সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলখাজরায় হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার বিএনপি নেতার পক্ষে মানববন্ধনভারতে মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননার প্রতিবাদে শ্যামনগরে র‍্যালিকলারোয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুঅধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এড. আব্দুর রহমান কলেজের কমিটি গঠনের অভিযোগকালিগঞ্জে সাপের কামড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যুসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক সংলাপে ১০ প্রস্তাবসাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী, ট্রাক্টর ও কাভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভাশ্যামনগরে কপোতাক্ষ নদে নিখোঁজের একদিন পর ডুবুরির মরদেহ উদ্ধারশিক্ষা জাতীয়করণসহ চার দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শিক্ষকদের মানববন্ধন

sscনিজস্ব প্রতিবেদক: আজ থেকে শুরু এস এস সি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা ২০১৭। এ বছর জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৩ শত ৪৮ জন। পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে থাকবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরীক্ষা চলাকালে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন-১৯৮০ কঠোর ভাবে প্রয়োগ করার সিন্ধান্ত এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের ২’শ গজের মধ্যে জন সাধারনের প্রবেশ সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করার জন্য ফৌঃ কাঃ বিধির ১৪৪ ধারা করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করা, পরীক্ষা কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা, পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে মাইক ব্যবহার বন্ধ রাখা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এবছর জেলায় মোট ২৩টি এসএসসি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৫ শত ২৯ জন। এস এস সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১শত ৪৫ জন এবং দাখিল পরীক্ষার ১০ টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৬ শত ৭৪ জন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২ শত ৫৫জন, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১ শত ০৫ জন, নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শত ৫০ জন। এস এস সি (ভোকেশনাল) পর্যায়ে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শত ১২ জন। দাখিল পর্যায়ে সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ০৫জন। কলারোয় উপজেলায় এস এস সি পরীক্ষায় কলারোয়া জি কে এম কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯শত  ৬৭জন, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ শত ১১ জন, খোর্দ্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শত ৩০জন, কলারোয়া গার্লস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭শত ৯৩ জন। এস এস সি (ভোকেশনাল) কলারোয়া জি কে এম কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ শত ৬১ জন। দাখিল পরীক্ষায় কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শত ৫১ জন। তালা উপজেলায় এস এস সি পরীক্ষায় তালা সরকারি বি,দে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা  ১ হাজার ৮৩ জন, কুমিরা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ৭০ জন, খলিশখালী মাগুরা এস সি কলেজিয়েট ইনস্টিটিউট পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শত ৬৬জন, আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শত ৮৫ জন, এস এস সি (ভোকেশনাল) কুমিরা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ শত ২৫ জন, দাখিল পরীক্ষায় তালা আলিয়া মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ শত ৬৩ জন, পাটকেলঘাটা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শত ৬৯জন। আশাশুনি উপজেলায় এস এস সি পরীক্ষায় আশাশুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শত ৭৯ জন, দরগাপুর এস কে আর এইচ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শত ৩৮জন, বুধহাটা বি বি এম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শত ০৪ জন, বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ১১জন। এস এস সি (ভোকেশনাল) সুন্দরবন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ জন। দাখিল পরীক্ষায় আশাশুনি দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শত ৯২ জন, গুনাকরকাটি আজিজিয়া খাইরিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ শত ১৮ জন। কালিগঞ্জ উপজেলায় এস এস সি পরীক্ষায় কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২ শত ৬৫ জন, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ৩৭ জন, চাম্পাফুল আ: প্র: চ: মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শত ৪৫ জন। এস এস  সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় কালিগঞ্জ পাইলট কমিউনিটি হাইস্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ শত ৭৪। দাখিল পরীক্ষায় কালিগঞ্জ নাছরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শত ৭৯ জন, নলতা আহসানিয়া দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শত। দেবহাটা উপজেলায় এস এস সি পরীক্ষায় দেবহাটা বি বি এম পি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ২২জন, পারুলিয়া এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শত ৫৭ জন। এস এস সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় আহসানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শত ০৮জন। দাখিল পরীক্ষায় কুলিয়া এলাহী বকস দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শত ৯৮ জন। শ্যামনগর উপজেলায় এস এস সি পরীক্ষায় নকিপুর এইচ সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শত ৬৪জন, নওয়াবেকী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ শত ৯১ জন, নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ শত ০১ জন। এস এস সি (ভোকেশনাল) নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শত ৪৯ জন। দাখিল পরীক্ষায় শ্যামনগর কেন্দ্রিয় মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শত ৯৯ জন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে ১জন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে এবং উপজেলা ভিত্তিক এডিসিদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, প্রশ্নগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছানোর পর সেখান থেকেও যেন প্রশ্ন হলের বাইরে না যায় সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কোন প্রশ্ন যেন ফাঁস না হয়। পরীক্ষায় যেন কোন ধরনের প্রশ্ন ফাসের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে থাকবে। পরীক্ষা যাতে নকল, দুর্নীতিমুক্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সচিব পদে বড় রদবদল

কর্তৃক Daily Satkhira

photo-1485968672সচিব পদে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। অর্থ, টেলিযোগাযোগসহ ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব পদে রদবদল করা হয়।

রদবদলের ব্যাপারে আজ বুধবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে দেখা যায়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর ফয়জুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন শ্যাম সুন্দর সিকদার। তিনি আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব ছিলেন।

এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব হিসেবে এসেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। তিনি আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হয়েছেন শুভাশীষ বোস। তিনি আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম আকতারী মমতাজকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইব্রাহিম ইসলাম।

একই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক বেগম শিরীন আখতারকে ভারপ্রাপ্ত সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খানকে নতুন মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে। তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন।

সম্প্রদি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভেঙে দুটি বিভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে। আগে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব ছিলেন। আর জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব হয়েছেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি অবিভক্ত  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও সচিব ছিলেন।

বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক মো. মফিজুল ইসলাম। আর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হয়েছেন মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি আগে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

capture-%e0%a7%a7অমানবিক উপায়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর শরীরের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারীর নিষ্ঠুরতাকে আড়ালের চেষ্টা চালাচ্ছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন। এ জন্য তিনি পদ্মাসেতু নির্মাণের উদাহরণ টেনেছেন।

তবে অসংখ্যবার চেষ্টা করেও ঘটনার মূল নায়ক নূর হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার হাইমচর উপজেলার নীলকমল উছমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “প্রতি বছর আমাদের স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মানব পিরামিড, মানব স্মৃতিসৌধ, মানব শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। এবার ব্যতিক্রম হিসেবে মানবসেতু তৈরি করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাই প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর মতো সেতু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই উদ্যোগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানবসেতু নির্মাণ করেছি।” এরআগেও এমন সেতুর ওপর দিয়ে অনেকে হেটেছেন।  বাংলাদেশে শিশুশ্রম যেখানে নিষিদ্ধ সেখানে বাচ্চাদের নিয়ে এমন কর্মকাণ্ড কতটুকু যৌক্তিক? এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমরা আসলে এত কিছু চিন্তা করিনি। আমরা শুধু একটি পদ্মাসেতু তৈরি করেছিলাম। আর উপজেলার চেয়ারম্যান সেই ইভেন্টে শুধু অংশ নিয়েছেন।”

মঙ্গলবার দুপুরে নীলকমল উছমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মানবসেতুতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় আমরা পদ্মাসেতু তৈরি করেছিলাম। সেই পদ্মা সেতুতে উপজেলা চেয়ারম্যান হেটে গিয়ে আমাদেরকে পাঁচহাজার টাকা দিয়েছেন।

এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা দুই সারিতে দাঁড়িয়ে তাদের হাতের ওপরে একাধিক শিক্ষার্থীর শরীর বিছিয়ে তৈরি করা হয় মানব সেতু। সেই সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে যান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী।

শুধু তাই নয়, তিনি যে দিক দিয়ে নামবেন সেইদিকেও এক শিশু শিক্ষার্থীকে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয় এবং ওই শিশুর পিঠের ওপর পা দিয়ে নেমে আসেন আওয়ামী লীগের হাস্যোজ্জ্বল এ নেতা।

একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন আচরণ নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। সেই ছবিটি এরই মধ্যে অসংখ্যবার ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই বদমাশটা নাকি জনপ্রতিনিধি? চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান। নাম নূর হোসেন পাটোয়ারী।সাংবাদিক ও শিক্ষক কাজী আনিস লিখেছেন: যে স্কুলে নেতা ও চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের পিঠে উঠেছে, সেই স্কুলের এক সাবেক ছাত্র আমাকে জানালেন, এভাবে শিক্ষার্থীদের পিঠে ওঠা নতুন কিছু নয়। বহুদিন ধরে ওই স্কুলে চলে আসছে এ উদ্ভট রীতি। উদ্দেশ্য, তেল মানে খুশি করা।

ওই ছাত্র আমার কাছে একটি ছবি পাঠিয়েছেন। ছবিটা ২০০৫-২০১০ এ সময়ের মধ্যে (আগে ভুলবশত ২০০১ লেখা হয়েছিল।) ওই সময় দুই পাশে বাঁশ থাকতো। ওই ছাত্রকেও পিঠ পেতে দিতে হয়েছিল। দেখুন, বর্বরতা কেমন লালিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট :পাঠ্যপুস্তকে ভুল তদন্তে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটির সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। ব্যর্থ হওয়ায় গত সপ্তাহে সময় বাড়ানো হয়েছিল আরও সাতদিন। অথচ কমিটির সদস্যরা এখন বলছেন, বর্ধিত সময়ের ভেতরেও তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারছেন না।

ভুল তদন্তে গত ৯ জানুয়ারি তদন্ত কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নতুন করে কমিটিকে দেয়া সাতদিনও শেষ হতে চলেছে। কিন্তু এই তদন্ত প্রতিবেদন কি যথা সময়ে মিলবে? কমিটির সদস্যরা বলছেন কঠিন। আরও সাতদিন সময় লাগতে পারে প্রতিবেদন তৈরির কাজ পুরোপুরি শেষ হতে।

তবে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যেই পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুতে অবহেলার জায়গাগুলো চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে কার কী দায়িত্ব ছিল সেগুলো চিহ্নিত করেছি। সেটিকে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করেছি। এরপর কোথায় অবহেলা ছিল সেটি বের করেছি। এভাবে আরা প্রতিবেদনে সবদিক তুলে ধরেছি। আশা করছি সববিষয়ই আমরা তুলে ধরতে পারবো।’

রুহী রহমান বলেন, ‘আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। এখন কেবল প্রতিবেদন লেখার কাজ চলছে।  আমার হাতে তিনদিন আছে। ওই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হবে না। আরও একসপ্তাহ সময় আমাদের লাগবে।’

এত সময় লাগছে কেন? জানতে চাইলে রুহী রহমান বলেন, ‘আমরা বস্তুনিষ্ঠ একটি প্রতিবেদন ‍দিতে চাই। কারণ এটি জাতীয় ইস্যু। আমরা যেনতেন কোনো প্রতিবেদন দিতে চাই না। এমন একটি প্রতিবেদন দেবো যেন সবাই মনে রাখে। এবং জাতি উপকৃত হয়। এসব কারণে সময় লাগলে আমরা সময় বাড়িয়ে নিবো’।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘যেটা হয়ে গেছে সেটি তো আর আমরা রাতারাতি ঠিক করতে পারবো না। এমন না যে, আমরা প্রতিবেদন দিলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। যা হয়েছে তা তো হয়েই গেছে। ভবিষ্যতে যেন এমন আর না হয় সেজন্য আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য  বলেন, ‘তদন্ত

এই সদস্য বলেন বলেন, ‘এখানে লেখার কাজও অনেক বেশি। শুধু তো তদন্ত করলেই হবে না। রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। এই রিপোর্ট তৈরিতেই বেশি সময়ের প্রয়োজন। কারণ অনেক লেখা। … প্রতিবেদন তৈরিতে প্রচুর লেখার বিষয় আছে।’

পাঠ্যপুস্তকে ভুল তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। সাত জানুয়ারি একটি কমিটি গঠন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি। দুদিন পর ৯ জানুয়ারি আরেকটি তদন্ত কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এনসিটিবির প্রাথমিক তদন্তে তিনজনকে ওএসডি করা হয়। এরা হলেন- এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার এবং ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খান, এনসিটিবির আর্টিস্ট সুজাউল আবেদীন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটির আহ্বায়ক করা হয় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে। আরেকজন হলেন- একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মাহমুদুল হাসান। অপরজন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক এলিয়াছ হোসেন।  তবে পরে কমিটিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নেছার আহমেদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে পাঠ্যপুস্তকে নানা প্রকার ভুল নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের শেষ পৃষ্ঠায় ‘কাউকে কষ্ট দিও না’র ইংরেজি লেখা হয়েছে, ‘DO NOT HEART ANYBODY’. যদিও ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই ভুলই চলে আসছে। তবে গত বছর HEART বানান সংশোধন করা হয়েছিল। এবার সেই আগের ভুল ফিরে এসেছে।

প্রথম শ্রেণির বাংলা বইতে ছবি দিয়ে দেখানো হয়েছে ছাগল গাছে উঠে আম খায়। তবে ছাগলের বদলে দুর্বোধ্য অর্থ ‘অজ’ ব্যবহার করা হয়েছে। এটা চলছে ২০১৩ সাল থেকে। তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে কুসুমকুমারী দাশের ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’র বদলে এবার ছাপা হয়েছে ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে’। অথচ গত বছরের বইতে এই লাইনটি অবিকৃত  ছিল।

প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘ও’-তে ‘ওড়না চাই’ ২০১৩ সাল থেকেই থাকলেও এবার জেন্ডার প্রেক্ষিত থেকে এ নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়।

এ ছাড়া গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পঞ্চম শ্image-18745রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং সপ্তম শ্রেণির বাংলা বই সপ্তবর্ণার ভুলগুলো চিহ্নিত এবং এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় এনসিটিবি। সেখানে পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ১৯ পৃষ্ঠায় বাহাদুর শাহ পার্কের নির্মাণ সময় ১৯৫৭ সালের বদলে ১৯৪৭ লেখা হয়। আরো লেখা হয় ‘১৯ শতকে এই পার্কের নাম পরিবর্তন করে ভিক্টোরিয়া পার্ক রাখা হয়’। সঠিক তথ্য হবে ‘বিশ শতকে’। এবারেও সেই ভুল রয়ে গেছে। এবার ১৯ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে ‘১৯ শতকে এই পার্কের নাম ভিক্টোরিয়া পার্ক রাখা হয় কেন?’ এ ছাড়া আরো কিছু ভুল করা হয়েছে। গত বছরের সপ্তম শ্রেণির সপ্তবর্ণা (বাংলা) বইতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ কবিতায় সপ্তম লাইনের পর এক লাইন বাদ দেয়া হয়েছিল। সুকুমার রায়ের ‘আনন্দ’ কবিতার লাইনগুলো সঠিকভাবে সাজানো হয়নি। কালিদাস রায়ের ‘অপূর্ব প্রতিশোধ’ কবিতার তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন বাদ দেয়া হয়েছে। তদন্তে এসব ভুল সংশোধনের কথা বলা হয়েছিল। তবে এবার তিনটি কবিতাই বাদ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের বইয়ে ‘১৯৭১ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেয়ে তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন’ লেখা হয়েছিল। সঠিক তথ্য হবে ‘১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি’। এবারের বইতে এ অংশই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : photo-1485915022রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার দনিয়া রোডের পূর্ব দোলাইরপাড়ে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ সময় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সারোয়ার-তামিম গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিভাগের  প্রধান আশফাক-ই-আজম ওরফে আপেলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১০-এর একটি দল ভোররাত ৪টা থেকে বাড়িটিতে অভিযান চালায়। সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অভিযান চলে।

অভিযানে ওই চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলিসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1485875501মহেন্দ্র সিং ধোনি অবসর নেওয়ার পর থেকেই ভারতীয় টেস্ট দলে তাঁর জায়গাটা পাকা হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য চোটের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে দলের বাইরে ছিলেন তিনি। চোট সেরেছে বলে অনুমিতভাবেই দলে ফিরেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা।

মঙ্গলবার ঘোষিত ১৬ সদস্যের ভারতীয় টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন  ঋদ্ধিমান। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন আরো দুজন, অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডে ও জয়ন্ত যাদব। ফিরেছেন ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানেও। রাহানের চোটে সুযোগ পেয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করে চমকে দিয়ে ছিলেন করুণ নায়ার।

সর্বশেষ স্কোয়াড থেকে উকেটকিপার-ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেলের পাশাপাশি বাদ পড়েছেন মনীশ পাণ্ডে।

ভারতীয় এই দলে স্পিনার আছেন চারজন। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, জয়ন্ত যাদব ও অমিত মিশ্র। লেগ স্পিনে বাংলাদেশের দুর্বলতার কথা ভেবেই হয়তো মিশ্রকে দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

নিজেদের মাটিতে ভারত এবারই বাংলাদেশকে টেস্ট খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। একমাত্র টেস্টটি হায়দরাবাদে হবে ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি।

ভারতীয় দল : বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), মুরালি বিজয়, লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, করুণ নায়ার, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, জয়ন্ত যাদব, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, অমিত মিশ্র, অভিনব মুকুন্দ ও হার্দিক পাণ্ডে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

10লাইফস্টাইল ডেস্ক: ওজন কমানোর জন্য আমরা কী না করি। নিয়ম মেনে ডায়েট, নিয়মিত শরীর চর্চা, নিয়ম মেনে ঘুম। অর্থাত্‌ লাইফস্টাইলটাকে একেবারে নিয়মের দড়ি দিয়ে বেঁধে দিই। তবে, নারকেলের একটা গুণ আমরা অনেকেই জানতাম না। নারকেল ওজন কমাতেই খুবই উপকারী একটি ফল। নারকেল কীভাবে আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে জেনে নিন-

১) একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নারকেল পুরুষদের অতিরিক্ত ফ্যাট এবং ক্যালোরি কম করতে সাহায্য করে। শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না। শরীরে অনেক বেশি এনার্জি এনে দেয়।

২) নারকেলে প্রচুর পরিমানে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। প্রত্যেক ১০০ গ্রাম নারকেলে মাত্র ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই আপনি যদি কম কার্বোহাইড্রেটের কোনও খাবার খেতে চান, তাহলে অবশ্যই নারকেল খান।

৩) প্রত্যেক ১০০ গ্রাম নারকেলে আপনি ৩৫৪ গ্রাম ক্যালোরি ক্ষয় করতে পারবেন। তাই আপনাকে যদি সারা দিনে ১৫০০ ক্যালোরি ক্ষয় করতে হয়, তাহলে ১৫০ ক্যালোরির নারকেল খেতে হবে। আমরা সারাদিন যা খাবার খাই, তাতে বেশ অনেকটাই ক্যালোরি শরীরে যুক্ত হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। তাই অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করতে নারকেল খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

untitledবিনোদন ডেস্ক: ফ্রান্সের উত্তরে ছোট্ট শহর লিল৷ সেখানেই বড় হয়ে ওঠেন ইরিস মিতনেয়ার৷ কিন্তু জন্ম ছোট শহরে হলে কী হবে, এক আকাশ স্বপ্ন দেখতেন ইরিস, সেই ছোটবেলা থেকেই৷ আর তাই তো আজ তিনিই বিশ্বের সেরা সুন্দরী৷

প্রথম রানার্স-আপ মিস হাইতি আর দ্বিতীয় রানার্স-আপ বা তৃতীয় হয়েছেন মিস কলম্বিয়া৷ তবে সোনালি পোশাকে সোনার মতোই ঝকঝকে লাগছিল ইরিসকে৷

ফাইনাল রাউন্ডে তিন প্রতিযোগীকেই জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁরা জীবনে কোনো ভুল করেছেন কিনা, পরাজিত হয়েছেন কিনা৷ ইরিসের উত্তরে হাততালি দিয়ে ওঠে অনেকে৷ যেন বিজয়ী নির্বাচনও হয়ে যায় সেখানেই৷

ইরিস বলেন, ‘‘আমি জীবনে বহুবার ভুল করেছি৷ আর প্রতিটা ভুল থেকে আমি শিখেছি, নিজেকে নতুন করে চিনেছি, পরাজয় থেকে শক্তি জুগিয়েছি আমি৷….এই মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় হয়ত আমি হেরে যাবো৷ সেটা আমার একটা বড় পরাজয় হবে৷ কিন্তু আমি যে শেষ তিনে পৌঁছাতে পেরেছি, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি, সেটা সারা জীবন আমার একটা অর্জন হয়ে থাকবে৷’’

প্রসঙ্গত, মিস ইউনিভার্স ২০১৭-য় প্রথম ১৩ জন ফাইনালিস্ট ছিলেন কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, পেরু, পানামা, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন্স, ক্যানাডা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, হাইতি, থাইল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুন্দরীরা৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest