সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

1491813338640আশাশুনি ব্যুরো : মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই আশাশুনির বিভিন্ন ইউনিয়নে শুরু হয়েছে পানির সংকট। সংশ্লি¬ষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত, নদীর নাব্যতা হ্রাস ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
নানা কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টি, নদীর নাব্যতা হ্রাস, নদীর উৎস মুখ বাধাগ্রস্ত হওয়া ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের তুলনায় স্তরে পানি না জমা অন্যতম। এর ফলে বিভিন্ন উৎপাদক নলকূপ সমূহের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এছাড়া এর প্রভাব পড়ছে টিউবওয়েলের ওপর। এ কারণে টিউবওয়েল থেকেও মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পাচ্ছে।
আশাশুনিতে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলায় গ্রামের পর গ্রাম মিলছে না পানের উপযোগী পানি। তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে পানির সংকট। উপজেলা সদরে রয়েছে সুপেয় পানির সংকট। উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় পানির স্তর নিচে নামতে শুরু করেছে। ফলে নলকূপে পানি উঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ অনুপযোগী পানি পান করে আক্রান্ত হচ্ছে জটিল ও কঠিন রোগে। উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের লোক সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এর মধ্যে ৯০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি পান থেকে বঞ্চিত।
আশাশুনির পানিকে স্থান বিশেষ শূন্য দশমিক ৫ থেকে শূন্য দশমিক ৯ মিলি লিটার কেলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া রয়েছে পরিসংখ্যান অনুযায়ী আশাশুনি উপজেলায় পানি শুধু পান অনুপযোগী নয় ব্যবহার অনুপযোগী রয়েছে। আশাশুনি উপজেলার খাল বিল, হাওড়, পুকুর, সর্বত্র লোনা পানি তুলে অপরিকল্পিকত ভাবে চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে।।এতে সমগ্র এলাকায় পানি, মাটি, এবং পরিবেশ হয়ে পড়ছে দূষিত। ফলে আশাশুনির মানুষ মাইলের পর মাইল পেরিয়ে পানি সংগ্রহ করছে। সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলোর অবস্থা আরো করুণ। তথ্যানুযায়ী, আশাশুনির গভীর নলকূপের ক্ষেত্রে নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত পানির স্তর দ্রুত নামতে থাকে। ফলে অধিকাংশ পানি নলকূপ দিয়ে উঠে না। এ কারণে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পান করতে বাধ্য হয় অনুপযোগী পানি। পানিতে স্বাভাবিক লবণাক্ততার ১ থেকে ৩ হাজার মিলোসিস সেন্টিমিটার। বাংলাদেশের প্রতি ১০০ মিলিমিটার পানিতে সর্বোচ্চ  চারটি কেলিফার্ম ব্যাকটেরিয়া গ্রহণযোগ্য। জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী উপজেলার ৯০ ভাগ নলকূপের পানিতে গ্রহণ যোগ্যতা মাত্রার চেয়ে অধিক আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে আশাশুনির দক্ষিণ অঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ।
আশাশুনি উপজেলার মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়না গাঁটের টাকা খরচ করে সুপেয় পানি সংগ্রহ করা। অথচ আশাশুনির যে দিকে চোখ যায় পানি আর পানি, অফুরান্ত পানি। তবে তা ব্যবহার অনুপোযোগী, অপেয় লবণাক্ততা। আশাশুনির প্রতাপনগর, খাজরা, শ্রীউলা ,অনুলিয়া, শোভনালি, কাদাকাটি, বড়দল এলাকার অধিকাংশ লোকের পানি সংগ্রহ করতে হয় ১০ হতে ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে। এরা সপ্তাহে  দুই দিন কলস কিংবা জারিক্যানে ভরে পানি সংগ্রহ করে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা যায় মতে মাত্রারিক্ত আর্সেনিক,আয়রন,লবনাক্ততা এবং ব্যকটেরিয়া যুক্ত পানি পান করলে হৃদরোগ, যৃকত রোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্মারোগসহ বিভিন্ন কঠিন ও জটিল রোগ হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

a4a3eee0bccc1cefeef089282bf4704e-59131831f05bbত্বকের যত্নে গ্লিসারিনের ব্যবহারের কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি। তবে চুলের যত্নেও এটি অনন্য- সেকথা জানা নেই অনেকেরই। মাসে একবার গ্লিসারিনের হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করলে খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি চুল হয় উজ্জ্বল ও সুন্দর। চুলের বৃদ্ধি বাড়াতেও এটি অনন্য।

জেনে নিন চুলচর্চায় গ্লিসারিনের ব্যবহার-

  • ১ চা চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার তালু ও চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের রুক্ষতা দূর করবে।
  • ২ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ১ চা চামচ গ্লিসারিন মেশান। মিশ্রণটি মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল ঝলমলে করবে।
  • আপেল সিডার ভিনেগার ও গ্লিসারিন সমপরিমাণ মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মাসে একবার এটি ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে।
  • দুধে ১ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের জৌলুস বাড়াবে।
  • চুল পড়া কমাতে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
  • নারিকেল তেলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়াবে।

তথ্য: বোল্ডস্কাই

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bdtype-3সিলেটের জৈন্তাপুরের একটি গ্রামে মা, মেয়ে ও খালাকে প্রলোভন দেখিয়ে ছয় মাস ধরে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে তা প্রচারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার (১০ মে) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে নিমার আহমদ নামের যুবককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও মামলা হয়নি। জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল কবির গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত নিমার আহমদ (২৮) একই গ্রামের কালাই মিয়ার ছেলে বাসিন্দা।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জৈন্তাপুর থানার ওসি সফিউল কবির জানান, দরবস্ত ইউনিয়নের একটি গ্রামের মা, মেয়ে ও খালাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে  নিমার আহমদ। তাদের মধ্যে সম্প্রতি বিরোধ দেখা দিলে নিমার ধর্ষণের সময় ধারণকরা ভিডিওগুলো বাজারসহ বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে ছড়াতে থাকে। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে গোপনসংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিমারকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গ্রেফতারকৃত নিমার আহমদকে থানায় রাখা হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, নিমার ভিডিও ধারণ করার পর ৬মাস ধরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মা, মেয়ে ও খালাকে ধর্ষণ করে আসছে। নির্যাতিত পরিবার সামাজিক নিরাপত্তার কারণে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। পুলিশ নিমারের ধারণকরা ধর্ষণের কয়েকটি ভিডিও মামলার আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে রেখেছে। মামলা হওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

c12b3779842a39ca1468060ec6f19e08-591337fa551bfঅপহরণের ২৪ দিন পর উদ্ধার হওয়া পাঁচ বছরের শিশু সুমাইয়ার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ জন্য  এককালীন একলাখ টাকা ও প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দুমাসের পড়ার খরচ বাবদ নগদ আরও ১০ হাজার টাকা তিনি সুমাইয়ার বাবার হাতে তুলে দেন।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে বাণিজ্যমন্ত্রীর  বাসভবনে আয়োজিত এক  অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সুমাইয়ার বাবা জাকির হোসেনের হাতে তিনি নগদ একলাখ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। এ সময় পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি মো. ইব্রাহিম হোসেন খান ও কামরাঙ্গী চর থানার ওসি মো. শাহীন ফকির উপস্থিত ছিলেন।

সুমাইয়ার বাবা বেকার থাকায় বাণিজমন্ত্রী টঙ্গীতে একটি বেসরকারি কারখানায় তার জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা বেতনে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেন।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুমাইয়ার বাবা জাকির হোসেন লেখাপড়া মোটেই জানেন না। ’ নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুমাইয়ার অপহরণের সংবাদ কানে আসার পর  থেকেই তার বয়সী আমার নাতনির মুখটি বার বার ভেসে উঠেছিল।  আমি প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছি, যাতে সুমাইয়াকে তার মা-বাবা ফিরে পান। সেভাবে আমি পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। সুমাইয়াকে তার বাবা-মা ফেরত পেয়েছেন, আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া  আদায় করছি ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আজ  (বুধবার) থেকে সুমাইয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব আমি নিলাম। এ জন্য তাকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা দেবো। আজ  তার পিতা মাতার হাতে নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা দিলাম।’

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী সুমাইয়াকে নতুন জামা, খেলনা, পুতুল ও চকলেট উপহার দেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকা থেকে অপহৃত হয়েছিল শিশু সুমাইয়া। পরবর্তীতে পুলিশের অভিযানে ২৬ এপ্রিল উদ্ধার করা হয় তাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

e6199cb9ebc50ab4f3b150f2f5732730-591318033b7dcইংল্যান্ডের কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার মিশনে দারুণ করেছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজের দুইদিন আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ১৯৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছে মাশরাফি মুর্তজার দল। বেলফাস্টের স্টরমন্ট ক্রিকেট মাঠে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৩৯৪ রান করেছিল তারা। এরপর ৪১.২ ওভারে স্বাগতিক দলকে ১৯৫ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা।

সাব্বির রহমানের শতকের সঙ্গে তামিম ইকবালের হাফসেঞ্চুরি বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডকে শক্তিশালী করার অগ্রপথিক ছিল। তাদের দেখানো পথে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের ঝোড়ো জুটিতে চারশ ছুঁইছুঁই স্কোর করে সফরকারীরা। প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য দেওয়ার পর বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মাশরাফি ও সাকিব আল হাসান অবদান রাখেন।

আইরিশ দলটির মুখোমুখি হওয়ার আগে ইংল্যান্ডে ডিউক অব নরফোক একাদশ ও সাসেক্স একাদশের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেখানে দুই ইনিংসেই তিনশর উপর রান তোলে তারা। প্রথম ম্যাচে ৩৪৫ রান করার পর বৃষ্টির কারণে ফিল্ডিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে সাসেক্সকে ৩১৫ রানের টার্গেট দিয়ে ১৩৪ রানে জিতেছিল তারা।

শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বেলফাস্টের স্টরমন্ট ক্রিকেট মাঠে বুধবার টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারকে নিয়ে তামিম ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু উপযুক্ত সঙ্গ পাননি তিনি। দলীয় ৪৪ রানে ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে টাইরন কেনের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য (১৭)।

এরপর তামিমের সঙ্গে ক্রিজে থিঁতু হয়ে যান সাব্বির। দুজনে শতাধিক রানের জুটি গড়েন। এর আগে ৪৯ বলে ১১ চারে ৫০ রান পূর্ণ করেন তামিম। আগের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলা এ ওপেনার অবশ্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৭৫ বলে ৮৭ রানে আউট হন তিনি। এন্ডি ম্যাকব্রিনের বলে ইয়ংয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি, ১৪ চার ও ২ ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। সাব্বিরের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি গড়েন তিনি।

৪৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি করা সাব্বির সেঞ্চুরি করেন ৮২ বলে। ১৬ চার ও ১ ছয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান সাব্বির। আরও চার বল খেলে কোনও রান যোগ না করে রিটায়ার্ড আউট হন তিনি। মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে সাব্বির অর্ধশতাধিক রানের জুটি গড়েন ৩৮ বলে। ২৭ বলে ৩১ রান করেন মোসাদ্দেক। সাকিব আল হাসানও করেছেন ঝোড়ো ব্যাটিং, ২৭ বলে করেন ৪৪ রান।

শেষদিকে ঝড় তোলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ৪৮ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে টেস্ট অধিনায়ক আউট হন। ৪৮ ওভারে দলের ৩৭৬ রানে মুশফিক ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ২৪ বলে ৪১ রান করে ৪৭তম ওভারে তার ইনিংস শেষ হয়।

মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৪৯ রানে আউট হন। মাশরাফি মুর্তজা ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে নেমে শুরুটা শ্লথ ছিল আইরিশদের। ১০ ওভারে ৫১ রান করার পর রুবেলের টানা ওভারে ২ উইকেট হারায় তারা। ওপেনার জ্যাক টেকটরের (৬০) ফিফটিতে ৪০ ওভার শেষে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে গেছে উলভস। কিন্তু সাকিব ও মুস্তাফিজ তাদের এক ওভারে ২টি করে উইকেট নিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙে দেন।

১৭৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো উলভস তাদের শেষ চার উইকেট হারায় ২ রানের ব্যবধানে। ১৯৩ থেকে ১৯৫ রানের মধ্যে সাকিব-মুস্তাফিজ জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশের বিশাল জয় নিশ্চিত করেন।

সাকিব ও মুস্তাফিজের সমান ২টি করে উইকেট পান রুবেল ও মাশরাফি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4d54c1ba1f173e355ede31a5d7a9b3ee-59137bdb9097aঅসম্ভবকে সম্ভব করার স্বপ্নই দেখছিলেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনে। প্রথম লেগের পরই ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু তার সেই স্বপ্নকে অবাস্তবই ঠেকছিল শুরুতে। কারণ দলটা যে রিয়াল মাদ্রিদ। এই মৌসুমে কোনও ম্যাচে এক গোল ব্যবধানের বেশিতে হারেনি তারা। আর সেই দলকেই চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে হারিয়েছে অ্যাতলেতিকো। কিন্তু প্রথম লেগে ৩ গোলে এগিয়ে থাকায় দুই লেগে ৪-২ অ্যাগ্রিগেটে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

ভিসেন্তে ক্যালদেরনে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল অ্যাতলেতিকো। যদিও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল রিয়াল। আর খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন অ্যাতলেতিকোর ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড আঁতোয়া গ্রিজমান। ৩০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শট নিলেও তা লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। বল চলে যায় বারের উপর দিয়ে।

তবে ১২ মিনিটে আর ব্যর্থ হয়নি তার দল। গোল করেন সাউল নিগুয়েস। কর্নার থেকে কোকের উঠিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে লাফিয়ে ওঠে বুলেট গতির হেডে গোল করেন এই মিডফিল্ডার। রিয়াল গোলরক্ষক নাভাস বলে হাত ছুঁয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু গতিতে আর পেরে উঠেননি।

এর চার মিনিট পর আবারও গোলের দেখা পায় অ্যাতলেতিকো। পেনাল্টির সুবাদে স্কোর ২-০ করেন আঁতোয়া গ্রিজমান। ডি বক্সে তরেসকে ফেলে দেন ভারানে। আর তাতেই পেনাল্টি পায় অ্যাতলেতিকো।

শুরুর দিকে পিছিয়ে পড়াতে হাতাশাই গ্রাস করে রিয়ালকে। রিয়াল তারকা রোনালদোর চোখে মুখেই ফুটে উঠছিল সেসব। পেনাল্টির পর চোখ বন্ধই করে ফেলেছিলেন আগের লেগে হ্যাটট্রিক করা এই তারকা। তবে ৪২ মিনিটে আর হতাশায় থাকতে হয়নি দলটিকে। ঠিকই গোল শোধ করে রিয়াল মাদ্রিদ। শুরুতে অবশ্য বেনজেমাই বাঁ পাশের জটলা কাটিয়ে এগিয়ে নেন বলকে। এরপর ক্রুসকে বল দিয়েছিলেন, দুর্দান্তভাবে তার করা সেই ক্রস অবশ্য প্রথম দফায় ঠেকিয়ে দেন অ্যাতলেতিকো গোলরক্ষক ওবলাক। কিন্তু ফিরতি বলটাই কাছ থেকে জালে জড়িয়ে দেন ইসকো।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ভরপুর হয়ে ওঠে খেলা। যদিও স্কোরের আর হের ফের হয়নি। তবে ৬৯ মিনিটে জালে বল জড়িয়েছিল রিয়াল। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে সেটি বাতিল হয়। এর আগে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে অ্যাতলেতিকো। তবে তাতে বাধা হয়েছিলেন রিয়াল গোলরক্ষক নাভাস। দুর্দান্তভাবে সেভ করে বাঁচিয়েছেন দলকে। তাই শেষ পর্যন্ত আর কোনও বিপদে পড়তে হয়নি রিয়ালকে। হার নিয়ে মাঠ ছাড়লেও ফাইনালে পৌঁছাতে পেরে নিজেদের মান রেখেছে জায়ান্টরা! কারণ এই ম্যাচ জিতে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের কাছে চলে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ জুভেন্টাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) দিবাগত রাতে সাf9154c0ae655e0b003d6b7160556b193-59135d9794615রাদেশে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। শবে বরাত  সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে পালিত হবে। গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের আকাশে  ১৪৩৮ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ২৮ এপ্রিল শুক্রবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হয়। সে হিসেবে ১৪ শাবান (১১ মে)  দিবাগত রাতে  লাইলাতুল বরাত পালিত হবে।

হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী।

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমান মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সারারাত অতিবাহিত করবেন।

মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া খায়ের করবেন।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌভাগ্যের এই রজনী মানবজাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এই রাতে তিনি ক্ষমা এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।’

শবে বরাতে সারা দেশের মসজিদগুলোতে রাতব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন থাকবে। এসব আয়োজনের মধ্যে থাকবে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-না‘ত, ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ মুনাজাত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Irregularities-and-corruption-lawনিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এই দুই প্রধান শিক্ষক হলেন, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মো: জাকির হোসেন ও গাংনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইকরামুল কবির। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম স্বাক্ষরিত জেঃপ্রাঃশিঃ/সাত/সাপ্র-গঃ/২০১৭/১৪৬৪ নং স্মারকে গত ৪ মে ২০১৭ তারিখে বিভাগীয় উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ বরাবর প্রেরিত এক অফিসিয়াল চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এই দুই প্রধান শিক্ষক জালিয়াতি করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ও ভূয়া স্মারক ব্যবহার করে সদর উপজেলাধীন ঘোনা পশ্চিমপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০/০৭/২০০৯ তারিখের পূর্বে ০২ জন ও তেতুলডাঙ্গা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০/০৭/২০০৯ তারিখের পূর্বে ০৩ জন শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়োগ দেয়া হয়েছে মর্মে তথ্য প্রেরণসহ কাগজপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছেন এবং ঐ ভূয়া শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যোগদান করাতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও কর্মরত শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। বিদ্যালয় দুটির একটিতে মোঃ জাকির হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ পারভীনকে এবং অন্যটিতে মোঃ ইকরামুল কবীর এর কন্যা মোছাঃ নাজনীন নাহারকে শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়েছে।”
পত্রে আরও উল্লেখ আছে, জাকির হোসেন ও একরামুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের নিকট তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফ হোসেন ৩০/০৮/২০১৫ শভফাপঔ ১৯২৫/২ নং স্মারকে কৈফিয়ত তলব করলে তারা উভয়ে ০৬//০৯/২০১৫ তারিখে দোষ স্বীকার করে জবাব দাখিল করেন।
যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ মোতাবেক বিভাগীয় মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য,  সদর উপজেলার ঘোনা পশ্চিম পাড়া ও তেতুলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটিতে শূন্য পদে গত ৩০ জুলাই ২০০৯ এর পূর্বে কোন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি এবং বিদ্যালয় ২টিতে যথাক্রমে ০২ জন ও ০১ জন শিক্ষক কর্মরত ছিলেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। অথচ জাকির হোসেন ও একরামুল কবীর জালিয়াতির মাধ্যমে সেখানে নিজেদের স্ত্রী-কন্যাকে শিক্ষক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest