সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালাপুশব্যাক নয়, অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে–বিজিবির ভাসমান বিওপি উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালাসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক-অপসাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কথিত দখলদার কমিটির অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদসমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে কদমতলায় পথ সভাস্বপ্নসিঁড়ির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর কমিটির গঠনদেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করার মামলায় আটকশ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল শাখার অফিস উদ্বোধনগ্রামের কথা নিউজ পোর্টাল’র দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে কেককাটা

48daa004b9d59ce15222e6a9b9119212-58cfa9ce328c0ন্যাশনাল ডেস্ক : এ বছরের বিশ্ব সেরা শিক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘গ্লোবাল টিচার্স প্রাইজ’ হাতে বাংলাদেশের শাহনাজ পারভিন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মনোনীত ৫০ জন সেরা শিক্ষকের একজন হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
রবিবার (১৯ মার্চ) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘পঞ্চম গ্লোবাল এডুকেশন ও স্কিলস ফোরামে’র সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (২০ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মো. মনজুর হোসেন, দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এস. বদিরুজ্জামান এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. রফিক আহমেদ।
এবারের সম্মেলনের মূল ফোকাস ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।  এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০ জন শিক্ষামন্ত্রী এ ফোরামে অংশ নেন। এছাড়া ১৪০টি দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের শিক্ষাবিদ, পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ভারকি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা এ পুরস্কারের প্রবর্তক। গত তিন বছর ধরে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে সংস্থাটি। সম্প্রতি ভারকি ফাউন্ডেশন ২০১৭ সালের জন্য সেরা শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে। ৫০ জনের ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষকদের সঙ্গে ছিল বগুড়ার শাহানাজ পারভীনের নামও।
বিশ্বসেরা পঞ্চাশ শিক্ষকের তালিকায় থাকা বাংলাদেশের শাহনাজ পারভিন বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শাহনাজের বাবা ও মা দুজনই ছিলেন শিক্ষক।  প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিশু ঝরে পড়া সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেন এই শিক্ষক। এছাড়া শিক্ষা পদ্ধতিতে প্রযুক্তি ও বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনের ওপর জোর দেন। নতুন শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিয়মিত আয়োজনের পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ে গবেষণাও করেন।  শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা নিতে কেনও ব্যর্থ হচ্ছে সেটি তার গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল।
এর আগে ২০১০ সালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সেরা শিক্ষকের পুরস্কারেও ভূষিত হন শাহানাজ।  এর তিন বছর পর দেশের সেরা শিক্ষকের মর্যাদাও পান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

8ea80f62375f73fea82d56637cb60766-58cfac3c53bc5স্পোর্টস ডেস্ক : শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের তাদেরই মাটিতে হারিয়ে এমন ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জেতায় নিজেদের ক্রিকেটের মৃত্যু ঘোষণা করেছে লঙ্কান পত্রিকা ‘দ্য আইল্যান্ড।’ শুধু তাই নয়, সেই টেস্ট ম্যাচের একটি এপিটাফও প্রকাশ করেছে তারা। রিপ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট- নামের ওই প্রতিবেদনে সেই এপিটাফে লেখা রয়েছে- ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, ওভালে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধু ও সুহৃদরা এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। রিপ (RIP)।’
কফিনে করে মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যঙ্গ চিত্র ছেপেছে পত্রিকাটি।
শুধু তাই নয় সেখানে লঙ্কান ক্রিকেটের মৃতদেহ পুড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর কথাও লেখা রয়েছে।
বলতে গেলে এটি ঐতিহাসিক ১৮৮২ সালে ইংল্যান্ডকে ঘিরে লেখা এপিটাফেরই পুনরাবৃত্তি। তখন `দ্য স্পোর্টিং টাইমসে’ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইংল্যান্ডের হারে এরকমই একটি এপিটাফ প্রকাশ করেছিল তারা। যা পরবর্তীতে অ্যাশেজ নামেই পরিচিতি পায়।
পি সারা ওভালে ঐতিহাসিক ম্যাচটি ৪ উইকেটে জেতে মুশফিক বাহিনী। যার মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ পেয়েছে দুর্লভ জয়ের মর্যাদা। কারণ শততম টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব যে নেই ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোরও। এই জয়ে ‘জয় বাংলা কাপ’ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ভাগাভাগি করে নেয়। ফলে পি সারা ওভালে বাংলাদেশের জয়ের পর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ নতুন কোনও দিকে মোড় নেয় কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

80b877847b68f3f6aeed7a5d7e13bbed-58cf5730c9cb6শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু : আটকের পর সাতক্ষীরা সদর থানার হেফাজতখানা থেকে নিখোঁজ এক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে বিচারিক আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে সতক্ষীরার পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। রবিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপিত মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় একটি মানুষ উধাও হয়ে গেলো, এটি কেউ বিশ্বাস করতে পারে? গত ছয় মাস ধরে সে (স্বামী) কোথায় আমরা কেউ জানি না।’ Ñবলছিলেন সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে নিখোঁজ হওয়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মোখলেছুর রহমান জনির স্ত্রীর জেসমিন জাহান।
জেসমিন বলেন, ‘সে (জনি) হারিয়ে যাওয়ার পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। আমার সন্তানের বয়স মাত্র ৩৭ দিন। আমার স্বামী সন্তানের মুখ দেখতে পারেননি। এই বাচ্চার ভবিষ্যত কী হবে? তাকে নিয়ে আমি কোথায় দাঁড়াবো, সেটি ভাবতে কষ্ট হয়।’
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তার স্বামী জনিকে আটক করে এসআই হিমেল। ওই রাতে তাদের বাড়িতে তল্লাশি করে সদর থানা পুলিশ। এসময় পুলিশ তার স্বামীর ডাক্তারির কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায়। এরপর ৫-৭ আগস্ট থানায় গিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করে এবং খাবার দিয়ে আসেন। ৮ আগস্ট থানায় গেলে আর স্বামীর দেখা পায়নি। তখন থানা থেকে জানানো হয়, জনি নামে থানায় কেউ নেই। বিষয়টি ২৪ আগস্ট পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
জেসমিন বলেন, ‘পুলিশ সুপার কোনও খোঁজ না দেওয়ায় ২৬ ডিসেম্বর  থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যাই। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ শেখ (বর্তমানে সাতক্ষীরা কলারোয়া থানায় কর্মরত) জিডি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় ওসি আমাকে ডেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে বলেন, টাকা দিলে স্বামীকে পাবে না হলে আর কোনোদিন তাকে খুঁজে পাবে না।’
চলতি বছর ৩ জানুয়ারি তিনি সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন।
জনির মা আনোয়ারা খাতুন দাবি করেন, ‘আমার ছেলে কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না। কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়া বাজারে প্রগতি হেলথ কেয়ার নামে হোমিওপ্যাথির চেম্বার ছিল তার। বিনা দোষে আমার ছেলেকে থানায় আটক রাখা হয়েছে। এখন সে কোথায় আছে তা আমরা জানি না। পুলিশ তাকে লুকিয়ে রাখবে কেন? সে যদি দোষী তাহলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে না কেন?’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্ল্যা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক বলেন, ‘এ সম্পর্কে কোনও তথ্য আমার জানা নেই। তবে থানা মানুষের জন্য নিরাপদ স্থান। এখানে কোনও মানুষের হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
এদিকে রবিবার আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিখোঁজ জনিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জেসমিন জাহানের রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার এ আদেশ দেন আদালত। বিচারপতি রেজা-উল হক ও বিচারপতি মাহমুদ উল্লাহর বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

44444445নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো নারীবান্ধব করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় শ্যামনগর প্রেসকাবে উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্র, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইলাদুর্গত পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সেলিনা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে চার লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। সাইকোন, ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, অপরিকল্পিত চিংড়িচাষ, কৃষি জমির অপরিকল্পিত ব্যবহার, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, সুপেয় খাবার পানির অভাব এখানকার নিত্যদিনের সমস্যা। দুঃখজনক হলেও সত্য, চার লক্ষাধিক মানুষের জন্য এখানে মাত্র ৫৬টি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনার কারণে দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ঠাই নেওয়া নারী, শিশু ও প্রবীণদের জীবনে শুরু হয় অন্য এক দুর্যোগ।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষ সবাইকে এক ঘরের ভিতর থাকতে হয়। একই পায়খানা ব্যবহারে নারীরা পড়ে বিব্রতকর অবস্থায়। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে নারীদের জন্য কোন আলাদা থাকার ব্যবস্থা না থাকায় মাসিক ঋতুকালীন সময়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। যা পরবর্তীতে নানা রোগ-শোকের জন্ম দেয়। রাতে নারী ও শিশুদের সমস্যার শেষ থাকে না। সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকতে হয় নারীদের।
সংবাদ সম্মেলনে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের আলাদা থাকা, খাওয়া, টয়লেট ও গোসলের ব্যবস্থা করা, পুরাতন আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সংস্কার, সুপেয় পানি সরবরাহ, প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের জন্য র‌্যাম সিড়ি, প্রত্যেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত একটি করে হুইল চেয়ার ও ফাস্ট এইড বক্স সংরক্ষণ, সাইরেণের ব্যবস্থা, সংযোগ সড়কগুলো মজবুতকরণ ও সোলার সিস্টেম স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্রের সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন, সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান, বনজীবী নারী সংগঠনের নেত্রী শেফালী বেগম, রেহানা নাসরিন, আব্দুল হাকিম গাজী, বারসিক কর্মকর্তা মফিজুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

555555আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম। আর এর জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাবকেই দায়ী করছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে এই হাসপাতালের ইটিটি মেশিন দুইটি। প্রায় একই সময় ধরে নষ্ট হয়ে আছে ইকো কার্ডিওগ্রাম দুটিও। এছাড়া চারটি আল্ট্রাসনো মেশিনের মধ্যে তিনটি, ১৮টি সাকার মেশিনের মধ্যে ১৩টি, ছয়টি ইসিজির মধ্যে তিনটি, পাঁচটি আনেসথেশিয়া মেশিনের মধ্যে চারটি, চারটি কার্ডিয়াক মনিটরের মধ্যে দুইটি, ছয়টি এক্স-রে মেশিনের মধ্যে চারটি, তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি, সিসিইউ’র চারটি এসির মধ্যে দুইটি ও বিদ্যমান একটি বায়ো কেমিস্ট অ্যানালাইজার দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
আর এভাবেই দীর্ঘদিন মেরামতের অভাবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের সুরত আলী হাসপাতাল মোড়ের একটি ডায়াগস্টিক সেন্টারের ক্যাশ কাউন্টারে দাড়িয়ে দেনদরবার করছিলেন পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিল কমানোর জন্য। কিন্তু ডায়াগস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ টাকা কমাতে নারাজ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুরত আলী বলেন, ‘ভাই যে পরীক্ষা সদর হাসপাতালে ১২০০ টাকা। সেই পরীক্ষা এখানে ২৫০০ টাকা। একটু কম নিতে বলছি, কিন্তু এরা তা নিচ্ছে না।’
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করালেন না কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, ‘সদর হাসপাতালের মেশিন নষ্ট। তাই ডাক্তার সাহেব বাইরে থেকে পরীক্ষাগুলো করাতে বলেছেন। কিন্তু এতো টাকা কোথায় পাবো ?’
তবে, বাইরে থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে একদিকে যেমন সাধারণ রোগীদের দুই থেকে তিনগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, তেমনি সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারি সম্পদ।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিছুর রহিম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, সাধারণ মানুষকে পায়ে পায়ে হয়রানি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ কর্তৃপক্ষ একুট আন্তরিক হলে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো এতো দিন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতো না। সাধারণ মানুষকেও হয়রানি-দুর্ভোগের পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হতো না।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. তহিদুর রহমান জানান, তিনি গত ১৩ মার্চ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যোগদান করেছেন। এসেই তিনি জানার চেষ্টা করেছেন, কোথায় কি সমস্যা রয়েছে। চলতি মাসেই বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানালেন এই কর্মকর্তা। খুব দ্রুত স্বাস্থ্য সেবায় সাতক্ষীরা এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3-2বিনোদন ডেস্ক: ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন নবীন নায়িকা শবনম বুবলি। তিনি জানিয়েছে, সিনিয়র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস তাকে ফোন করে অকারণেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন এবং তাকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বুবলি বলেন, শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে একটা অপরিচিত নম্বর থেকে আমার কাছে একাধিকবার ফোন আসে। আমি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসলে সাধারণত ধরিনা। পরদিন রোববার (১৯ মার্চ) সকালেও অনেকবার ফোন আসতে থাকে। এরপর সকাল ৯টার দিকে ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালমন্দ করতে থাকেন অপু বিশ্বাস।

তিনি বলেন, অপু বিশ্বাসের গালিগালাজ শুনে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। একপর্যায়ে চোখের পানি আটকাতে পারিনি।

শবনব বুবলি আরো বলেন, অপু বিশ্বাস হুমকি দিয়ে বলেছে কিভাবে আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করবো তা সে দেখে নেবে। আমাকে কিছু বলার সুযোগই সে দেয়নি। তারপর ফোন কেটে দেয়। আমার সঙ্গে মিনিটখানেক তার কথা হয়েছে। পুরো সময়টাই সে আমাকে গালি দিয়েছে এবং হুমকি দিয়েছে। কেনো গালমন্দ করলো, কি আমার অপরাধ কিছুই বুঝতে পারলাম না।

উল্লেখ্য, ঢালিউডের শীর্ষনায়ক শাকিব খানকে ঘিরে অপু বিশ্বাস আর শবনম বুবলির মধ্যে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে কানাঘুষা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

A handout picture released by the Syrian...A handout picture released by the Syrian Arab News Agency (SANA) on September 24, 2012 shows Syrian government forces running along a street strewn with debris in the northern city of Aleppo during fighting against rebel forces. According to the Syrian Observatory for Human Rights, at least 29,000 people have been killed since the revolt against Assad's rule erupted in March last year. The United Nations puts the toll at more than 20,000.   AFP PHOTO/HO/SANA  == RESTRICTED TO EDITORIAL USE - MANDATORY CREDIT "AFP PHOTO / HO / SANA" - NO MARKETING NO ADVERTISING CAMPAIGNS - DISTRIBUTED AS A SERVICE TO CLIENTS ==-/AFP/GettyImages

আন্তার্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক শহরের কয়েকটি এলাকায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে। জোবার জেলায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের আক্রমণের পরই সিরীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় সময় রোববার সকালে গাড়ি বোমা ও আত্মঘাতী বোমা হামলা দিয়ে আক্রমণ শুরু করে বিদ্রোহীরা। এ ছাড়া দামেস্কের বিভিন্ন এলাকায় কামানের গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। হামলায় বিদ্রোহীরা বিভিন্ন গোপন সুড়ঙ্গ ব্যবহার করেছিল বলে জানায় সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম।

মানবাধিকার কর্মীরা জানাচ্ছে, রোববার গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলার মধ্য দিয়ে এ হামলা শুরু হয়।

তবে সিরীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। বিদ্রোহীদের বিভিন্ন অবস্থানে ৩০টিরও বেশি বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়া যুদ্ধের নজরদারির দায়িত্বে থাকা একটি মানবাধিকার সংস্থা।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিমান হামলার পর বিভিন্ন এলাকা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেয় সরকারি বাহিনী।

গত বুধবার দামেস্কের একটি আদালত প্রাঙ্গণে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়। পরে পশ্চিমাঞ্চলের রাবওয়েহ জেলায় একটি রেস্তোরাঁয় বোমা হামলায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2103047112_1489989175এক দিন আগেই জন্মদিনের বিশেষ উপহার পেয়ে গেলেন, কী বলেন? তামিম ইকবাল হাসেন। অনাবিল হাসি, ‘তা বলতে পারেন!’ না, জন্মদিনটা তাজ সমুদ্র হোটেলে কাটবে অনাড়ম্বর। দলের পক্ষ থেকে একটা কেক এনে হয়তো কাটা হবে। আসল জন্মদিনতো পালিত হবে চট্টগ্রামে। আজ দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের ২৮তম জন্মদিন। আর জন্মদিনের আগের দিনটিতে বাংলাদেশ জিতে গেল শততম টেস্টে। যে জয়ে তার বড়সড় অবদান আছে বলেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

টেস্টে শ্রীলঙ্কা নামের জুজুর একটা হিল্লে করতে পেরেছেন কাল। এই দলটির বিপক্ষে কখনো সেভাবে কথা বলত না তার ব্যাট। তাদের বিপক্ষে অবশেষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেললেন, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই। এরপর তো বাংলাদেশ ফিরছে তার প্রিয় সংস্করণ ওয়ানডেতে। তামিমের ব্যাট নিশ্চয়ই সরব হবে নির্ভাবনায়।

জন্মদিন নিয়ে বললেন, এখানে ঘটা করে জন্মদিন পালনের সুযোগ কোথায়? সেই তো মাথায় থাকে খেলা আর অনুশীলন। সবে টেস্ট সিরিজটা শেষ করা গেল। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে আর দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক, তাকে যে সব সময় মনঃসংযোগ ধরে রাখার সাধনা করতে হয়।

কিন্তু কাল লাঞ্চের পর দলের বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে কী করে ওরকম সপ্রতিভ হলো তার ব্যাট? যে ব্যাখ্যা পাওয়া গেল সে অতি সাধারণ, ‘লাঞ্চের সময় সাব্বিরের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম, উইকেট দেওয়া যাবে না, আর স্বাভাবিক খেলাটা খেলব।’ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের স্বাভাবিক খেলাটা অবশ্য অনেক সময় অতি আক্রমণাত্মক। এই আক্রমণাত্মক হয়েই তো ৮২ রানে ফিরলেন ক্যাচ দিয়ে।

বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের পাশে বসে মাশরাফি বিন মুর্তজা লাঞ্চের পর থেকে খেলা দেখছিলেন মাহমুদউল্লাহ, নুরুল হাসান, শুভাগত হোম ও সানজামুল ইসলামকে নিয়ে। মাশরাফি তার মতো করেই তামিমের সমালোচনায় মুখর, ‘ও তো ওর বাঁধা সেঞ্চুরিটা ফেলে এসেছে।’
নিজের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরিটি এল না বলে মনে হয় না তামিমের কোনো দুঃখ আছে। তার কণ্ঠে বরং যা করতে চেয়েছিলেন, সেটি করতে পারার তৃপ্তি, ‘আমি আসলে রক্ষণাত্মক থাকতে চাইনি। শেষ দিনের উইকেট, কখন কী হয় বলা তো যায় না। তা ছাড়া শ্রীলঙ্কান স্পিনাররাও অনেক ভালো।’

মানসিকতা বদলে নিজের এমন ব্যাটিংয়ের রহস্য না হয় বোঝা গেল। গল টেস্টে অমন হারের বোঝা পিঠে নিয়ে এখানে ঘুরে দাঁড়ানোর রহস্য কী?

তামিমের কথায় চমকে উঠতে হয়, এই তো সংঘবদ্ধ একটা দল হয়ে ওঠার মূলমন্ত্র, ‘প্রতিটি ম্যাচের আগে এখন আমরা খেলোয়াড়েরা আলাদা করে বসি। ম্যাচটি কীভাবে নতুন করে, নতুন পরিকল্পনায় খেলব সেটি নিয়ে আলোচনা করি। গলে হারের পরও আমরা আলাদাভাবে বসেছি, আলোচনা করেছি, শততম টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখতে হবে। তাতেই মনে হয় কাজ হয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest