সর্বশেষ সংবাদ-
এসএসসি’৯১ সাতক্ষীরার আয়োজনে বন্যা দুর্গত বদ্দীপুরের৫০ পরিবারে মাঝে খাদ্য বিতরনপানিতে ভাসছে তালার খেশরা ইউনিয়ন ১৮ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি২ দিন ধরে নিখোঁজ আশিকুজ্জামান আলভী সন্ধান চান পিতাআশাশুনিতে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলখাজরায় হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার বিএনপি নেতার পক্ষে মানববন্ধনভারতে মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননার প্রতিবাদে শ্যামনগরে র‍্যালিকলারোয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুঅধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এড. আব্দুর রহমান কলেজের কমিটি গঠনের অভিযোগকালিগঞ্জে সাপের কামড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যুসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক সংলাপে ১০ প্রস্তাব

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: উইকিলিকসের কাছে তথ্য ফাঁসের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত চেলসি এলিজাবেথ ম্যানিংয়ের সাজা কমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ম্যানিংয়ের সাজা কমানোর আদেশ দেন বারাক ওবামা। ম্যানিং মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ১৭ মে মুক্তি পাবেন তিনি। ২০১৩ সালে  সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের কাছে তথ্য ফাঁসের দায়ে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ম্যানিংকে। তাঁর বিরুদ্ধে সাত লাখ ৫০ হাজার পৃষ্ঠার নথি ও ভিডিও ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সেটিই ছিল সবচেয়ে বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন ম্যানিং। লিঙ্গ পরিবর্তনের পর নারী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। এর আগে তাঁর নাম ছিল ব্রাডলি এডওয়ার্ড ম্যানিং। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট লেভেনওর্থ কারাগারে বন্দি আছেন ম্যানিং। ২০১৬ সালে নাকি তিনি কারাগারে দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া একই বছরে তিনি অনশন করেছিলেন। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁকে লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হলে অনশন ভাঙেন তিনি। ম্যানিংয়ের সাজা কমানোর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চূড়ান্ত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে সাজা কমানো ও মওকুফের বিষয়টি। বিদায় নেওয়ার আগে তিনি ২০৯ অপরাধীর সাজা কমিয়েছেন। পুরোপুরি সাজা মাফ করেছেন ৬৪ অপরাধীর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ‌্য ডেস্ক: এই শীতে শরীর সুস্থ রাখতে দরকার পুষ্টিকর খাবার। খাঁটি ঘিয়ের রয়েছে বিস্ময়কর কিছু গুণ; যা এই শীতে শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এটি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বির উৎস। যদিও ঘি খাওয়ার বিষয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে, তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘি স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সর্দি-কাশি সারাতে, দুর্বলতা কাটাতে, ত্বকের সমস্যা দূর করতে ঘি ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া ঘিয়ে পেঁয়াজ ভেজে খেলে গলা ব্যথা সারে। চ্যবনপ্রাশ তৈরির অন্যতম উপকরণ এটি। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিকেল রিসার্চ’ এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভারতের প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ সন্ধ্যা গুগনানির মতে, শীতকালই ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এ সময় এটি সহজে হজম হয় ও শরীর গরম রাখে। এতে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে আছে।দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার পাশাপাশি পেশি সুগঠিত রাখতে ঘি কার্যকর। এ ছাড়া শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ঠেকাতে পারে ঘি। প্রতিদিন সকালে এক বা দুই চা-চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে। এরপর গ্রিন টি বা সাধারণ চা ও কফি খেলে উপকার পাওয়া যায়।ঘি অবশ্য অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো। যাঁদের কোলস্টেরলের সমস্যা আছে তাঁদের ঘি এড়িয়ে চলা উচিত।

প্রতিদিন কেন এক চামচ ঘি খাবেন:
১. ত্বকের শুষ্কতা দূর করে তা আর্দ্র রাখে।
২. ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের জন্য ভালো। গ্লুকোমা রোগীদের জন্য উপকারী। এটি চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. ঘি খেলে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, এতে শরীরের সন্ধিগুলো ঠিক থাকে।
৪. এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করে শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলে।
৫. পোড়া ক্ষত সারাতে কাজ করে ঘি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আছে ঘি খেলে মস্তিষ্কের ধার বাড়ে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনেদন ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটি দিন, তারপরই একই দিনে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে শাহরুখ খানের ‘রইস’ ও হৃত্বিক রোশনের ‘কাবিল’। এরই মধ্যে ছবি দুটি ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য জমা পড়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সেন্সর বোর্ডে। বোর্ডের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বোর্ডের সদস্যরা এ সপ্তাহের মধ্যেই দুটি ছবি দেখে তাঁদের মন্তব্যসহ ছাড়পত্র দেবেন। ছবির প্রযোজকরা আশা করছেন, ছবি দুটি কোনো কর্তন ছাড়াই সবার দেখার উপযোগী হিসেবে ছাড়পত্র দেবে বোর্ড। রাহুল ঢোলাকিয়া পরিচালিত ‘রইস’ ছবিটিতে গুজরাটের মদ চোরাচালানকারির চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। এই ছবির লায়লা, জালিমা ও উড়ি উড়ি যায়—গান তিনটি এরই মধ্যে মিউজিক টপচার্টে জায়গা করে নিয়েছে। আর মুক্তি পাওয়া প্রোমো ও কিছু সংলাপ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় ধারণা করা হচ্ছে, সুপারহিট হতে যাচ্ছে ছবিটি। অন্যদিকে, হৃত্বিক রোশন অভিনীত ‘কাবিল’ ছবিটিও মুক্তি পাবে ২৫ জানুয়ারি। সেন্সর বোর্ডে ‘রইস’ জমা পড়ার অন্তত দুই সপ্তাহ আগেই জমা দেওয়া হয় হৃত্বিকের ছবিটি। তবে প্রযোজকের পক্ষ থেকে কোনো তাড়া না থাকায় একটু দেরিতেই ‘কাবিল’ দেখা হচ্ছে বলে জানা যায় টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে। এক জন্মান্ধ মানুষের ভূমিকায় হৃত্বিক অভিনয় করেছেন ‘কাবিল’ ছবিতে। রোমান্টিক-অ্যাকশন ধাঁচের এই ছবিতে প্রেম ও প্রতিশোধই হয়ে ওঠে মুখ্য বিষয়। কাহিনীর দিক থেকে ‘কাবিলে’র চেয়ে ‘রইস’কেই এগিয়ে রাখছেন অনেকে। তবে দর্শকের আগ্রহ শেষ পর্যন্ত কোথায় যায়, সেটা দেখা যাবে ২৫ জানুয়ারি। শাহরুখ ও হৃত্বিকও নিশ্চয় এখন নখ কামড়ে দিন গুনছেন, অপেক্ষা করছেন দেখার জন্য—কার ঘরে দর্শক টাকা ঢালবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

151222120544-donald-trump-takes-credit-for-mccarthy-dropping-out-super-169সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্টদের তুলনায় সবচেয়ে কম জনসমর্থন নিয়ে আগামী শুক্রবার শপথ নেবেন ৪৫ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনমত জরিপে মাত্র ৪০ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প। বিদায়ী ৪৪ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শপথ নেয়ার আগে জনসমর্থন ছিলো ৮৪ শতাংশ।

ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার এমন পতন উঠে এসেছে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন/ওআরসি’র মতামত জরিপে।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী তার আগের ৩ প্রেসিডেন্টের চেয়ে ২০ পয়েন্টেরও নিচে আছেন ট্রাম্প। ২০০৯ সালে শপথ গ্রহণের আগে ওবামার প্রতি জনসমর্থন ছিলো ৮৪ শতাংশ। ১৯৯২ সালে বিল ক্লিনটনের শপথ গ্রহণের আগে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলো ৬৭ শতাংশ মার্কিনী। জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার আগে তার প্রতি জনসমর্থন ছিলো ৬১ শতাংশ।

প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত দেশীয়-আন্তর্জাতিক বিতর্ক সামলাতে গিয়ে ট্রাম্পের বর্তমান অবস্থা টালমাটাল। এমন অবস্থায় তার যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহানদের সংখ্যাটা একলাফে বেড়ে গেছে।

জরিপে ৫৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলছে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং কাজকর্মে তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতার ওপর আস্থা কমে আসছে। এমনকি ট্রাম্প আদৌ ভালো না মন্দ প্রেসিডেন্ট হবে এমন মতামত জরিপেও সংকট স্পষ্ট। ৪৮ শতাংশের মতামত হচ্ছে ট্রাম্প ভালো প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন। আবার তিনি ভালো প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না বলে মত দিয়েছে ৪৮ শতাংশ মার্কিনী। অর্থাৎ সমান দুভাগে ভাগ হয়েছে জরিপে অংশ নেয়া মার্কিনীরা।

দেশ সামলাতে পারবেন কিনা এমন বিষয়ে সন্দিহানের সংখ্যা বাড়লেও ট্রাম্পের কিছু প্রস্তাবে জনসমর্থনের মাত্রা কমেনি। যেমন, মেক্সিকোতে যেসব কোম্পানি পণ্য উৎপাদন করে তাদের ওপর শুল্ক চাপানোর প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে ৭১ শতাংশ মার্কিনী। নাফটা চুক্তি পর্যালোচনার কথায় সমর্থন রয়েছে ৬১ শতাংশ।

এসব মার্কিনী স্বার্থ ভিন্ন অন্য আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ট্রাম্পের যোগ্যতার প্রতি আস্থাও মারাত্মক হারে কমেছে। বিশেষ করে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস নির্মূল প্রসঙ্গে তার যোগ্যতা আবারও বড় প্রশ্নের মুখে। কারণ জরিপে প্রতি ১০ জনের মাত্র ৪ জন মনে করেন আইএস নির্মূল করতে পারবেন ট্রাম্প।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

behnazবিদায়ের শেষ মুহূর্তে বারাক ওবামার বাণিজ্যনীতি ও উপদেষ্টা দলে নিয়োগ পেয়েছেন এক বাংলাদেশী। সোমবার হোয়াইট হাউজের বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় জন্ম নেয়া বেহনাজসহ ২৯ জনকে নিয়োগের মনোনয়ন দেয় ওবামা প্রশাসন।

সিনেটের অনুমোদন পেলে আগামী দুই বছর এই পদে কাজ করবেন বেহনাজ কিবরিয়া।

তিনি ২০০৭ সাল থেকে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ হিসেবে কাজ করছেন। তার আগে একই দপ্তরের সহকারী জেনারেল কাউন্সিলর ছিলেন তিনি।

বেহনাজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে পেরু, কলম্বিয়া ও কোরিয়া ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বিষয়েও কাজ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনে যোগ দেয়ার আগে ওয়াশিংটন ডিসির হগ্যান অ্যান্ড হার্টসন এলএলপি নামের আইনি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন বেহনাজ কিবরিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

nigeriaনাইজেরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বরনো প্রদেশে বিমানবাহিনীর একটি জেট বিমান থেকে চালানো ওই বোমা হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

তবে দেশটির সরকার দাবি করেছে, বোকো হারামের ক্যাম্প মনে করে ভুলবশত এই হামলা চালানো হয়েছে। নিহত ও আহতদের মধ্যে রেডক্রস ও ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন।

ক্যামেরন সীমান্তবর্তী এলাকা নাইজেরিয়ার রনেতে জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

বোকো হারামের কিছু সদস্য বৈঠক করছে এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই সুনির্দিষ্ট একটি স্থানে বোমা হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কার ভুলের কারণে হামলাটি শরণার্থী শিবিরের ওপর চালানো হয়েছে তা-খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

রেডক্রস আন্তর্জাতিক কমিটির একজন কর্মী জানিয়েছেন, তাদের ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছে এই হামলায়। আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস হামলার নিন্দা জানিয়েছে। ক্যামেরুন এবং চাদে তাদের টিম আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব মানুষ এরই মধ্যে চরম সহিংসতা থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের ওপরই আবার এ ধরনের একটি হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

manjurul-ahsan-khanবাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান ওমরাহ পালন করায় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে। কেউ কেউ একজন কমিউনিস্টের ওমরাহ পালনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মের বিরোধ নেই উল্লেখ করে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কী আছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

সিপিবির সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ আছে এমন বামপন্থীরা আবার ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর হজব্রত পালনের সময় যে কথা উঠেছিল ওই প্রসঙ্গ টেনে এনে তখন কেন সমালোচনা হয়েছিল সে প্রশ্ন তুলেছেন।

চলতি সপ্তাহে মক্কায় ওমরাহ পালন করে এখন মদীনায় আছেন একসময়ের জনপ্রিয় শ্রমিকনেতা এবং সিপিবির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান।

তার ওমরাহ পালনের খবরে কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর ফেসবুকে পরিহাসের সুরে লিখেছেন: সিপিবি নাকি ‘ইসলামি সমাজতন্ত্র’নামে নতুন ধরনের সমাজতন্ত্রের কর্মসূচী ঘোষনা করতে যাচ্ছে?
menon-inu-300x187
সরাসরি না হলেও তার জবাব পাওয়া গেছে সাবেক ছাত্রনেতা মুখলেছউদ্দিন শাহীনের ফেসবুক পোস্টে। নিজে সিপিবিপন্থী বাম ধারার না হলেও এক্ষেত্রে তিনি কোন সমস্যা দেখছেন না।

শাহীন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন: সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে যে সাম্যের কথা বলা আছে তার সাথে ধর্মের বিরোধ না করেও সেই সাম্য ব্যবস্থাকে সমর্থন করা যায়। উৎপাদনের উপায়ের ব্যাক্তি মালিকানা উচ্ছেদ করে সামজিক তথা রাষ্ট্রীয় মালিকানা আরোপ করাই হচ্ছে সমাজতন্ত্রের মুল ধারণা। এর সাথে ধর্মীয় বিরোধ তৈরি করা একটি অপরিপক্ক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। এই অপরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমাজে বদ্ধমুল ধারণা যে কমিউনিস্টরা নাস্তিক।

কিন্তু, সেটা যে ঠিক নয় তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলছেন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, মন্দিরে পূজা দিয়ে, গির্জায় উপাসনা করেও উৎপাদনের উপায়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানাকে সমর্থন করা যায়। এর সাথে ধর্ম পালন করা না করার কোন সম্পর্ক নেই।

‘সিপিবির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান ওমরাহ হজ্জ করাতে মনে হচ্ছে কমিউনিস্টদের জাত গেল। তাহলে কমিউনিস্টদেরও জাত ধর্ম আছে, সেই ধর্ম হচ্ছে ধর্ম পালন না করা, ’এরকম উল্লেখ করে তিনি জানাচ্ছেন: বিশ্বের একমাত্র মুসলিম কমিউনিস্ট দেশ ছিল ইউরোপের আলবেনিয়া । সেই দেশের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোজ্জা এক সময় বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রভাব বিস্তারকারী নেতা ছিলেন এবং তার দেয়া তত্ত্ব জনগণতন্ত্র স্তালিনের নেতৃত্বে কমিউনিস্টদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সেই মোতাবেক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব ইউরোপে জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিল।

শাহীন মনে করেন: আলবেনিয়ার মতো সংখাগরিষ্ঠ একটি মুসলিম দেশে কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় যাওয়াতে ধর্মের সাথে কোন বিরোধ হয় নাই। উৎপাদনের উপায়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানার মাধ্যমে সাম্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার যে অর্থনৈতিক রূপরেখা তা নামাজ-কালাম পড়েও বাস্তবায়ন বা সমর্থন করা যায়।

‘এই সামান্য বুদ্ধিটা কমিউনিস্টদের নাই বলে সাবেক সিপিবি সভাপতি ওমরাহ হজ্জে মোনাজাত করে দোয়া করেছেন যেন “আল্লাহ কমিউনিস্টদের বুদ্ধি বাড়িয়ে দেন” ।

কমিউনিস্টদের এরকম ‘বুদ্ধি-শুদ্ধি’র কারণেই মঞ্জুরুল আহসান খান দোয়া করেছেন বলে শাহীন যে কথা বলছেন সেখানেই অবশ্য ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরে-খোদা-টরিক এর আপত্তি।

নিজের পোস্টে তিনি বলেছেন: কয়েকজন বন্ধু আমাকে একটা লিংক পাঠিয়েছেন এবং লিখেছেন, আপনার নেতা, কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান, হ্জ্ব পালন করছেন! সাথে মঞ্জু ভাইয়ের ছবি ও একটি জাতীয় দৈনিকের লিংক। তারা হয়তো আমাকে বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দেয়া, নয়তো অবগত করার জন্য ইনবক্স করেছেন। আমি বিব্রত!

‘তিনি হ্জ্ব করবেন, নামাজ পড়বেন, ধর্মকর্ম করবেন সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়, সেটা নিয়ে আমার কোন কথা নেই। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে তিনি যে মন্তব্য করেছেন সেটা নিয়ে কয়েকটা কথা আছে,’ উল্লেখ করে তার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, সেখানে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার পুরোটাই রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক।

‘হ্জ্বরত অবস্থায় মক্কা থেকে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, বামপন্থীদের সবার মাথায় যেন বুদ্ধি আসে সে জন্য দোয়া করেছেন!’ এটা উল্লেখ করে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন টরিক:
১. তিনি কি বিশ্বাস করেন যে, হজ্বে যে দোয়া করবেন, আল্লাহ তা কবুল করবেন! এবং সেই জন্যই তিনি সেখানে গেছেন! কারণ তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক চেষ্টা করেছেন, বামপন্থীদের মাথায় বুদ্ধি আনয়নের জন্য, তার কোন দাওয়াই কাজে না লাগায়- তিনি চুড়ান্ত গায়েবী দাওয়াইয়ের জন্য হজ্বে গেছেন!
২. তাহলে কি এবার নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ওনার দেশে ফেরার মধ্যে দিয়ে দেশের সকল বামদের মাথায় বুদ্ধি কিলবিল করবে!
৩. তিনি কি মনে করেন তিনিই (তার দলের কারো কারো) বাংলাদেশের একমাত্র বামনেতা যার মাথায় অনেক বুদ্ধি, আর সবাই কাণ্ডজ্ঞানহীন বা কম বুদ্ধির মানুষ..?
৪. দোয়া দিয়েই যদি কাজ হয়, তাহলে এত লড়াই, সংগ্রাম, বিপ্লব, বিদ্রোহ, জেল-জুলুম, সংগঠনের দরকার কি..?
৫. তিনি যদি মনে করেন, না আসলে ঠিক তা না, হজ্ব করতে কিছু দোয়া করতে হয় তাই করেছি! তাহলে প্রশ্ন তিনি তা গোপন রাখতে পারতেন! সেটা না করে কেন সাংবাদিকদের ঘটা করে তা বলতে গেলেন?
৬. কমিউনিস্ট পার্টি কি এখন ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে..?
৭. কেউ যদি বলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত সফর, তাহলে প্রশ্ন: তিনি সাক্ষাতকারে তেমন ব্যক্তিগত কথা বলেননি (পত্রিকায় যেটুকু দেখেছি), পুরোটাই রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বক্তব্য রেখেছেন!
৮. নাকি হজ্ব পালন একটি রাজনৈতিক কৌশল..? যেহেতু আমাদের দেশে একটি প্রচারণা আছে কমিউনিস্ট মানেই নাস্তিক, সেই অপবাদ ঘোঁচাতে ও প্রমাণ করতে যে, কমিউনিস্টরাও ধর্মকর্ম করে! কিন্তু এই কৌশল কি কাজে দেবে..?
৯. হজ্বের রাজনীতি-অর্থনীতি নিয়ে কমিউনিস্ট-বামপন্থীরা অনেক আলোচনা-সমালোচনা করত.. এখন নিজেরাই তার অন্তর্গত প্রায়.. কোন জবাব আছে কি..?
১০. কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে কি মঞ্জু ভাইয়ের এই বক্তব্যের কোন ব্যাখ্যা দেয়া হবে..?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

7777777777জি এম আবুল হোসাইন: মঙ্গলবার রাতে আলোচনা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও লাকি কুপনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে ৪ দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী মহাশ্মশান কালি পূজা ও পৌষ সংক্রান্তি উৎসব। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা মহাশ্মশান মন্দির কমিটির আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বাবু গোষ্ঠ বিহারী মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন। তিনি বলেন, এ মেলা হিন্দু মুসলিম সবার মিলন মেলা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ এক অটুট বন্ধন। তিনি ৪দিন ব্যাপী এমন অনুষ্ঠান আয়োজনে কর্তৃপক্ষের সাধুবাদ জানান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সরদার এ. মজিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. খালিদুর রহমান, জেলা যুব জাতীয় পার্টির সভাপতি আকরাম হোসেন খান বাপ্পি, ঝাউডাঙ্গা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইফতিয়ার উদ্দীন, উৎসব কমিটির সদস্য সচিব প্রভাষক তপন কুমার দে প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভুধাংশ শেখর সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest