সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় নওয়াপাড়া নাংলা বাজার বিএনপির কর্মীসভাসাতক্ষীরায় আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে পুকুর প্রস্তুতি-জৈব নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালাকালক্ষেপন না করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্বভার দেয়ার আহবানসাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাশ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা-সংঘর্ষ : ১৪৪ ধারা জারিসাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানা

সাতক্ষীরার আলিপুরে পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে মানববন্ধন

জি.এম আবুল হোসাইন : সাতক্ষীরার আলিপুরে কায়পুত্র সম্প্রদায়ের পুনর্বাসন নিশ্চিত এবং উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অক্সফাম বাংলাদেশ এর সহযোগীতায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর বাস্তবায়নে এবং আলিপুর কায়পুত্র পূর্নবাসন আন্দোলন কমিটি, সাতক্ষীরার আয়োজনে ১৫ই জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আলিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিপুর বলফিল্ড মন্ডল পাড়ায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর অফিস ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্য কায়পুত্র সম্প্রদায় একটি। তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত। তারা দীর্ঘ ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর ইউনিয়নের বলফিল্ড মন্ডলপাড়া, বাদামতলা মন্ডল পাড়া এবং ভাড়ুখালী মন্ডল পাড়ায় ১২৬টি পরিবার বসবাস করছে। তাদের মধ্যে ৮৭ পরিবার ভূমিহীন। তাদের নিজেদের এক টুকরো জমি নেই। অনেকে রাস্তার ধারে বসবাস করছে। রাস্তার ধারে বসবাস করার কারণে নানা সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও ঘটে এমন কি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। নানা সময়ে রোড এন্ড হাইওয়ে তাদের বাড়ি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

এই নির্দেশে আমরা সহমত পোষণ করছি। আমরাও চাই রাস্তা সংস্কার হোক। সরকারের কার্যক্রম যথারীতি সম্পন্ন করা হোক। কিন্তু তাদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ তারা অসহায়। তাদের ঘর ভাড়া করে থাকার জায়গা ও অর্থ নেই। তাদের একটাই দাবি তাদের পুনর্বাসন করে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হোক। ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর বাস্তবায়নে অক্সফাম বাংলাদেশ এর সহযোগীতায় “নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা” প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মীরা দীর্ঘ ১বছর সময় ধরে তাদের সাথে বিভিন্ন সরকারি স্তরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাথে বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসার, ভূমিহীন প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ, নাগরিক সনদ সংগ্রহ, স্বামী স্ত্রীর ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরাসরি এই কায়পুত্র পাড়ায় ভিজিট করেন। তাদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন, তাদের জীবন ধরার পরিবর্তন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এই উদ্যোগ কে ধন্যবাদ জানায়। এই মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সকলের দাবি এই কায়পুত্র সম্প্রদায় বা ভূমিহীনদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হোক।

এসময় আরো বক্তব্য প্রদান করেন, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পৌর কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক আনারুলের সুস্থতা কামনা

সাতক্ষীরা পৌর শাখা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোঃ আনারুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের দুর্বলতা নিয়ে ডাঃ আসাদুজ্জামান’র নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

আনারুলের সুস্থতা কামনা করেছেন কৃষক লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য বিশ্বজিৎ সাধু, মোঃ মনজুর হোসেন,সাতক্ষীরা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ সামছুজ্জামান জুয়েল,যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মিজানুর রহমান,

সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত হাসান রাসেল,প্রচার সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল্লাহ ইসলাম,দপ্তর সম্পাদক শফিউদ্দিন ময়না সহ জেলা, পৌর ও সকল উপজেলা শাখা কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রতাপনগরে ত্রাণ নয় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পূর্ব নাকনা কুড়িকাহুনি রাস্তার জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে গড়ুইমহল খালের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাওয়া রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নৌকায় মানববন্ধন করেছে প্রতাবনগর ইউনিয়ন বাসী।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর ইউনিয়নের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি ৪ বছর যাবত এই অবস্থায় পড়ে আছে। সকল বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙে স্রোতের তোড়ে সড়কটি ভেঙে যায়।

ফলে রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয় কৃত্রিম খাল। কিন্তু সড়ক ভাঙার চার বছর পার হলেও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ফলে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ ইউনিয়নের গোকুলনগর, নাকনা, গোয়ালকাটি, সোনাতনকাটি, শ্রীপুর, কুড়িকাহুনিয়াসহ পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলার সঙ্গে আশাশুনি উপজেলার সড়কপথের যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন।
কোনো রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হতে পারে। তাই সাতক্ষীরার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ এর উদ্যোগে সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে , সরকারি চাকরিতে ‘কোটা’ ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলাপন, যৌক্তিক উপায়ে গ্রহণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য-‘পলিসি এ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন।

রোববার দুপুরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো মহিদুল ইসলাম, লাবসা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান সোহার্ত,পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান তরুণ, সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ সহ আরও অনেকেই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা শহরে বাড়ির পানির লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন প্রতিকার চেয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় পারিবারিক বিরোধের জেরে বোনের বাড়ির পানির লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ খুন জখম এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকির ঘটনায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্ততলেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শহরের মুনজিতপুর এলাকার মৃত আব্দুল গফুর সরদারের কন্যা বিলকিস আক্তার। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমিসহ আমরা ১০ বোন এবং ৪ ভাই। ভাইদের মধ্যে বড় ভাই ইতোমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। আমাদের পিতা মাতা-জীবিত থাকা অবস্থায় মুনজিতপুরে ৪টি চারতলা বিশিস্ট ভবন নির্মান করেন।

৪টি ভবনের একটি ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনে আমরা ৫ বোন যথাক্রমে (আমি) বিলকিস আক্তার, রেহেনা পারভিন, আফরোজা পারভীন, শিরিন আক্তার, মনিরা ইয়াসমিন শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করে আসছি। কিন্তু ছোট ভাই শাহাজান কবির আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির হারির বোনদের অংশের টাকাও জোরপূর্বক উত্তোলন করে নিয়ে আসে। আমাদের অংশের সম্পত্তি থেকে বড় গাছ জোরপূর্বক কেটে বিক্রয় করা, মৎস্যঘের থেকে ইচ্ছামত মাছ বিক্রয় করাসহ নানাভাবে আমাদের হয়রানি করে আসছে। প্রতিবাদ করায় শাহাজান কবির আমাদের উপর ক্ষিপ্ত আমাদের পৈত্রিক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করাসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছে। গত ১০ জুলাই‘২০২৪ তারিখে শাহাজান কবির, ফিরোজা ইয়াসমিন এবং তার কন্যা নাইচ আমাদের বোনদের ভবনের পানির লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে আমরা ৫ বোন চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এবিষয়ে শাহাজান করিবের সাথে কথা বলতে গেলে আমাদের মারপিট করতে উদ্যাত হয়। ওই সন্ত্রাসী প্রকৃতির শাহাজান কবিরের ভয়ে আমরা আতংকিত হয়ে পড়েছি। পরিবার নিয়ে বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার কাছে আমাদের পিতার বন্দুক নিয়ে আমাদের গুলি করে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে বলে এতে, “গুলি লোড করা আছে, চাপলেই মাথার খুলি উল্টে যাবে”। যে কারনে সব সময়ই আমাদের আতংকের দিন কাটছে। ইতোমধ্যে আমরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।

তিনি আরো বলেন, পানি ছাড়া কোন মানুষই বেঁচে থাকতে পারে না। এরপরও ৪তলা ভবনের পানির লাইন যদি বন্ধ রাখা হয় তাহলে তাদের কি অবস্থা হতে পারে। সেটি ভুক্তভোগীরাই বুঝবে। এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন সমাধান হয়নি। বিশেষ করে পানি সংকটের কারনে শিশুরা মারাত্মক ঝুকির মধ্যে রয়েছে। অবিলম্বে আমাদের ভবনে পানির লাইন চালু করতে না পারলে ওই ভবন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হতে হবে। অসহায় ৫টি পরিবার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী শাহাজান কবিরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রেজাউল সানা নামের সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:

আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় রেজাউল সানা (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কোদন্ডা আমতলার মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত রেজাউল সানা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আদালত পুর গ্রামের আনসার সোনার ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, রেজাউল সানা দুর্গাপুর থেকে বাইসাইকেল যোগে নিজু বাড়িতে যাওয়ার সময় ঘোলা থেকে সাতক্ষীরা গামি খুলনা মেট্রো জ ০৫-০০৩৪ যাত্রীবাহী বাস দ্রুতগতিতে সাইকেল আরোহী মোঃ রেজাউল সানাকে ধাক্কা মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে বাসের চালক দ্রুত গতিতে বাস নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে লোকজন ধাওয়া করে চাপড়া ব্রিজ এলাকায় বাসটিকে আটকে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে এবং ড্রাইভার-হেলপার কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশটি আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে এবং বাসটি আশাশুনি থানায় আটক রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজাদী সংঘের উদ্যোগে বিনামূল্যে চারা গাছ বিতরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
আজাদী সংঘের উদ্যোগে সংঘ এলাকায় ২০০ টি বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও বনজ চারা গাছ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৫ টায় শহরের সুলতানপুর আজাদী সংঘের নিজস্ব কার্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয় এবং বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ এলাকাবাসীর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। আজাদী সংঘের সভাপতি মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশি’র সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজাদী সংঘের সাবেক সভাপতি হেনরি সরদার, সিনিয়র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সলিম কোকিল, আলহাজ্ব মোখলেছ আলী, মাস্টার মনির উদ্দিন, ইউনুস আলী, আজাদী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী সরদার, সহ-সভাপতি কাজী তাজউদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রুবেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসান সাদ্দাম, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্রীয়া সম্পাদক শেখ জাহিদ হাসান, তথ্য প্রচার সম্পাদক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান শুভ, নির্বাহী সদস্য প্রবীর পোদ্দার,

মুস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় এলাকাবাসীর আজাদী সংঘের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। অত্র এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং সামাজিক বনায়নে এই কর্মসূচি অনন্য ভূমিকা পালন করবে বলে আজাদী সংঘের নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ১৮৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা আবারো ফিরে পাওয়ার দাবী

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাটি একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের আর্ন্তজাতিক সীমানা নির্ধারকারী নদী ইছামতি নদীর ধার ঘেষে দেবহাটা উপজেলার অবস্থান। ইছামতির ওপারে রয়েছে ভারতের হাসনাবাদ রেলষ্টেশন। যার কারনে সেসময়ে এ অঞ্চলের মানুষের দ্বিতীয় ঠিকানা ছিল কোলকাতা শহর। তারা অনায়াসেই রেলে করে কোলকাতা যেতে পারতেন। এই দেবহাটার সুশীলগাতী গ্রামে রয়েছে উপমহাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের বাড়ি, টাউনশ্রীপুরে রয়েছে ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শংকর রায় চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস।

এই দেবহাটার নামকরন নিয়ে নানাজনের কাছ থেকে নানারকম মতামত পাওয়া যায়। কেউ বলেন, প্রাচীনকালে এখানে দেব-দেবীর হাট বসত, সেজন্য নাম হয়েছে দেবহাটা। আবার কেউ বলেন, প্রাচীনকালে এখানে ঘন জঙ্গল ছিল। সেই জঙ্গলে বিভিন্ন বনদস্যু বা অনেকে রাগারাগি করে যেয়ে পালিয়ে থাকত। তারা বলত ঐ জঙ্গলে দেবো—-হাটা। আর কালে আবর্তে সেখান থেকে নাম হয়েছে দেবহাটা। তবে যে যাই বলুক না কেন এই দেবহাটাকে ঘিরে একদিকে যেমন রয়েছে নানারকম কল্পকাহিনী ঠিক তেমনি রয়েছে অনেক প্রাচীন র্কীতি বা নিদর্শন। প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা গেছে, ১৮৬৭ সালে তৎকালীন বৃটিশ আমলে দেবহাটার টাউনশ্রীপুরে দেবহাটা পৌরসভা গড়ে উঠেছিল। ঐ সময় বর্তমান বিভাগীয় শহর খুলনাতেও পৌরসভা গড়ে ওঠেনি। সেই পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন দেবহাটা সদরের বাসিন্দা স্বনামধন্য ও প্রজাহিতৈষী জমিদার ফনীভূষন মন্ডল। যিনি একটানা ত্রিশ বছর পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। দেবহাটা থেকে টাউনশ্রীপুর পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে জমিদার ও গাঁতীদার মিলে ১৮ জন বসবাস করতেন। এই ১৮ জনের মধ্যে কেউ ছিলেন অত্যাচারী আবার কেউ ছিলেন প্রজাহিতৈষী। জমিদারদের মধ্যে প্রধান ছিলেন জমিদার ফনীভূষন মন্ডল। যিনি মানুষের কল্যানার্থে ও সেবার মনোভাব নিয়ে অনেক স্থাপনা তৈরী করে গেছেন। তার মধ্যে আছে দেবহাটা পাইলট হাইস্কুল (বর্তমানে মডেল হাইস্কুল), থানার পাশে ফনীভূষনের মা ভূবন মোহিনীর নামে প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিক (যেটি বর্তমানে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে মানুষের সেবা প্রদান করা হয়) সহ অসংখ্যা কল্যানকর স্থাপনা। সূত্র মতে, পাকিস্তান সরকার আসার পরে সম্ভবত ১৯৫৩-৫৪ সালে দেবহাটা পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে। পাকিস্তান সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৎকালীর রাওয়ালপিন্ডি হাইকোর্টে জমিদার অনীল স্বর্নকার মামলা করেছিলেন। কিন্তু দুভার্গ্যক্রমে আর পৌরসভা ফিরে আসেনি। ১৯৫৫ সালে দেবহাটাকে পৌরসভার পরিবর্তে রুপ দেয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদে।

ইউনিয়ন পরিষদের মর্যাদা দেয়ার পরে প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুশীলগাতী গ্রামের গোলাম হোসেন। জমিদার ফনীভূষন মন্ডল যে বাড়িতে বসবাস করতেন তার সূনিপূন কারুকার্য সকলকে মুদ্ধ করে। বাড়িটির ডিজাইন ও নকশা সকলকে আকৃষ্ট করে। এছাড়া টাউনশ্রীপুরে রয়েছে ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শংকর রায়ের পৈত্রিক ভিটাবাড়ি। উনার পূর্ব পুরুষরাও জমিদার হিসেবে এখানে বসবাস করতেন। তিনি সেনাপ্রধান থাকাকালে ১৯৯৭ সালে তার পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে টাউনশ্রীপুর এসে পৌত্রিক ভিটাটি দেখে গেছেন। আর সাথে করে নিয়ে গেছেন সেখানের কিছু মাটি। সুশীলগাতী গ্রামে রয়েছে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের পৈত্রিক ভিটাবাড়ি। সেখানে একটি নামফলক করা আছে। দেবহাটা ও টাউনশ্রীপুরে এখন আর জমিদারদের বসবাস না থাকলেও রয়েছে তাদের বিশাল অট্রালিকা, ধর্মীয় উপসনালয়, থিয়েটার রুম সহ কিছু কারুকার্য। তবে সেখানে আর বাজেনা কোন বাজনা ও বা হয়না কোন নৃত্য। ব্রিটিশ শাসনামলেই সেই আকা বাকা রাস্তাগুলো এখন হয়েছে পিচ ঢালা রাস্তা। যেটা যেয়ে মিশেছে জেলা শহরের সাথে। তাই দেবহাটার ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সরকারী কিছু উদ্যোগ। আর সেটাই প্রত্যাশা দেবহাটাবাসীর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest