সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাশ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা-সংঘর্ষ : ১৪৪ ধারা জারিসাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা

satkhira-police-metting-photo-24-9-16-doc
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব আনন্দঘন, উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিতকল্পে শনিবার বিকাল ৫ টায় জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশের কৌশলগত এক পরিকল্পনা সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে কৌশলগত পরিকল্পনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (আইটিসি) মোঃ তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ আমীর খসরু, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আতিকুল হক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) মির্জা সালাউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইয়াছিন আলী শেখ, জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আলী আহমেদ হাসমীসহ জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় পুলিশ সুপার আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কোন ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠন কিংবা কোন দুষ্কৃতিকারী চক্র যাতে জেলায় বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সর্তকতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করে। এছাড়া শারদীয় দূর্গোৎসব নির্বিঘœ ও পুজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে তিনি সকল অফিসার ইনচার্জদের পূর্ব হতেই পুজা উদযাপন কমিটি ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করতে নিদের্শনা দেন। দূর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনের পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন। জেলায় শারদীয় দূর্গোৎসব ২০১৬ আনন্দঘন, উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে পুলিশ সুপার আশা প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

gun
নিজস্ব প্রতিবেদক: গরু বিক্রির নামে এক ব্যবসায়িকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে ছুরি দেখিয়ে ৬৪ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দু’ সন্ত্রাসীকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরাপুর ঢালীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পুরাতন সাতক্ষীরা দক্ষিণপাড়ার মোঃ আনিসুর রহমানের ছেলে মোঃ ওমর ফারুক (২৪) ও একই গ্রামের আবুল হোসেন সরদারের ছেলে মোঃ ইব্রাহীম খলিল (২৮)। মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার আগরদাড়ি গ্রামের মোঃ গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান একজন গরু ব্যবসায়ি। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আসামী ওমর ফারুক ও ইব্রাহীম খলিল মোবাইল ফোনে তাকে জানায় যে দেবনগর গ্রামে দু’টো এড়ে গরু বিক্রি আছে। এরই ভিত্তিতে তিনি ৬৪ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে দেবনগরের উদ্দেশ্যে বের হন। সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি মথুরাপর ঢালীপাড়ার পাশে পৌঁছালে ওই আসামিদ্বয় তাকে ভ্যান থেকে নামতে বলে। ভ্যানটি চলে যাওয়ার পর ওই দু’ আসামি ছুরি বের করে তাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে টাকা বের করতে বলে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা ৬৪ হাজার টাকা ছিরতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় জনগন ওই দু’ ছিনতাইকারিকে আটক করে গণধোল্ইা দেয়। পরে তাদেরকে টাকাসহ পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, নাশকতা (জিআর-১১২/১৬ সদর) নারী নির্যাতনসহ কমপক্ষে ছয়টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ইব্রাহীম খলিল একজন কুখ্যাত ছিনতাইকারি। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, এ ঘটনায় গরু ব্যবসায়ি কামরুজ্জামান বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুক ও ইব্রাহীম খলিলের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc05868-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকার একটি ঝুকিপূর্ণ ব্রিজের সংস্কার কাজের জন্য  টানা ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে। ঈদুল আযহার ৬ দিন ছুটি শেষে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকার একটি ঝুকিপূর্ণ ব্রিজের সংস্কার কাজের জন্য সে দেশের প্রশাসন আরও ৭দিন আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ায় টানা ১৩ দিন বন্ধ ছিল উন্নয়নমুখী এ বন্দরের আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম। তবে এ সময়, ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন। ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টানা ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর  শনিবার থেকে আবারও ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে এ বন্দরের। ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মোঃ আব্দুল কাইয়ূম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে গত ১৩ দিনে পাসপোর্ট যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন। তিনি আরো জানান, গত ১৩ দিনে সরকার প্রায় ১৯ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে এ বন্দর থেকে ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

77777777777777777777777777777

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ০৪ কর্মীসহ ৫১ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১০ জন, তালা থানা ০২ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৪ জন, শ্যামনগর থানা ০৪ জন, আশাশুনি থানা ০৬ জন, দেবহাটা থানা ০১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় আগামী ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রশ্ন ব্যাংকে প্রশ্ন আপলোড, প্রশ্ন সংগ্রহ ও পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব ড. মো: আহসান হাবীব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আব্দুল্যাহ মামুন, এ. করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাসরিন খান লিপি, পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রশ্ন ব্যাংকে প্রশ্ন আপলোড, প্রশ্ন সংগ্রহ ও পরীক্ষা গ্রহণ করলে সুষ্ঠভাবে পরিক্ষা সম্পন্ন হবে। একই সাথে ফটোকপির দোকানে বা ফ্লাক্সি লোডের দোকানে প্রশ্নপত্র পাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ad-rahim-pic
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :   সাতক্ষীরায় এখন পুলিশের নামে ব্যাপক নৈরাজ্য চলছে। প্রতিদিন অসংখ্য নিরীহ মানুষকে ধরে এনে তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। যে টাকা দিতে পারছে না, তাকে বলা হচ্ছে এলাকায় যারা বিদেশ থেকে এসেছে, যাদের কাছে টাকা আছে, তাদের লিস্ট দে। তোকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এসব বিষয়ে সাতক্ষীরার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক সমাজ অবহিত থাকলেও তারা কেউ কথা বলছে না। এ ধরনের ঘটনা জানাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত করেছে। কিন্তু সেই সাক্ষাতে যারা ছিলেন তাদের অধিকাংশই মুখ খুলতে চান নি।। সাতক্ষীরার ভূমিহীন আন্দোলনের প্রতীক পুরুষ ও নাগরিক কমিটির প্রয়াত সভাপতি এড. আব্দুর রহিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভার বক্তারা এসব কথা বলেন।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তারা আরও বলেন, এড. আব্দুর রহিম বেচে থাকলে এসব ঘটনার প্রতিবাদ হতো। কে সাথে থাকলো, কে থাকলো না, এসব তিনি দেখতেন না। যেটা অন্যায়, তার প্রতিবাদ তিনি দৃঢ় চিত্তে করতেন।  বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরার নাগরিক সমস্যা দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। রাস্তা-ঘাট নেই, জলাবদ্ধতা সমস্যা মানুষকে আষ্ঠে-পিষ্ঠে বেধে ফেলেছে। সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও সুদৃঢ় নেতৃত্বের অভাবে এসব সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও নাভারণ-মুন্সীগঞ্জ রেল লাইন প্রকল্প ঝুলে আছে। ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বণ্টন প্রক্রিয়াও চলছে ধীর গতিতে। ভোমরা বন্দর, মেডিকেল কলেজ, বাইপাস সড়ক, প্রাণ সায়ের খাল সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এসব সমস্যার সমাধানে সাতক্ষীরার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বক্তারা।  স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, নাগরিক নেতা আনোয়ার জাহিদ তপন, ন্যাপ নেতা কাজী সাইদ, শ্রমিক নেতা শেখ হারুন-উর-রশিদ, বাসদ নেতা আজাদ হোসেন বেলাল, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এড. ফাহিমুল হক কিসলু, ভূমিহীন নেতা আব্দুল ওহাব সরদার, স্বপন কুমার শীল, মিজানুর রহমান, হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আক্তার বিউটি, রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবলু। স্মরণসভায় এড. আব্দুর রহিমের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01839

নিজস্ব প্রতিবেদক : সহ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় ৩ দিন ব্যাপি রেড ক্রস/ রেড ক্রিসেন্ট’র মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার আয়োজনে মিশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের সহযোগিতায় আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের সেক্রেটারী শেখ নুরুল হক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের লেভেল অফিসার মো. আতিকুর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের নির্বাহী সদস্য জ্যোৎসণা আরা, আহছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল হামিদ আজাদী, ইংরেজি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, বাংলা প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, আরবি প্রভাষক নূর আহম্মাদ, শহিদুল আলম, তৈয়েবুর রহমান, শহিদুল্লাহ, সাইফুল আলম ছিদ্দিকী, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা যুব ইউনিট প্রধান আরিফুর রহমান জেম্স ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_206817046_1474525049বিশেষ ডেস্ক: হাতে দু’বছরের বেশি সময় থাকলেও ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির তিন মাস আগে যে কোনো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মোটামুটি হোমওয়ার্ক করে ফেলেছে।
গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে পহাড়সম ভুল করেছে, তা তারা এখন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। তাদের ‘আগাম নির্বাচনে’র দাবি যে হালে পানি পাবে না, তাও তারা জানে। তাই আগামী নির্বাচন, তা যে কোনো ব্যবস্থা, যে কারও অধীনে হোক না, বিএনপি অংশ নেবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি প্রাথমিক তালিকাও রয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও থিঙ্কট্যাঙ্কও অনুরূপ তালিকা তৈরি করেছে।
সম্মেলনের পর আগাম প্রস্তুতি: জাতীয় সম্মেলনের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করবে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে জরিপ কার্যক্রম চালিয়ে বর্তমান এমপিদের জনপ্রিয়তা এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে রেখেছেন। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। এদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো সময় সংসদ ভেঙে দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতির অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। আদালতের সমস্যাও নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর ওপরই নির্ভর করে, কবে সংসদ নির্বাচন হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য ড. নূহ-উল-আলম লেনিন বলেছেন, বর্তমানে জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সম্মেলনের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ২৫ জুলাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারির তিন মাস আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দিকে ইঙ্গিত করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- প্রচারের পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য দলীয় এমপিদের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও ভেতরে ভেতরে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ দলীয় এমপিরাও নড়েচড়ে বসেছেন। তারা ঈদুল আজহার ছুটিতে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তবে নেতারা বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে দলীয় এমপিদের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় থাকলেও দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনোযোগ এখন জাতীয় সম্মেলনের দিকে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তারা এখন এক ধরনের উৎসবের আমেজে রয়েছেন। জাতীয় সম্মেলনের পরই তারা আগামী নির্বাচনের বিষয়ে মনোযোগী হবেন।
কয়েকজন শীর্ষ নেতার দৃষ্টিতে, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বেশিরভাগ প্রার্থীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় অবস্থান বেশ সংহত হয়েছে। নতুন নেতাও তৈরি হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দলের সাংগঠনিক অবস্থান আরও মজবুত হবে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি।
তবে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিবাদের চিত্র স্পষ্ট হওয়ায় কিছুটা দুশ্চিন্তাও ভর করেছে। বেশিরভাগ জেলায় সম্মেলনের কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও অনেক জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনও অনুমোদন পায়নি। উপজেলা পর্যায়েও এমন সংকট রয়েছে। স্থানীয় এমপিদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই প্রস্তাবিত কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। আর ওই প্রস্তাবিত কমিটিতে স্থান না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। এ ছাড়াও নানা কারণে দলীয় অনেক এমপির সঙ্গে নেতাকর্মীদের দূরত্ব বেড়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। দ্রুত এর সমাধান করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই নির্দেশের পর দলের এমপিরা আরও সজাগ হয়েছেন। জনসম্পৃক্ততা আরও বাড়িয়েছেন। প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন ড. নূহ-উল-আলম লেনিন। তিনি বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বেশি ব্যস্ত না থেকে আরও জনমুখী হওয়ার জন্যই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্ধশতাধিক আসনে প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা: কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, বর্তমান এমপিদের মধ্যে অনেকেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়ে ছিটকে পড়তে পারেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই গত নির্বাচনে প্রথম অংশ নিয়েছেন। তাদের অনেকেরই জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এমপিদের সজাগও করে দেওয়া হয়েছে।
তাদের মধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছেন পাঁচজন। চারজন করে রয়েছেন সিরাজগঞ্জ ও নোয়াখালীতে। যশোর, ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনায় রয়েছেন তিনজন করে। দু’জন করে রয়েছেন নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বরিশাল, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কক্সবাজারে।
এ ছাড়াও দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, মেহেরপুর, মাগুরা, খুলনা, ভোলা, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, জয়পুরহাট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনী, রংপুর ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে রয়েছেন। এই এমপিদের কেউ কেউ অপকর্মের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের দূরত্বও তৈরি হয়েছে।
এমন এমপির সংখ্যা অর্ধশতাধিক। তাদের দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের নির্বাচনী কর্মকা-ে সম্পৃক্ত কয়েকজন নেতা। এসব এমপির নির্বাচনী এলাকায় বিকল্প প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে ১৭ স্বতন্ত্র এমপির মধ্যে অনেকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। এই স্বতন্ত্র এমপিরা দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে গত সংসদ নির্বাচনে লড়েছিলেন।
বিএনপিতেও তৈরি হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা: দল গোছানোর পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ভোটের লড়াইয়ে লিপ্ত হতে সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত দলকে তৃণমূল থেকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে গোপনে তিনশ’ সংসদীয় আসনে আগামী নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী তালিকা ধরেই কাজ করছেন দায়িত্বশীল নেতারা। এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলের জন্য অবদান, দুঃসময়ে মাঠে থাকা ও মামলা মোকদ্দমার সংখ্যাসহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। পাশাপাশি এ ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে শিগগির মাঠ জরিপের কাজও শুরু হবে। মৃত্যুবরণ, অসুস্থতা, নিষ্ক্রিয়তাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আগামী নির্বাচনে শতাধিক আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দেওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এসব আসনে জনপ্রিয়, পরীক্ষিত, ত্যাগী ও যোগ্য তরুণ নেতা ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ভাবছে দলটি।
আগামীতে ক্ষমতায় এলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সে ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষে দলের সমর্থক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দকে সদস্য করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থাকায় দেশে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিজয়ী দলের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হলে সংকট কমে যাবে। এ ব্যাপারে তারা সরকারকে শিগগির সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আশা করেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দ্রুত নির্বাচন চান। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো সার্বিক প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।
আগামী কিছু দিনের মধ্যে বিচারাধীন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বেশ কিছু সিনিয়র নেতার নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ হওয়ার আশঙ্কা করছেন দলীয় নেতারা। একই সঙ্গে নেতারা এও বলেন, এ ধরনের আশঙ্কা সত্যি না হলেও সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ২০১৯ সালে নির্বাচন করলে আর মাত্র আড়াই বছর সময় হাতে আছে। সে ক্ষেত্রেও বিএনপির বর্তমান নাজুক সাংগঠনিক অবস্থা থেকে দলকে নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে লড়ার মতো উপযোগী করে গড়ে তুলতে এখনই প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। এসব হিসাব-নিকাশ করেই বিএনপি সারাদেশে দল গোছানোর পাশাপাশি নির্বাচনের সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থীদের খোঁজার কাজ শুরু করেছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর দলের এসব কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের মতো আর ‘ভুল’ পথে পা দেবে না বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ওই নির্বাচন বর্জন করলেও ভবিষ্যতে আর ওই ‘অনড়’ অবস্থানে থাকবে না দলটি। একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে দেশি ও বিদেশিদের মাধ্যমে সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি করবে দলটি। তাতে যতটুকু দাবি আদায় করা যায়, শেষ পর্যন্ত তা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে দীর্ঘ এক দশক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকেও আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে বলে জানান জন কেরি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। বিরোধী দল হিসেবে যে কোনো সময়ে নির্বাচনের জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তৃণমূল পুনর্গঠনের সমন্বয়কারী ও বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করতে তৃণমূল থেকে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালীভাবে পুনর্গঠন করতে চান, যাতে সরকার আবার ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো একতরফা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি করতে না পারে। এবার ওই ধরনের কোনো অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
শতাধিক আসনে আসবে নতুন মুখ: দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ধরেই আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। মৃত্যুবরণ, অসুস্থ, সংস্কারপন্থী, নিষ্ক্রিয়, আন্দোলনে ভূমিকা না রাখা, জনপ্রিয়তা হারানো নেতাদের তালিকা প্রণয়ন হচ্ছে। এতে শতাধিক আসনে নতুন প্রার্থী আসতে পারে।
সূত্র জানায়, বিএনপির থিঙ্কট্যাঙ্ক ও দলের দায়িত্বশীল নেতারা সারাদেশে তিনশ’ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ করছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে তারা অত্যন্ত গোপনে এ কাজ করছেন। রাজধানী ঢাকায় বিএনপি বেশ কয়েকটি আসনে নতুন প্রার্থী দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচনে অযোগ্য না হলে প্রার্থী সংকট মোকাবেলায় ঢাকার একটি আসন থেকে খালেদা জিয়া নিজেও প্রার্থী হতে পারেন। এদিকে গুলশান আসন থেকে নির্বাচন করতে চান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। মোহাম্মদপুর আসন থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নির্বাচন করলেও আগামী নির্বাচনে বরিশাল থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন তিনি। উত্তরা আসনে সাবেক ছাত্রদল নেতা আজিজুল বারী হেলালের পরিবর্তে এবার মেজর (অব.) কামরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইতিমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ও দিচ্ছেন। যেসব আসনে বিগত নির্বাচনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ, বয়োজ্যেষ্ঠতা, নিষ্ক্রিয়সহ নানা কারণে প্রার্থী শূন্যতা বিরাজ করছে, সেসব আসনে তিনি সম্ভাব্য নতুন মুখকে মাঠে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest