কের বেহাল দশা

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু বাঁকা (দরগাহপুর) সড়কের কাদাকাটি বাজার থেকে কাদাকাটি পুরাতন বাজার পর্যন্ত এক কিলো মিটার রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে যাতয়াতকারী যাত্রী সাধারণের।

অভিযোগ রয়েছে, সড়কটির নির্মাণ কাজে ধীর গতির কারনে সড়কের অনেকস্থানে নতুন করে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতেকরে প্রায়ই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের কারণে বৃষ্টি হলেই পানি জমে গর্তগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে সাতক্ষীরা জেলা সদরের যোগাযোগের একমাত্র বাইপাস সড়ক হিসেবে ওই সড়কই এক সময় বেশি ব্যবহৃত হত। আশাশুনি উপজেলার মানুষসহ আশাশুনির সীমান্ত এলাকা তালা, পাইকগাছা, কয়রা ও আশাশুনির দক্ষিণ অঞ্চলের ইউনিয়ন গুলোর হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। এলাকার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন দর্গাপুর কলেজে যাওয়া আসা করে। কিন্তু বছর খানেক ধরে সড়কের বেশীর ভাগ অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়ূয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যেন পুকুরে পরিনত হয়ে থাকে। সড়কটির খানা খন্দকের কারনে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অনেক প্রাণহানীসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে। এ ছাড়া সড়কে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো একটি অপরের ওভারট্যাকিং করতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এজন্য সড়কে যানচলাচল আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে।

দরগাহপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আসমা জান্নাত মনি এ প্রতিবেদককে জানায়, “আমরা প্রায় ২/৩কিঃমিঃ পথ পায়ে হেঠে কলেজে যাই। কারণ আমারে চলাচলের প্রধান এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যে যেখানে ২০/৩০ মিনিটে কলেজে পৌছার কথা সেখানে লেগে যায় ১ ঘন্টারও বেশি সময়। সড়কের দশা বেহাল হওয়ায় আগের মতো দ্রুত গাড়ী পাওয়া যায়না। অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে হেটেই কলেজে যাচ্ছি। হেটে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে যাই। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়তে হয় পরীক্ষার সময়। কারণ নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। তাই যতাযত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।”

স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদাকাটি আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মুক্তা জানায়, “ভাই কি আর বলবো স্কুলে যাওয়ার মূল সমস্যা এই সড়কটি। সড়কের অবস্থা এত খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন স্কুলে যেতে মন চায়না। এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টির কারনে গর্তে ময়লা জমে থাকে। ফলে ভাল জামা পড়ে গেলেও রাস্তার কাদায় নোংরা হয়ে যায়। সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে শালিসেও জমি নিয়ে বিরোধ মিমাংসা না হওয়ায় আত্মহত্যা!

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ শালিসেও মিমাংসা না হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন আশাশুনি উপজেলার কাকবাসিয়া গ্রামের বেদের সানা (৬৫)।
সোমবার (১৫ জুলাই) ভোরে বাড়ির বারান্দা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বেদের সানা ওই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। বেদের সানার সেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম সানা ও ছোট ছেলে বাচ্চু সানা জানান, জমির এওয়াজ নিয়ে প্রতিবেশী রেজাউল মেম্বার, রুহুল আমিন সানা ও বাবু সানাদের সাথে তাদের গোলযোগ চলে আসছিল। বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে রোববার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উপস্থিতিতে শালিস হয়। কিন্তু নিষ্পত্তি হয়নি। রাতে সকলে ঘুমাতে যান। ভোরে ঘরের বারান্দায় তারা বাবা বেদের সানার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

এদিকে, স্থানীয়রা জানান, বেদের সানারা প্রতিবেশি শরিকদের সাথে জমি এওয়াজের মাধ্যমে একেকজন একেক জায়গায় ভোগ দখল করছিল। তারপরও বেদের সানার ভোগদখলকৃত অংশের মধ্যে প্রতিবেশিদের জমি ছিল বলে তারা দাবি করে। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলযোগ হয়। গোলযোগ নিষ্পত্তির জন্য রোববার শালিস হয়। শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেদের সানাকে অন্য শরিকের জমি ছাড়তে বলা হয়। এসময় তিনি তার ভাইপো শরিকদের অনুনয় বিনয় করে জমির বদলে টাকা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু শরিকরা তাতেও রাজি না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে ছিল। এক পর্যায়ে সকলে চলে যায়। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। ভোরে নিজ বাড়ির বারান্দায় বেদের সানার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা।
বেদের সানার সেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম সানা ও ছোট ছেলে বাচ্চু সানার দাবি, জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় আত্ম অভিমানে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন।

আশাশুনি থানার এসআই পিয়াস জানান, বেদের সানার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি কেবিএ কলেজ’র সাথে সোনালী ব্যাংক পিএলসি পারুলিয়া শাখার চুক্তি স্বাক্ষর

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা :
ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে স্টুডেন্ট কর্তৃক কলেজের বিভিন্ন ফিসাদি অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এগিয়ে নিতে সেবা প্রদানকারী পক্ষ সোনালী ব্যাংক পিএলসি পারুলিয়া শাখার সাথে সরকারি খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ কলেজ সখীপুর, দেবহাটা, সাতক্ষীরা এর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে ১৫ জুলাই’২৪ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা হতে কলেজের আইসিটি হল রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আয়োজক সোনালী ব্যাংক পিএলসি পারুলিয়া শাখা ব্যবস্থাপক মো: মনিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংক পিএলসি সাতক্ষীরা প্রিন্সিপাল অফিস এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: শাহ আলম ও সরকারি খান খানবাহাদুর আহছান উল্লাহ কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর অলোক কুমার ব্যানার্জী।

ব্যাংকের পারুলিয়া পিএলসি শাখার সেকেন্ড অফিসার তপন মন্ডল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংক পিএলসি সাতক্ষীরা প্রিন্সিপাল অফিস এর এজিএম প্রহলদ কুমার মাখাল, সরকারি খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান আলহাজ্জ মো: আকবর আলী, ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় প্রধান মো: মনিরুজ্জামান (মহসিন) ও জীববিজ্ঞানের শিক্ষক মো: আবু তালেব।

শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আলহাজ্জ মো: আকবর আলী এবং গীতা পাঠ করেন প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক প্রদীপ কুমার মন্ডল।

এ সময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও সোনালী ব্যাংক পিএলসি পারুলিয়া শাখা সহ অত্র ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভা শেষে শিক্ষার্থী কর্তৃক কলেজের সমস্ত ফিসাদি অনলাইনের বিভিন্ন অ্যাপস এর মাধ্যমে পরিশোধের নিমিত্তে পূর্ব প্রস্তুতকৃত স্ট্যাম্পে কলেজ ও ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর পরবর্তী ফাইল হস্তান্তর করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest