সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সদর বিআরডিবি ইউসিসিএর বার্ষিক সাধারণ সভাসঙ্গীতা মোড়ে নিউ ভ্যারাইটি স্টোরের উদ্বোধনশেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় খালাস সাবেক সাংসদ হাবিব : সাতক্ষীরায় আনন্দ মিছিলকালিগঞ্জে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহারে স্থানীয় কৃষকদের সাথে এডভোকেসি সভাবাঁচতে চায় আশাশুনির অসহায় কৃষক জাহাঙ্গীরসাতক্ষীরায় মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধে এবি পার্টির পথসভাতৃতীয় স্বাধীনতার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি-আশাশুনিতে জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমানদেবহাটায় জাতীয় সেনা দিবস পালনআশাশুনিতে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিতজামায়াত রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সব দল ও ধর্মের লোক নিরাপদ থাকবে: মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ

আশাশুনি সদরে মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন: নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ৪ শতাধিক পরিবার

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনি উপজেলা সদরের মানিকখালী চর গ্রামে মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার। চর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ২০০ ফুট ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার সকালে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, সদর ইউনিয়নের আমীর হাফেজ আব্দুল্লাহ, রোকন বাবলুর রহমান, জামায়াত নেতা হযরত আলী সরদার, আমীর হামজা খোকন, জিয়াউল হক প্রমুখ।

স্থানীয় বাসিন্দা জামায়াত নেতা আমীর হামজা খোকন বলেন, মরিচ্চাপ নদী খননের জন্য ভাঙনস্থলে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়ে যায়। পানি সরবরাহ না থাকায় বিগত দু’বছর ধরে লোনাপানির জন্য বুধহাটা, আশাশুনি ও শোভনালী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত। তাই কয়েক মাস আগে স্থানীয় লোকজন উক্ত বাঁধ কেটে দিয়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করেন। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কাটার কারণে জোয়ার ভাটার সময় বাঁধ এলাকায় প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়েছে।

স্থানীয় শ্রমিক রেজাউল ইসলাম বলেন, চরভরাটি এ এলাকাটি আশাশুনি সদরে হলেও এর অনেকাংশ বুধহাটা ইউনিয়নের জমি।

বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু ভাঙন রোধে একটি রিং বাঁধ নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ করা হয়। অনতিবিলম্বে ভাঙন এলাকায় টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে আমাদের প্রায় ৪ শ পরিবার ভেসে যাব।

আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থলে উপস্থিত আতঙ্কিত শতশত নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে

বলেন, মরিচ্চাপ নদীর এ বাঁধটি ভেঙে গেলে চাপড়া ও আশাশুনি মৌজার ৪ শ ভূমিহীন পরিবার প্লাবিত হয়ে গৃহ হীন হয়ে পড়বে। বাঁধটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে মানিকখালী ভূমিহীন পল্লী ভাসিয়ে উপজেলা পরিষদ আক্রান্ত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা তৎপর না হলে নদী ভাঙনে চরের ভূমি হীন পল্লী সহ উপজেলা সদরের নকশা বদলে যাবে। উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় কে অবহিত করা হয়েছে। উনি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মোমেন আলীর সাথে (০১৭৭৯২৮৭৮৩৯) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

অনতিবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ভূমিহীন পল্লীর বাসিন্দারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টিআইবি’র এসিজি গ্রুপের সমন্বয়ক হলেন তরুণ সাংবাদিক বিপ্লব

নিজস্ব প্রতিনিধি: টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর উদ্যোগে ভূমি সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপের (এসিজি) ভূমি’র সমন্বয়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি তরুণ সাংবাদিক এসএম বিপ্লব হোসেন।

সম্প্রতি টিআইবি সাতক্ষীরা কার্যালয়ে সনাকের এক সভায় এসিজি সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী ১ বছরের জন্য বিপ্লব হোসেনকে সমন্বয়ক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

সমন্বয়ক এসএম বিপ্লব হোসেন জানান, ‘ভূমি অফিস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক অভিযোগ রয়েছে, অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে, এটা দূর করার জন্য আমরা কাজ করছি।

আমরা মনে করি সেবা সম্পর্কে তথ্য সাধারণ মানুষের নিকট এখনও পরিষ্কার না। আর তাই সকল পক্ষ নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলেই আমাদের সাতক্ষীরার ভূমি অফিসের সেবার মান বাড়বে’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত থেকে দুই কেজি হেরোইন, ৪ বোতল এলএসডি ও ৩৩৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি। রোববার ভোরে ভোমরা সীমান্তের ঘোষপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক চোরাকারবারীর নাম মোহাম্মদ গাজী (৪৩)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়–খালি গ্রামের নাসিম উদ্দিন গাজী ছেলে।

বিজিবি জানায়, ভারত থেকে অবৈধ পথে ভোমরা স্থলবন্দর সীমান্তের ঘোষপাড়া এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির হাবিলদার শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে দুই কেজি হেরোইন, ৪ বোতল এলএসডি ও ৩৩৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ উক্ত চোরাকারবারীকে আটক করা হয়।

আটক চোরকারকারীর উদ্ধৃতি দিয়ে বিজিবি আরো জানায়, জব্দকৃত এসব মাদকের বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকা।
সাতক্ষীরা বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, জব্দকৃত মাদকসহ আটক চোরাকারবারীকে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দসহ তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ব্যবসায়িকে তুলে নিয়ে ছেলেসহ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন সাবেক পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ১১ জনের নামে আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ এক ব্যবসায়িকে সাতক্ষীরা শহরের পুলিশ সুপারের বাংলোর পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে তুলে এনে হাত ও চোখ বেঁধে বাইপাস সড়ক, ডিবি পুলিশের কার্যালয় ও তালা উপজেলার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতনের পর ছেলেকে তুলে এনে নির্যাতনের পর বাবাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে দুই কোটি ২৪ লাখ টাকা ও ১০টি সোনার বার(এক কেজির বেশি ওজন) জোরপূর্বক গ্রহণ করার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের মেসার্স আসিক এন্টারপ্রাইজের স্বতাধিকারী আল ফেরদৌস আলফা সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে রবিবার এ মামলা দায়ের করেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারক নয়ন বিশ্বাস মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান, পুলিশ পরিদর্শক রাজীব আল রশীদ, দেবহাটা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, উপপরিদর্শক কাজী আরিফুর রহমান ফারাজী, উপসহকারি পরিদর্শক মফিজুর রহমান, সিপাহী মনিরুল ইসলাম, সিপাহী মোঃ ডালিম, উপপরিদর্শক পিন্টু লাল দাস, উপপরিদর্শক আব্দুল মাজেদ, উপপরিদর্শক মঈনসহ অজ্ঞাতনামা ৭ জন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভোমরা বন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক মেসার্স আশেক এন্টারপ্রাইজের স্বতাধিকারী ও সদ্য ভেঙে দেওয়া দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল ফেরদৌস আলফাকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার জন্য তৎকালিন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক রাজীব আল রশীদ ও গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খানকে দিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান। মুজিবরের পরিকল্পনায় কাজী মনিরুজ্জাটমান, বাবলুর রহমান খান ও রাজীব আল রশীদ বাদির কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তাকে জামায়াতের অর্থযোগানদাতা হিসেবে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

মুজিবর রহমান বাদিকে কয়েকবার মুঠোফোনে হুমকি দেন যে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এপিএস মনিকে দিয়ে টেলিফোন করিয়ে তাকে হত্যা ও আর্থিক ক্ষতি করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর আনুমানিক রাত ৯টার দিকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের বাসভবনের পার্শ্ববর্তী ফাতেমা ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃ আসাদুজ্জামানের চেম্বারে যাওয়ার সময় পুলিশ পরিদর্শক রাজীব আল রশীদ ও উপপরিদর্শক কাজী আরিফুর রহমান ফারাজী তাকে পিছন দিক থেকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তোলে। গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবরুর রহমান খান অন্য গাড়িতে আছে বলে তার দুই হাত ও দুই চোখ বেঁধে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরায়। গাড়িতে পুলিশ তাকে মারপিট করে। ২৪ নভেম্বর দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাকে বাইপাস সড়কে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাস থেকে নামানোর পর বাদির চোখ খুলে দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে দুটি পুলিশ ভ্যান নিয়ে হাজির হন সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াদ। এ সময় তার সম্মুখে দুটি শর্ট গান, একটি পিস্তলসহ কয়েকটি অস্ত্র, ২০/২৫ রাউল্ড গুলি ও কয়েক বস্তা ফেনসিডিল রাখা হয়। পিস্তল ও শর্ট গানের কয়েকটি গুলি বাদির পকেটে ঢুকাইয়া দেওয়া হয়। ১০০ টাকার ২০টি জাল নোটের ব্যাÐেল বাদির হাতে দিয়ে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের নির্দেশে সকল আসামীরা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে ও ছবি উঠাইয়া নেয়। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান ও তৎকালিন উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান তাকে বলে যে ক্রসফায়ার দিতে তোর আর ুকছু লাগবে ? এখন বল, টাকা দিবি না মরবি ? তখন বাদি আসামীদের কাছে জীবন ভিক্ষা চেয়ে বলে যে, আপনাদের চাহিতামত টাকা আমার নেই। এরপর তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নির্যাতন করতে করতে পলাশপোলের বাড়িতে আনা হয়। বাবলুর রহমান খানসহ কয়েকজন পুলিশ বাদিকে নিয়ে ঘরে ঢোকে। তখন তারা ১০ পিস সোনার বারসহ নগদ ৩৯ লাখ টাকা গ্রহণ করে। এরপর বাবলুর রহমান খানের নেতৃত্বে পুলিশ তিনটার দিকে তালা উপজেলার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে ৫ কোটি টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে এনে তাকে নির্যাতন করা হয়। তার ছেলে আজাহারুলকে বাড়ি তেকে তুলে এনে নির্যাতন করা হয়। আজাহারুল তার বাবাকে ক্রস ফায়ারে না দেওয়ার শর্তে তার ব্যাংক হিসাবে যে টাকা আছে তা দিয়ে দেওয়ার কথা বললে ২৬ নভেম্বর তাকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ বাইপাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরদিন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান. পুলিশ পরিদর্শক রাজীব আল রশীদ, দেবহাটা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, উপপরিদর্শক কাজী আরিফুর রহমান ফারাজী শহরের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর সামনে এসে দাঁড়ান। বাবলুর রহমান খান ও রাজীব আল রশীদ বাদির ছেলে আজাহারুলকে নিয়ে ব্যাংকের ভিতরে ঢোকে। পরে আজাহারুলের হিসাব নম্বরে থাকা এক কোটি ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৫ টাকা আজাহারুলের মাধ্যমে তুলে নিয়ে সমস্ত টাকা গাড়িযোগে কাজী মনিরুজ্জমানের বাসায় নিয়ে যায়। ১৯ দিন জেল হাজতে থাকার পর জামিন মুক্তি পাইলে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমানের মাধ্যমে বাদিকে তার অফিসে ডাকাইয়া বলেন যে, সোনা ও টাকার কথা কাউকে জানালে তাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেন। একপর্যায়ে বাদি ভয়ে শ্রমিকের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে চলে যায়।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. জহুরুল হক মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে আজকের পত্রিকা তালা উপজেলা প্রতিনিধি সেলিম হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সকলের সম্মতিতে আজকের পত্রিকার তালা প্রতিনিধি সেলিম হায়দার কে সভাপতি ও ইনকিলাব পত্রিকার তালা প্রতিনিধি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তালা প্রতিনিধি কে এম শাহীনুর রহমান, সহ-সভাপতি দ্যা এডিটরস এর এস এম নাহিদ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমার সংবাদের সেকেন্দার আবু জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার শফিকুল ইসলাম, আর্থ সম্পাদক সাতক্ষীরার সকালের তাপস সরকার, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক কাফেলার মুকুল হোসেন, প্রচার সম্পাদক তালার খবরের এম খায়রুল আলম, মহিলা সম্পাদিকা প্রতিদিনের কথার শিরিনা সুলতানা।

নির্বাহী সদস্য, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার মোঃ নুর ইসলাম, দক্ষিনাঞ্চল প্রতিদিনের অর্জুন বিশ^াস, দৈনিক যশোর পত্রিকার কাজী ইমরান হোসেন, দৈনিক রানার পত্রিকার শেখ ইমরান হোসেন, দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার আসাদুজ্জামান রাজু প্রমুখ। এছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সদস্য তরিকুল ইসলাম, সৈয়দ মারুফ, কুদ্দুস পাড়, আজমল হোসেন জুয়েল, সন্তোষ ঘোষ, বিল্লাল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তালার সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে তালা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘোনায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া

ঘোনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আলোচনা এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১ সেপ্টেম্বর বোরবার বিকালে ঘোনা ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক সাইফুজ্জামান মিলন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম রবি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মোঃ আনারুল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও ঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব সাইলু রহমান বিশ্বাস, সাতক্ষীরা জেলা কৃষকদলের সম্মানিত সদস্য আব্দুস সালাম,ঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, সদর উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক লিয়াকাত আলী, যুগ্ম-আহবায়ক মফিজুল ইসলাম,

ঘোনা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদ হোসেন, বৈকারী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব খালিদ হোসেন, ভোমরা ইউনিয়ন কৃষকদলের মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, সদস্য সচিব মামুন, বাঁশদাহ ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক ডাক্তার আসাদুজ্জামান, ঘোনা ইউনিয়ন কৃষক সিনিয়র যুগ্ন মজনুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক এরশাদ আলী মিল্টন, হাজী ফরহাদ হোসেন, মাহবুব বিল্লা, রুহুল আমিন, মিজানুর রহমান মিজান সহ নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামায়াতে ইসলামীর আটুলিয়া ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ের উদ্বোধন

মেহেদী হাসান আটুলিয়া (শ্যামনগর):
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আটুলিয়া ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১লা সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ঃ০০ টায় নওয়াবেঁকী বাজার রুপালী ব্যাংকের সামনে নিজস্ব কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আটুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা মজলিসে শূরার সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান, নওয়াবেঁকী বাজার কমিটির সভাপতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সালেহ বাবু,

নওয়াবেঁকী বিড়ালাক্ষী কাদেরিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুর রউফ, আটুলিয়া ইউনিয়ন মজলিসে শূরার সদস্য সৈয়দ কামাল উদ্দীন ও মাস্টার আব্দুর রহিম প্রমূখ।এছাড়াও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনা করেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।পরে উপস্থিত সকলের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরার ব্যবসায়িকে তুলে নিয়ে চাঁদা আদায়: সাবেক এসপি মনিরুজ্জামানসহ ৩ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজাহারুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়িকে বাড়ি থেকে তুলে এনে দুইদিন ধরে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে রেখে নির্যাতন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পাঁচ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৩২ লাখ টাকাসহ ১৬টি চেক এর পাতায় সাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার সাতক্ষীরার ভোমরা গ্রামের ব্যবসায়ি “মামা ভাগ্নে এন্টারপ্রাইজের” স্বত্বাধিকারী আজাহারুল ইসলাম বাদি হয়ে তৎকালিন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান এবং সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠুসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
ভারপ্রাপ্ত বিচারক নয়ন বিশ্বাস মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভোমরা বন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক মামা ভাগ্নে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। আসামী নাসিম ফারুক খান মিঠুর সঙ্গে তৎকালিন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত্ াবাবলুর রহমান খানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে অনুযায়ি ভোমরা বন্দরের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকসহ ব্যবসায়িদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিতো নাসিম ফারুক খান মিঠু। ওইসব ব্যবসায়িদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাতেন মিঠু। তা থেকে একটি অংশ টাকা কাজী মনিরুজ্জামান তাকে দিতো। একপর্যায়ে বাদির সঙ্গে ভারতীয় ব্যবসায়িদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসার বিষয়টি জানতে পেরে নাসিম ফারুক খাঁন মিঠু ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ দুপুরে তার চেম্বার অব কমার্সের অফিসে ডেকে ১০ কোটি টাকা দাবি করে। জমি ও বাড়ির সবকিছু বেঁচেও ওই টাকা হবে না বলায় গোয়েন্দা পুলিশকে দিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়। পরে বাদি বাড়ি চলে আসেন।

২৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খানের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে তুলে আনে। এরপর দুইদিন গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রেখে তাক নির্যাতন করা হয়। ২৯ মার্চ রাতে কাজী মনিরুজ্জামান, বাবলুর রহমান খান ও নাসিম ফারুক খাঁন মিঠু তাকে চোঁখ বেঁধে ভোমরা অফিসে নিয়ে তালা ভেঙে ঘরে থাকা সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংকের দুটি বই এর ১৩০টি পাতা নিয়ে নেয় তারা। পরে বলে যে, আজ তোর জীবনের শেষ দিন, কলেমা পড়ে নে। পরে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় গাড়িতে তুলে মারতে মারতে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

বাড়ি থেকে নগদ ৩২ লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি সোনার গহনা নিয়ে নেয় তারা। একপর্যায়ে সেখান থেকে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ২৯ মার্চ দিবাগত রাত দুটোর দিকে ১৬টি চেকের পাতায় সাক্ষর করিয়ে নেয়। বাকী টাকা না দিলে অন্য লোককে দিয়ে চেক ডিজঅনারের মামলা করানোর হুমকি দিয়ে ৩০ মার্চ সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নাসিম ফারুক খাঁন মিঠু বলে যে, টাকা পেলে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আজাহারুলের বিরুদ্ধে ১৬ টি চেক ডিজঅনারের মামলা করা হবে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শাহানা ইমরোজ মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest