সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

20170509_183848গাজী আল ইমরান : মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম.ঈশ্বরীপুর ইউনিট এর আয়োজনে এবং বেসরকারি  উন্নয়ন গবেষনা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় ২০ জন তরূন তরুনীকে নিয়ে ঈশ্বরীপুর ইউনিট কার্যালয়ে নবায়নযোগ্র শক্তি বিষয়ে তরুন সমাজের ভাবনা বিষয়ে এক এলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানী এবং এর ব্যাবহরে তরুন বন্ধুদের গুরুত্বরোপ করেন । বক্তারা নবায়নযোগ্য শক্তির গুরুত্বারোপ করে  বলেন“  নবায়নযোগ্য  সম্পদ অফুরন্ত , অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ সীমিত যা একবার নিঃশেষ হয়ে গেয়ে হাজার হাজার বছরেও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয় । অনবায়নযোগ্য সম্পদ যা সীমিত আকারে থাকে। আমাদের অনবায়নযোগ্য সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করতে হবে কারণ অনবায়নযোগ্য সম্পদ সহজে ফুরিয়ে যাবে না। এছাড়াও অনবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহারের ফলে পরিবেশ ব্যপক ভাবে দূষিত হয়। এ কারণে নবায়নযোগ্য সম্পদকে অনবায়নযোগ্য সম্পদের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিৎ। এস,এস,টির ঈশ্বরীপুর ইউনিট সভাপতি জগবন্ধু কয়ালের সভাপতিত্বে  বক্তব্য রাখেন বারসিক কর্মকর্তা আল ইমরান সহ  ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

18424268_117864395450038_3973086466760517176_nগাজী আল ইমরান : মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজজামানের সভাপতিত্বে, উপজেলা প্রশাসন, শ্যামনগরের আয়োজনে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, চোরাচালান ও মানব পাচার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামনগরের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেণ।তাছাড়া উপজেলার সকল উন্নয়নে সকলের কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার আহোবান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জনাব এস,এম মহসিন উল মুলক, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারঃ)।এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানববৃন্দসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_1241160165_1494330255.jpg.pagespeed.ic.OBS6tzHMQtরাজধানীর বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদকে গ্রেপ্তারে তাদের গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে একাধিকবার সেখানে গিয়েও তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি।

সাফাত বাসায় আছেন বলে তার বাবা দিলদার আহমেদ দাবি করে এলেও তিনি সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না বলে পুলিশের অভিযোগ।

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, “সাফাতের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তার বাবা মিথ্যা বলেছেন। উনি হয়তো ভেবেছেন, পুলিশ তদন্তে কোনো প্রমাণ পায়নি বলে তাকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি। সে বাসায় আছে বললে হয়তো তাকে সবাই নির্দোষ ভাববে বলে ভেবেছেন।”

বনানী থানা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার দুপুরে আগে গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ৬২ নম্বর রোডে সাফাতের বাড়িতে যান। বেলা ১টার পর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সাফাতকে তারা পাননি।

সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ বলেন, “পুলিশ প্রতিদিনই আমার বাসায় অভিযান চালাচ্ছে। সাফাতকে তারা খুঁজছে। সে কোথায় আছে তা বলতে পারছি না, কারণ সে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছে না।”

সোমবার রাতে সাফাতের বাবা জানিয়েছিলেন, ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সাফাত গুলশানের বাসাতেই ছিলেন। ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ দাবি করে এই স্বর্ণব্যাবসায়ী বলছেন, সাফাতকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করা হচ্ছে।

এদিকে সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত পুলিশ ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির একজনকেও গ্রেপ্তার করেনি। শাফাত ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী (অজ্ঞাতনামা)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, বনানী থানা থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যেন দেশের বাইরে না যান, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আসামিরা দেশে আছেন। তারা ছায়া তদন্ত করছেন। তাদের অবস্থান শনাক্ত করা গেছে।

বনানী থানার পরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, “আমি পাঁচ থেকে ছয়বার সাফাতের বাসায় গিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। সাফাত বাসায় নেই, সে কোথাও পালিয়ে আছে, তাকে খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম সোমবার বলেছিলেন, অপরাধীরা যতই প্রভাবশালী হোক, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। আসামিরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার শাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ বলেন, ২৮ মার্চ রাতে ছেলে জন্মদিনের পার্টি করতে বাইরে গিয়েছিলেন, এ কথা সত্য। বিপদে পড়তে পারে—এই আশঙ্কায় তিনি ছেলের সঙ্গে দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদকেও দিয়ে দিয়েছিলেন। গাড়িচালক বিল্লালও সঙ্গে ছিলেন। তবে তার ছেলে ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত নন। পুলিশ তদন্তে গ্রেপ্তার করার মতো তথ্য-প্রমাণ পাচ্ছে না বলেই ছেলেকে ধরেনি বলে তিনি দাবি করেন।

দিলদার আহমেদ অলংকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের মালিক। তার বড় ছেলে শাফাত আহমেদ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় স্নাতক পাস করে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি। তিনি জানান, পুলিশ গুলশানে তাদের বাসায় গিয়েছিল। নানা বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে শাফাত আহমেদের সঙ্গে কথা বলেনি।

শাফাত কোথায় জানতে চাইলে দিলদার বলেন, ছেলে বাড়িতেই আছেন। ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ার পরও ছেলেকে ধরিয়ে দিচ্ছেন না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করছে। প্রমাণ না পেলে কীভাবে ধরবে?’ তিনি বলছেন, শাফাত আহমেদ নির্দোষ। শাফাতের সাবেক স্ত্রী তাকে ফাঁসাতে জন্মদিনের পার্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে পাঠিয়েছিলেন। শাফাত বাবা-মাকে না জানিয়ে বছর দুয়েক আগে বিয়ে করেন। দুই মাস আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পুলিশের ওপর প্রভাব বিস্তার করা এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন দিলদার আহমেদ।

মামলার তিন নম্বর আসামি সাদমান সাকিফও দেশে আছেন। তার বাবা মোহাম্মদ হোসেন জনি বলেন, ছেলে কোথায় আছেন তা তিনি জানেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বলেন, শাফাত গুলশানে তাদের বাড়ির উল্টো দিকে থাকে। ঘটনার দিন বিদেশে একটি আইটি ফেয়ারে অংশ নিয়ে সাদমান দেশে ফেরেন। পরে শাফাতের অনুরোধে তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। নির্যাতনের শিকার অভিযোগকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার ছেলের বন্ধুত্ব দুই বছরের পুরোনো। সাদমানের মাধ্যমেই শাফাতের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়।

তবে সাদমানের বাবা বলছেন, ঘটনার সময় তার ছেলে বনানীর হোটেল রেইন ট্রিতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বাসায় ফিরে এসেছিলেন। ছেলে ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ার পরও তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে মোহাম্মদ হোসেন জনি বলেন, তার ছেলে ‘একটু’ ভয় পেয়েছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।

সাদমান সাকিফ রেগনাম গ্রুপের ব্যবস্থাপক। তার বাবা মোহাম্মদ হোসেন জনি ওই গ্রুপের মালিক। রেগনাম গ্রুপের সিএনজি কনভারসন, টাইলস, আবাসন প্রতিষ্ঠান, কফি শপ ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে।

ধর্ষণ মামলার দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফ ই–মেকার্স নামের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম চালান। তার মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে। গায়ক অরিজিৎ সিংকে ঢাকায় নিয়ে এসে কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন তিনি। ফেসবুকে ই–মেকার্সের ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নাঈম আশরাফের ছবি দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ঢাকার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী গত ২৮ মার্চ রেইন ট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বলে ৬ মে তাদের একজন বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনা ঘটে যাওয়ার এক মাসের বেশি সময় পর তারা মামলা করেছেন অনেকটা বাধ্য হয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পরিচিত বন্ধুবান্ধব তাদের বলেছিলেন, ২৮ মার্চ রেইনট্রিতে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে তারা শুনতে পাচ্ছেন। তারপর তারা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন।

মামলার বাদী বলেন, ওই রাতে শাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের দুই বন্ধুকে শাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করেন শাফাতের গাড়িচালক। তারা আশঙ্কা করছেন, ওই ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে মুখ না খুললেও আরও বেশি হয়রানির ভয়ে তারা থানায় যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর শ্যামনগরের এম এম প্লাজার মার্কেটের তৃতীয় তলায় উন্নতমানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভর্তা বাড়ি খাবারের হোটেলের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ৯ মে হোটেলের উদ্বোধন শেষে এমপি জগলুল হায়দার তার বক্তব্যে বলেন, আমি এমপি হওয়ার পর এই প্রথম খাবার হোটেলের উদ্বোধন করলাম। হোটেলের রান্না বান্না যেন উন্নতমানের এবং রুচিসম্মত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

001শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ থেকে চন্ডিপুর মিঠা পুকুর পর্যন্ত ৯ শত মিটার পিচের রাস্তা সংস্কারে মাটি কেটে এর শুভ উদ্ধোধন করেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি এস এম জগলুল হায়দার। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ টায় নকিপুর বাজার মসজিদ সংলগ্ন পিচের রাস্তা সংস্কারের মাটি কেটে শুভ উদ্বোধন করেন এমপি জগলুল হায়দার। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাস্তাটি উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ থেকে বাজারের মধ্য দিয়ে থানার সামনে দিয়ে চন্ডিপুর মিঠা পুকুর পর্যন্ত পিচ ঢালাই রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে। রাস্তাটির দুই পাশে ৩ ফুট করে প্রসারিত হবে। রাস্তাটি সরকারীভাবে বরাদ্দ ২৫ লক্ষ টাকা বলে জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_425225308_1494325361.jpg.pagespeed.ic.6RQWR5adkoজাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে দুদককের দায়ের করা মামলায় খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। উপহার সামগ্রীর অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার মামলায় সাজার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এরশাদের আপিল গ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণার করেন। গত ১২ এপ্রিল উভয় পক্ষের আপিলের শুনানি শেষে রায়ের দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগ ওঠে এরশাদের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।

পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক। গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে এ মামলায় আপিল শুনানি শেষ হলে ২৩ মার্চ রায়ের দিন রাখা হয়। কিন্তু এরশাদের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল অনিষ্পন্ন থাকায় সেদিন আর রায় না দিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস মামলার সব ফাইল পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির কাছে। পরে প্রধান বিচারপতি তিনটি আপিল একসঙ্গে নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চে পাঠান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

17-05-09-00-21-15-338_deco-400x300হাসান হাদী : সারারাত এম.পি সাহেবের ঘুম হয়নি!!!
রবিবার সংসদ ভবনে ছিল সরকারি দলের এমপি দের নিয়ে সংসদীয় দলের বৈঠক।

ঘটনা-১ :- বৈঠকে সংসদ নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক এমপি কে সরাসরি দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেন কিন্তু বেশীর ভাগ সংসসদস্যই সঠিক চিত্র তুলে ধরতে পারেনি!!

ঘটনা-২:-আমি এবার কারও দায়িত্ব নিতে পারবো না।
২০১৪ সালের মত নির্বাচন এবার হবে না।নির্বাচন হবে কঠিন প্রতিযোগিতামুলক । অতএব, কারও মুখের দিকে তাকিয়ে আমি নমিনেশন দিবো না।গোয়েন্দা রিপোর্ট ও জনমত জরিপে যারা আসবে তারাই নমিনেশন পাবেন!!

ঘটনা দুটি শোনার পর অনেক এমপির সারারাত ঘুম হয় নি।অস্থির সময় পার করেছেন। প্রিয়তম স্ত্রী তার স্বামীর এহেন আচরণের হেতু শুনতে চাইলে এমপি সাহেব একশো মন ওজনের একটা হায় ছেড়ে বলেন আগামী নির্বাচনে নমিনেশন মনে হয় হবে না?
কেন কেন কেন——?
সে সকল ঘটনা খুলে বললেন তার স্ত্রীর কাছে।
স্ত্রী অনেক ভেবে চিন্তুে বললেন সমস্যা নাই, তুমি চুপ থাক।এই শোন কাঁনে কাঁনে আমাদের সবার এ্যাকাউন্ট মিলে প্রায় ৭০/৮০ কোটি টাকার বুঝ হয়ে গেছে।সুরতাং চিন্তার কোন কারণ নাই বুজলে।
আরে বিটি ওটাই তো বড় চিন্তার কারণ।এমপি পদ না থাকলে তো সকলের মিলে মিশে জেলে থাকতে হবে। দুদক প্রতিদিন এসে বাসায় হানা দিবে তখন।
-এ আল্লাহ্‌ এসব কি বল? আমাদের ও যেতে হবে?
-কেন সংবাদ শোন না বিএনপির কত এমপি মন্ত্রীর বউ মেয়েরা ও জেল খাটছে?
এবার আর এমপি মহোদয় এর বউ কেঁদে একাকার!
-থাম। সালার শয়তান মহিলা। তোর ভাই কে চাকরি, বোন কে চাকরি, ভাগনে-ভাগনি,বাল ছাল কত আত্বীয়-স্বজন চাকরি দাও, একে টিয়ার দাও, ওকে কাবিখার ভাগা দাও।যতসব নষ্টের মুল তুই। অথচ যে নেতা কর্মীরা আমাকে এমপি বানাতে দিনরাত নিজের শ্রম, মেধা,পকেটের পয়সা নানা চড়াই উতরায় পেরিয়ে আমাকে সংসদে পাঠাল তাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না——–!
আজ যদি আমি আগের মত ওদের নিয়ে থাকতাম, সুখে দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতাম, আপা যে টাকা দিছে তার সঠিক ভাবে কাজ করাতাম তাহলে আজ আমার জনপ্রিয়তা থাকতো তুঙ্গে——?
অথচ আজ আমি শূন্য, রিক্ত————-;

ছাত্রলীগের কত ছেলে পা ধরে কেঁদেও দিছে অথচ তাদের একটা পিয়নের চাকুরীও দেয় নি মাত্র পাঁচ লক্ষ ছয় লক্ষ টাকার জন্য অন্যদের চাকুরী দিয়েছি——;
আজ আপা বললেন সব আমল নামা নাকি তার কাছে আছে—–!
আমি তো টাকা ছাড়া আর আত্বীয় ছাড়া কাউকে চাকুরী দিতে সাহায্য করিনি—–?
এমপি আমি অথচ সিন্ধান্ত দিতে তুমি আমার ভাই ও এপিএস—-;
কি এক আজব দেশ রে মাইরি——?
আমি তো দাঁড়িয়েছিলাম আপাকে সব খুলে বলবো—-?
কিন্তু নিজে কাপুরুষ হয়ে যাব, সকলে হাসাহাসি করবে এজন্য বলিনি———-?
চার বছরে যতগুলি বড় বড় টেন্ডার হয়েছে তার একটা কাজ ও কোন নেতা কর্মীকে দিতে পারিনি—–!
সব টাকায় কমিশম খেয়ে খেয়ে ছেড়ে দিয়েছি —–;
হায়রে অভাগা এমপি আমি—–?
আগে গালে মাছি যাইতো এখন গাড়ী বাড়ীর হিসাব নাই!
যাদের বাড়ী ভাত খেতাম তাদের দেখলে চিনি না–?
বাসায় আসলে এক কাপ চা ও জোঠে না————-!
আমি আবার এলাকার এমপি—-?
আগে যাদের দেখলে বুক হাসি মুখে মিলাতাম এখন কাপড়ে ময়লা হবে বলে বুক তো দূরের কথা হাত ও মিলায় না———!
আগে একজন কৃষক,দিনমুজুর, শ্রমিক,মুচি,মাথর মারা গেলে অসুস্থ হলে ভ্যানে, রিকশায় বা হেটে হেটে হলেও চলে যেতাম এখন তিন কোটি টাকার গাড়ী আছে, নিজের ড্রাইভার আছে অথচ একজন প্রতিবেশী বিপদে পড়লে ও যাই না———–!
আমি এলাকার এমপি——-!

কিছু দালালের খপ্পোরে পড়ে স্কুল কলেজে টাকার বিনিময়ে সব মেধাহীন লোকবল নিয়োগ দিয়ে কি সর্বনাষই না করেছি——?
যদি নিজ দলের কর্মীদের দিতাম তাহলে ও মন কে বুঝ দিতে পারতাম————;
রাস্তা ঘাটে পাঁচ কোটি টাকার বাজেট হলে দুই কোটির টাকার কোন রকম কাজ আর সব ভাগ জোগ——-!

ঈদের সময় সহ বিভিন্ন সময়ে সরকার থেকে আসা গরীব দুঃস্থদের জন্য আসা সকল সুবিধা আত্বীয় স্বজন দের দিয়েছি——————————;

এভাবে প্রতিনিয়ত জনগনের বাঁশ দিয়েছি——;
এবার সময় এসেছে তাই,
নিজে বাঁশ খাচ্ছি—————-;

ওগো চল বিদেশে ঐ একটা বাড়ি কিনেছো না——?
সিঙ্গাপুরে——–?
আগেভাগে পালাই —–!
শেখ হাসিনা কে চিনো——–?

বাঘে ছাড়বে তিনি ছাড়বে না ——–;
অন্যায়ের সাথে তিনি কোন আপোষ করেন না।

 

-সংগৃহীত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_538230730_1494315052.jpg.pagespeed.ic.311kiunSfhউচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিয়ে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য ২১ মে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিলের শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য আবারও মুলতবি রাখার আবেদন করেন। কিন্তু আবেদন নাকচ করে আদালত শুনানি অব্যাহত রেখেছেন।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাশ করা হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।

এ আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে গতবছর ৫ মে ১৬তম সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন।

তিন বিচারকের মধ্যে দু’জন ১৬তম সংশোধনী অবৈধ অবৈধ ঘোষণা করেন এবং একজন রিট আবেদনটি খারিজ করেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest