সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

a3ff565360ad8f4dcd61e3fc0b9a4650-58f3b634673a1শাকিব খান ও শবনম বুবলী অভিনীত মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘রংবাজ’-এর পরিচালক শামীম আহমেদ রনির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।

শনিবার বিষয়টি জানিয়েছেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।

রোববার গাজীপুরের পুবাইলে ছবিটির শুটিংয়ের জন্য পরিচালক সমিতিতে গত বৃহস্পতিবার আবেদন করেছিলেন প্রযোজক মোজাম্মেল হক সরকার। একই দিনে পরিচালক সমিতির সদস্যপদ ফেরত চেয়ে আবেদন করেন শামীম আহমেদ রনি। কিন্তু আজ শনিবার পরিচালক সমিতির কার্যকরী কমিটির বৈঠকে দুটি আবেদনই খারিজ করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক সমিতির সভাপতি গুলজার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রনির সদস্যপদ যেহেতু বাতিল করা হয়েছে, সেই অবস্থায় সে কোনো ছবির শুটিং করতে পারবে না। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের কোনো টেকনিশিয়ান (কলাকুশলী) তার সঙ্গে কাজ করবে না।’

শাকিব-বুবলী জুটির ছবিটি আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। এই ছবিতে প্রযোজক বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। এর পরও পরিচালককে শুটিংয়ে অংশ নিতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে গুলজার বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো চলচ্চিত্র পরিচালক (রনি বাদে) নিয়ে ছবিটি শেষ করতে পারবেন প্রযোজক। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’

গুলজার জানান, প্রতি ছয় মাস পরপর সাধারণ সভা করে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। কেউ সদস্যপদ ফেরত চেয়ে আবেদন করলে সেটির সুরাহা হয় সাধারণ সভায়। এরই মধ্যে রনি ক্ষমা চেয়ে সদস্যপদ ফেরত চেয়ে আবেদন করেছেন। আগামী জুনে সাধারণ সভায় তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চলচ্চিত্র পরিচালকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে সম্প্রতি শাকিব খানকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালক সমিতিসহ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) ১৪টি সংগঠন। পরে ক্ষমা চাওয়ার পর শাকিবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই শাকিবকে নিয়ে শুটিং করায় রংবাজের পরিচালক শামীম আহমেদ রনির সদস্যপদ বাতিল করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fcf33eb2728ad9c13b3d45de4fb42edd-5917405e084b4জঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে অভিযুক্ত লেকহেড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেজোয়ান হারুন লন্ডন থেকে তিন দিন আগে ঢাকায় এসে  লাপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন রেজোয়ান হারুন। এরপর তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে  ইমিগ্রেশন পার হয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

রেজোয়ানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও মদদের অভিযোগ রয়েছে। তিনি জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়া ঢাকার লেকহেড গ্রামার স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই স্কুলে আলোচিত অনেক জঙ্গি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করেছেন।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে রেজওয়ান হারুনকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই চিঠির আলোকে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উপ-সচিব হাবিব মো. হালিমুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ সদর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদর দফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ করছি।

সূত্র জানায়, রেজোয়ান হারুন বাংলাদেশি দু’টি পাসপোর্ট একসঙ্গে ব্যবহার করতেন। তার একটি পাসপোর্ট নাম্বার বিএইচ ০৬৩৪১৩৭। ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইস্যু হওয়া এই পাসপোর্টের মেয়াদ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সাল পর্যন্ত। এছাড়া তার আরেকটি পাসপোর্ট নম্বর এই ৬০১৬৯৩৩। ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর ইস্যু হওয়া এই পাসপোর্টটি চলতি বছরের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। রেজোয়ান হারুনের বিরুদ্ধে ঢাকার সামুরাই কনভেনশন সেন্টারে প্রচলিত ইসলামিরীতির বিরুদ্ধে গিয়ে একদিন আগের ঈদের জামায়াত আদায়, বাসায় জুম্মার নামাজ আদায় করার রীতি প্রচলের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে ধানমন্ডির ৬/এ সড়কে প্রতিষ্ঠিত হওয়া লেকহেড গ্রামার স্কুলের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই স্কুলের বনানী ও গুলশানে আরও দু’টি শাখা রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন এই স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন জেনিফার আহমেদ, যিনি বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীর সংগঠিত করার অন্যতম প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম মাওলার স্ত্রী। জেনিফার নিজেও হিযবুতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০৯ সালে হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ হওয়ার পর এই স্কুল প্রথম আলোচনায় আসে। ওই বছরই এই স্কুল পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্ব নেন হারুন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কর্ণধার হারুন অর রশিদ ও তার ছেলে রেজোয়ান হারুন। শুরু থেকেই এই স্কুলে এমন শিক্ষকরা কর্মরত ছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নেপথ্যে থেকে তাদের সাংগঠনিক কাজকর্ম সম্পাদন করতেন রেজোয়ান হারুন। বেশিরভাগ সময় লন্ডনে থাকলেও চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে প্রকাশ্য চলাফেরা বন্ধ করে আত্মগোপন চলে যান তিনি। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ  ফাঁকি দিয়ে শুক্রবার দেশে ঢুকলেও পরে আত্মগোপনে চলে যান।

সূত্র জানায়, রেজোয়ান হারুনের লেকহেড গ্রামার স্কুলে আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রগামী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার হওয়া রাজীব করিম, তার ভাই তেহজিম করিম ও তেহজিবের স্ত্রী সিরাত করিম শিক্ষক ছিলেন। ২০১০ সালে ইয়মেনে আল-কায়েদাবিরোধী অভিযোনে গ্রেফতার হয়েছিলেন তেহজিব করিম। তেহজিবের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া মাইনুদ্দিন শরীফও এই স্কুলে শিক্ষকতার করতেন। এছাড়া পরিবারসহ সিরিয়ায় চলে যাওয়া মাইনুদ্দিনের ভাই রেজোয়ান শরীফও এই লেকহেডের শিক্ষক ছিলেন।

দায়িত্বশীল একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, রেজোয়ান হারুনের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আধ্যাত্মিক নেতা কারাবন্দি জসিমউদ্দিন রাহমানী, আনসারুল্লাহার আরেক শীর্ষ নেতা রেজওয়ানুল আজাদ রানা, পাকিস্তানে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি জঙ্গি ইফতেখার আহমেদ সনি, জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে অভিযুক্ত ও নিখোঁজ হওয়া ফারজাদ হক তুরাজ, জুবায়েদুর রহমান, তাসনুভা হায়দার, ইয়াসিন তালুকদার, আরিফুর রহমানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তারা সবাই বিভিন্ন সময়ে রেজোয়ান হারুনের লেকহেড গ্রামার স্কুলে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করেছেন। এমনকি হলি আর্টিজানে হামলাকারীদের প্রশিক্ষণদাতা সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জাহিদুল ইসলামও লেকহেড গ্রামার স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রূপনগরে জঙ্গিবিরোধী এক অভিযানে জাহিদ মারা যায়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, রেজোয়ান হারুন নর্থসাউথসহ উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণদের জঙ্গিবাদে মোটিভেটেড করার কাজ করে থাকেন। তার নির্দেশনায় কায়াকুশিন নামে একটি মার্শাল আর্ট শেখা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। ওই প্রতিষ্ঠানে মার্শাল আর্ট শিখতে গিয়েই সর্বশেষ মাস তিনেক আগে বনানীর বাসিন্দা সাঈদ আনোয়ার খাঁন নামে এক তরুণ নিখোঁজ হয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, রেজোয়ান হারুন ব্রিটেনে থাকা অবস্থায় জামায়াতুল মুসলেমিন নেতা আবু ইসা আল রাফাই (জর্ডান থেকে ব্রিটেনে বসবাসকারী) এর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে মোটিভেটেড হয়। ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশে সে জামায়াতুল মুসলেমিন সংগঠিত করার কাজ শুরু করে। আল-কায়েদার অনুসারী জামায়াতুল মুসলেমিন বাংলাদেশে উচ্চবিত্ত তরুণদের দলে ভেড়ানো শুরু করে। জামায়াতুল মুসলেমিন প্রথমে দেশের ১৩ জেলায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৫ সালে ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার পর তারা আরসিইউডি (রিসার্স সেন্টার ফর ইউনিটি ডেভেলপমেন্ট) ছদ্মবেশে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। সর্বশেষ জামায়াতুল মুসলেমিনের আমির ছিলেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রেজাউর রাজ্জাক। রেজোয়ান হারুন ও রেজাউর রাজ্জাক মিলে আরসিইউডি পরিচালনার নামে জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত বছরের ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর ড. রেজাউর রাজ্জাক মালয়েশিয়া পালিয়ে যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

00222222 (Medium)প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোঃ মারুফ আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সদর থানায় উপস্থিত হয়ে এ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ রেজাউল  করিম, সাধারণ সম্পাদক বিএম শামছুল হক, সহ-সভাপতি আব্দুল হক, ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন মন্ডল, এস এম নজমুচ্ছায়াদাত (পলাশ), মোঃ আশরাফুর রহমান, আবুল হাসানা প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

000001111 (Medium)প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বলাকা ক্রীড়া চক্র ক্লাবে এ কমিটির গঠন করা হয়। সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদকে আহবায়ক ও কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিমকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু জাফর, নুরুল আমিন, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হারুন অর রশিদ, লিটন পারভেজ, এড. রাজ্জাক, এড. সাইফুল্লাহ, সালাম, মোঃ মাসুম, হিরন, মেহেদী, রুমি, করিম, তায়ফুল ইসলাম, হাসান প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
SAMSUNG CAMERA PICTURES

SAMSUNG CAMERA PICTURES

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা ইটাগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ -৫ বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র – ছাত্রী ও সিএলএইপি অনুদান দাতা ব্যক্তিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টায়  ইটাগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চত্বরের। আয়োজনে ইটাগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন কালু।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি। তিনি বলেন, গরীব মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ। শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলা শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষায়ও যথেষ্ট দখল রাখতে হবে। তা না হলে তোমরা পিছিয়ে পড়বে। লেখাপাড়ার পাশাপাশি পুথিগত বিদ্যাসহ বিশ্বের অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। আমাদের কে জানতে হবে, জানাতে হবে। আজ তোমাদের মধ্যে থেকে যারা এ বৃত্তি পেয়েছো। তোমাদের আগামী দিনে পড়াশুনায় আরো ভালো করতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌরঙ্গী গাইন,  মহিলা কাউন্সিলার ফাহরা দিবা খান সাথী প্রমুখ। ২০জন ছাত্র – ছাত্রীর মধ্য এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের জিপিএ প্রাপ্ত ছাত্র – ছাত্রীরা হলেন১ জাকরিয়া হোসেন, ২ হাসিবুর রহমান, ৩ মুনতাছিন বিল্লাহ আল মাহি, ৪ আজিয়ার নূর সাফিদ, ৫ মেহরাব হোসেন অয়ন, শাজারিয়ার নাফিজ, ৭ নিয়াজ মাহমুদ, ৮ জুনইদ আহমেদ,৯ সানজিদা আহসিন সৌমি, ১০ সুমাইয়া আক্তার,  ১১ফারহানা আফরিন মৌমি, ১২নুহিন ফিল আল আমিন, ১৩ নাফিজ আহমেদ, ১৪ মেহেদী হাসান, ১৫ নাফিজ ইশতিয়াক, ১৬ শাহানা পারভীন ১৭ লিপি আক্তার, ১৮ ফারজানা আক্তার, ১৯ সুমাইয়া আক্তার রিয়া, ২০ তাওফিকা সিদ্দিকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
03

হাবুরা ইউপি চেয়ারম্যানের নির্যাতনের শিকার যুবলীগ নেতা শেখ নুরুল ইসলাম। ইনসেটে চিংড়ি ঘেরে ভাংচুরের দৃশ্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক : আধিপত্য মেনে না নেওয়ায় এবার যুবলীগ নেতাকে মারপিট করে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আলী আযম টিটুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবলীগ নেতা শেখ নূরুল ইসলাম গাবুরা এলাকার মৃত. শেখ আব্দুস সামাদের পুত্র।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেখ নূরুল ইসলাম শনিবার সকাল ১০টায় গাবুরা এলাকায় শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা(বাংলা ভাই)সহ জেলা ও উপজেলা যুবলীগ, আ’লীগ, তাঁতীলীগ, নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি সর্বস্তরের যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে মুজিব সৈনিকদের করণীয় শীর্ষক সভার আয়োজন করেন। এ উপলক্ষ্যে তিনি শুক্রবার দিন থেকে অনুষ্ঠানস্থলের সাজ সজ্জা শুরু করেন। এদিকে উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আলী আযম টিটু।
যে কারণে চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলা ভাইকে কেন দাওয়াত করেছিস। তোর অস্তিত্ব বিলিন করে দেবো। এ পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে অনুষ্ঠান স্থলের পাশ থেকে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আতাউর, সিদ্দিকসহ ২০/৩০ জন নূরুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায়। এসময় তারা অনুষ্ঠান স্থলসহ তার মৎস্যঘেরে ভাংচুর-লুটপাট করে এবং অনুষ্ঠানে যাবতীয় সরঞ্জামাদি ও তার কাছে থাকা ২৬ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এরপর সুবিধা মত স্থানে নিয়ে তারা নুরুল ইসলামকে লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এতে নূরুল ইসলামের ডান চোখ, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। এরপর চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে ১৪ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১২ পুরিয়া গাজা দিয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় তার প্রচ- রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে জানান তারা।
এলাকাবাসী জানান, নুরুল ইসলামকে আটক করে মারপিটের সময় থানা পুলিশকে খবর দিলেও পুলিশ তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। অথচ চেয়ারম্যান কর্তৃক ম্যানেজ হয়ে থানা পুলিশ তার নামে একটি মামলা রেকর্ড করেছে। যার নং- ২৪। কিন্তু মামলা হওয়া উচিত ছিলো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
আহত নুরুল ইসলামের মাতা নসিরন বিবি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে কোন দিন একটি সিগারেটও মুখে দেয়নি। শুধু মাত্র চেয়ারম্যানের কথা না শোনায় তাকে মারপিট করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার ছেলে যুবলীগের একজন কর্মী। অথচ বর্তমান সরকারের সময়ে তাকে এভাবে নির্দয়ভাবে মার খেতে হয়েছে, আবার মিথ্যা মামলায় জেলে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি জেনেও শ্যামনগর থানা পুলিশ ওইদিন রাতে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি তার কলিজার টুকরাকে এভাবে মারপিট ও মিথ্যা মামলা ফাঁসানোর ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ওই সন্ত্রাসী চেয়ারম্যানের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
আহত নূরুল ইসলাম বলেন, আমি চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব না মানার কারণে আজকে আমার উপর এধরনের নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। আমি প্রশাসনসহ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অপর দিকে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার শত শত মানুষের ছুটে আসেন। এসময় তারা বলেন, নুরুল ইসলামকে আমরা কোন দিন একটি বিড়িও খেতে দেখিনি অথচ তার নামে ইয়াবা ও গাজা বিক্রির মামলা। এটি কিভাবে সম্ভব হতে পারে এ প্রশ্ন আপনাদের কাছে?
এঘটনায় শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আসলে পুলিশ কাউকে আটক করেনি। ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন নুরুল ইসলামকে ১৪ পিচ ইয়াবা ও ১২ পুরিয়া গাজাসহ থানায় সোপর্দ করেছে। আবার তিনি নিজেই বাদি হয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের মাধ্যমে আমরা সঠিক ঘটনা জানতে পারবো।
তবে শুক্রবার রাতে নুরুল ইসলামকে থানা আনা হলেও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়নি। তার শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও তাকে কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বাংলা ভাই বলেন, যারা চেয়ারম্যান টিটুর মতের বিরোধিতা করেন তাদেরকে মারপিট ও মিথ্যা মামলার বোঝা মাথায় নিতে হয়। টিটু চেয়ারম্যান প্রশাসনের সহযোগিতায় অত্র ইউনিয়নের সকল মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। তার আনুগত্যা প্রকাশ না করবে তাকে হয় জেলে যেতে হবে তা না হলে নির্যাতনের শিকার হতে হবে। নুরুল ইসলাম তার আনুগত্যা প্রকাশ করেনি বলে আজ তার এই অবস্থা। সে এখনো পর্যন্ত থানায় রয়েছে। সে গুরুতর আহত হলেও পুলিশ তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এলাকাবাসী ওই অত্যাচারী চেয়ারম্যানের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আলী আযম টিটু বলেন, নুরুল একজন মাদক ব্যবসায়ী। আমার লোকজন তাকে মাদকসহ আটক করে থানায় দিয়েছে মাত্র। এ ছাড়া আর কিছু না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

02মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘ সবজি থেকে সোনা সব পাবেন এখানে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল আল-বারাকা বাজার ব্রান্ড সিটি। শনিবার রাতে শহরের ফ্রেন্ডস্ ড্রামেটিক ক্লাব কমপ্লেক্স-এ আল-বারাকা বাজার ব্রান্ড সিটির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে আল-বারাকা বাজার ব্রান্ড সিটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, ফ্রেন্ডস্ ড্রামেটিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছাইফুল করিম সাবু ও আল-বারাকা বাজার ব্রান্ড সিটির পরিচালক কামরুজ্জামান বুলু প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দিন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহমেদ, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা শেখ তওহিদুর রহমান ডাবলু, ফ্রেন্ডস্ ড্রামেটিক ক্লাবের সদস্য রফিকুল আলম বাবু, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেনসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1494646732মিয়ানমারের সাত বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির পুলিশ। দেশটির ইয়াঙ্গুন শহরে স্থানীয় মুসলমানদের সঙ্গে মারামারির পর সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

ওই সাতজনের মধ্যে দুজন বৌদ্ধ ভিক্ষু রয়েছেন। তাঁদের একজন হলেন উ থু সিত্তা।

বিবিসির এক সংবাদে বলা হচ্ছে, সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অপরাধে মিয়ানমারে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার সকালে একদল বৌদ্ধ ভিক্ষুর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদীরা ইয়াঙ্গুনের মিঙ্গালার তং নিয়ুন্ত এলাকায় যায়। সেখানে ‘অবৈধ’ রোহিঙ্গা মুসলিমরা অবস্থান করছে বলে তারা দাবি করে। এ ঘটনায় সেখানে মারামারিতে অন্তত একজন আহত হয়। পুলিশ হুঁশিয়ারি দিয়ে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনার পর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করা হয়।

দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ মুসলমান রয়েছে, যারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেয়। তবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী হিসেবেই তাঁদের দেখে মিয়ানমার সরকার। তাই তাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করে আসছে দেশটি।

নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা গত ছয় মাসে মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest