সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালাপুশব্যাক নয়, অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে–বিজিবির ভাসমান বিওপি উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালাসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক-অপসাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কথিত দখলদার কমিটির অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদসমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে কদমতলায় পথ সভাস্বপ্নসিঁড়ির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর কমিটির গঠনদেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করার মামলায় আটকশ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল শাখার অফিস উদ্বোধনগ্রামের কথা নিউজ পোর্টাল’র দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে কেককাটা

গত ৯ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ২৫৪ জন : মানবাধিকার সংগঠন অধিকার

অনলাইন ডেস্ক :
দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৫৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় এ ধরনের সহিসংতায় আহত হয়েছেন ৮ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের ১ থেকে ৫ আগস্ট সবচেয়ে বেশি ৯৩ জন রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন। আর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর (৯ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৫২ জনের। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের দেওয়া মানবাধিকার সংক্রান্ত ত্রৈমাসিক (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে গণমাধ্যমে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে আগস্ট মাসে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হন ১ হাজার ৫৮১ জন। এই তথ্যগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-ছাত্রী ও জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে নেওয়া হয়েছে।

সংখ্যাটি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মোট মৃতের সংখ্যা। অধিকার জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তালিকা তৈরির কাজ করে চলেছে। অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকারকর্মীদের পাঠানো প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে তিন মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে এই মানবাধিকার সংগঠনটি। প্রতিবেদনটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে (ক) রয়েছে কর্তৃত্ববাদী শাসক হাসিনার ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের উল্লেখযোগ্য অংশ। দ্বিতীয় ভাগে (খ) রয়েছে ৯ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ের উল্লেখযোগ্য অংশ। তৃতীয় ভাগে (গ) রয়েছে ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো। চলতি বছরের ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে কোনো সরকার ছিল না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৬৭ জন গণপিটুনিতে নিহত হন। এর মধ্যে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ জন এবং ৯ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পৌরসভা বøকে ব্রিধান ৮৭ ধানের নমুনা শস্য কর্তন

সাতক্ষীরা পৌরসভা বøকে ব্রিধান ৮৭ ধানের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার পৌরসভা বøকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইয়াছির আরাফাত বেশ কিছু প্রগতিশীল কৃষকদের নিয়ে মোঃ আজমাল হোসাইন এর জমিতে এই ধান কাটা হয়।

বৃত্তাকার পদ্ধতিতে ২০ বর্গমিটার জমির ধান কেটে মাড়াই করা হয়। সেখানে ১৪ কেজি ১০০ গ্রাম কাঁচা ধান পাওয়া যায়। যেটা ময়েশ্চার বাদ দিলে ১২ কেজি ৪০০ গ্রাম শুকনা ফলন পাওয়া গেছে। অর্থাৎ হেক্টর প্রতিফলন হয়েছে ৬.২ টন। মোঃ ইয়াছির আরাফাত বলেন ব্রিধান ৮৭ আমন মৌসুমের একটি জনপ্রিয় ধান।

এ বছর বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার পরিমাণ বেশি হলেও ফলন মোটামুটি সন্তোষজনক হয়েছে। তুলনামূলকভাবে রোগ ও পোকামাকড় এর আক্রমণ কম হয়। গাছের উচ্চতা বেশি ও কিছুটা জলবদ্ধতা সহনশীল। ধান গাছ মোটামুটি শক্ত তাই সহজে হেলে পড়ে না। চাল চিকন ও সাদা, ভাত ঝরঝরে হয়।

জাতটি মোটামুটি স্বল্প সময়ে পরিপক্ক হয়। আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে সরিষা লাগানোর জন্য উপযুক্ত সময় থাকে। যার ফলে জাতটি জনপ্রিয়তা করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং দ্রæত কৃষকের কাছে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি :
আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সাতক্ষীরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। শুক্রবার বিকাল ৪টায় কাটিয়া টাউন বাজার সংলগ্ন স্কুল ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আবুল হাসেম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা: আবুল কালাম বাবলা, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো: ইমদাদুল হক, সিটি কলেজের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ডা: সৈয়দ কামরুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজসেবক মো: আবু সাঈদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: জিল্লুর রহমান।

সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, স্কুলের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু এবং সমসের স্যার।
মডেল স্কুলের আয়োজনে সাতক্ষীরার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৫ম এবং ৮ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫ম শ্রেণির ২৩ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে এবং ৮ম শ্রেণির ৫জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, মডেল স্কুল সাতক্ষীরায় একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এখানে শিক্ষার্থীরা আগামীতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হবে। মডেল স্কুলের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। বক্তারা স্কুলটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। ##

১৫.১১.২০২৪

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে ২০২৫ সালে : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ২০২৫ সাল নাগাদ সকল সরকারি নির্মাণে পোড়ানো ইটের ব্যবহার বন্ধ হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি অফিসে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যেন নির্মাণ কাজে পোড়ানো ইট ব্যবহার না করা হয়। সরকারই হচ্ছে নির্মাণ কাজে ইটের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। রাস্তাঘাট ও ভবন নির্মাণে সরকার ইট ব্যবহার করে থাকে। বড় বড় কাজে ইট ব্যবহার হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, সরকারকে পোড়ানো ইটের বিকল্প ব্যবস্থায় যেতে হবে। সরকার চাহিদা পত্র দিলেই এর সমাধান হতে পারে।

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ ইটভাটা। এটি বন্ধের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশের নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া হবে না। ৩৪৯১ টি ইট ভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। অন্যদিকে জেলাগুলোতে অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাটাকে জনস্বার্থে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে। তবে ব্লক ইট তৈরির কাজে প্রয়োজনে প্রণোদনা দেবে সরকার।

তিনি বলেন,নতুন কোন ইটভাটার অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। যেকোনো ফর্মেই হোক না কেন আমরা ইটভাটার অনুমোদন দিচ্ছি না। যে সমস্ত এলাকা থেকে ইটভাটার দূষণ নিয়ে অভিযোগ আসছে আমরা সেইসব এলাকার ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তবে তিনি বলেন, জিগজ্যাগ ইটভাটাতে আপাতত আমরা কোন অভিযান চালাচ্ছি না কারণ অনেকেই জিগজ্যাগ ইটভাটায় ইনভেস্ট করেছে। আমরা এসব ইটভাটার মালিকদেরকে সতর্ক করে কমিটি গঠন করে দিয়েছি যাতে তারা নিয়ম-নীতি মেনে ইট উৎপাদন করে। এলাকা এবং কমিটি যদি পরিদর্শনকালে কোন অনিয়ম খুঁজে পায় তাহলে এসব ইটভাটা ভেঙে দেয়া হবে।

পরিবেশ দূষণে পলিথিনের ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ৩ নভেম্বর থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলে পলিথিন ব্যবহার বন্ধেও নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে ৩ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে পলিথিন উৎপাদন, বিক্রি, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ১২৪টি মোবাইল কোড অভিযান পরিচালনা করে ২৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১২ লাখ ৫২ হাজার ১ শত টাকা জরিমানা আদায় এবং ২৬৮৭১. ৬ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।

হর্ন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ একথা উল্লেখ করে সৈয়দা রিজোওয়ানা হাসান বলেন, হর্নের আওয়াজ বন্ধ করাটা আমি জাতীয় কর্তব্য বলে মনে করি। কারণ এই হর্নের কারণে বহু মানুষ বধির হয়ে যাচ্ছে, তাদের শারীরিক অসুস্থতা বাড়ছে। কোন মধ্যম আয়ের দেশে এ ধরনের কার্যক্রম মেনে নেয়া যায় না।

তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই আওতায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় যানবাহনের হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ করে এসব এলাকা হর্নমুক্ত এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে রাজধানী ঢাকার ১০টি রাস্তা হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে হর্নমুক্ত নীরব এলাকা ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, যেমন করেই হোক,গাড়ির হর্ন বন্ধ করা হবে। চালক কিছু হওয়ার আগেই হর্ন দেয়। এ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, একদিনে এই সমস্যার সমাধান হবে না। তবে একটু হলেও আশা জেগেছে যে সরকার অবস্থান নিচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হর্ন বন্ধ করার একটা ক্যাম্পেইন চালু করব আমরা।

তিনি বলেন, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞ তরুণদেরকেও রাস্তায় হর্ন বন্ধ করার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হবে। হর্ন বন্ধ করতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। সবাই সচেতন হলে হর্নমুক্ত নীরব বাংলাদেশ করা সম্ভব হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, এখন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে কিন্তু আইনের ছোট্ট গ্যাপ থাকায় আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আইনের এক জায়গায় বলা হয়েছে, নীরব এলাকায় হর্ন বাজানো যাবে না। কিন্তু নীরব এলাকায় হর্ন বাজালে কী শাস্তি হবে? ওই শাস্তির ধারায় গিয়ে এটাকে আবার ইনক্লুুড করা হয়নি। এ আইন সংশোধন করে শাস্তি যুক্ত করতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, কিছু যানবাহন ব্রেক করে গতি নিয়ন্ত্রণ করে না। হর্ন বাজিয়ে চলে। হর্নের কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও একটি বড় কারণ। সুতরাং হর্ন বন্ধ করলে সড়ক দুর্ঘটনাও কমতে পারে।

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সেন্ট মার্টিন ও পর্যটন শিল্পকে একসঙ্গে রক্ষা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওই নরম ভূখ-ে কেউই কোন সামরিক ঘাঁটি করতে পারবে না। এখন যারা সেন্ট মার্টিন নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা হলেন জাহাজ মালিক ও হোটেল মালিক। তারা ওখানকার স্থানীয় মানুষকে উসকে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই যে পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বলা হচ্ছে তা কিন্তু একদিনের সিদ্ধান্ত নয়। বিভিন্ন সময়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সীমিত পরিসরে বিধি-নিষেধ আরোপ করছি। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সেন্ট মার্টিনে পর্যটন কার্যক্রম চলবে। কাজেই পর্যটন যে বন্ধ- এ কথাটা তো ঠিক নয়। মিথ্যা প্রচারণা।’

রিজওয়ানা হাসান বলেন, জনসচেতনতা ও জীববৈচিত্র রক্ষায় সেন্ট মার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে আমরা কাজ করছি। গত বছর সেন্ট মার্টিন বন্ধ ছিল কিছু সময়। তখন তো কেউ প্রতিবাদ করেননি। এখন এমন কথা বলা হচ্ছে যে সেন্ট মার্টিনে দুর্ভিক্ষ হবে। হীন ব্যক্তিস্বার্থে কেউ কেউ এসব বিভ্রান্তিকর কথা ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন নিয়ে কোন বিভ্রান্তি নেই। এই বিভ্রান্তিগুলো রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় ডিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল দু মাসের মধ্যে অন্তত একটি নদী দূষণমুক্ত করতে হবে। তারা সময় ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা দেবে। ৪ নভেম্বর দুই মাস শেষ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু জায়গার ডিসি পরিবর্তন হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৬৩টি জেলার কর্মপরিকল্পনা পেয়েছি। শুধুমাত্র রাঙ্গামাটি জেলার ডিসি মহোদয় জানিয়েছেন তাদের রাঙ্গামাটি জেলার নদীগুলো দূষিত নয়।

তিনি জানান, ঢাকাসহ সারাদেশের নদ-নদী ও খাল খনন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানসহ দেশের কিছু জায়গায় নদী ও খাল খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শহরে যেকোনো একটা নদীকে দূষণমুক্ত করতে দেশের নদ ও নদী সমূহের দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন মেয়াদে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণও নদী ও খাল খননে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করছে।

কপ২৯ সম্মেলন নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এ সম্মেলন নিয়ে আমাদের অবস্থানটা খুবই স্পষ্ট। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব ব্যাংক অর্থ সাহায্য দেবে বলেছে। বাংলাদেশের থেকে এই সম্মেলনে বলা হয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে টার্গেটটা ছিল তা সম্পূর্ণ করতে। কারণ এ টার্গেট থেকে তারা এক চতুর্থাংশ ফান্ড দিয়েছে।

জলাবদ্ধ ভবদহ নিয়ে তিনি বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ভবদহ বিল নিয়ে কাজ করেছি। ২০২৪-এ এসে এখনো ভবদহ বিল নিয়ে কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। এটাকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা উচিত ছিল। এখানে আমরা চেষ্টা করছি আপাতত পানি কমিয়ে আনতে। সেখানকার মানুষকে বাঁচাতে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলারিটি অথরিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, ওখানে ঋণ আদায় স্থগিত রাখবে। পরে এটি শিথিল করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতায় থাকা মানুষদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য বলা হয়েছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি জানতে জুম মিটিং করব।

উপদেষ্টা বলেন, ভবদহের সমস্যার সমাধানে এবার শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকব না। বুয়েট আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকেও বিশেষজ্ঞ এনে এর কারণ নির্ণয় করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি প্রতারক হাবিব গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকর কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ ।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারক হাবিব কারিকর কালিগঞ্জ উপজেলার পাইকারা গ্রামের আহম্মদ কারিকরের পুত্র।

র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার কমান্ডার এ এস পি ফয়সাল আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাশপোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক হাবিবকে গ্রেফতার করা হয়।

হাবিবুল্লাহ হাবিব গত একযুগেরও বেশী সময় ধরে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলাসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম ছিল। তার নামে কালোবাজারি, দাঙ্গা সংঘটন, সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলা, অবৈধ বিস্ফোরক সামগ্রী নিজ আয়ত্তে রাখা, অস্ত্র ব্যবসা, জমি দখল, সরকারি চাকরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসাসহ তার নামে মোট ০৯ টি মামলা রয়েছে।

আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করে এবং ছাত্র সমন্বয়কদের সাথে তাল মিলিয়ে সাতক্ষীরা এলাকায় পুনরায় প্রতারনা চক্রের জাল বিছিয়ে নতুন করে এলাকায় প্রতারক চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠার তথ্য ছিল। ২০১১ সালে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টাসহ অন্যান্য মামলা, ২০১৫ সালে সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু মামলা, ২০২০ সালে ডিএমপি ঢাকা মোহাম্মদপুর থানায় প্রতারনা মামলা এবং ২০২২ সালে দেবহাটা থানায় প্রতারনাসহ উক্ত আসামির নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ছদ্ম নামে একাধিক মামলা আছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

১৫.১১.২০২৪

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশের ডাক সাদপন্থীদের

অনলাইন ডেস্ক :
কোন জটিলতা ছাড়াই কাকরাইল মসজিদে প্রবেশে পর এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাবলিগ জামাতের সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা।

আগামী ৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবেন তারা। সাদপন্থী কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম মুফতি মুহাম্মদ আজিমুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করেন জুবায়ের অনুসারীরা। সেদিন তারা ঘোষণা দেন, টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীদের আর ঢুকতে দেওয়া হবে না।

এই উত্তেজনার মধ্যে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে ঢোকেন সাদপন্থিরা। সকাল ৮টার পর সাদপন্থীদের একটি বিশাল দল মসজিদে প্রবেশ করে। দুপুরে মসজিদের সামনের ও আশপাশের সড়কে তাদের বিপুল উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করেন তারা।

জুমার জামাত প্রধান সড়ক পার হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়িয়ে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত পৌঁছে যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে, রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তাবলিগ জামাতের দুই শীর্ষ নেতা দিল্লির মাওলানা সাদ ও বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের পন্থীদের মধ্যে সম্প্রতি নতুন করে উত্তেজনা দেখা্ দেয়। গত কয়েক দিন ধরে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখলকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষই পালটাপালটি বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে জুবায়ের অনুসারীরা ঘোষণা দেন, দেশে ইজতেমা দুবার নয় একবারই হবে। টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীদের আর ঢুকতে দেওয়া হবে না।

অন্যদিকে ৯ নভেম্বর এক ভিডিও বার্তায় সাদপন্থী ইমাম মুফতি আজিমুদ্দিন আজ শুক্রবার কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের কাকরাইল মসজিদে না আসার আহ্বান জানান। এরপর গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জুবায়েরপন্থীরা বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীদের মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না

এ অবস্থায় সাদপন্থীরা শুক্রবার সকালে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করতে গিয়ে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলায় সেখানে ভোর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তবে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা কাকরাইল মসজিদে তাদের নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষে শুক্রবার সকালে মসজিদ থেকে সরে যান। সকাল ৮টার পরে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা। নিয়ম হলো এই মসজিদে ১৪ দিন থাকবেন সাদপন্থীরা এবং ২৮ দিন থাকবেন জুবায়েরপন্থীরা।

পুলিশ জানায়, এখন দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন সাদপন্থীরা। সকালে শান্তিপূর্ণভাবে বের হয়ে গেছেন জুবায়েরপন্থীরা। তারপর প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা।

২০১৭ সালের নভেম্বরে এই দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ নেয়। সেই সময় কাকরাইলে দুই দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। শুরু হয় তীব্র উত্তেজনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে জাতীয় কৃষি দিবস  উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি

আশাশুনি ব‍্যুরো: “কৃষি সমৃদ্ধি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশাশুনিতে জাতীয় কৃষি দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সদর ইউনিয়নের সোদকোনা বাংলাদেশ ন্যাজ্যারীণ মিশন- বিআরসিসি এপি এস এল প্রকল্পের আয়োজনে, সাইন অব হোপ ও বিএম জেড এর সহযোগীতায় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শুরুতেই সোদকোনা স্কুল মাঠ থেকে র‌্যালি বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্কুল মাঠে এসে কৃষি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা সভায় সম্মিলিত হয়।

প্রকল্প সমন্বয়কারী ফ্রান্সিস মিঠুন সরকারের সভাপতিত্বে প্রকল্প কৃষিবিদ ইমরুল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাজ্যারীন মিশনের কৃষকদলের সভাপতি অবিনাশ মন্ডল, আবুল হোসেন, মোঃ আকরাম হোসেন, আলতাফ হোসেন, ট্রেনিং অফিসার মাইকেল বিশ্বাস, প্রকল্প অরগানাইজার আবু বক্কার সিদ্দিক, সঞ্জয় কুমার প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জিল্লুর রহমানকে অর্থসহায়তা দিলো সাতক্ষীরা সিটি কলেজ

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়া সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ জিল্লুর রহমানকে ২৫ হাজার টাকার অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় এ অর্থ সহায়তার চেক জিল্লুর রহমানের হাতে তুলে দেন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নওশাদ আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান, উপাধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন, জিল্লুর রহমানের বাবা মোঃ আবদুল খালেক, কলেজের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র প্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নওশাদ আলম বলেন, জিল্লুর রহমান আমাদের কলেজের মেধাবী ছাত্র। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে যেভাবে সে আহত হয়েছে, তা আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। তার চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যায় চালিয়ে নেওয়ার জন্য কলেজের পক্ষ থেকে আমাদের এই সামান্য উদ্যোগ। আমরা আশা করি, এই সাহায্য তার সুস্থতার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সে দ্রুতই সুস্থ হয়ে তার শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখতে পারবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সাতক্ষীরার এসপি বাংলোর মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন জিল্লুর রহমান। পরে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে একাধিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত এবং সুস্থতার পথে রয়েছেন। মোঃ জিল্লুর রহমান সাতক্ষীরা সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।

কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সহায়তা প্রদানের উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জিল্লুর রহমানের বাবা মোঃ আবদুল খালেক বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ সাতক্ষীরা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে।আমার ছেলের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই সংকটময় ছিল, তবে আল্লাহর রহমতে এবং চিকিৎসকের পরিশ্রমে সে এখন শঙ্কামুক্ত। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সহায়তা শুধু অর্থনৈতিক সাহায্যই নয়, বরং আমাদের পরিবারকে মানসিকভাবে শক্তি দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আমার ছেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে কলেজে ফিরে আসবে এবং তার পড়াশোনা আবার শুরু করতে পারবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest