সর্বশেষ সংবাদ-
বাংলাভিশনের কান্ট্রি ডেস্ক ইনচার্জ এর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোকসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসাতক্ষীরায় মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালাপুশব্যাক নয়, অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে–বিজিবির ভাসমান বিওপি উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালাসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক-অপসাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কথিত দখলদার কমিটির অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদসমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে কদমতলায় পথ সভাস্বপ্নসিঁড়ির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর কমিটির গঠনদেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করার মামলায় আটক

ভারতে মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননার প্রতিবাদে শ্যামনগরে র‍্যালি

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
ভারতের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও মহারাষ্ট্রের বিজিপির সাংসদ নিতেশ নারায়ন রানে কর্তৃক রাসুল (সাঃ) এর অবমাননা ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামনগরে র‍্যালি ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাদ আসরের নামাজ বাদ থানা জামে মসজিদের সামনে থেকে র‍্যালিটি সদরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেসি কমপ্লেক্সের সামনে শেষ হয়।

পরবর্তীতে প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি, থানা মাদ্রাসার মুহতামিম ও উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব মুফতি আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জামেআ হাম্মাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মওছুফ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় শ্যামনগরে সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতা আয়োজনে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র উপস্থিতি ছিলেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,থানা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মোস্তফা কামাল, হাফেজ রবিউল ইসলাম, শ্রীফলকাটি দাওরা হাদিস মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি জিয়াউর রহমান, মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, আলহাজ্ব মাওলানা হাফিজুর রহমান, কুলতলি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফিজুর রহমান, হাসপাতাল জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা আজাদ হুসাইন প্রমুখ।

বক্তাগণ বলেন,গত আগস্ট মাসে রাসূল (সাঃ) -এর নামে কটূক্তি করেন- ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ, তাকে সমর্থনকারী বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাদেরকে গ্রেপ্তার না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, রামগিরি মহারাজ রাসূল (সাঃ) -এর নামে জঘন্যতম কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। রামগিরির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৫০ টিরও বেশি মামলা হয়। রামগিরির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিতে থাকেন মহারাষ্ট্রের বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সাংসদ নিতেশ নারায়ন রানে।

বক্তরা আরো বলেন,ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ আমাদের প্রাণপ্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অবমাননাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সঠিক বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সদ্য অপসারিত খতিব মুফতি রুহুল আমিন জুম্মার নামাজ পড়ানোর চেষ্টা কালে মসজিদের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দেশ-বিদেশের সকল আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলমানদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সাথে সাথে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার বেলা ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডেও চন্দনপুর গ্রামের মো: রাজু (৩৬) এর ছেলে আব্দুর রহমান (৯) পুকুরে ডুবে মারা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, আব্দুর রহমান তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজো। দুই ভাই একসাথে পানিতে ভেলার উপর খেলা করছিলো এমন সময় তার মৃগীরোগ দেখা দেয় (হাত পায়ের শিরা কাপুনি দেয়) ছিলো। পানিতে থাকা অবস্থায় এই অসুবিধা হতে পারে বলে সকলের ধারনা।

চন্দনপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুলাহ পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন আব্দুর রহমানকে পানিতে ডুবে যেতে দেখে ছোট ভাইটি অনেক চেষ্টা করলেও তাকে আর ভেলায় তুলতে না পেরে মাকে যেয়ে বলে মেজো ভাই পানিতে ডুবে গেছে। তখন পরিবারের ও প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় প্রায় চল্লিশ মিনিট পানিতে খোঁজাখুজির পর তাকে পাওয়া যায়।
তাৎখনিকভাবে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে স্থানীয় ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় আব্দুর রহমান এই পরিবারের ২য় সন্তান এবং স্থানীয় চন্দনপুর দাখিল মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। এঘটনায় এলাকায় শোক বিরাজ করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এড. আব্দুর রহমান কলেজের কমিটি গঠনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এড. আব্দুর রহমান কলেজের কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের শিক্ষকসহ অভিভাবকরা অবিলম্বে ওই জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত একটি চিঠির মাধ্যমে শিক্ষকরা জানতে পারনে কলেজের এফ.ডি.আর ফান্ডের ১ লক্ষ টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত মো: সিরাজুল ইসলামকে আহবায়ক করে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। অথচ এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরমে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মুজিদ এডহক কমিটির গঠনের জন্য আবেদন সহকারে প্রস্তাবনা প্রেরন করেন। কিন্তু অজানা কারনে সে কমিটি অনুমোদন না হয়ে কথিত কমিটির অনুমোদন হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কমিটি গঠনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাৎক্ষনিক মিটিং করেন। সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত কোন কমিটিই মেনে নেওয়া হবে না। ওই কমিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, বিগত ২০০৭ সালে ওই সিরাজুল ইসলাম এড. আব্দুর রহমান কলেজের সভাপতি থাকাকালে সংরক্ষিত তহবিলের (এফ.ডি.আরের) ১ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন। সে সময় অধ্যক্ষ ছিলেন আখতারুজ্জামান। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা হয়। উক্ত মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই তাকে অভিযুক্তকরে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে।

এবিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মুজিদ বলেন, আমাদের পাঠানো প্রস্তাবিত কমিটির অনুমোদন না দিয়ে অন্য একটি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা কিভাবে এবং কেন হলো সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে সাপের কামড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিষধর সাপের কামড়ে জিয়াদ আলী গাজী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামে মৃত ইফান আলী গাজীর পুত্র।

বৃদ্ধ জিয়াদ আলী গাজীর পুত্র আব্দুল জলিল জানান, ভোর রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর সাপে তাকে কামড় দেয়। সকালের দিকে তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে দ্রæত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরন করেন।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাপের কামড় দেয়া ওই রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেরিতে নিয়ে আসার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক সংলাপে ১০ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা সংকট নিরসনে ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন নাগরিক নেতারা।

এগুলো হলো, বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীতে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ, সাতক্ষীরা পৌরসভাকে পুরোপুরি ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রাণসায়ের খালের দুই মুখ উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ, আন্তঃনদী সংযোগ বিশেষ করে ইছামতি, মরিচ্চাপ, খোলপেটুয়া, বেতনা, শালিখা ও কপোতাক্ষকে খননের আওতায় এনে চিরায়ত নিয়মে পানিপ্রবাহ সচলকরণ, নদীগুলোর সাথে সংযুক্ত খালগুলো পুনঃখনন করে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি, অকেজো হয়ে পড়ে থাকা ¯øুইসগেটগুলো সংস্কারকরণ,
পৌর এলাকার মধ্যে মৎস্য ঘের নিষিদ্ধকরণ, নদীগুলো খননের সঙ্গে সঙ্গে সংলগ্ন বেড়িবাঁধগুলোও টেকসই করে বেড়িবাঁধ বাঙন রোধ, বেড়িবাঁধে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, নদী ও খালের প্রবাহ বিঘিœত হয় এমন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করা, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি নিষ্কাশনের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিরুপণের মাধ্যমে জলবায়ু ফান্ডের অর্থ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) আয়োজিত ‘সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা ও সমাধানে করণীয়’ শীর্ষক এক সংলাপে নাগরিক নেতৃবৃন্দ এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ। ধারণাপত্র পাঠ করেন বারসিকের সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার গাজী মাহিদা মিজান।

সংলাপে পঠিত ধারণাপত্রে সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে জলবায়ু ও পরিবেশসম্মত উদ্যোগ না থাকায় ফলাফল আসছে না বলে উল্লেখ করা হয়।

সংলাপে বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলী নুর খান বাবুল, সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ হোসেন, ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান বেগম, ৩, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলার অনিমা রানী মন্ডল, পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর ইদ্রিস আলী, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার, বাংলাভিশনের আসাদুজ্জামান আসাদ, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজীব, ডিবিসি নিউজের এম বেলাল হোসেন প্রমুখ। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী, ট্রাক্টর ও কাভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী, ট্রাক্টর ও কাভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের(রেজি:নং-৭৬৪) বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কাটিয়া নারকেলতলা মোড় এলাকায় সাধারণ শ্রমিকবৃন্দের আয়োজনে ইউনিয়ন চত্বরের সামনে শ্রমিক প্রতিনিধি মো. মজনু সরদার’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন।

সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী, ট্রাক্টর ও কাভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস সহকারি মো. আশরাফ আলী’র সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আব্দুর রকিব, সাধারণ সদস্য মো.রেজাউল ইসলাম রেজা, মোঃ আব্দুস সালাম, ফিরোজ খান, মো. মনিরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ। এ সময় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও আচ্ছার অধিক শ্রমিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ সাধারণ সভার সাধারণ শ্রমিকরা পাতানো অ্যাডহুক কমিটির ও বিগত নির্বাচন কমিটি উপর অনাস্থা প্রকাশ করেন। যাহা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গঠন করা হয়েছে। সাধারণ শ্রমিকরা চাই,একটা সুষ্ঠু অ্যাডহুক কমিটি গঠন ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হোক এবং প্রকাশ্য ভোটের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।

যাতে করে তারা আর কখনো দখলদারিত্ব দেখতে চায় না। তারা চায় সুষ্ঠু নির্বাচন। উল্লেখ্য যে, পূর্বনির্ধারিত আজকের সাধারণ সভা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। কিন্তু কতিপয় শ্রমিক সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযোগ দায়ের করায় প্রশাসন কর্তৃক স্থগিত এর আহ্বানে সাধারণ শ্রমিকরা তাদের উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেন এবং কতিপয় শ্রমিক কর্তৃক জেলা প্রশাসন বরাবর মিথ্যা অভিযোগ আনায়ন করে উক্ত সভায় তাদের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করে।

আগামীকাল ২৬ সেপ্টেম্বর শ্রম দপ্তর থেকে সাধারণ সভার অনুমতি পত্র নিয়ে পুনরায় সবার আহ্বান জানান। সে লক্ষ্যে আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধিরা শ্রম পরিচালকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সুস্থ নির্বাচনে স্বার্থে শ্রম দপ্তরের অনুমোদন গ্রহণের জন্য পুনরায় সাধারণ সভা আহ্বান করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে কপোতাক্ষ নদে নিখোঁজের একদিন পর ডুবুরির মরদেহ উদ্ধার

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কপোতাক্ষ নদে নিখোঁজের একদিন পর মিজানুর রহমান সরদার (২২) নামের এক ডুবুরির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় এলাকাাসী। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রাম সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের গাগড়ামারীর চর থেকে মিজানুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শ্যামনগরের গাবুরায় চলমান মেগা প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত বালু পরিবহনের বলগেট (পল্টন) খুঁজতে গিয়ে কপোতাক্ষ নদে নিখোঁজ হন ডুবুরি মিজানুর রহমান ।
ডুবুরি মিজানুর রহমান খুলনা শহরের ৫নং ঘাট এলাকায় দুলাল সরদারের ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জিএম মাছুদুল আলম জানান, গাবুরা ইউনিয়নে বেঁড়িবাধ নির্মানের চলমান মেগা প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত বালু পরিবহণের বলগেট (পল্টন) কপোতাক্ষ নদের পার্শেমারি টেকেরহাট নামক স্থানে ডুবে যায়। সেটি উদ্ধারের জন্য খুলনা থেকে ওই ডুবুরীকে আনা হয়। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে নদীতে কাজ করার সময় সে তলিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বুধবার সকালের দিকে নদীর চর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসী।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মেগা প্রকল্প কর্তৃপক্ষ পুলিশকে না জানিয়ে ওই ডুবুরির মরদেহ নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা ফায়ার সর্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুজ্জামান জানান, বুধবার সকালে উদ্ধার অভিযান শুরুর পূর্বেই মিজানুরের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে অভিযান স্থগিত করা হয়।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষা জাতীয়করণসহ চার দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শিক্ষকদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি

বৈষম্য দূরীকরণে বেসরকারি মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মোমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমানুল্লাহ আমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ, জেলা শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোঃ নজিবুল ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওঃ রুহল আমিন, শিক্ষক নেতা অরূপ কুমার সাহা, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আব্দুল জব্বার, মোঃ আঃ লতিফ, আবুল কাশেম, মোঃ এমাদুল ইসলাম, মাওঃ মোহতাসিন বিল্লাহ, মাওঃ জামাল উদ্দীন, মাওঃ মহসীনুল ইসলাম, মাওঃ আব্দুল লতিফ, মোঃ শাহজান আলী প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা জাতীয়করণ এবং জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপজেলা জেলা অঞ্চল ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় পদায়ন স্থগিত রেখে শিক্ষা প্রশাসনের কাজে দক্ষ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের চলতি দায়িত্ব প্রদান ও একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

একটি উন্নত আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সুষম, সুস্থ-পরিচ্ছন্ন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সার্বজনীন শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষা জাতীয়করণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে।

জুলাই আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা বৈষম্য বিরোধী একটি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছে, তা এখন বাস্তবায়ন করতে হবে।

স্বপ্ন যাত্রায় সারথি হিসেবে বক্তারা চারদফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবসমূহ হলো— মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ৯৭% বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরী। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই পাঠ্য-পুস্তক ও একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা হলেও সরকারি ও বেসরকারীর মধ্যে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার বৈষম্য শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। তাই শিক্ষার সকল স্টকহোল্ডারদের প্রাণের দাবি হলো মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। এটি নিশ্চিত করা হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সমান সুযোগ পাবে এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে—যা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য অভ্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—একাডেমিক ও প্রশাসনিক। শিক্ষকেরা একাডেমিক কাজে দক্ষ, পেডাগোজি কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। অন্যদিকে ৩১ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উপজেলা মাধ্যমক শিক্ষা অফিসারদের প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ রয়েছে। শিক্ষকতা ও প্রশাসন ভিন্ন চরিত্রের, তাদের কাজের ধরণ ও চর্চা ভিন্ন। যদি শিক্ষকরা প্রশাসনে অনভিজ্ঞ হন, তবে তা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তাই, উভয় পেশার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও পরস্পর পরিপূরক হিসেবে কাজ করা উচিত, যাতে দেশের শিক্ষা উন্নত হতে পারে।

উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় ৩১ বছরের শিক্ষা প্রশাসনের কাজের দক্ষতা সম্পন্ন ৬৪ গ্রেড আফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি ও পদায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত। স্কুল, মাদ্রাসা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বৈষম্য প্রকট। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। কমিশন শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরি করবে, যা তাদের মর্যাদা ও প্রেরণা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, উপজেলা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসন কিভাবে চলবে, তা স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রম কিভাবে সমন্বয় হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করবে।

মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব বরাবর পৃথক দুটি স্মারকলিপি পেশ করেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest