সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সদর বিআরডিবি ইউসিসিএর বার্ষিক সাধারণ সভাসঙ্গীতা মোড়ে নিউ ভ্যারাইটি স্টোরের উদ্বোধনশেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় খালাস সাবেক সাংসদ হাবিব : সাতক্ষীরায় আনন্দ মিছিলকালিগঞ্জে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহারে স্থানীয় কৃষকদের সাথে এডভোকেসি সভাবাঁচতে চায় আশাশুনির অসহায় কৃষক জাহাঙ্গীরসাতক্ষীরায় মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধে এবি পার্টির পথসভাতৃতীয় স্বাধীনতার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি-আশাশুনিতে জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমানদেবহাটায় জাতীয় সেনা দিবস পালনআশাশুনিতে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিতজামায়াত রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সব দল ও ধর্মের লোক নিরাপদ থাকবে: মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ

সাতক্ষীরায় ব্যবসায়িকে তুলে এনে ডিবি পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন: সাবেক এসপি কাজী মনিরুজ্জামানসহ ১৭ জনের নামে মামলা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বাড়ি থেকে তুলে এনে ১৭ দিন গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে রেখে ষাড়াশি দিয়ে পায়ের নখ তুলে হাত, পা ও চোখ বেঁধে, লাঠি ও গুলি করে হাতের কনুই ও কবজির হাড় ভেঙে দিয়ে ১৩ লাখ টাকা আদায় করার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মুগিডাঙা গ্রামের ওয়াজেদ আলী সরদারের ছেলে এরশাদ আলী ওরফে আলী হোসেন বাদি হয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে সদর সার্কেলের তৎকালিন সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ জনের নামে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, সদর থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন, ডিবি পুলিশের তৎকালিন উপপরিদর্শক আবুল কাশেম, সহকারি উপপরিদর্শক কাজী এমরান, সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম, সহকারি উপপরিদর্শক পাইক দেলোয়ার হোসেনসহ মৃগিডাঙা গ্রামের ১১জন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, সদর উপজেলার মৃগিডাঙা গ্রামের ওয়াজেদ আলী সরদারের ছেলে এরশাদ আলী ওরফে আলী হোসেন একজন মুদি ব্যবসায়ি। তার মাছের ঘের ও রয়েছে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে পুলিশসহ সকল আসামীরা তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই বছরের ১১ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে মিস্ত্রী দিয়ে কাজ করানোর সময় একই গ্রামের আলী হোসেন, নুরুল আমিন, মিজানুর রহমানসহ ১১ জন তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। তখন স্থানীয় সকল আসামীদের সহযোগতায় পুলিশ তার দুই হাতে হ্যাÐকাপ লাগাইয়া ভ্যানে তুলে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে একটি অন্ধকার রুমে আটকে রাখে।

স্বজনরা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে গেলে তারা কিছুই জানেন না বলে জানানো হয়। গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে উপপরিদর্শক আবুল কাশেম ব্যবসায়ি এরশাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা চায়। আট দিন ধরে নির্যাতনের পর তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে টাকা আনার কথা বলতে বলে। ২৪ মার্চ রাত ৮টার দিকে উপপরিদর্শক আবুল কাশেম বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্যাতনের একপর্যায়ে তার ডান হাতের কনুই এর হাড় ভেঙে গুড়ো করে দেয়। প্লাস দিয়ে তুলে নেওয়া হয় শাহাদাৎ আঙুলের নখ। এরপরও টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে ২৫ মার্চ ভোরে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজত থেকে তার দু’চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে একটি অজ্ঞাতস্থানে এনে পস্তিল দিয়ে গুলি করে তার ডান হাতের কব্জির হাড় ভেঙে দেওয়া হয়।

এরপর কয়েকজন আসামী তার স্ত্রীকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে এসে করুণ পরিণতি দেখায়। একপর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ১৩ লাখ টাকা দিলে ২৮ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ২২ দিন এরশাদ আলী সাতক্ষীরা শহরের সংগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. ইকবাল হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির শ্রীউলা বিএনপি নেতা হাকিম হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা আশাশুনি শ্রীউলা ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাকিম সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন লাকি ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশাশুনি শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজেন মহিষকুড় বাজারে বুধবার বিকালে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মালেক সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক স.ম হেদায়াতুল ইসলাম।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা যুব দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সুমন রহমান, জেলা ছাত্র দলের সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল, যুগ্ম আহবায়ক বাবলু, আশাশুনি উপজেলা যুব দলের সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ, আশাশুনি স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নুরে আলম সহ আরো অনেকে।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, শ্রীউলা ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাকিম সরদার কে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন লাকি ও তার সহযোগিরা। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এই হত্যার বিচার হয়নি। তার পরেও এখনও এই সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন লাকি ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একাধিক মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন লাকি ও তার সহযোগি দের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০১৬ সালে শ্যামনগরে বিএনপি কর্মী ওলি হত্যা :  দুই সাবেক সাংসদ জগলুল, দোলনসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০১৬ সালের ৯ জুলাই দিবাগত রাত দুইটার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক সাংসদ এসএম জগলুল হায়দার, এসএম আতাউল হক দোলন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের তৎকালিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহউদ্দিনসহ ৩৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী ছালিমা খাতুন বাদি হয়ে মঙ্গলবার আমলী আদালত-২ এ ওই মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বিশ্বাস বাদির লিখিত অভিযোগটি সিআর মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে (১৫৬(৩)/১৫৭ ধারা তৎসহ গঠিত পুলিশ রেগুলেশন ,বেঙ্গল এর ২৪৫(এ) নং রেগুলেশন অনুযায়ি অগ্রসর হওয়ার জন্য শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মামলায় অন্যতম আসামীরা হলেন,কাশিমাড়ি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুজ্জামান আনিছ, গাবুরা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আযম লেনিন, শ্যামনগর সদর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।

মামলার বিবরনে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নগর গ্রামের একরামুল হক এর ছেলে কৃষক ওলিউল্লাহকে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ, নেতাসহ তৎকালিন জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ্উদ্দিন হত্যার পরিকল্পনা করে। এর আংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ৮ জুলাই তৎকালিন সাংসদ জগলুল হায়দার, সাবেক সাংসদ আতাউল হক দোলন, শফিউল আযম লেনিন, জহুরুল হায়দার বাবুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা গাজী আনিছুজ্জামান আনিছ এর বাড়িতে গোপন বৈঠক করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে ৯ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাড়িতে পারিবারিক ঝামেলা সংক্রান্ত একটি শালিসি বৈঠক চলাকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ্উদ্দিন এর নির্দেশে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে ওলিউল্লাহকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৯ জুলাই দিবাগত রাত দুইটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কাশিমাড়ি গ্রামের মশিউর রহমান ও মঈনুর হোসেনের বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে ওলিউল্লার মাথায় গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ ও ক্ষতাসীন দলের নেতারা এটাকে বন্দুকযুদ্ধ বলে প্রচার দেয়। পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে ১০ জুলাই বিকেলে ওলিউল্লাহ এর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই নামাজে জানাযা শেষে ওলিউল্লার লাশ পারিবারিক কবরস্থারে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ভিকটিম ওলিউল্লাহকে প্রধান আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে শ্যামনগর থানায়।

ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ হওয়ায় মামলার বিলম্বের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী ১০জন পুলিশ সদস্যসহ ৩৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ২৮ আগস্ট ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার ভোর ও সাতক্ষীরা থেকে দৈনিক সাতক্ষীরা সংবাদ পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় “কুখরালী আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি হাতিয়েছেন ৭৬লক্ষ টাকা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।

আমি সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালে সহ-সুপারসহ ৫টি পদে নিয়োগ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতেই কোন প্রকার অনিয়ম ছাড়াই হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধিসহ শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি পক্ষ আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশে এধরনের মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। আমার পিতাকে আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়েছে অথচ আমার পিতার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। আমি নিজে ২০০৩ সালের ছাত্রদলের ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। অন্যদিকে শরিফুল ইসলাম জুয়েল ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং ইয়াছিন আরাফাতের পিতা আবু আব্দুল্লাহ আবু সাক্কার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে এলাকায় অত্যাচার চালিয়েছিল। এখন তারাই আমাদের হয়রানি করার চক্রান্ত শুরু করেছে। আমি উক্ত মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
মো: আসাদুজ্জামান খোকন
পিতা- মো: শহীদুল ইসলাম
কুখরালী আমতলা, সাতক্ষীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার-৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় এক তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় চারজন পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো, শহরের দক্ষিণ পলাশপোল এলাকার মন্টু কারিকরের ছেলে সুলতান আহমেদ (২০), ছাত্তার গাজীর ছেলে আবদুল গফুর গাজী, পলাশপোল দক্ষিণপাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ হোসেন জনি এবং কামালনগর গ্রামের সিদ্দিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে জুম্মাতুল ইসলাম বনি। তাদের মধ্যে সুলতান আহমেদ ০৫ আগস্টের পরে উঠতি সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

র‌্যাব,সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ইনচার্জ নাজমুল আহসান জানান,২৬ আগস্ট রাতে শহরের নিউমার্কেট এলাকায় আবদুল্লাহ হোসেন জনির বাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া আশাশুনি এলাকার মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী।পরের দিন সকালে জনির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকে। মঙ্গলবার নির্যাতিতা তরুণীর পিতা বাদি হয়ে সুলতান আহমেদ,আব্দুল গফুরসহ ৬ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

তরুণীর পিতা জানান,দু’মাস আগে ভ্যান থেকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তার মেয়ে। সেই থেকে সে কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। ২৬ আগস্ট সে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসে। ধারণা করা হচ্ছে,ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে সাতক্ষীরাতে আসে। নিউমাকের্ট এলাকায় অবস্থানকালে আসামীরা তাকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান,বর্তমানে নির্যাতিতা তরুণী সাতক্ষীরার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে,সুলতান আহমেদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং শহরের নিউমার্কেট ও পাকাপোলের মোড় সহ একাধিক এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। গত শহরের পাঁকাপোলের মোড়ে মো: আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতে ব্যাপক মারপিট করে সুলতান আহমেদ ও বাবু হোসেনসহ সন্ত্রাসীরা। এসময় সাংবাদিক রবিউল ইসলামের ছেলে আল শাহারিয়ার রুমন ও আল মেহরাব রুহান সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।কেঁড়ে নেওয়া হয় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। এনিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপি কর্মীকে হত্যা: সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবির-কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৩৩জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই সাতক্ষীরার সদরের কুচপুকুর গ্রামের ওজিয়ার মোড়লের ছেলে আনিছুর রহমানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যশোর জেলার শার্শা থানাধীন বসতপুর গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠে গুলি করে হত্যার পর ক্রসফায়ার দেওয়ার প্রচারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতের ভাই মকফুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলাবার সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির , সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক শার্শা থানার বসতপুরের উপপরিদর্শক কবীর হোসেন মোল্লাসহ ৩৩ জনের নামে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে (১৫৬(৩) ধারা মতে) এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে একজন সহকারি পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার মর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার তদন্ত করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের নেছার আলী সরদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের নেছার আলীর ছেলে রব্উিল ইসলাম, কুচপুকুর জামতলা গ্রামের নজরুল সরদারের ছেলে এনামুল হক পলাশ, ও রণি আহম্মেদ, দক্ষিণ দেবনগর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে মুনসুর আলী ও হামজার আলী, ভবানীপুর গ্রামের নয়দা ওয়াজেদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন, বালিয়াডাঙা গ্রামের ওজিয়ার রহমানের ছেলে মাঝারুল ইসলাম, কাশেমপুর হাজামপাড়া মোড়ের জনাব আলীর ছেলে ইকরামুল, কাটিয়া বাজারের পাশে খোকনের ছেলে শেখ ফারুক হোসেন, পলাশপোলের বাঙ্গালের ছেলে খায়রুল বাসার পাপন, সুলতানপুরের কাজী আবুল খায়েরের ছেলে কাজী ফিরোজ হাসান, বাগানবাড়ি মাঝেরপাড়ার শেখ মুজিবর রহমানের ছেলে শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, পায়রাডাঙা গ্রামের রাজ্জাক সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম, জিফুলবাড়ি(গোবরদাড়ি) গ্রামের ওজিয়ার রহমানের ছেলে জয়নুল আরা (লালু), ভাবনীপুর গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা নাজমুস সাকিব, একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের চেলে সামছুর রহমান (মেম্বর), আব্দুর রহিমের ছেলে শহীদুল ইসলাম, আড়–য়াখালি গ্রামের জামসেদ গাজীর ছেলে জাকির হোসেন, ও আব্দুর রকিব, মৃত সমছের সরদারের ছেলে ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম, শহরের মুনজিতপুরের আব্দুল গফুরের ছেলে জাহাঙ্গীর ও মজিবর রহমান, বাঁশঘাটা গ্রামের অছের আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, শিয়ালডাঙা গ্রামের হেকমত সরদারের ছেলে ইমন ওরফে পটল, আগরদাঁড়ি গ্রামের আহম্মাদ গাজীর ছেলে আব্দুল বারী গাজী, বাবুলিয়া গ্রামের মতি মাষ্টারের ছেলে মাষ্টার পলাশ, কলারোয়া উপজেলার ওফাপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক ও আশাশুনি উপজেলার কামালকাটি গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে শাহাজাহান গাজী।

মামলার বিবরনে জানা যায়, কুচপুকুর গ্রামের ওজিয়ার রহমান মোড়লের ছেলে আনিসুর রহমানকে ২০১৪ সালের ১৮ জুলঅই রাত আটটার দিকে চারি পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুটি মাইক্রোবাসে করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় নিয়ে আসে। রাতে তাকে নির্যাতনের পর যশোরের শার্শা উপজেলার বসতপুর গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠে বুকে ও পায়ে গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়। পরদিন সকালে খবর পেয়ে সেখান থেকে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরীর পর ওই লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারল হাসপতালের মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে আনিসুরের লাশ রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সাতক্ষীরা সদর থানায় এ ঘটনায় মামলা দিতে গেলে তা নেওয়া হয়নি।

ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ হওয়ায় মামলার বিলম্বের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. মশিউর রহমান ফারুক চারজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামিনে মুক্তি পেলেন সাতক্ষীরার সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৬ নেতা-কর্মী

আসাদুজ্জামান : শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মিথ্যা মামলায় ৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন কারাভোগের পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৬ নেতা-কর্মী।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকাস্থ উচ্চ আদালতের ১১ নং বেঞ্চ থেকে তিনিসহ বিএনপির সকল নেতা-কর্মীদের জামিন দেয়া হয়। এর ফলে তিনিসহ সকল নেতা-কর্মীদের কারাগার হতে বের হতে আর কোন বাধা নেই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের স্ত্রী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এড. শাহানারা আক্তার বকুল জানান, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে মনগড়া মিথ্যা চার্জশীট দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে বিতর্কিত চার্জশিট ও মিথ্যা স্বাক্ষরের ভিত্তিতে আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা প্রদান করে আদালত। নি¤œ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দী বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।

ইতোমধ্যেই এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে চারজন বিএনপি নেতা কর্মী কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৬ জন বিএনপি নেতাকর্মী অদ্যবধি কারা ভোগের পর মঙ্গলবার দুপুরে উচ্চ আদালতের ১১ নং বেঞ্চ থেকে তিনিসহ সকল নেতা-কর্মীদের জামিন প্রদান করা হয়। তিনি আরো জানান, এর ফলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবসহ সকল নেতা-কর্মীদের কারাগার হতে বের হতে আর কোন বাধা নেই।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : অভ্যন্তরীণ জলাভূমি প্লাবিত ধানক্ষেত/প্লাবনভূমি/প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাতক্ষীরায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’র উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর’র সহযোগিতায় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শোয়াইব আহমাদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার মো. আনিছুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর খুলনার সহকারি পরিচালক রাজ কুমার বিশ্বাস, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মনির হোসেন ও সদর উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পুকুর, সাতক্ষীরা পৌর দীঘি ও জেলা প্রশাসকের বাংলোর পুকুরসহ অভ্যন্তরীণ জলাভূমি প্লাবিত ধানক্ষেত/প্লাবনভূমি/প্রাতিষ্ঠানিক ২৬টি জলাশয়ে রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪৭১ কেজি রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। এসময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest